আজকে আমি আবার চলে এলাম আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করতে । নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করি সব সময় কিন্তু সব সময় তো আর সেরকম ঘুরে ফিরে কোন কিছু দেখা হয় না এজন্য বাইরের নতুন নতুন পোস্টগুলো শেয়ার করতে কষ্ট হয়ে যায় । তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার জন্য । আর একরকম পোস্ট করলে একঘেয়েমি চলে আসে সেটা নিজের কাছেও ভালো লাগে না । বৃক্ষ মেলায় গিয়ে অনেকগুলো ছবি তুলেছি ।বৃক্ষমেলায় যদি আপনি সারাদিন ছবি তুলতে থাকেন তাহলে একই রকম ছবি পাওয়া যায় না বিভিন্ন ধরনের গাছের সাথে পরিচিত হওয়া যায় এবং ভিন্ন ভিন্ন ছবি একসাথে কালেক্ট করা যায় । শুধু আমরা নয় আশেপাশের অনেক মানুষকে দেখতে পেলাম যারা শুধু ছবি তুলে যাচ্ছে । আমরা তো একটা কাজের পারপাস ছবিগুলো তুলছি । কিন্তু অন্যরা কেন ছবিগুলো তুলছে সেটাই বুঝতে পারলাম না । আর বৃক্ষ মেলায় গেলে বিভিন্ন রংবেরঙের অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল গাছ দেখা যায় । অনেক ক্যাকটাস গাছ দেখতে পেলাম । ক্যাকটাস গাছের নাম আমি জানিনা তবে গাছ গুলো দেখতে সত্যিই অনেক বেশি সুন্দর ছিল । প্রত্যেকটা ছবি আমি যত্ন করে তুলে নিয়েছি । কোন একদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করব । আজকে কিছু গাছের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।

প্রথমে আমের ছবি দিয়ে শুরু করলাম । আম খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে । আম দেখতেও ভালো লাগে । তবে এবার বৃক্ষ মেলায় গিয়ে ভিন্ন ধরনের আম গাছ ও আম দেখেছি । এই আমগাছটা দেখতে পাচ্ছেন ছোট ছোট গাছ কিন্তু কত বড় বড় আম ধরে রয়েছে । আর আমের কালার গুলো কতটা সুন্দর একেবারে লাল কালারের । আমের নামও দেখলাম বিভিন্ন রকম । ছবিতে নামগুলো দেওয়াই রয়েছে ।পাঁচ হাজার বিশ হাজার করে ওরা বিক্রি করছে এবং দেখলাম প্রত্যেকটা গাছই আবার বিক্রি হয়ে গিয়েছে সোল্ড আউট লিখে দিয়েছে । আম গুলো দেখতে সত্যি অনেক ভাল ছিল । আমের অতিরিক্ত ওজনের কারণে ওরা টেপ দিয়ে আমগুলোকে বেঁধে রেখেছে যাতে নিচের দিকে ছিড়ে পড়ে না যায় । জানিনা খেতে কেমন লাগবে তবে নিজের একটি আমবাগান থাকলে এই গাছ অবশ্যই রাখা উচিত ।

এখানে চায়না টগর ,কলমের জবা ,কমলালেবু গাছের ছবি শেয়ার করেছি । টগর ফুল আমার কাছে খুব ভালো লাগে ।আমার বারান্দায় এরকম একটি টগর গাছ ছিল অনেক ফুল ফুটে থাকতো । গাছটা ছোট্ট একটা টবের ভিতর লাগানো ছিল তবে অনেক বেশি ঝাপটা ছিল ফুলগুলো ফুটে থাকতো দেখতে খুব ভালো লাগতো । হঠাৎ করে কেন যে গাছটা মরে গেল বুঝতে পারলাম না । আবার ইচ্ছা আছে কিছু গাছ কিনে বারান্দায় লাগানোর ,তবে দেশের যে পরিস্থিতি এখন আর বাইরে যেতেও ভালো লাগেনা । কোন একদিন গিয়ে কিনে এনে আপনাদের সাথে শেয়ার করব । আর সবুজ কালারের কমলালেবুগুলো ইদানিং বাজারে খুব দেখা যাচ্ছে । জানিনা খেতে কেমন লাগে তবে মনে হচ্ছে অতটা টক হবে না কেননা মানুষজন কিনে কিনে খায় মনে হয় । ওরা কিছু কলমের জবা রেখেছে এই গাছগুলো লাগালে ভালোই জবা ফুল ফুটে দেখতে ভালো লাগে ।

এখানে ভিন্ন ধরনের একটি গাছের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । গাছের নামটি দেখতে পেলাম ওরা জিনিয়া ফ্লোরা দিয়ে রেখেছে । গাছটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে । মাথার দিকটা ওরা বেঁধে রেখেছে খুলে দিলে হয়তোবা একেবারে ঝাপটা দেখা যাবে ভালো লাগবে । নিচের দিকটাও দেখুন কতটা সুন্দর । বিভিন্ন আনকমন গাছ ছিল তার ভিতরে এই গাছ অন্যতম । ঐ গাছটি আগে কখনো দেখিনি প্রথম দেখলাম ভালো লেগেছিল বেশ ।

এখানে কিছু দেশি গোলাপ গাছ রয়েছে । দেশী গোলাপ গাছও কিন্তু ভালো লাগে । গোলাপ বলে কথা যে কোন গোলাপ ফুল আমার কাছে অনেক ভালো লাগে । আগে তো শুধু দেশি গোলাপ গাছ বেশি দেখা যেত । আমার নানা বাড়িতে সেই ছোটবেলা থেকে একটি গোলাপ গাছ দেখে আসছি এবং গোলাপ গাছটা এখন অনেক বড় হয়েছে এবং বয়স হয়ে গিয়েছে অনেক । তারপরও গাছ ভর্তি ফুল ফুটে থাকে দেখতে সত্যিই খুব ভালো লাগে । তারপর নিচের ছবিতে দুইরকম ঝাউগাছ দেখতে পারছেন । একটা তো কমন ঝাউ গাছ এটা আমরা সব জায়গায় দেখতে পাই । আর একটা ঝাউগাছ দেখলাম গোল্ডেন ঝাও সেটাও দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর ছিল । পাতাগুলো একেবারে সবুজ ঝিরিঝিরি এই গাছটাও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল ।

এখানে কিছু নারিকেল গাছের ছবি দিলাম । এখানে ছোট ছোট নারকেল গাছ চারা হিসেবে ওরা বিক্রি করছে । নারকেল গাছ কিভাবে বেড়ে উঠেছে সেটা দেখে কিন্তু ভালই লাগছে । কিছু কিছু গাছ মাটিতে পুতে রাখা হয়েছে সেখান থেকে গাছগুলো দেখা যাচ্ছে । আর কিছু কিছু নারকেল থেকে যে গাছগুলো হয়েছে সেটাও দেখলাম । আমার ছেলে বলে মা দেখো নারিকেলের ভিতর গাছ হয়েছে আগে তো কখনো দেখেনি তাই সেটা দেখে একটু অবাকই হয়েছিল । সবকিছু মিলিয়ে প্রত্যেকটা গাছই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল ।