ভ্রমণ :- চর কচ্ছপিয়া ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব 4 কচ্ছপিয়া নামক একটি জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। এই জায়গাটা আমাদের এলাকা থেকে প্রায় অনেকটা দূরে। তবে আমরা গিয়েছিলাম মূলত বাইকে করে। বাইকে করে লং জার্নি করতে বেশ ভালোই লাগে। তবে আবার বেশি লং জার্নি করলে অবস্থা ও খারাপ হয় হা হা ‌🤭 । আসলে আমার মাঝেমধ্যেই বাইক নিয়ে বের হয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে। এটা ছিল রমজানের আগেকার মুহূর্তে ঘুরতে যাওয়া। আসলে রমজান মাস আসলে রোজা রেখে কোথাও যাওয়া হয় না। আমরা মূলত বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম কোথায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে।

কিন্তু কোন প্ল্যান করিনি। হঠাৎ করেই এই জায়গাটার কথা একজনের কাছ থেকে শুনেছিলাম। কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। তাই জন্য আমরা বাইক নিয়ে জায়গাটার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। তবে যতদূর যাচ্ছিলাম সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ। এটা অনেকটাই গ্রামের ভেতরের দিকের একটা জায়গা। তবে এই জায়গাগুলোতে সুন্দর মুহূর্ত কাটানো যায়। আমরা যেতে যেতে প্রায় অনেক সময় লেগে গিয়েছিল। এরপর যখন জায়গাটায় গিয়ে পৌঁছালাম। দেখি সেখানে অনেক বড় একটা ব্রিজ করা হয়েছে। এটা মূলত একটা প্রজেক্ট।

তবে এর চারপাশে সবকিছুই খোলামেলা। বলতে গেলে খুব সুন্দর একটা পরিবেশ ছিল। আমার তো এরকম একটা জায়গা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এখানে আবার বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। যদিও আশেপাশে খুব একটা কিছু ছিল না। কিন্তু এরকম খোলামেলা জায়গার কারণে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল। পরবর্তীতে আমরা সেখান থেকে আরো একটু ভেতরের দিকে গেলাম বাইক নিয়ে। দেখলাম সেখানে অনেক বড় একটা নদী। নদীর ওপারে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তাহলে বুঝতে পারেন এটা অনেক বড় নদী ছিল।

আবার এই নদীর চরে কিছুই ছিল না। বলতে গেলে একদমই ফাঁকা। তবে মন দেখে মনে হচ্ছিল এখানে গরু মহিষ বাঁধা হয়েছে। তবে আমরা যখন গিয়েছিলাম সেখানে কিছুই ছিল না। অনেকটা দূরে সামনের দিকে গরু মহিষ দেখেছিলাম। তবে এত সুন্দর খোলামেলা জায়গা আমার কাছে কিন্তু দারুণ লেগেছে। সেখান থেকে একটু আগে আসলে দেখলাম অনেকটা পাহাড়ের মত একটা জায়গা। আমরাও একটু একটু করে সেই উঁচু জায়গাতে উঠলাম। উঁচু জায়গাটার থেকে নিচে তাকালেই দেখলাম পাশেই একটা নদী। তবে এটা মূলত নদীর চর।

তবে ওই জায়গাটার এত বেশি সুন্দর অনুভূতি হয়েছিল কি বলবো। তার সাথে ছিল খুব সুন্দর হওয়া। তবে নিচের দিকে তাকাতে আমার ভীষণ ভয় লাগছিল। তবে বাতাসের সাথে নদীর পানি গুলো দেখতেও ভীষণ ভালো লাগতেছিল। কিছুটা সময় পার করার পর আমরা আবারও সামনের দিকে রওনা দিলাম। তবে এখানে কিন্তু একটা দোকানে মহিষের দুধের দই পাওয়া যায়। আমরা সেখানে বসে দই খেয়েছিলাম। খেতে কিন্তু ভীষণ ভালোই লেগেছিল। তারপর আবারও বাড়ির দিকে রওনা হলাম। সময়টা কিন্তু ভীষণ ভালোই কাটিয়েছে। আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবার আসবো নতুন কিছু নিয়ে। এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি