লাইফ স্টাইল :- ভাগ্নির বিয়েতে কাটানো মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। যেকোনো অনুষ্ঠানে যেতে কিন্তু আমাদের সবারই ভালো লাগে। আর অনুষ্ঠানে গেলে কিন্তু আমরা সবাই কমবেশি আনন্দ করি। কিছুদিন আগে আমার জেঠাতো বোনের মেয়ের বিয়ে ছিল। বিয়েতে আমাদের সবাইকে ইনভাইট করেছিল। আসলে প্রথমত অনেক ব্যস্ত ছিলাম তাই জন্য ভেবেছিলাম যাব না। পরবর্তীতে চিন্তা করলাম, আমাদের সবাইকে ইনভাইট করেছে যদি না যায় তাহলে মনে কষ্ট নিবে।
তাই জন্য চিন্তা করলাম যাব। আসলে বিয়ের অনুষ্ঠানটা ছিল ফেনীর একটা কমিউনিটি সেন্টারে। আমাদের এখানে দুইটা গাড়ি ছিল সবাই যাওয়ার জন্য। মূলত বিয়েতে যাওয়ার জন্য আমি আর আমার বোন আমরা আমাদের বাড়িতে চলে এসেছিলাম। কারণ এখান থেকে একসাথে যাব বলে। পরবর্তীতে আমরা সবাই একসাথে রেডি হয়ে, এখানে আসা গাড়িতে করে চলে গেলাম কমিউনিটি সেন্টারে। যদিও প্রথমে দেখি সেখানে এখনো কনে পক্ষের কেউ আসেনি। এমনিতে অপরিচিত কয়েকজনকে দেখছিলাম।
আমরা মূলত একটু তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছিলাম। যাওয়ার সাথে সাথেই আমার বড় জেঠাতো ভাই আমাদেরকে খাওয়ার জন্য ডেকে নিল। তাই জন্য ভাবলাম আসলে খেয়ে নেয়া যাক। আসলে প্রথমে যদি খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তটা শেষ হয়ে যায়, তাহলে পরবর্তীতে একটু ঘুরে ফিরে দেখতে পারব। তাই জন্য আমরা প্রথমেই খাওয়া-দাওয়া সেরে নিলাম। এই কমিউনিটি সেন্টারে আবার দুইটা ভাগে বিভক্ত ছিল। একটা জায়গায় মহিলাদের খাওয়ার আয়োজন এবং আরেকটা জায়গায় পুরুষদের খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দেখি খাওয়া দাওয়ার পাশেই, স্টেজ সাজানো হয়েছিল। তখন স্টেজে গিয়ে আমি নিজের কিছু ছবি তুলি। যদিও নাশিয়ার সাথে ছবি তোলার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু সে কিছুতেই ছবি তুলতে দিল না। এমনিতে আমরা তিনজনে মিলে একটা সেলফি তুলেছিলাম। পরবর্তীতে সবাই আসলে সবার সাথে দেখা করি, কথা বলি। আসলে এই অনুষ্ঠানে আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন এসেছিল। যাদের সাথে অনেকদিন দেখা হয়নি তাদের সাথেও দেখা হয়ে গিয়েছিল।
সবার সাথে দেখা হয়ে ভীষণ আনন্দ করেছিলাম। পরবর্তীতে বর , বউ আসলো। ক্যামেরাম্যান বউয়ের অনেক ফটোগ্রাফি করছিল তখনই আমি একটা সাইট থেকে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম। যদিও ক্যামেরাম্যানের দিকে তাকিয়ে ছিল সেজন্য আমার ফটোগ্রাফি গুলো ভালো ওঠেনি । ক্যামেরাম্যান বরের অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছে দেখলাম তখন আমি একটা ফটোগ্রাফি করেছি মাত্র। ফটোগ্রাফি করতে করতে অনেক বেশি সময় লেগে গিয়েছিল। তখন আমরা সেখানে বসে কথা বলছিলাম।
এভাবে প্রায় অনেকটা সময় পার হয়ে গিয়েছিল। নাশিয়া তো অনেক খুশি ছিল সবার সাথে আনন্দ করছিল। যখন বর বউকে একসাথে বসানো হলো তখনই আমরা নিচে চলে আসলাম। আসলে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল তখন, আমাদের সাথে যারা এসেছিল তারা সবাই চলে গেছিল। পরবর্তীতে আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম যাওয়ার জন্য কোন গাড়ি আছে নাকি। তখন একটা গাড়ি রেখে দিল আমাদেরকে যাওয়ার জন্য। বিকেলবেলা হয়ে যাওয়াতে আমরা আর অপেক্ষা না করে চলে আসলাম। আসলে সেদিন কিন্তু অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আসলে বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকার মজাই আলাদা। আমার তো বিয়ের অনুষ্ঠান টা খুবই পছন্দ। আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু।
আমার পোস্টটা পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই খাওয়া দাওয়া আর আনন্দ। পুরো পরিবারকে একসাথে হাসি খুশি আর আনন্দ করতে দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রথমেই খাওয়া দাওয়া সেরে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ। যাইহোক পুরো পরিবেশটা দারুন ছিল এককথায়।
আসলে ঠিক বলেছেন বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই খাওয়া দাওয়া আর আনন্দ। আসলেই পরিবেশটা অনেক দারুন ছিল।
ভাগ্নির বিয়েতে কাটানো মুহূর্ত গুলো চমৎকার ভাবে উপভোগ করেছেন। আপু আপনার মেয়ে তো বিয়ে বাড়িতে গিয়ে ভীষন খুশি হয়েছে। সবাইকে একসাথে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইল।
হ্যাঁ ভাইয়া আমার মেয়ে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল।
বিয়ে বাড়িতে গেলে এই এক সুবিধা অনেক লোকজনের সঙ্গে দেখা হয়। তাছাড়া কনের ছবি তুলতে গিয়ে তো অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। কারণ এত ক্যামেরা তার দিকে ধরা থাকে যে কোন দিকে তাকাবে বুঝতে পারে না। এজন্যই তো আপনাকে সাইড থেকে ছবিটি তুলতে হলো। বেশ ভালো লাগছে দেখতে। এরকম সাজানো গোছানো পরিবেশ দেখেই আপনার মেয়ে অনেক খুশি হয়েছে। বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন তাহলে।
হ্যাঁ আপু এরকম সাজানো গোছানো পরিবেশ দেখে আমার মেয়ে খুশি হয়েছে। আসলেই বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম
ইস্ কতদিন হলো বিয়ের দাওয়াত খাই না। আর আপনাদের দাওয়াত খাওয়া দেখে তো আরও বেশী করে দাওয়াত খেতে মনে চাইছে। বেশ ভালোই তো সময় পার করেছেন দেখছি ভাগ্নির বিয়ের অনুষ্ঠানে। আসলে এসব অনুষ্ঠানে গেলে কিন্তু বেশী বেশী ছবি তুলতে মনে চায়। বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন সম্পন্ন পোস্টটি।
আসলে মাঝে মাঝে এরকম বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে যেতে খুব ভালো লাগে। আশা করছি সত্যি খুব শীঘ্রই আপনিও একটা বিয়ের দাওয়াত পাবেন। ওখানে পেট ভরে খাওয়া দাওয়া করে নিয়েন।
কাছের আত্মীয়ের যেকোনো অনুষ্ঠানে না গিয়ে পারা যায় না। না যেতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়। যাইহোক আপনার ভাগ্নির বিয়েতে গিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন। খাওয়া দাওয়া শুরুতেই করে ফেলেছিলেন। সবার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আমরা খাওয়া-দাওয়া শুরুতেই করে ফেলেছিলাম। আর সেখানে গিয়ে খুব ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম।
https://twitter.com/TASonya5/status/1688395395846848512?s=20
আসলে অনেক সময় নিজেদের আত্মীয়ের বিয়েতে না গিয়ে পারা যায় না। বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে অনেক ভালই করেছেন অনেক আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা হয়েছে। এবং খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
হ্যাঁ আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা হয়েছিল যার কারণে ভালো লেগেছিল। আপনাকেও ধন্যবাদ আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে মন্তব্যের জন্য