ছেলেকে নিয়ে আবার চোখের ডাক্তার এর কাছে যাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ছেলেকে নিয়ে আবার চোখের ডাক্তার এর কাছে যাওয়ার অভিজ্ঞতা । ছেলের চোখের সমস্যা হয়েছে বেশ কিছুদিন হয়ে গেল । হঠাৎ করে চোখে ব্যাথা ও চুলকানির কারণে ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয়েছিল । সেখান থেকে চোখের পাওয়ার ধরা পড়ে এবং চোখের চশমা ব্যবহার করতে হয়েছিল । অনেকদিন চশমা ব্যবহার করেছি ডাক্তার দুই মাস পরে আবার যেতে বলেছিল ফলো আপের জন্য । চোখের কিছু উন্নতি হয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য । কিন্তু সেখানে গিয়ে আমরা হতাশ হয়েছি । কারণ দুই মাস সারাক্ষণ আমার ছেলে চশমা ব্যবহার করেছে । ছোট মানুষ একটু সময়ের জন্য চশমাটা কখনো খুলে রাখেনি । আমি তো প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যে সে চশমা পড়বে কিনা কিন্তু চশমা পড়া নিয়ে সে কোন বিরক্ত করেনি নিজ দায়িত্বে সবসময় চশমাটা চোখে রেখেছে । কিন্তু দুঃখের বিষয় চোখের কোন উন্নতি হয়নি ।
ডাক্তার ভালো করে পরীক্ষা করে সাজেস্ট করল অন্য একজন ডাক্তার দেখানোর জন্য । এবার আমরা চিন্তা ভাবনা করলাম শিশু বিশেষজ্ঞ চোখের যে ভালো ডাক্তার তাকেই দেখাবো । আগে বাংলাদেশ আই হসপিটাল ছিল আমাদের পাশের বিল্ডিং এ । সেখানে অনেক ভালো ভালো ডাক্তারও বসতো । সেই হসপিটাল টা বাসা থেকে একটু দূরে চলে গিয়েছে । দূরে বলতে তারপরও হেঁটে যেতে হয় । কিন্তু আগে ছিল পাশের বিল্ডিং এখনো হয়েছে তিন চারটা বিল্ডিং পরে । সিদ্ধান্ত নিলাম সেখানে বড় একজন ডাক্তারকে দেখাবো । মাঝখানে আবার ফরিদপুর চলে যাওয়াতে দেখানো একটু পিছিয়ে গেল ।ফরিদপুর থেকে এসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে ফেললাম এবং বাচ্চাকে নিয়ে চলে গেলাম ডাক্তারের কাছে ।
সেখানে দেখলাম যে হসপিটাল টা নতুন করে আবার রেডি করেছে বড়সড়ো করে করেছে এবং এই ডাক্তারের কাছে অনেক রোগীও দেখতে পারলাম । আমরা সেখানে গিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করলাম তারপর আমাদের সিরিয়াল আসলো । প্রথমে ছেলেকে নিয়ে চোখ পরীক্ষা করল তারপর আরো কিছু সময় আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হলো । আমরা বেশ খানিকটা সময় অপেক্ষা করার পরে আমাদের সিরিয়াল আসলো এবং ডাক্তার আমাদেরকে ভেতরে ডেকে পাঠালো । ছেলেকে নিয়ে সেখানে গিয়ে বসলাম এবং ডাক্তার যাওয়ার সাথে প্রবলেম জিজ্ঞাসা করল এবং সে আবার নতুন করে সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলো ।
আগে কোন ডাক্তারকে দেখিয়েছি সেটাও জানতে চাইলো । আমি আগের প্রেসক্রিপশন গুলো বের করে ডাক্তারকে দেখালাম । তখন তিনি বললেন যে তাহলে আপনারা আবার আমার কাছে কেন এসেছেন । তখন আমরা বললাম যে দুই মাস পরে ওর চোখের কোন উন্নতি হয়নি দেখে আপনার কাছে এসেছি । তারপর ডাক্তার চোখে চুলকানোর জন্য নতুন করে একটা ওষুধ দিল এবং আরও দুইটা টেস্ট দিল । ওই টেস্ট করেই আবার ফাইনালি ডাক্তারকে দেখাতে হবে এবং সে তখন বলবে যে চশমা ব্যবহার করতে হবে কিনা । আবার একদিন পরে আমাদেরকে যেতে হবে । কারন ঐ টেস্টটা করতে একটি পিপ্রাসনের দরকার আছে। আগে থেকে একটা ওষুধ চোখে ব্যবহার করতে হয় তারপর তিন ঘন্টা পরে গিয়ে ওই টেস্টটা করতে হয় । এজন্য আরো একটা দিন আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে ওই চেষ্টা করার জন্য । আল্লাহ করে যেন সবকিছু ভালো হয় এই আশাতে রয়েছি । সবাই আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করবেন ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আই হসপিটাল আপনাদের বাসা থেকে দূরে সরে যাওয়ায় তো কিছুটা অসুবিধায় হয়েছে। আগে তো একদমই কাছেই ছিল। আগের ডাক্তারের ঔষুধে যেহেতু কোনো উন্নতি হয়নি নতুন ডাক্তার দেখিয়ে ভালো করেছেন এখন টেস্ট করে রিপোর্ট ভালো আসলেই হয়। দোয়া করি যেন রিপোর্ট ভালো আসে।
এখনকার রিপোর্টও খুব একটা ভালো আসেনি আপু । তবে ডাক্তার পাওয়ার চেঞ্জ করে দিয়েছে । ধন্যবাদ আপনাকে ।
প্রথমেই আপনার ছেলের জন্য দোয়া করি। তার চোখের সমস্যার বিষয়ে আগেও পড়েছি। চশমা ব্যবহার করার পরেও তেমন কোনো উন্নতি হয়নি তার চোখে, এটা শুনে অনেক খারাপ লাগলো। দোয়া করি যেন সবকিছু ঠিক হয়ে যায়। ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে আবারো গিয়েছেন, আর এখন আরো ভালো একজন ডাক্তার দেখিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। তবে আই হসপিটাল আপনাদের বাসা থেকে একটু দূরে নিয়ে যাওয়ার কারণে সমস্যা হয়েছে এটা তো বুঝতেই পারতেছি। রিপোর্ট যেন ভালো আসে এটাই কামনা করি।
চশমা একবার চোখে দিয়ে দিলে আর নামানোর কোন সুযোগ থাকে না ওর বেলায়ও তাই হয়েছে ডাক্তার বলেছে সবসময় চোখে পড়তে হবে ।
আপু প্রথমে আপনার ছেলের জন্য দোয়া রইল। আসলে চোখের সমস্যা হচ্ছে বড় সমস্যা। তবে আপনার ছোট ছেলে দুই মাস চোখে চশমা ব্যবহার করেছে ঠিকমতো শুনে খুব ভালো লাগলো। আর হাসপাতাল টি আপনাদের পাশ থেকে একটু দূরে যাওয়ার কারণে আপনাদের একটু সমস্যা হয়েছে। আশা করি নতুন ডাক্তার দেখালেন আল্লাহর রহমতে ভালো হবে। এবং টেস্টগুলো ভালো আসবে। দোয়া করি যেন ভাল কিছু আসে এবং ভালো হয়ে যায় আপনার ছেলের চোখগুলো।
হসপিটালটা বাসা থেকে একটু দূরে তবে হেটে যাওয়া যায় কাছেই ।
প্রথমেই ফানার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। আশা করছি এবারের টেস্টের রিপোর্টগুলো নিশ্চয়ই ভালো আসবে। আর ডাক্তার চেঞ্জ করে ভালই করেছেন যেহেতু ডাক্তার নিজেই সাজেস্ট করেছেন অন্য ডাক্তার দেখানোর জন্য। দোয়া করি এবার যেন সবকিছু ভালো হয়।
রিপোর্ট গুলো তেমন একটা ভালো আসে নি চশমা ওকে পড়তেই হবে বাদ দেয়ার কোন সুযোগ নেই ।