ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব লারিভে গিয়ে ছোটখাটো শপিং করার অনুভূতি । ঈদের সময় শপিংয়ে না গেলে হয় নাকি । যদিও রোজার ঈদে অনেক বেশি পরিমাণে কেনা হয়ে গিয়েছে । তারপরও ছেলের জন্য লারিভ থেকে সব সময় কেনা হয় এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য লারিভ এ ভালো সুন্দর সুন্দর ড্রেস পাওয়া যায় । বিশেষ করে মেয়ে বাচ্চাদের জন্য সুন্দর সুন্দর ড্রেস পাওয়া যায় । ফরিদপুর থেকে বোন এসেছিল বেড়াতে ও ওর মেয়ের জন্য কেনাকাটা করবে । সেজন্য ভাবলাম ওকে নিয়ে লারিভে গিয়ে কেনাকাটা করি । গতবার আমি ওর জন্য এখান থেকে কিনেছি । ড্রেসটা ভালোই হয়েছিল এজন্য এবারও ওকে লারিভে নিয়ে গেলাম ।
ভেবেছিলাম ছেলেকে নিব না কারণ ওর জন্য গত ঈদে প্রায় পঁচিশটা ড্রেস কেনা হয়েছে । তার সবগুলো তো আর পড়া হয়নি এখনো ইনটেক অনেকগুলো ড্রেসই রয়ে গিয়েছে । আর ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য যত বেশি ড্রেস কেনা হয় সেগুলো কয়দিনই বা পরে ছোট হয়ে যায় । এ কারণে এবার কেনার ইচ্ছা ছিল না তবে শপিং মলে গিয়ে যদি পছন্দ হয় তাহলে কি আর না কিনে পারা যায় । ছেলেকে নেওয়ার ইচ্ছা ছিল না কিন্তু ওকে কিছুতেই রেখে যাওয়া গেল না । বাসায় যেভাবে ছিল সেভাবে করে শুধু জুতাটা পরিয়ে ওকে নিয়ে গিয়েছিলাম । সেখানে গিয়ে বোনের বাচ্চার জন্য ড্রেস দেখছিলাম সেই সুযোগে ছেলেটা ওর নিজের জন্য ড্রেস পছন্দ করে বসে রয়েছে । তখন কি আর না নিয়ে পারা যায় । ওর জন্য যখনই ড্রেস কেনা হোক না কেন ট্রায়াল রুমে গিয়ে সেটা পরে যদি সুন্দর লাগে তবেই সেটা নিবে । দৌড়ে চলে গেল ট্রায়াল রুমে সেখানে গিয়ে ড্রেসটা পড়ার পর ভালই লাগছিল ।
আমরা ছেলেমেয়ে দুজনের জন্য ড্রেস নিয়ে নিলাম এবং ড্রেস নিয়ে ছেলের বাবার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম । কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে ছেলের বাবা চলে আসলো এবং আমরা ঘুরে ফিরে আমাদের জন্য কিছু টপস দেখতে লাগলাম । এখানে টপস গুলো তেমন একটা পছন্দ হয় না কিন্তু দাম অতিরিক্ত লিখে রেখেছে । এখান থেকে কোন কিছু আমার তেমন নিতে ইচ্ছা করে না । সবকিছু মোটামুটি পছন্দ হয় ঠিকই কিন্তু দামটা অনেক বেশি রাখে । বিশেষ করে বাচ্চাদের ড্রেসগুলো ভালো লাগে তবে দাম অনেক বেশি নেয় । তারপরও দুই একটা তো কিনতেই হয় ।
পরে ছেলের বাবার জন্য একটা টি-শার্ট কেনা হলো পড়ার পর টি-শার্টটা দেখতে খুবই ভালো লাগছিল এজন্য নিয়ে নিলাম ।তারপর আমরা ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে টাকাটা দিলাম এবং সাথে কিছু ছবিও তুলে নিলাম । এরপর শপিং মলের বাইরে এসে ছেলেটা দেখলাম স্কেলেটরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে । ওকে ছবি তোলার জন্য পোজ দিতে বললে উল্টাপাল্টা পোজ দিতে থাকলো । সে আবার ছবি তোলায় ওস্তাদ। সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে তারপর আমরা অন্য একটা শপিংমলে উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । কিন্তু আমাদের যেতে যেতে একটু রাত হয়ে গিয়েছিল যার কারণে শপিং মলটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ।সেখানে আর ঢুকতে পারলাম না পরে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে মজার মজার খাবার খেয়ে তবে বাসায় চলে আসলাম ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ঈদের সময় কেনাকাটার না করলে একেবারে ভালোই লাগে না। রোজার ঈদে অনেক বেশি কেনাকাটা হয়ে থাকে এটা ঠিক। কিন্তু কুরবান ঈদে খুব একটা কেনাকাটা করা হয় না। কিন্তু সিম্পল কিছু কেনাকাটা না করলেও ভালো লাগেনা। আর বাচ্চার জন্য তো কেনাকাটা করা লাগেই। আপনি মনে হয় ওয়াহিদা সুমা আপুর সাথে কেনাকাটা করার জন্য গিয়েছিলেন?? যাই হোক উনার মেয়ের জন্য এবং আপনার ছেলের জন্য কেনাকাটা করেছেন শুনে ভালো লাগলো। আসলে পছন্দ হলে কেনা তো লাগেই। আপনার ছেলেকে তো খুব মিষ্টি লাগতেছে দেখতে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু ঈদের সময় কিছু না কিছু কিনতেই হয় না কিনলে ভালো লাগেনা ।
আমারও একই অবস্থা। গতবারে বাচ্চাদের জন্য এত কাপড় চোপড় কেনা হয়েছে যে তার অর্ধেক ও পরা হয়নি। রয়ে গিয়েছে সব। তারপরও দোকানে গেলে পছন্দ হলে নিয়ে নেওয়া হয়। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন বাচ্চাদের জন্য একবারে বেশি কাপড় কেনা ঠিক না। পরে পড়তে পারেনা ছোট হয়ে যায়। যাই হোক পছন্দ হওয়াতে টুকটাক ভালোই কিনেছেন দেখছি। ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।
যতই আলমারিতে কাপড়-চোপড় থাক না কেন ঈদের সময় না কিনলে হয় নাকি তারপরও কিছু না কিছু কিনতেই হয় ।
রোজার ঈদের তুলনায় কুরবানীর ঈদ এ কেনাকাটা কম থাকে।তবে বাচ্চাদের জন্য প্রতিবারই কেনাকাটা করতে হয়।আপনারা দুইবোন মেয়ে এবং ছেলের জন্য বেশ কেনাকাটা করেছেন।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
তারপরও কিছু না কিছু নিজের জন্য ও ছেলের জন্য কেনাই লাগে ।
ঈদের শেষ মুহূর্তে হলেও তো কেনাকাটা করলেন দেখছি। আপনাদের কেনাকাটা করার মুহূর্তটা দেখে তো অনেক ভালো লেগেছে। আসলে বড়দের জন্য ঈদের সময় কেনাকাটা না করলেও, ছোটদের জন্য তো কেনাকাটা করা লাগেই। সুমা আপুর মেয়ের জন্য কেনাকাটা করেছিলেন শুনে ভালো লেগেছে। সেই সাথে আপনার ছেলের জন্যও কেনাকাটা করলেন শুনে ভালো লাগলো। আসলে কোন কিছু পছন্দ হয়ে গেলে সেটা না কেনা পর্যন্ত ভালোই লাগে না। আপনার ছেলে তো দেখছি নিজের জন্য নিজেই পছন্দ করে নিয়েছিল। সব মিলিয়ে ভালো লাগলো পুরোটা।
ছোটদের জন্য তো সব সময় কেনা লাগে আর সোমা এসেছিল বলে দুজনে মিলে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম।
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু ছোট বাচ্চাদের ড্রেসগুলো কিছুদিন পরেই ছোট হয়ে যায়। তারা দ্রুত বেড়ে যায় বলেই এমনটা হয়। তবুও আপনার ছেলে যেহেতু ড্রেস পছন্দ করেছে তাই আবারও ড্রেস কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার ছেলের জন্য এবং আপনার বোনের মেয়ের জন্য ড্রেস কিনেছেন জেনে খুশি হলাম আপু। শেষ মুহূর্তেও দারুণ কেনাকাটা করেছেন আপু।
এমন অনেক ড্রেস রয়েছে যেগুলো মনেই থাকেনা আলমারিতে রয়ে গিয়েছে থাকতে থাকতেই তখন ছোট হয়ে যায় ।