বিড়াল শেপের গিফট বক্স
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সামনে রঙীন কাগজের সুন্দর একটি গিফট বক্স তৈরি করে দেখাবো । গিফট বক্সটি অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে । এ ধরনের গিফট বক্সে করে কারো যদি কোন উপহার দেওয়া যায় তাহলে সে খুব খুশি হবে । আমার ছেলেটা এই বক্সটা পেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল ।সে তার ভিতরে তার ছোট ছোট খেলনা গুলো রেখে অনেক সময় নিয়ে খেলেছে । আসলে গিফট বক্সটি সামনাসামনি দেখতে অনেক বেশি কিউট হয়েছিল এবং ভিতরে খুলে জিনিসপত্র রাখা যায় যার কারণে আরো বেশি ভালো হয়েছে । এ ধরনের জিনিসগুলো বানাতে অনেক বেশি সময় লাগে । তবে সময় নিয়ে বানালে জিনিসটা কিন্তু খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা যায় এবং দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় ও সুন্দর লাগে ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
সাদা কাগজ
রঙীন কাগজ
কাঁচি
গ্লু
কালো কলম
পেন্সিল
কার্যপ্রণালী
প্রথমে a4 সাইজের একটি রঙিন কাগজ নিয়ে কোনা করে একটি ভাঁজ দিয়েছি । তারপর নিচের বাড়তি যে অংশ ছিল সেটা কাঁচি দিয়ে কেটে দিয়েছি । তারপর কোনা করে লম্বালম্বি পাশাপাশি সব দিক দিয়ে ভাঁজ দিয়েছি কাগজটি । এরপর দেখতে পাচ্ছেন চারকোনা থেকে কাগজটি এনে ভাঁজ দিয়ে এবং মাঝখান থেকে আরো একটি ভাঁজ দিয়েছি । ছবিতে সবগুলো ভাঁজ দেখানো হয়েছে ।
এরপর দুই সাইড থেকে ভাঁজ দেয়া হয়ে গেলে ভাঁজগুলো খুলে দিয়েছি । এরপর ভাঁজে ভাঁজে ভাঁজ দিয়ে বড় কাগজটি একেবারে ছোট করে একটি বক্স তৈরি করে ফেলতে হবে । এই ভাঁজ গুলো অনেক বেশি কঠিন ও জটিল এজন্য খুব সাবধানে আস্তে আস্তে করতে হয়েছে এবং এটা করতে খুব বেশি সময় লেগেছিল ।
দেখতেই পাচ্ছেন প্রত্যেকটা ভাঁজ কিভাবে দেওয়া হয়েছে এবং ভাঁজে ভাঁজে ভাঁজ দেওয়ার পরে ছোট্ট একটি বক্স তৈরি হয়েছে । একই রকম ভাবে আমি আরো একটি গোলাপি কালারের বক্স তৈরি করে নিয়েছি এবং এই বক্সের কাগজের সাইজটা আগের কাগজের সাইজ থেকে ১ ইঞ্চি করে ছোট হবে ।
এরপর আরও একটি নীল রঙের কাগজ নিয়ে মাঝখান থেকে ভাঁজ দিয়েছি । এরপর ভাঁজ দেয়ার পরে কাগজটিতে পেন্সিল দিয়ে এঁকে নিয়ে পাতার মতো গোল শেপ করে কেটে নিয়েছি । তারপর একই রকম ভাবে গোলাপী কালারেরও দুটো কেটে নিয়েছি । এরপর বেগুনি কালারের ওপরে একটু গ্লু লাগিয়ে নিয়েছি ।
এরপর বেগুনি কালারের উপরে গোলাপি কালারের কাগজটা বসিয়ে দিয়েছি । তারপর পা বানানোর জন্য আরেকটি কাগজ গোল করে কেটে নিয়েছি । তারপর কালো কলম দিয়ে দাগিয়ে নখ এঁকে নিয়েছি । এরপর গোলাপী কালারের বক্সের নিচের দিকে সেই কাগজটা লাগিয়ে পা তৈরি করে নিয়েছি ।
এরপর বেগুনি কালারের কাগজটি গোলাপি কালারের কাগজের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে গ্লু লাগিয়ে দিয়েছি । তারপর কান দুটো বানিয়ে রেখেছিলাম সে দুটো বেগুনি কালারের বক্সের উপরের দিকে লম্বা করে গ্লু দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি ।এরপর কালো কলম দিয়ে বিড়ালের চোখ নাক এঁকে নিয়েছি । এরপর গোলাপী কালারের বক্সটা বেগুনি কালারের বক্সের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়েছি । তারপর দেখতেই পাচ্ছেন খোলা অবস্থায় ছবি তুলেছি এবং ভেতরে ঢোকানো অবস্থায় ছবি তুলেছি । কত সুন্দর লাগছে দেখতে খুব বেশি কিউট হয়েছিল আমার বিড়াল শেপের এই গিফট বক্স টা ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
ওয়াও অনেক সুন্দর একটা গিফট বক্স তৈরি করেছেন আপনি, যেটা দেখে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। বিড়াল শেপের বক্স হওয়ার কারণে একটু বেশি কিউট লাগছে এটি দেখতে। অনেক সুন্দর করে এই বক্সটার উপর চোখ মুখ ও অংকন করেছেন। এগুলো ছোট বাচ্চারা একটু বেশি পছন্দ করে। আপনার ছেলে এটা নিয়ে অনেক সময় পর্যন্ত খেলাধুলা করেছিল শুনে ভালো লাগলো।
আমার বক্সটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে সত্যি খুব খুশি হলাম আপু ।
মোটেকিছু না!
হ্যালো!
আপনি কী খুবই ভালোবাসেন? রান্না, ঘুরে ফিরে?
এই দিনটি তাহলে আমার জন্মদিন!
আপনি যদি ভালোবাসেন, তাহলে কেননা আমি এটাও ভালোবাসি
চলুন পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকি!
বিড়াল শেপের চমৎকার একটি গিফট বক্স বানিয়েছেন আপনি আপু।খুব সুন্দর লাগছে আপনার বানানো গিফট বক্স টা।ধাপ গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভ কামনা রইলো।
আমার বিড়াল শেপের গিফট বক্স আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
আপু আপনি বিড়াল শেপের খুব সুন্দর একটি গিফট বক্স বানিয়েছেন। এই ধরনের জিনিস বাচ্চারা পেলে খুব খুশি হয়। আমার ছেলেও কিছু পেলেই তার ভিতরে খেলনা রেখে খেলা শুরু করে। আপনার এই গিফট বক্স খুব সুন্দর হয়েছে। এই ধরনের জিনিস বানাতে অনেক সময় লাগে। আপনার গিফট বক্সের কালার খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ডাই প্রজেক্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ছেলেটা এই জিনিসটা পেয়ে ভালই খুশি হয়েছিল আপু অনেক সময় নিয়ে খেলেছে ।
গিফট বক্সটি আসলেই অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে ছোট্ট বাচ্চারা এই ধরনের কিছু পেলে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়। অনেক সুন্দর করে রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি করেছেন । আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
এসব জিনিস ছোট বাচ্চারা আসলেই পেলে খুব খুশি হয় ।
আপনার সৃজনশীলতা বেশ অবাক করছে আমায়। এই বক্সটি একেবারে নিখুঁত করে তৈরি করেছেন। আপনার সৃজনশীলতার প্রশংসা না করে পারছি না। মাথা থেকে বিভিন্ন সৃজনশীল চিন্তাভাবনা বের করছেন তা ভালই বুঝতে পারছি। আর এসবের মাধ্যমে আমরা সমৃদ্ধ হচ্ছি তাতে কোন সন্দেহ নেই।।
আমার সৃজনশীলতা দেখে অবাক হয়েছেন আপনি শুনে ভালো লাগলো ।
আপনি অনেক সুন্দর একটি বিড়াল শেফের রঙিন কাগজ দিয়ে গিফট বক্স তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখি আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার গিফট বক্সটা দেখে মনে হচ্ছে এটা তৈরি করতে অনেক সময় লেগেছিল। আসলে রঙিন কাগজ দিয়ে কোন জিনিস তৈরি করতে অনেক সময় লাগে কিন্তুু জিনিসটা তৈরি করার পরে অনেক ভালো লাগে। যাইহোক অনেক সুন্দর একটি বিড়াল শেপের গিফট বক্স তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমার গিফট বক্সটি দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন শুনে অনেক খুশি হয়েছি ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিড়াল শেপের গিফট বক্স বানিয়েছেন আপু। এই বিড়াল শেপের গিফট বক্স পেয়ে আপনার ছেলে ভীষণ খুশি এবং তার খেলনা এই বক্সে ভরিয়ে রেখেছে জেনে ভালো লাগলো।চমৎকার সুন্দর পদ্ধতিতে গিফট বক্স টি বানিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর গিফট বক্স টি বানানো পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আমার বক্সটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এবং বানানোর পদ্ধতি গুলো চমৎকার লেগেছে শুনে খুশি হলাম ।