রেসিপি : ফ্রেঞ্চফ্রাই রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফ্রেঞ্চফ্রাই রেসিপি রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
সাধারণত আমরা ফ্রেঞ্চফ্রাই রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে থাকি।
কিন্তু আমার কাছে বাড়ির তৈরি খাবার একটু বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি নিজের হাতে যে কোন রেসিপি তৈরি করতেও ভীষণ পছন্দ করি। এমনিতেই ইচ্ছে করছিল ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে। তাই ভাবলাম বাইরে না গিয়ে নিজেই তৈরি করে ফেলি ঝটপট। আমি আবার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ডিম দিয়ে তৈরি করতে পছন্দ করি। এটা তৈরি করার পর খেতেও ভীষণ মজা লেগেছিল। আমাদের বাড়ির সবাই খেতে পছন্দ করেছিল। ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম | ১ টা |
আটা | ৩ টেবিল চামচ |
আলু | ২ টা |
সস | পরিমাণ মতো |
মরিচের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
টেস্টিং সল্ট | ১ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি বড় বড় দুইটা আলুকে চিকন চিকন স্লাইস করে কেটে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে আমি এর মধ্যে একটি ডিম ভেঙে দিয়ে দিলাম। এরপর এর মধ্যেই সামান্য পরিমাণে টেস্টিং সল্ট দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপরের মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ এবং মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর এর মধ্যে সামান্য পরিমাণে আটা দিয়ে হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম। সুন্দরভাবে মেখে কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিব।
ধাপ - ৫ :
এরপর আমি চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিলাম। এরপরের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপরে আমি তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে আলু গুলোকে ছিটিয়ে দিয়ে দিলাম।।
ধাপ - ৭ :
হালকা একটু ভেজে এরপর উল্টে পাল্টে নিব। একেবারে লাল হয়ে আসলে এরপর চুলে থেকে নামিয়ে নিব।
ধাপ - ৮ :
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঠিকই বলেছেন আপু আমরা কম বেশি সবাই বাইরে গিয়ে ফ্রেন্সফ্রাই খেয়ে থাকি। নিজের ঘরে তৈরি করা যেকোনো খাবার খুবই স্বাস্থ্যসম্ম। আপনার ফ্রেন্সফ্রাই রেসিপি কালার টি বেশ দারুন ছিল। ইচ্ছে করছে দু একটা মুখে পুরে দেই। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ঠিক বলেছেন যে কোন খাবার ঘরে তৈরি করলে বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনার ফ্রান্স ফ্রাই গুলো দেখে অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি করে দিলেন আপনি। মনে হচ্ছে চলে আসি। সুন্দর ছিল আজকে আপনার রেসিপি উপস্থাপনাটি।
অনেক ধন্যবাদ আপু, আমার রেসিপিটা এত পছন্দ করার জন্য।
ফ্রেঞ্চফ্রাই দেখে তো আমার খুব লোভ হচ্ছে। এরকম রেসিপি গুলো দেখলে খুব খেতে ইচ্ছে করে। আমার তো ফ্রেঞ্চফ্রাই খেতে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে আলুর ফ্রেঞ্চফ্রাই খেতে ভীষণ ভালো লাগে। ঠিক বলেছেন বাড়িতে তৈরি করা খাবারগুলো খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। বাহির থেকে কিনে না খেয়ে নিজে তৈরি করে খেলে শরীর-স্বাস্থ্য ও ভালো থাকে। তাই সবারই উচিত নিজে নিজে রান্না করে বাড়িতে খাওয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমি সব সময় বাড়িতে তৈরি করতে পছন্দ করি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু আসলে বাইরের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়ার চেয়ে ঘরে তৈরি করে খাওয়া অনেক বেটার মনে করি আমি।কারণ উনারা কিভাবে না কিভাবে তৈরী করে এসব খাবার খেয়ে শরীরের ক্ষতি করা ছাড়া কোন কিছু না।আমিও আপনার মত সময় পেলে বাসায় তৈরি করে বাচ্চাদেরকে দিই।আমি অবশ্যই ডিম দিয়ে করিনা তবে আপনার থেকে দেখে নিলাম কিভাবে ডিম দিয়ে ফ্রেন্স ফ্রাই করতে হয়।ভালো লেগেছে আপু আপনার রেসিপি।
ডিম দিয়ে তৈরি করলে খেতে একটু বেশি মজা লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আজ অব্দি বাইরে গিয়ে অন্তত এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কিনে খাইনি🥲বাড়িতেই বানিয়ে দেয় আম্মু।
বেশ ভালো একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন,ভালোই জনপ্রিয়।শুভ কামনা রইলো।
তাহলে তো বেশ ভালো বাহিরের খাবার খাওয়া উচিত না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও আপু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি দেখেই ত জিভে জল এসে গেল।আবার যেভাবে পরিবেশন করেছেন সস দিয়ে।মনে হচ্ছে খেয়ে ফেলি,🤪।আমিও এভাবে বাসায় করি মাঝে মাঝে ।তবে আপনার টা মনে হচ্ছে বেশি সুস্বাদু হয়েছে খেতে।ধন্যবাদ আপু লোভনীয় ফাস্ট ফুড রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমি আসলে ডিম দিয়ে তৈরি করেছি। এভাবে করলে খেতে বেশি ভালো লাগে।
আপু ফ্রেঞ্চ ফ্রাইগুলো দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে।আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভাল লাগলো। লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার নিজের কাছেও ভীষণ ভালো লাগে এভাবে তৈরি করলে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সাধারণত ফ্রেঞ্চ ফ্রাই একটু ঠান্ডা হলে,কেমন নরম হয়ে যায়। যেটা খেতে একদমই বাজে লাগে।তবে আপনার বানানো ফ্রেঞ্চ ফ্রাই টা দেখে মনে হচ্ছে যেহেতু ডিম এবং আটা দেওয়া হয়েছে, একটু ঠান্ডা হলেও কুড়মুড়ে ভাবটা থেকেই যাবে।যেটা আসলেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর বৈশিষ্ট্য।দারুন একটা আইটেম শেয়ার করলেন। আমি কখনো এইভাবে তো ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভাজিনি। তবে এইবার অন্তত চেষ্টা করব আপনার রেসিপি দেখে। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন এমনিতে ফ্রেঞ্চফ্রাই ঠান্ডা হলে একটু নরম হয়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।