রিতা নামের একটি মেয়ের গল্প শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । গত দুই পর্বে আমি আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করেছিলাম । আসলে মানুষের বাস্তব জীবনের ঘটনা নিয়ে গল্প তুলে ধরতে কিন্তু ভালো লাগে । সেই প্রেক্ষিতে আমি গল্প লিখতে শুরু করেছিলাম । রিতা নামের একটি গ্রাম্য মেয়ের কাহিনী আপনাদের সামনে তুলে ধরেছিলাম । মানুষের জীবনের ঘটে যাওয়া কাহিনী গুলো কিন্তু এক একটা গল্প । সেটাকে যদি সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুজিয়ে উপস্থাপন করা যায় তাহলে কিন্তু সেগুলো পড়তে ভালই লাগে । আর এ ধরনের গল্পগুলো মানুষের হৃদয়কে বেশি স্পর্শ করে এবং পড়তেও ভালো লাগে । আর বাস্তব ঘটনা পড়তে কার না ভালো লাগে । মানুষ তো আশেপাশের ঘটনাগুলো দেখতে ও জানতে পছন্দ করে । সেরকমই একটি গল্প লিখেছিলাম সেটার পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হলাম । এখানে আমি শেষ করেছিলাম রিতার একজনের সাথে বিয়ে হয় এবং সে অসুস্থ হয়ে মারা যায় । তারপর মেয়েদেরকে নিয়ে বাবার বাড়িতে আসে সেখানে আসার পাশ রিতাদের পাশের বাড়ির একজন তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় । রিতা প্রথমে রাজি না থাকলেও পরে রাজি হয় তারই পর থেকে শুরু করছি ।
রিতা বিয়েতে রাজি হওয়ার পরে তার মেয়েরাও বিয়েতে কোন অমত করে না । কারণ মেয়েরাও চায় মায়ের একটা কিছু গতি হোক । আর মেয়েরা এখন একটু বুঝতে শিখেছে ।এরপর বিয়ের কথাবার্তা চলতে থাকে এবং লোকটাও রিতাদের বাড়িতে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে আসা-যাওয়া করতে থাকে এবং লোকটার আচার ব্যবহারও সবার আস্তে আস্তে ভালো লাগতে থাকে । কিছুদিন পরে সংসারের মুরব্বিদের উপস্থিতিতে ওই লোকটার সাথে রিতার বিয়ে হয়ে যায় । বিয়ের কিছুদিন রিতা তার বাবার বাড়িতেই থাকে তার ছোট মেয়েটাকে নিয়ে । এদিকে লোকটা তার নিজের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকে সবাইকে বোঝাতে থাকে । বাড়ির লোকজন কিছুতেই রিতাকে মেনে নেবে না । লোকটার আগের ঘরের ছেলেমেয়েরা বড় বড় এবং ফ্যামিলির অন্য লোকজন থাকে তারাও অশান্তি করতে থাকে । এভাবে কিছুদিন চলতে থাকে ।
তারপর লোকটা রিতাকে নিয়ে শহরে গিয়ে একটা বাসা ভাড়া করে এবং সেখানে রিতাকে রাখে । এখানে কিছুদিন থাকে স থাকে আবার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আগের বউয়ের সাথে কিছুদিন থাকে এভাবে চালিয়ে যাচ্ছে । দুদিক সে সুন্দরভাবে মেইনটেন করে চলছে । এদিকে এই ঘরেও রিতার আবার আরো একটি মেয়ে হয় । আসলে রিতার কপালে মনে হয় ছেলে সন্তান নেই যার কারণে শুধু মেয়েই হতে থাকে । তার আগের মেয়েরাও পড়ালেখা করে ভালো শিক্ষিত হয়ে ওঠে । দেখতে শুনতে রিতার প্রত্যেকটা মেয়েই অনেক সুন্দরী ছিল ।যার কারণে মেয়েদের ভালো ভালো জায়গায় বিয়ে হয়ে যায় ।
রিতা তার স্বামী ও তার নিজের ভাইবোনদের কাছ থেকে অনেক ভালো সাপোর্ট পায় ।
এখন রিতা তার ছোট মেয়েটাকে নিয়ে শহরের বাসাতেই থাকে । এদিকে স্বামী ও অনেক সাহায্য সহযোগিতা করছে এবং মেয়েরাও রিতার সাথে সুন্দর সম্পর্ক রেখেই চলছে । ওরাও ওদের মাকে খুব হেল্প করে । রিতার যে দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছে এটা নিয়ে মেয়েদের কোন অবজেকশন নেই । কারণ তারা জানে যে এখানেই তাদের মা ভালো রয়েছে । তাদের মা তাদেরকে নিয়ে অনেক কষ্ট করেছে এখন তারাও যেমন ভালো রয়েছে এবং মাও তার ছোট মেয়েটাকে নিয়ে এই সংসারে অনেক সুখে রয়েছে । এখন রিতার আর কোন কষ্ট নেই । বিশেষ করে মেয়েদের ভালো ভালো জায়গায় বিয়ে হওয়ার কারণে রিতা খুব ভালো রয়েছে । এদিকে রিতার স্বামী রিতাকে খুব ভালোবাসে । সবকিছু মিলিয়ে এখন সুখে দিন পার করছে । রিতার মেয়েরা এখন বড় হয়েছে তারা তাদের সবকিছু এখন বুঝতে শিখেছে এবং বাবার সম্পত্তির ভাগও নাকি তারা এখন নিজেরা পাবে । কারণ আইনে মেয়েদের কিছু একটা ভাগ থাকে সেটা থেকে কোনভাবে কাউকে কখনো বঞ্চিত করা যায় না । শুনেছি সেটাও নাকি তারা খুব শিগগিরই পেয়ে যাবে । রিতা হয়তোবা তার আগের স্বামীর থেকে কিছু পাবে না তার যেহেতু দ্বিতীয় বিয়ে হয়ে গিয়েছে । কিন্তু মেয়েরা যার যার অংশ তারা পাবে তার দাদি যতই চেষ্টা করুক না কেন সে কিছুতে সেটা আটকাতে পারবেনা ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস| samsung Galaxy s8 plus
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দ্বিতীয় বিয়ে হলেও রিতার জীবনে সুখ ফিরে আসে তার মেয়েদের জন্য তার জীবন বদলে যায়। আসলে অনেক অংশে ছেলে-মেয়ে সফল হলে বাবা-মায়ের সুখের দিন ফিরে আসে যেমনটা রিতার ক্ষেত্রেও হয়েছে।
সেটে সব ক্ষেত্রে যা দ্বিতীয় বিয়েটা খারাপ হয় তা না রিতার ক্ষেত্রে কিন্তু ভালোই হয়েছিল ।
প্রথমে তো ভেবেছিলাম যে রিতা এই লোককে বিয়ে করলে জীবনে শান্তি পাবে না। কিন্তু শেষেতো দেখছি এই লোকের সঙ্গেই সে সুখে শান্তিতে বাস করছে। আসলে মেয়ে সন্তানরা মায়ের দুঃখ কষ্ট ঠিকই বোঝে। এর জন্য রিতার মেয়েরা কোন প্রতিবাদ জানায়নি। রিতার ভাগ্যে আসলেই ছেলে সন্তান নেই। তা না হলে আবার বিয়ে হওয়ার পরও মেয়ে হবে কেন। যাই হোক তারা সবাই এখন সুখে রয়েছে শুনে ভালো লাগলো।