জেনারেল রাইটিং:- "জীবন যতক্ষণ আছে, বিপদ ততক্ষণ থাকবেই"
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।
চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে বাস্তবিক বিষয়গুলো তুলে ধরার। আজকেও আবার আপনাদের সামনে খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখতে আসলাম। আশা করি বিষয়টা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আমাদের জীবন যেহেতু রয়েছে, আমাদের এই জীবনে তো বিপদ অবশ্যই থাকবে। আর আমাদের জীবনে যে বিপদ গুলো আসবে, সেগুলোকে অতিক্রম করেই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বিপদ অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে পারলেই, আমরা অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারবো। এবং কি এই বিপদ অতিক্রম করার পরে, আমরা নিজেদের লক্ষ্য গুলো পূরণ করতে পারব। আর সব মানুষের জীবনে বিপদ আসবে। কারণ বিপদেটা অতিক্রম করার পরেই আমরা সফলতা দেখতে পাবো। কারণ আমাদের জীবন যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ বিপদ অবশ্যই থাকবে। আর এই বিপদ টাকে অতিক্রম আমাদেরকে করতে হবে। বিপদ আসলে আমরা বসে থাকবো না, অতিক্রম করার চেষ্টা করব।
আমার এক কাছের আত্মীয়ের কথা আমি বলি। তিনি নিজের বিপদ আপদ হলে সব সময় ভেঙে পড়তেন। তিনি মনে করতেন বিপদ-আপদ হলে তিনি আর সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন না। ওনাকে সব সময় সবাই বলে থাকতো, বিপদ আসলে যেন ভেঙে না পড়ে। কারণ আমাদের জীবনে বিপদ অবশ্যই আসবে। এই বিপদে আমাদেরকে শক্ত হতে হবে, এবং কি এই বিপদগুলোকে অতিক্রম করে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু তিনি কোনমতেই বুঝতে রাজি ছিলেন না। এই বিষয়টা সবাই অনেক বেশি বোঝাতো ওনাকে। পরবর্তীতে অনেক কিছু দেখে এবং অনেক কিছু পড়ে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এই বিপদ আপাদের কথা। তারপর থেকে তিনি আর বিপদ-আপদে ভেঙে পড়তেন না। তিনি বিপদ আসলে শক্ত থাকতেন এবং বিপদটা অতিক্রম করার চেষ্টা করতেন।
আর ওনার এই বিষয়টা দেখে সবাই অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। কারণ যে মানুষটা বিপদ আসলে ভেঙে পড়তো, সেই মানুষটা বিপদের সময় এখন শক্ত থাকে। আর সেই বিপদ অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তিনি কিন্তু এই বিপদ অতিক্রম করে যেতেন, এবং খুব তাড়াতাড়ি বিপদটা অতিক্রম করে ফেলতেন। তারপরে তিনি সফলতার মুখ দেখতে পেরেছিলেন। আর এখন ওনার কাছে কোন বিপদ কোন কিছুই না। কারণ জীবনে তো বিপদ অবশ্যই আসবে, তিনি এটা বুঝতে পেরেছেন। আর এরপর থেকে তিনি নিজেই অন্য সবাইকে বুঝাতেন। বিপদ আসলে যেন কেউ ভেঙে না পড়ে। বিপদের সময় নিজেকে শক্ত রেখে এগিয়ে যাওয়া উচিত। তবেই তো আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাব।
এই বিষয়টা একেবারে সত্য একটা কথা। আর এরকম ক্ষেত্রে কিন্তু ভিন্ন রকমের ও হতে পারে। কারণ সব মানুষের মন মাইন্ড কিন্তু একই রকম না। আমার এই আত্মীয় হয়তো শেষ পর্যন্ত বুঝতে পেরেছিল এই বিষয়টা। কিন্তু অনেকে একেবারেই বোঝার চেষ্টা করে না। এবং কি সে কখনোই বিপদের সময় শক্ত থাকে না। আর এই বিষয়টা যদি সেই মানুষটা বুঝার চেষ্টা না করে। তাহলে তার জীবনেই সব থেকে বড় ভুল হবে। কারণ সে যদি বিপদের সময় শক্ত থাকতে না পারে, তাহলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে না কখনো। এবং কি নিজে সফলতা অর্জন করতে পারবে না। যার কারণে তার জীবনটাই একেবারে ভিন্ন রকমের হয়ে যাবে। এর ফলে সেই মানুষটা জীবনে উন্নতি করতে পারবে না কখনোই। আর এই সময়টাতে তাকে এসব কিছু বোঝানোর জন্য ও কয়েকজন মানুষের প্রয়োজন হয়।
আমি নিজেও সব সময় চেষ্টা করি, নিজের বিপদ আসলে সে সময়টাতে নিজেকে শক্ত রেখে নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কারণ বিপদ তো আমাদের জীবনে আসবেই। আর এতে যদি আমরা ভেঙে পড়ি, তাহলে কখনোই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো না। এবং কি সফলতাও অর্জন করতে পারব না। আর এই জন্য আমি আপনাদেরকেও বলবো এই বিষয়টা সবসময় মাথায় রাখার। আপনারাও যদি বিপদ আসলে ভেঙে না পড়েন, আর শক্ত থাকেন, তাহলে আপনারা জীবনে ভালো কিছু করতে পারবেন। এবং কি সফলতাও অর্জন করতে পারবেন। আর আপনাদের আশেপাশে যারা রয়েছে তাদেরকেও এই বিষয়টা বললে, তারা নিজেরাও আশা করছি এটা মানবে। আর তখনই সেই মানুষগুলো ও বিপদে ভেঙে পড়বে না। এবং সফলতা অর্জন করতে পারবে, জীবনে ভালো কিছু করতে পারবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
মানুষ মাত্রই বিপদের সমুখীন কখনো না কখনো হবেই।তাই বিপদে পড়লে অবশ্যই নিজেকে শক্ত করে বিপদকে মোকাবেলা করার সাহস রাখা দরকার।আপনার আত্নীয় বিপদে পরলে ভেঙ্গে পড়তো পরে সবার উৎসাহ পেয়ে পেয়ে ওনি বিপদে শক্ত হতে শিখে গেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আজকের পোস্ট টি করার জন্য।
আসলে বিপদে পরলে ভেঙে পড়লে চলবে না। আমাদের শক্ত হতে হবে তারপরে ই এগিয়ে যেতে হবে। দেখা যাবে সেই বিপদ আমরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/TASonya5/status/1740209433425428893?t=dxwd8lOfU236J_dXM_wuCg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই আপু জীবন যতক্ষণ থাকবে বিপদ ততক্ষণ আমাদের আসতে থাকবে। তবে সব বাঁধা পেরিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে তাহলে সফলতা পাওয়া যাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনি কিন্তু ঠিক বলেছেন, বাধা পেরিয়ে এগিয়ে গেলেই সফলতা পাওয়া যাবে।
আজকে আরিফ ভাইয়ের একটি পোস্ট পড়লাম সেখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলা হয়েছে যে জীবনে কোন কিছুই স্থায়ী নয়। আসলে বিষয়টি একদম সত্য। যেমন বিপদ আসলে শক্ত মনে ধৈর্য ধরতে হবে, কারণ বিপদও স্থায়ী নয়। একটা সময় বিপদ চলে যাবে এরপর সবকিছু আবার আগের মতো ঠিকঠাক হয়ে যাবে। সেজন্য বিপদে নিজেকে ও নিজের মনকে শক্ত করে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ধন্যবাদ চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।
আসলে জীবনে কোন কিছু স্থায়ী নয়, তেমনি বিপদও না। আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
জীবনে উত্থান পতন থাকবেই! জীবনে যে শুধু সাফল্যই থাকবে এটা কখনোই না। ব্যর্থতাও থাকবে, তবে সময়টাতে আমাদের ধৈর্যধারণ করে থাকতে হবে। তবেই জীবনে কঠিন অবস্থানে হাল ছেড়ে দিবে না। চমৎকার একটা বিষয় শেয়ার করলেন 🌼
এটা ঠিক বলেছেন, জীবনে উত্থান পতন থাকবেই। ধৈর্য ধরে থাকতে হবে, তারপরেই তো আমরা সফলতা পাবো।
আসলেই আপু আমরা যতদিন বেঁচে থাকবো, ততদিন একের পর এক বিপদ আসতেই থাকবে। তাই বলে কখনো ভেঙে পড়া যাবে না। কারণ আল্লাহ তায়ালা বিপদ দিয়ে আমাদেরকে পরীক্ষা করে থাকেন। তিনি চান যে আমরা বিপদে ধৈর্য্য ধারণ করে, বিপদটা যেন কাটিয়ে উঠতে পারি। সুতরাং বিপদে পরলে অবশ্যই ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে,যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে বিপদ দূর করার জন্য এবং আল্লাহ তায়ালার নিকট বেশি বেশি প্রার্থনা করতে হবে। তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের বিপদ দূর করে দিবেন। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।