অনেকদিন পর বাইরে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব অনেকদিন পরে বাইরে যাওয়ার অনুভূতি । বেশ কিছুদিন হয়ে গিয়েছে ঘরের বাইরে একেবারেই যাওয়া হচ্ছে না । সেই একমাস আগে বাসায় ঢুকেছি এর ভিতরে মাত্র একদিন বাসার বাইরে গিয়েছিলাম তারপর থেকে তো আর যাওয়া হয়নি । বেশি দিন ঘরের ভিতরে বন্দী থাকলে তখন নিজের কাছেই খারাপ লাগে । ছেলের বাবা প্রতিদিন বাইরে হাঁটতে যায় আমার মাঝেমাঝে মন চায় যে আমিও যায় গিয়ে একটু হেঁটে আসি কিন্তু যে পরিমাণে গরম পড়েছে এর ভেতরে বাইরে যেতেও ইচ্ছা করে না । আর আলসেমি করে কোথাও যাওয়া হয় না । হাঁটাহাঁটি করতে ইদানিং একদমই ভালো লাগেনা সারাক্ষণ শুয়ে বসে থেকে থেকে সময়টা পার করি । ইচ্ছা না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা ।
আজকে হঠাৎ করে মনে হলো যে একটু বাইরে যাব কারণ কাজ করতে গিয়ে দেখি যে রঙিন কাগজগুলো মোটামুটি শেষ হয়ে এসেছে । ভালো ভালো রঙের কাগজগুলো ইচ্ছে করলেই হাতের কাছে পাচ্ছিনা । এই কারণে নিজে দেখে শুনে কালার গুলো নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম সেই কারণে যাওয়া । আমার হাজব্যান্ড কে বললে সে অবশ্য এনে দেয় কিন্তু নিজে দেখে শুনে আনতে পারলে পছন্দ মত কালার গুলো আনা যায় । যেই ভাবনা সেই কাজ । এদিকে ছেলেও বায়না ধরেছে বাইরে আইস ক্রিম খেতে যাবে পাশের বাসার ভাবিদের সাথে । একা একা ওদের সাথে বাইরে আমি যেতে দিতে রাজি হইনি কিন্তু কি আর করা ছেলের জোড়াজড়িতে বাধ্য হয়ে রাজি হতে হয়েছে ।
আমরা নিচে গিয়ে প্রথমে কাগজগুলো কিনে নিলাম এবং বেইলিরোড এর উদ্দেশ্যে হাঁটা ধরলাম । অনেকদিন বেইলিরোডে যাওয়া হয়না সেই যে ঈদের সময় গিয়েছি আর এর দিকে যাওয়াই হয়নি । বেইলি রোডে গেলেই সব খাওয়া দাওয়ার দোকান দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে । আর এই গরমের ভিতরে কোথাও আর ভালো লাগে না তারপরও বেইলি রোডের দিকে হাঁটতে লাগলাম । হাঁটতে হাঁটতে মাঝপথে আবার ওজনটাও মেপে নিলাম । অনেক দিন ধরে ভাবছি যে ওজনটাও দেখা দরকার গিয়ে দেখলাম যে ওজন আগের থেকে ২ কেজি বেড়ে গিয়েছে ঘরে বসে থাকতে থাকতে । আর ছেলের বাবার ওজন ৪ কেজি কমেছে । সে ইদানিং টেবিল টেনিস খেলা শুরু করেছে যার কারণে তার ওজনটা কিছুটা কমের দিকে কিন্তু আমার দেখলাম বাড়তির দিকে ।
যাই হোক তারপর আবার হাঁটতে লাগলাম কিছুদূর যাওয়ার পরে দেখলাম যে খাবারের দোকান গুলো একেবারে ভিড় হয়ে রয়েছে । বিশেষ করে ফুটপাতে বসে খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে । ছেলের বাবা বলল যে চলো গিয়ে ফুচকা খাই কিন্তু আমার খেতে ইচ্ছা করছিল না কারন ছেলে ইদানিং ফুচকা খেতে পছন্দ করে এজন্য ওকে ছাড়া কিছুই খেতে ইচ্ছা করে না । যদিও সে নিয়মিত এসব খাওয়া দাওয়া করে থাকে তারপরও ছোট মানুষ ওকে রেখে খাওয়ার ইচ্ছা ছিল না । কিন্তু আমার হাজবেন্ডের জোড়াজোড়িতে বসে দুজনে দু প্লেট ফুচকা খেয়ে নিলাম । কিন্তু ছবি তোলার কথা ভুলেই গিয়েছি । ব্যাগ থেকে ফোন বের করে ছবি তুলতে যাব তখন খেয়াল হলো যে ফোনই তো আনিনি । তখন তার ফোন থেকে দুটো ছবি তুলে নিলাম । তারপর আবার বাসার উদ্দেশ্যে হাঁটা দিলাম ।
এদিকে বাসার জন্য কিছু সবজিও কেনা দরকার । তারপর দু একটা সবজি কিনে নিলাম আরো কিছু কেনার ইচ্ছা ছিল তবে গরমের কারণে দাঁড়াতে পারছিলাম না । অনেকদিন পরে নিচে নামার কারণে আমার পছন্দের চা এর দোকানে একটু দাঁড়ালাম এবং সেখান থেকে এক কাপ চা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে দৌড় দিলাম । বাসায় এসে চা টা গরম গরম খেতে হবে । এদিকে ছেলে এখনো যায়নি ফোন দিয়েছে তাড়াতাড়ি আসার জন্য । আর অন্য কিছু কেনাকাটা না করে তাড়াতাড়ি বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে চলে আসলাম । এই হল মোটামুটি অল্প সময়ের ঘোরাফেরা ও কেনাকাটা ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কয়েকদিন ধরে খুব গরম পড়েছে চাইলেও কোথাও যেতে ইচ্ছা করেনা। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন আপু এই কাগজগুলো নিজে দেখে শুনে না কিনলে ভালো কাগজ পাওয়া যায় না। আর আপনাদের ওইখানে তো নিচেই সবকিছু পাওয়া যায়। নিচে হাঁটতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়াও করেছেন না দেখছি। সবজিগুলো বেশ টাটকা ছিল মনে হচ্ছে। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
গরমের ভেতরে কোথাও যেতে ইচ্ছা করে না তারপরও কাজের জন্য গিয়েছিলাম ।
অনেক দিন ধরে ঘরে বসা।ঘরে থাকতে থাকতে ওজন বেডে যায় আসলে।এবার যেনো গরম একেবারেই কমছে না।বাইরে চমৎকার কিছু সময় কাটিয়েছেন আবার প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কেনাকাটা করে নিলেন। আর সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই আপু
ঘরের মধ্যে এমনি এমনি বসে থাকলে ওজন বেড়ে যায় আর বাইরে একটু হাঁটাহাঁটি করলে না বাড়লেও নিয়ন্ত্রণ এ থাকে ।
দীর্ঘদিন ঘরের মধ্যে বন্দি অবস্থায় থাকলে বেশ খারাপ লাগে। তখন বাইরে বের হবার ভীষণ ইচ্ছা জাগে ।আবার একটানা ঘরের মধ্যে থাকলেও আলসেমিতে ধরে বাইরে যেতেও মন চায় না ।সে এক আরেক যন্ত্রনা।যাই হোক অবশেষে আপনি বাইরে গিয়েছেন এবং বেশ ভালো ঘোরাঘুরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো ।আর বাচ্চাদের ছাড়া কোন কিছু একা একা খেতেও ভালো লাগে না ।বেশ ভালো ছিল আপনার বাইরে ঘোরার অনুভুতি ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার তো তাই হয়েছিল যেতে ইচ্ছা করলো না তারপরও বাধ্য হয়ে গিয়েছিলাম ।