স্বরচিত কবিতা : " বর্ষা বন্ধু "
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থ এবং ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি সব সময় প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পোস্ট করার চেষ্টা করছি। কারণ ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পোস্ট করলে সবার দেখতেও ভীষণ ভালো লাগে। আসলে কবিতা তো লেখা আমার কাছে ভীষণ কঠিন। কারণ আমি মনে করি কবিতা লেখাটা অনেক সময় এবং অনুভূতির প্রয়োজন। যেহেতু আজকে ইচ্ছে করছিল কবিতা লেখার, এইজন্য একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করলাম। আমি মূলত এই কবিতাটি কোন কবিতায় কিছুটা অংশ লিখেছিলাম। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পুরো কবিতাটি সম্পূর্ণ করে আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আশা করি আমার আজকের কবিতাটি আপনাদের ভালো লাগবে।
কবিতার মূলভাব
সত্যি বলতে এখন প্রচন্ড গরম পড়ছে। বিশেষ করে রোদের উত্তাপের কারণে অনেক বেশি গরম সহ্য করতে হচ্ছে সবাইকে। আর সবাই যখন গরমে অসহ্য তখন কিন্তু শুধুমাত্র একটাই কামনা করে, সেটা হচ্ছে বর্ষার। তখন সবাই কিন্তু বর্ষাকে কাকুতি মিনুতি করে কখন আসবে। বর্ষা আসলেই তো সবার জন্য অনেকটা আনন্দের। কারণ এত রোদ এবং উষ্ণতার মাঝে যদি একটু বৃষ্টি পাওয়া যায় তখন কিন্তু অনেক শান্তি লাগে। আর এই জন্য অনেক সময় দেখা যায় আমরা শুধু প্রার্থনা করতে থাকি বৃষ্টি কখন আসবে। আবার দেখা যায় একা একা নিজেরা কথাও বলি। এত গরম সহ্য করতে না পারলে, তখন বর্ষার আশায় দিন পার করি। দেখা যায় বর্ষাকে উপকার করতেও ইচ্ছে করে। যাতে সে আমাদেরকে একটুখানি শীতল অনুভূতি দিতে পারে। এই বিষয়গুলো নিয়েই আজকের লেখা। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
" বর্ষা বন্ধু "
চারিদিকে রোদের উত্তাপ,
খুজি শুধু তোমারে।
কে হে তুমি,
বর্ষা বন্ধু, ভাসিয়ে নিয়ে যাও আমারে।
গরমের এই উষ্ণ আভা,
সহ্য হয় না আমার।
কি করবো বলো বর্ষা বন্ধু,
কি উপকার করতে পারি তোমার।
যদি কোন উপকারে আসি,
সাহায্য করবে কি তুমি আমায়।
নাকি মুখ ঘুরিয়ে চলে যাবে,
গরমে ভাসাবে আমায়।
বর্ষা বন্ধু, চেয়ে থাকি তোমার পানে,
কোথায় আছো বল।
কোথাও খুঁজে পাই না আমি,
বৃষ্টিকে নিয়ে চলো।
আমি শুকিয়ে মাটি ফাঁটে,
মাটির বড়ই কষ্ট।
একটু হলেও অনুভব করি,
যদি তুমি হও ভূমিষ্ঠ।
নিশ্চুপ, নির্মল, প্রশান্তির হাওয়া,
এই সব কিছুর অনুভূতি,
পেতে চাই আমরা,
তাই আমি টানতে চাই গরমের ইতি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | কবিতা |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
লেখক | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/TASonya5/status/1780810003907224053?t=XxeIqpnvAFtREIzblUD__Q&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি কিন্তু আপু কদিন যাবৎ অনেক গরম পড়েছে। আর এমন গরমের সময় আমরা সবাই কম বেশী অপেক্ষা করি একটু শীতল বৃষ্টির। যা কিনা আমাদের মন আর প্রাণ কে জুড়িয়ে দিবে। আপনি কিন্তু বর্ষা কে সামনে রেখে বেশ দারুন একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা কবিতাটি যেমন সুন্দর হয়েছে, তেমনি বেশ সময় উপযোগীও হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু, অনেক বেশি গরম পড়তেছে এই কয়েক দিন ধরে। আমার কবিতা সুন্দর হয়েছে জেনে খুশি হলাম।
বেশ চমৎকার একটি কবিতা লিখে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার লেখা সুন্দর এই কবিতা পড়ে আমি মুগ্ধ হয়েছি। কবিতা আমি খুবই ভালবাসি তাই নিজেও লিখে থাকি, অন্যদের কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অনুপ্রাণিত হয়। যেমন দিনকাল চলছে এই মুহূর্তে এমন কবিতায় উপযুক্ত।
আমার লেখা কবিতা পড়ে মুগ্ধ হয়েছেন শুনে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা কবিতাটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। রোদের উত্তাপ থেকে সত্যি আমাদেরকে বাঁচতে হলে বর্ষা বেশ প্রয়োজন। তবে বর্ষায় যদি আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যায় সত্যিই বেশ নিরুপায় হয়ে যাবে মানুষ। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ এখন বর্ষা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।
আপনার এই কথাটাও আবার ঠিক।
বাহ মনের অনুভূতি দিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন।বর্ষা বন্ধু কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এই গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে বর্ষা আসার জন্য অপেক্ষা করতেছে। আর গরমের মধ্যে একটু যদি বৃষ্টি হয় তাহলে মানুষ শান্তি পায়। তবে আপনার কবিতাটি পড়ে অনেক অনেক ভালো লাগলো আমার কাছে। খুব সুন্দর করে কবিতাটি লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
প্রত্যেকটা মানুষ এখন গরমে অনেক বেশি অতিষ্ঠ। আর সবাই বর্ষার কামনাটা করতেছে অনেক বেশি।
বাহ! চমৎকার লিখেছেন তো আপু। আমার কাছে লাইনগুলো খুবই ভালো লেগেছে। ছন্দের সাথে ভাবের মিল। যাইহোক,খুব শীঘ্রই বর্ষা বন্ধুর দেখা পাবো। অলরেডি তো বৃষ্টি হয়েছে এদিকে। আরও কয়দিন হবে মনে হচ্ছে।
আমার কবিতার লাইনগুলো ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো।
এখন সব জায়গাতে অতিরিক্ত গরম পড়তেছে। আর গরমকে কেন্দ্র করে আপনি খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখলেন। খুব সুন্দর করে বর্ষা বন্ধু কবিতাটি লিখলেন। তবে গরমে মানুষ খুব অতিষ্ঠ। আর গরমের অতিষ্ট নিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করলেন কবিতার মধ্যে। আপনার কবিতা গুলো পড়তে এমনিতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কবিতাটি চমৎকার ভাবে লিখে উপস্থাপনা করেছেন।
চেষ্টা করলাম বিষয়টাকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলে কবিতাটা লেখার জন্য।
বাহ দারুন কবিতা লিখলেন আপু বেশ ভালো লাগলো আপনার বর্ষা বন্ধু কবিতা পড়ে। সত্যিই এত গরমের মধ্যে সবার একটি কামনা যেন বর্ষা নেমে আসে। বৃষ্টি এসে যেন পুরো পৃথিবীকে ঠান্ডা করে দেয় সবাই সেই প্রার্থনা করতেছে। এত গরম সুস্থ থাকা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর কবিতা লেখা তো খুবই কঠিন যখন মন চাই তখন লেখা যায় না। সুন্দর কোন টপিকস মনে পড়লে তখন লিখে নিলে ভালো হয়। আপনার কবিতাটি অসাধারণ হয়েছে।
ভিন্ন ভিন্ন টপিক নিয়ে কবিতা লিখতে ভালো লাগে। তাই চেষ্টা করলাম সময়োপযোগী একটা টপিক নিয়ে কবিতাটা লেখার জন্য।
বর্তমান যে পরিমাণ গরম পড়েছে বাইরে বের হওয়াই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। আর এই গরমের কারণে সবাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। ঠিক বলেছেন এই গরমের সময় সবাই বৃষ্টিকে চায়। এক পশলা বৃষ্টি যেন সবার মাঝে প্রশান্তি এনে দেয়। যাই হোক সেই বর্ষাকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। সময়উপযোগী একটি কবিতা লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু বাহিরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে গরমের কারণে।