অনেকদিন পর বাবার বাড়িতে আসা
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । ঈদের ছুটিতে বাবার বাড়িতে এসেছি সেই অনুভূতিগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করব ।গত রোজার ঈদে লাস্ট এসেছিলাম যদিও ঈদ করা হয়নি । বাসায় ঈদ করে তার একদিন পরে আমরা এখানে এসেছিলাম রোজার সময় এক সপ্তাহ থেকে গিয়েছিলাম । তারপরে আর আসা হয়নি । এখন ছেলেকে স্কুলে দেওয়ার পরে খুব একটা আসা হচ্ছে এবং আর আসলে এক সপ্তাহের বেশি থাকা হয় না । আমার আবার বাবার বাড়িতে এসে অল্প সময়ে চলে যেতে ইচ্ছা করে না । মনে হয় যে বেশ কিছুদিন থেকে যায় । কিন্তু ছেলের পড়ালেখা বাদ যায় এই কারণে তাড়াতাড়ি চলে যেতে হয় ।
এবারও আমার আসার ইচ্ছা ছিল না তবে তানিয়া বলল যে এবার ও ঢাকাতে ঈদ করেছে । ঈদের পরের দিন বাবার বাড়িতে যাব কিনা । প্রথমে আমি যেতে চাইছিলাম না ভাবছিলাম অল্প সময়ের জন্য যেয়ে আর কি হবে । পরে ভেবে দেখলাম যে ও যেহেতু যাচ্ছে আর ওয়াহিদা তো আগে থেকেই ওখানে রয়েছে অল্প সময়ের জন্য হলেও সবাই মিলে একসাথে সুন্দর সময় কাটানো যাবে । আর আম্মাও চাইছিল যে আমরা সবাই তার সাথে ঈদ করি । কিন্তু ছেলের বাবা কিছুতেই নিজের বাসা ছেড়ে অন্য কোথাও গিয়ে ঈদ করতে চায় না । এজন্য ঈদটা করে তারপর একটা দিন মাঝখানে গ্যাপ দিয়ে আমরা আসার প্রস্তুতি নিলাম । আগের দিন রাতে লাগেজ গুছিয়ে রেখেছিলাম আর তানিয়া ফোন করে বলেছিল যে ও সকাল সকালেই চলে আসবে যার কারণে রাতে সবকিছু রেডি করে রাখতে হয়েছে । আমি অবশ্য কোথাও গেলে সকাল সকাল কখনই বের হই না একটু দেরি করে বের হয় কিন্তু ওদের সাথে গেলে তখন বাধ্য হয়ে সকালে যেতে হয় ।
সকালবেলা আমি ঘুম থেকে ওঠার আগেই দেখি তানিয়া সকাল সকাল ফোন দিয়েছে এবং ও বলছে ওর বের হয়ে গিয়েছে । আর আমি এখনো ঘুম থেকে উঠিনি তারপর আস্তে আস্তে ঘুম থেকে উঠে নিজে ফ্রেশ হলাম তারপর ছেলেকে উঠালাম । আর সকালবেলা উঠে কিছু খেতেও ইচ্ছা করে না আর কোথাও যাওয়ার কথা শুনলে আমার শরীর এমনিতেই অসুস্থ হয়ে যায় । জার্নি করতে আমি খুব একটা পছন্দ করি না কিন্তু যেতে ভালো লাগে । কষ্ট হয় দেখে সেটাই বারবার মনে আসে অনেক বেশি পরিমাণ শরীর খারাপ হয়ে যায় । তারপরও এখানে আসবো সেই খুশিতে তাড়াতাড়ি ঝটপট উঠে রেডি হয়ে নিলাম এবং কিছু সময় পরই দেখলাম যে তানিয়া নিচে এসে ফোন দিয়েছে । পরে ওকে উপরে আসতে বললাম রিসিপশনে ওর ব্যাগগুলো রেখে ও উপরে উঠে আসলো এবং আধা ঘন্টা সময় অপেক্ষা করার পরে আমরা রেডি হয়ে নিলাম । ঝটপট বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম ।
এবার আর ছেলের বাবা আমাদেরকে বাসে উঠিয়ে দিতে আসেনি সে শুধু সিএনজিতে উঠিয়ে দিয়েছে আমরা নিজেরাই সেখান থেকে বাস স্ট্যান্ডে চলে এসেছি । বাসের টিকিট কেটে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করার পরে আমাদের গাড়ি চলে আসলো এবং আমরা গাড়িতে উঠে বসলাম । আমরা এসি গাড়ি পাইনি নন এসিতে টিকিট কেটেছিলাম । আমাদের ভাগ্যটা ভালোই ছিল গাড়িতে ওঠার সাথে সাথে দেখি বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে । আজকের ওয়েদারটা এত ভালো ছিল যে জার্নি করে খুব মজা পেয়েছি । বিশেষ করে পদ্মা সেতুর উপরে যখন উঠেছি তখন মনে হয়েছিল গাড়ি থেকে নেমে সেতুর উপরে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকি । এত সুন্দর লাগছিল পদ্মা সেতুর উপরে ঠান্ডা বাতাস বইছিল মনে হচ্ছে সবাইকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে । সত্যিই অনেক বেশি ভালো ছিল আজকের আবহাওয়াটা ।
আজকে অবশ্য আসতে আমাদের সময়টা একটু বেশি লেগেছে কারণ ঢাকার ভিতরেই অনেক বেশি পরিমাণে জ্যাম ছিল । লোকজন মনে হয় এখনো ঢাকা ছেড়ে গ্রামে বেড়াতে আসছে । এই কারণে আমাদের ঢাকা থেকে বের হতেই প্রায় এক ঘন্টা সময় লেগে গিয়েছিল । তারপরে বুড়িগঙ্গা ব্রিজ পার হয়েই সুন্দরভাবে আমরা চলে আসতে পেরেছি। বাসায় আসতে আসতে আমাদের সাড়ে তিনটা বেজে গিয়েছিল ।মোটামুটি জার্নিটা জ্যাম না থাকলে অনেক ভালোই হতো ।তারপরেও সবকিছু মিলিয়ে আমরা ভালোই ভালোই বাসায় এসে পৌঁছাতে পেরেছি । সবাই মিলে সাতটা দিন শুধু গল্প আড্ডা দিয়ে কাটাবো ইনশাআল্লাহ তারপর যে যার গন্তব্যে ফিরে যাব ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সবাই একসাথে হলে অনেক বেশি মজা হয়। যদিও আমিও জার্নিটা আমার কাছেও অনেকটা বিরক্ত লাগে তবে কিছু ক্ষেত্রে সেটা উপভোগ করার চেষ্টা করি। আর এই জার্নিতে আপনাদের ভাগ্যটা অনেক ভালো ছিল নন এসিতে টিকিট কাটার পরেও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বৃষ্টির কারণে জার্নি টা ভালোভাবে উপভোগ করতে পেরেছেন।
ঠিকই বলেছেন বাবার বাড়িতে আসার মজাই আলাদা । এজন্য কষ্টটা লাগলেও সেটা আর অতটা কষ্ট মনে হয় না । সবাই মিলে সুন্দর সময় উপভোগ করা যায় সেই খুশিতেই থাকি ।
বাবার বাড়িতে গিয়ে সবাই একসাথে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটাচ্ছেন আশা করি। সময় অল্প হলেও সবাই মিলে একসাথে সময় কাটানোর মজাই আলাদা। খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট দেখে। যাত্রা পথের মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সবাই মিলে একসাথে থাকলে অল্প সময় কোথা দিয়ে যে পার হয়ে যায় বুঝাই যায় না।
আপনি তো তাও রোজার ঈদে এসেছিলেন। কিন্তু আমি তো সেই শীতের সময় এসেছিলাম আর আসা হয়নি। বাচ্চাদের স্কুল ছুটির অপেক্ষায় ছিলাম। এজন্য আর এবার দেরি করলাম না। ঠিকই বলেছেন অল্প সময়ের জন্য আসলে ভালো লাগে না। কিন্তু এখন তো একেবারে বেশি সময় পাওয়া যায় না ডিসেম্বর ছাড়া। যাইহোক সুস্থ মতো পৌঁছাতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।
এবার তো আপনি না আসলে মনে হয় আশাই হতো না ।তারপরও তো আসলাম ।
ঈদের সময় বাবার বাড়িতে না আসলে তো একেবারেই ভালো লাগেনা। আর বাবার বাড়িতে আসলে কয়েকদিন না থাকলে ভালোই লাগে না। তবে আমরা আসলেও কাজের জন্য আবার চলে যাওয়া লাগে। তাই বেশিদিন থাকা হয়না। বেশি দিনের জন্য না হলেও কয়েক দিনের জন্য তানিয়া আপু আর আপনি বাবার বাড়িতে এসেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই এখন খুব ভালো সময় অতিবাহিত করতেছেন সবাই একসাথে। আসলে সব বোন একসাথে হলে অনেক বেশি আনন্দ লাগে। এটাই কামনা করি যেন আপনারা যে কয়েকদিন থাকবেন ওই কয়েকদিন ভালো সময় কাটাতে পারেন।
ঈদের সময় বাবার বাড়িতে না আসলে ঈদটা যেন পরিপূর্ণ হয় না । সবাই মিলে এসেছি আনন্দ করবো সেই খুশিতেই থাকি ।
প্রত্যেকটা মেয়ে বিয়ের পর সব সময় এই অপেক্ষায় থাকে। শুধু চিন্তা করে কখন বাবার বাড়িতে যাবে আর সবাই মিলেই মজা করবে। তাদের তো ঈদটাই যেন পূরণ হয় না ঈদের সময় বাবার বাড়িতে না গেলে। এই ঈদে তানিয়া আপু সহ আপনি আপনার বাবার বাড়িতে গিয়েছেন শুনে অনেক ভালো লেগেছে আপু। এখন যেহেতু আপনার বাবার বাড়িতে রয়েছেন তাই মনে হচ্ছে ভালো সময় কাটাচ্ছেন। আর আপনারা তিন বোন ও এখন ওখানে। খুব সুন্দর করে লিখলেন আজকের পোস্টটা।
আপু মেয়েরা বাবার বাড়িতে গেলে মন চায় না খুব সহজে আসতে। তবে আপনারা ভালো করেছেন ঈদের সময় বাবার বাড়িতে গিয়ে। আর নিজের বোনগুলো একসাথে ঈদের সময় একত্রিত হলে অন্যরকম একটা আনন্দ লাগে। তবে অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যেই হল বাবার বাড়ির মজাই আলাদা। আর ঈদের সময় আপু এমনিতে ঢাকা শহরে একটু জ্যাম বেশি থাকে। সুন্দর করে বাবার বাড়িতে যাওয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকদিন পর আপনি বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন সেখানে তানিয়া ও ওয়াহিদা আপু ছিল। সকাল সকাল আপনি ঘুমিয়ে ছিলেন আর তখনই তানিয়া আপু ফোন দিয়ে বলে তারা বেরিয়ে পড়েছে ।এরপর আপনারা তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন। তবে জার্নি করার সময় ওয়েদার টা ভালো ছিল এবং বৃষ্টি হচ্ছিল জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। কেননা এমন আবহাওয়ায় বাসে চড়ে ভ্রমন করতে বেশ ভালো লাগে। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
বাচ্চারা স্কুলে ভর্তি হলে খুব একটা যেখানে সেখানে যাওয়া যায় না। যদিও এই অবস্থাতে এখনো পরিনি তবে সামনে আমারও এমনই হবে। অনেকদিন পর বাবার বাড়িতে এসেছেন আপু। আশা করছি সেখানে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।