নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ২৯ )

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ২৯ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

^{ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট}

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নাম	ফকির গ্রাম।
পরিচালনা	ঈগল টিম
প্রযোজনা	কচি আহমেদ
প্রযোজনা সহকারী	জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি।
স্ক্রিপ্ট	সুলাইমান
অভিনয়ে	আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু।
প্রধান সহকারী পরিচালক	কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান
সম্পাদনা	অনিক ইসলাম
সহকারী সম্পাদনা	জুনায়েদ মোঃ বাঁধন

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই নাটকের শুরুতেই আমরা দেখি বিদেশি ঐ আকাশ চম্মনের বাড়িতে উঁকি দিচ্ছিল। আর সায়েম এবং সায়েমের বউ যখন ওই বাড়িতে আসে, তখন ওই ছেলেটাকে দেখে। আর তার সাথে কথা বলে এবং তাদের মধ্যে চম্মন কে নিয়েও কথা হয়। এরপর সায়েম তাকে টাকা দেওয়ার জন্য বলে। তারপর ওই লোকটা বলে টাকা এনে দেবে পরে। তারপর ওই ছেলেটা সেখান থেকে চলে যায়। আর সায়েম এবং তার বউ কিছুক্ষণ কথা বলে। তারপর দেখা যায় সায়েম এবং তার বউ তার শশুর বাড়িতে এসে তাদেরকে ডাকতেছিল। তারা বিয়ের কথা বলার জন্য এসেছিল। সায়েম ওই ছেলেটার সম্পর্কে তার শ্বশুর কে বলে। আর তারা সেখান থেকে চলে যায়। তারপর দেখা যায় মানিক এবং রতন ভিক্ষা করছিল। আর তখন তারা ডাক্তার আপাকে দেখে। আসলে ওই ডাক্তার আপার নাম হচ্ছে সুরভী। আর ডাক্তার আপা তাকে বলে তাকে যেন সুরভী বলেই ডাকে।

এরপর সুরভী সেখান থেকে চলে যায়। এখন তারা দুইজনও কিছু কথা বলে সেখান থেকে চলে যায়। তারপর দেখা যায় ওই নতুন ফকির দুইজনকে। তারা গ্রামের একটা দোকানে আসে। আর তারা তাদের ব্যবসা নিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলতে থাকে। দোকানদার তো লাভের কথা শুনে অনেক খুশি হয়। কোন কিছু বিক্রি নিয়ে তারা কথা বলছিল। এরপর ওই ফকির দুইটা চলে যায় সেখান থেকে। তারপর দেখা যায় মর্জিনা এবং কাদের ফকির ভিক্ষা করতে করতে যাচ্ছিল। আর পিছন থেকে চান্দু এসে খবর দেয় সুন্দরী খালা কে এবং রবি ফকিরকে মেম্বারের লোকেরা নাকি মেরেছে। আর এটা শুনে তো কাদের ফকির দৌড়ে চলে যায় সুন্দরী সুন্দরী করতে করতে। তারপর চান্দু মর্জিনাকে নিয়ে চলে যায়। এরপর দেখা যায় চম্মন যাচ্ছিল আর আকাশের বোনের সাথে তার দেখা হয়।

চম্মন তাদের বাড়িতেই যাচ্ছিল। আর চম্মন তখন ওই ভাবিকে বলে দেয় যেন তার ভাই তাকে আর ডিস্টার্ব না করে। এরপর তাদের দুজনের মধ্যে তো একপ্রকার ঝগড়াই লেগে যায়। তারপর চম্মন সেখান থেকে চলে যায় আর ওই ভাবিও চলে যায়। তারপর দেখা যায় রতন এবং মানিক ভিক্ষা করতে করতে যাচ্ছিল। আর মানিক রতনের সাথে চম্মনের বিষয়ে কথা বলে। তারপর সেখানে দেখা যায় সায়েম এবং তার বউ এসেছে। এরপর তারা বিভিন্ন রকম কথা বলে সেখান থেকে চলে যায়। তারপর তারা প্যাঁচ লাগানোর কথা বলে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর দেখা যায় কাদের ফকির মেম্বারের বাড়িতে এসেছে সুন্দরী খালা এবং উনার ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তারপর মেম্বারকে ডাকতে থাকে। তারপর মেম্বার এবং তার বউ বেরিয়ে আসে। আর কাদের ফকির তখন মেম্বারকে সবকিছু খুলে বলে।

এর জন্য মেম্বার তার কাছে ক্ষমা চায়। তারপর মেম্বার ঘরে চলে যায়। এরপর দেখা যায় প্রিন্স সুন্দরী খালার বাড়িতে এসেছে। আর লুকিয়ে লুকিয়ে তাদেরকে দেখছিল। সুন্দরী খালা রবিকে ভাত খাইয়ে দিচ্ছিল, এটা দেখে প্রিন্সের কাছে খুব ভালো লাগছিল। আর রবিকে মারার জন্য মনে মনে আফসোস করতে থাকে। তারপর সেখান দিয়ে সুতা এবং তার বন্ধু যাচ্ছিল। আর প্রিন্সকে চোর ভেবে তাকে গিয়ে ধরে। এরপর তারা বুঝতে পারে এটা প্রিন্স। এরপর সুন্দরী খালা প্রিন্সকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলে। আর তাকে চলে যাওয়ার জন্য বলে। প্রিন্স ও সুন্দরী খালার কাছে ক্ষমা চায়। তারপর প্রিন্স সেখান থেকে চলে যায়। আর রবি তো রেগে ঘরে চলে যায়। তারপর সুন্দরী খালা ও ঘরে চলে যায়। এরপর সুতা এবং তার বন্ধুও সেখান থেকে চলে যায়। তারপরে দেখা যায় মর্জিনা দাঁড়িয়ে রয়েছে, আর তখন তার কাছে চান্দু আসে।

আর তারা দুজনে কিছুক্ষণ কথা বলতে থাকে। এরপর সেখানে তখন কাজের ফকির আসে। তখন তো কাদের ফকির পেছন থেকে এসে রবিকে মারতে থাকে। এরপর তারা মর্জিনা কে বিয়ে দেওয়ার কথা নিয়ে কথা বলতে থাকে। আর চ্যালেঞ্জ দেয়। তারপর রবি সেখান থেকে চলে যায়। এরপর কাদের মর্জিনাকে রবির সাথে কথা বলতে বারণ করে। তারপর মর্জিনাকে ঘরে পাঠিয়ে দেয়। এরপর কাদের ফকির ও চলে যায়। তারপর ওই ভাবিকে দেখা যায় আর সেখানে আকাশ আসে। আর আকাশ তাকে নিজের বিয়ের কথা বলে। এরপর চম্মনের কথা বলে। তারপর আকাশ বলে চম্মনকে তাকে এনে দিলেই হয়, আর কিছুই লাগবে না তার। তারপর তারা সেখান থেকে চলে যায়। তারপর দেখা যায় চান্দু ছোট একটা দোকান দিয়েছে। আর মর্জিনা এসব দেখে তো অবাক হয়। আর মর্জিনা চান্দুকে জিজ্ঞেস করে এসব কিছু কি। চন্দু তখন বলে আমি এখন ব্যবসায়ী তোমার বাবাকে এই কথাটা বলিও। তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়। পরবর্তী পর্বে কি হয় এখন এটাই দেখতে হবে। আমি আপনাদের মাঝে খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করবো।

ব্যক্তিগত মতামত

অন্য সবগুলো পর্বের মত আমার কাছে এই পর্বটাও অনেক বেশি ভালো লেগেছিল দেখতে। এই পর্বটার মধ্যে হাস্যকর অনেক বিষয় ঘটেছে। আবার কিছু বিষয় ঘটেছে যেগুলো অনেক ভালো লেগেছিল দেখে। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম প্রিন্স সুন্দরী খালার বাড়িতে এসেছে। আর তখনই পর্ব টা শেষ হয়ে গিয়েছিল। এই পর্বে আমরা দেখেছি প্রিন্স সুন্দরী খালার কাছে ক্ষমা চেয়েছে তার ছেলেকে মারার জন্য। কারণ ওকে মারার পর তার কাছে অনেক বেশি খারাপ লেগেছিল। সুন্দরী খালা তো এটা দেখে অনেক ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে ওই বিদেশি ছেলেটা মানে আকাশ চম্মনকে বিয়ে করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আর আমরা শেষে দেখেছি চান্দু ছোট একটা দোকান দিয়েছে। সে নাকি ব্যবসা শুরু করেছে। এখন দেখা যাক কি হয় পরবর্তীতে। আশা করছি আপনারা অপেক্ষায় থাকবেন।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক