রেসিপি :- ডিম ভুনা রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ডিম ভুনা রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
আমরা সবাই কিন্তু কমবেশি ডিম খেতে পছন্দ করি। তাছাড়া ঝটপট রান্নার জন্যও কিন্তু ডিম খুবই প্রয়োজনীয়। তবে এখন কিন্তু প্রচুর ডিমের দাম বেড়েছে। সেটা অবশ্য শুধুমাত্র ডিম নয়, প্রত্যেকটা জিনিসপত্রের অনেক বেশি দাম বেড়েছে। তবে আমি কিন্তু ডিমকে বিভিন্ন রকম ভাবে রান্না করে খেতে পছন্দ করি। তবে এই রেসিপিটা করেছিলাম কিছুদিন আগে যখন আমাদের মেহমান এসেছিল। আসলে ঘরে কিন্তু আমরা এতজন মানুষ নেই, মেহমানদের জন্যই এতগুলো ডিম ভুনা করেছিলাম। আসলে শুধুমাত্র ডিম খেতে খুব একটা ভালো লাগে না। ভুনা করে খেতেই আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম | ২৫ টা |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
কাঁচামরিচ কুচি | ২ টেবিল চামচ |
ধনিয়া পাতা কুচি | ২ টেবিল চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মসলা গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি সবগুলো ডিমকে সিদ্ধ করে নিয়েছি। সিদ্ধ করা ডিম গুলোকে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
ধাপ - ২ :
এরপরে চুলায় আমি একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। এর মধ্যে একটু তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে সিদ্ধ করা কয়েকটা ডিম দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩ :
এভাবে ডিমগুলোকে কিছুক্ষণ নেড়েছেড়ে ভেজে নিব। ভাজা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম। এভাবে সবগুলো ডিম ভেজে নিব।
ধাপ - ৪ :
এরপর আমিও চুলায় আরেকটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। এরপরের মধ্যে পেঁয়াজকুচি, কাঁচামরিচ কুচি, রসুনবাটা এসব গুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপরের মধ্যে অন্য সবগুলো মসলা দিয়ে দিলাম। মসলাগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে একটু কষিয়ে নিলাম। কষানোর জন্য একটু পানি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৬ :
এগুলো কিছুটা কসানো হয়ে গেলে এর মধ্যে ভাজা ডিম গুলোকে দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৭ :
এভাবে কিছুক্ষণ রান্না করব। রান্না কিছুটা হয়ে আসলে এর মধ্যে ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৮ :
এভাবে আরও কিছুক্ষণ রান্না করে এরপর চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
মজাদার ডিম ভুনা রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এসেছে আপু। ডিম ভুনা রেসিপি গুলো দেখতে সত্যি অনেক বেশি সুস্বাদু আর লোভনীয় লাগছে। এভাবে ডিম ভুনা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। রেসিপি সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এভাবে ডিম ভুনা আপনার কাছে খেতে ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম।
https://x.com/TASonya5/status/1705076566139793888?s=20
আপনি ঠিক বলেছেন ঝটপট সুস্বাদ রান্না করার জন্য ডিম অনেক ভালো। তবে ইদানিং দিনের দাম বেশ ভালোই বেড়েছে। যাইহোক আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ লোভনীয় দেখতে ডিম ভুনার রেসিপি শেয়ার করেছেন। ডিম আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। আর এভাবে ভুনা করে খেতেও বেশ ভালোই লাগে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর ডিম ভুনা করার রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ডিমের দাম অনেক বেড়েছে।
ডিম যে কোন ভাবে রান্না করলেই খেতে ভালো লাগে। আপনি যেভাবে ডিম রান্না করেছেন এটাকে আমরা গড় গড়ি বলি। আপনি খুব সহজভাবে ডিম রান্না করেছে। রান্না প্রত্যেকটা ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে ও ডিম যে কোনভাবে রান্না করলে খেতে ভালো লাগে।
আসলে আপুর ডিম ভুনা আমার খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে ডিম ভুনার সাথে সোলার ডাউন দিয়ে রান্না করলে আরো বেশি স্বাদ লাগে। তবে আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । আসলে আপনার এ ডিম ভুনার রেসিপিটি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আমার এই রেসিপি পোস্ট দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু ডিম বিভিন্ন ভাবে খেতে আমার ও খুব পছন্দ। তবে ভুনা করে খেতে বেশী ভালো লাগে। আপনি মেহমানদের জন্য ডিম ভুনা করলেন।রেসিপিটি খুবই চমৎকার হয়েছে। আপনি রান্নার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
আমার কাছেও ডিম ভুনা করে খেতে ভালো লাগে।
ডিম ভুনা আমার এবং আমার পরিবারের সবাই খুব পছন্দ করে। আপনার রেসিপিটা দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আমি নিজেও আবার দেখে লোভ সামলাতে পারছিনা।
ডিম যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল রেসিপিটা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ডিম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। ডিম যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার তৈরি রেসিপিটি অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে। আশা করি আপনার তৈরি রেসিপিটি মেহমানরা অনেক মজা করে খেয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি কিন্তু কথাটা একেবারে ঠিক বলেছেন আপু। হ্যাঁ আপু মেহমানরা অনেক মজা করে খেয়েছিল। মন্তব্যটা পেয়ে ভালো লাগলো।