অরিগ্যামি : রঙিন কাগজ দিয়ে ড্রেসের অরিগ্যামি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি অনেক সুন্দর একটি রঙিন কাগজ দিয়ে ড্রেসের অরিগ্যামি তৈরি করলাম।
আসলে বিভিন্ন কালারের রঙিন কাগজ দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। তাই জন্য ভাবলাম রঙিন কাগজ দিয়ে একটা ড্রেস তৈরি করি। আমি কিন্তু সেলাই করে ড্রেস তৈরি করতে পারি। সে ক্ষেত্রে ে চিন্তা ভাবনা করে কাগজ দিয়ে ও একই রকম একটা ড্রেস তৈরি করার চেষ্টা করেছি। তবে ড্রেস তৈরি করার আগে ভাবছিলাম যদি পারফেক্ট না হয়। তৈরি করার পরে কিন্তু আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এই ড্রেসের মধ্যে পুঁতি দিয়ে ডিজাইন করেছি। সেই জন্য দেখতে একটু বেশি ভালো লেগেছে। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
যে ভাবনা সেইভাবে কাজ শুরু করলাম। আজকের এই অরিগ্যামি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং কিভাবে আমি এই অরিগ্যামি তৈরি করলাম তার ধাপে ধাপে বর্ণনা করে আপনাদের সাথে এই সম্প্রদায়ে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের অরিগ্যামি পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
• রঙিন কাগজ
• কাঁচি
• গাম
• পেন্সিল
• স্কেল
প্রয়োজনীয় বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি রঙিন কাগজ নিলাম। এরপর কাগজটাকে চিকন চিকন করে দুই পাশে নিয়ে ভাজ করে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এভাবে আমি দুইটা কাগজকে চিকন চিকন ভাজ করে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর আমি ভাঁজ করা অংশটার একপাশে গাম লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর আমি একটা কাগজের সাথে আরেকটা কাগজ জোড়া লাগিয়ে নিলাম। মাথার অংশটাকেও জোড়া লাগিয়ে নিয়েছি। এরপর নিচের অংশটা চড়া করে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপরে আমি সাদা রংয়ের কাগজ দিয়ে একটা ড্রেসের উপরের অংশ কেটে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপরে কুচি করা নিচের অংশটার উপরে জোড়া লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপর কতগুলো মতি একটা একটা করে কোমরের অংশ এবং নিচের অংশে লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপরে লাল কালারের কাগজ দিয়ে একটা গোলাপ ফুল তৈরি করে নিলাম। ফুলটাকে জামার মধ্যে জোড়া লাগিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে আমি পুরো পোস্ট করা শেষ করি। আশা করি আমার আজকের ডাই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ডাই |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
রঙিন কাগজ দিয়ে কোন কিছু তৈরি করতে এবং দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর একটি ড্রেস তৈরি করেছেন। দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ড্রেসের মধ্যে পুঁথি ব্যবহার করায় জামাটিকে দেখতে আরো বেশি আকর্ষণীয় লাগছে। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। এত সুন্দর একটি ডাই আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার কাছে আকর্ষণীয় লেগেছে এটা শুনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপু একদম ঠিক বলেছেন রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো জিনিসগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি আজ সুন্দর একটি ড্রেসের অরিগামি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। দেখতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে আপু।ড্রেসে মতি লাগানোতে আরো বেশী সুন্দর লাগছে।আপনি ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন পুঁতি লাগানো তে বেশি ভালো লাগতেছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রঙিন কাগজ আর পুঁথি দিয়ে বেশ সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আপনি সবসময় আমাদের জন্য রঙিন কাগজ দিয়ে সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের অরগ্যামি পোস্ট করে যাচ্ছেন। আমার কিন্তু বেশ লাগে প্রত্যেকটি অরগ্যামি। এভাবেই এগিয়ে যান আপু। শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।
আপনার এত প্রশংসা পেয়ে কাজের আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ আপু
বিভিন্ন কালারের রঙিন কাগজ দিয়ে ড্রেসের অরিগামি তৈরি এত সুন্দর হয়েছে। যেটা আপনার দক্ষতার অনেক বড় প্রমাণ । আপনার কাছে এই ধরনের কাজ অনেক ভালো লাগে বলেই এত সুন্দর নিখুঁতভাবে করে দেখালেন।
চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে তৈরি করার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রঙিন কাগজ দিয়ে ড্রেসের অরিগ্যামি তৈরি। আপনার তৈরি রঙিন কাগজের অরিগ্যামি আমি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে রঙিন কাগজ দিয়ে যে কোন পোস্ট তৈরি করতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে তৈরি করে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন যে কোন পোস্ট তৈরি করতে আসলে পরিশ্রমের প্রয়োজন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আরে বাহ!! আপু, আপনার তৈরি রঙিন কাগজের জামাটি দেখে তো আমার চোখ দুটো ছানাবড়া হয়ে যাচ্ছে। কত সুন্দর করে রঙিন কাগজ দিয়ে জামাটি তৈরি করেছেন যা দেখা মাত্রই ভালো লেগে গেল। বিশেষ করে নীল ও সাদা রংয়ের রঙিন কাগজ ব্যবহার করার কারণে জামাটি খুবই আকর্ষণীয় লাগছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, রঙিন কাগজ দিয়ে ড্রেসের অরিগামি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে নীল এবং সাদা কাগজ দিয়ে তৈরি করার পর ভীষণ ভালো লেগেছে।
আপু আপনার রঙিন কাগজের ড্রেস অনেক সুন্দর হয়েছে। সত্যি আপু এই ধরনের ড্রেস গুলো তৈরি করতে অনেক সময় ও ধৈর্যের প্রয়োজন। আমার কাছে ও রঙিন কাগজের জিনিস গুলো তৈরি করতে অনেক ভালো লাগে। এ রকম ড্রেস বাচ্চারা পেলে অনেক খুশি হবে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি ড্রেস আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মত আমার কাছে তৈরি জিনিসগুলো ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
রঙিন কাগজ দিয়ে কোন কিছু তৈরি করতে পারলে নিজের কাছে কোন রকম ভালো লাগা কাজ করে বরাবরি। রঙিন কাগজ দিয়ে তার সঙ্গে আরও কিছু সরঞ্জামাদি একত্র ে খুবই চমৎকার একটি ড্রেস তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেকটা সময় এবং ধৈর্য নিয়ে এটা তৈরি করেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাদের এত সুন্দর মন্তব্য পেয়ে নিজের ধৈর্য বজায় রেখেছে।