স্বরচিত কবিতা : " ঈদের খুশি "
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থ এবং ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি সব সময় প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পোস্ট করার চেষ্টা করছি। কারণ ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পোস্ট করলে সবার দেখতেও ভীষণ ভালো লাগে। আসলে কবিতা তো লেখা আমার কাছে ভীষণ কঠিন। কারণ আমি মনে করি কবিতা লেখাটা অনেক সময় এবং অনুভূতির প্রয়োজন। যেহেতু আজকে ইচ্ছে করছিল কবিতা লেখার, এইজন্য একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করলাম। আমি মূলত এই কবিতাটি কোন কবিতায় কিছুটা অংশ লিখেছিলাম। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পুরো কবিতাটি সম্পূর্ণ করে আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আশা করি আমার আজকের কবিতাটি আপনাদের ভালো লাগবে।
কবিতার মূলভাব
আগেকার সময় রমজান মাস আসলে সবাই কতই না খুশি ছিল। কিন্তু এখন চারপাশের এত বেশি ঝামেলা কেউ কোন কিছু নিয়ে কুলিয়ে উড়তে পারছে না। এখন খুশির দিনগুলো মানুষ ভুলেই গিয়েছে। মানুষের চিন্তা কি করে রোজার দিনগুলো পার করবে, কি খাবে। আর পরিবার সন্তানদের কি পরাবে। সবকিছুর চড়া দাম সবার জীবনটাকে দুর্ভিক্ষ করে তুলেছে। কেউ আর কোন খুশি খুঁজে পায় না। মানুষ এখন খেতে পরতে কোন কিছুতেই শান্তি পাচ্ছে না। কারণ সারা মাসের ইনকাম দিয়ে ও মানুষ ঠিকমতো খেতে পারে না। সারা মাসের ইনকাম নিয়ে একদিন বাজারে গেলে সব টাকা শেষ হয়ে যায়। এটা যেন বাংলাদেশের একটা রোগে পরিণত হয়েছে। আর এই রোগের কারণে মানুষ তার শান্তি হারিয়ে ফেলেছে। এসব কিছু আসলে শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তব। এখন আর সেই খুশি কেউ খুঁজে পায় না। সেই আনন্দ কেউ করতে পারে না।
" ঈদের খুশি "
রমজান এলো, ঈদ এলো
কত খুশির মাস।
বাংলাদেশের মানুষেরা এখন,
ফেলতে পারছে না নিঃশ্বাস।
বাজারে গেলে বাজার করতে,
কতই না কষ্ট।
সবকিছুর চওড়া দামে,
জীবনটা হয়ে যায় নষ্ট।
খেতে নেই শান্তি,
পড়তে নেই শান্তি।
এইসব কিছুর অশান্তিতে,
ঈদের আনন্দটাই মাটি।
মধ্যবিত্তরা পড়েছে ঝামেলায়,
চাইতেও পারে না
নিতেও পারে না,
আছে পরিবারের প্যারায়।
আগের দিনে এই মাসে,
কত খুশি ছিল,
এখন এত কষ্ট নিয়ে,
মানুষ কি করবে বলো।
ছেলে মেয়ে আর পরিবারের,
দায়িত্বে অবহেলা।
বাংলাদেশের সব কিছুতেই,
শুধুই ঝামেলা।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://i.imgur.com/IN9jw0T.png)
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | কবিতা |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
লেখক | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
একদম ঠিক বলছেন আপু এখন মানুষ ঈদের খুশি ভুলে গিয়েছে। রোজা মানে এখন খাদ্য উৎসবে পরিণত করে ফেলেছে মানুষ। কিভাবে বেশি খাবে কি খাবে না সেই চিন্তায় সবাই ব্যস্ত থাকেন। ঈদের আনন্দটা অন্য ধরনের সেই বিষয়টা এখন আর নেই বললেই চলে। আপনি অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখলনে ঈদের খুশি নিয়ে। কবিতার লেখা গুলো পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
চেষ্টা করেছি ঈদের খুশি নিয়ে সুন্দর একটা কবিতা লেখার জন্য।
আসলে এই সমস্যাটা শুধু বাংলাদেশেই নয় আমাদের ভারতবর্ষেও এই ধরনের সমস্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। যে হারে নিত্যনতুন জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করেছে সেই হারে কিন্তু আমাদের ইনকাম বাড়ছে না। আর আমরা বাজারে গিয়ে সত্যিই হিমশিম খাচ্ছি জিনিস ক্রয় করতে গিয়ে। আপনার কবিতার প্রতিটা লাইন আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আর যতই কষ্ট এবং যতই দুঃখ আসুক না কেন ঈদের দিন যেন সবাই ভালো থাকে এটি আমার সৃষ্টিকর্তার কাছে চাওয়া।
চেষ্টা করেছি সুন্দর একটা টপিক নিয়ে কবিতা লেখার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Steem/SBD doller sell korle inbox. 01700817832 ডলার বিক্রি করলে যোগাযোগ করেন ধন্যবাদ.💖
Whatapp 01700817832
আপু কবিতা মানে হলো অনুভব অনুভুতি ৷ আসলে কবিতা লিখতে গেলে যে কোনো বিষয়ের উপর অনুভব অনুভুতি প্রয়োজন ৷ যা হোক ঈদের অনুভব অনুভুতি নিয়ে ভালো একটি কবিতা লিখেছেন ৷ তবে এ ঈদ কারো কাছে অধিক আনন্দের আবার কারো কাছে আর সাধারণ দিন গুলোর মতো ৷ যা হোক ঈদের বাস্তবতা নিয়ে দারুন একটি কবিতা লিখেছেন ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
হ্যাঁ কারো জন্য অনেক বেশি আনন্দের, আবার কারো জন্য সাধারণ দিনের মতোই।
কয়েকবছর আগেকার সময়ে রমজান মাস চলে আসলেই নিত্য পণ্যের দাম কমিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে রমজান মাস আসলেই নৃত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে দেয়া হয়।এটা আসলেই আমাদের সাধারণ মানুষের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আগেরদিনে ঈদের সময়ে মানুষ খুব অল্প টাকায় অনেক কিছু জিনিস পত্র কিনেছিল। কিন্তু বর্তমানে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ঈদের আনন্দ আগের মত আর থাকছে না।
হ্যাঁ আগের দিনে তো অনেক কিছু কিনতে পারতো অল্প টাকায়। কিন্তু এখন তো অধিক পরিমাণ টাকা নিয়ে গেলেও দেখা যায় হয় না।
কবিতা লেখা আপনার মত আমার কাছেও অনেক কষ্টের আপু। কারণ অনেক চিন্তাভাবনা করে ধৈর্য্য নিয়ে কবিতা লিখতে হয়। আসলেই,দ্রব্যমূল্যের এত দাম হয়তো মধ্যবিত্ত পরিবারের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। তাই ঈদের মতো খুশির অনুষ্ঠান আসলেও নানা চিন্তার কারণে তারা ঠিকভাবে খুশির আনন্দে মেতে উঠতে পারছে না। আপনার লেখা কবিতাটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপু।
হ্যাঁ চিন্তা ভাবনা এবং ধৈর্য নিয়ে কবিতা লেখা লাগে।
আসলেই আপু, যেভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে মানুষের খাইতেও কষ্ট হচ্ছে। আর এসবে জন্য খুশিও হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের মাঝ থেকে। মানুষের মাঝে এখন তেমন শান্তি নেই, সবাই অশান্তি নামক রোগে ভুগছে। যাইহোক, আপু আজকে বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে চমৎকার কবিতা লিখলেন। ভালো লাগলো কবিতাটি আপু।
হ্যাঁ গরিবদের খেতেও অনেক কষ্ট হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার কারণে।
ঈদ মানে আনন্দ আর ঈদ মানে খুশি। আর এই ঈদকে কেন্দ্র করে আপনি সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু। আপনার কবিতাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনার লেখা কবিতার ভেতর অনেক সুন্দর ম্যাসেজ রয়েছে। সেগুলা আমাদের সমাজে চোখে বাস্তব রুপে দেখা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর একটা কবিতা লিখে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক কথা আমাদের সমাজে চোখে বাস্তব রুপ দেখা যাচ্ছে।
জ্বি আপু।
কথাটা ঠিকই বলেছেন আপু। ঈদ এসেছে তবু যেন মানুষের মনে কোন শান্তি নেই স্বস্তি নেই। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির জন্য সবার জীবনে একটা ঝামেলা তৈরি হয়েছে। সবাই টাকা পয়সার একটা সংকটে আছে। আমাদের মধ্যেও এই চিন্তা ঢুকে যাওয়ায় ঈদের খুশি টা আর আগের মতো নেই। কবিতা টা দারুণ লিখেছেন আপু। পড়ে বেশ ভালো লাগল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে কবিতা টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।
আসলে এটার জন্য অনেকের জীবনে ঝামেলা তৈরি হয়েছে।