রেসিপি :- নারিকেল পুলি পিঠা রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব নারিকেল পুলি পিঠা রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
আসলে আমি মনে করি পুলি পিঠা কমবেশি সবাই খেতে পছন্দ করে। শীতকাল আসলেই যেহেতু পিঠে পুলির ধূমপড়ে, তখন খেতেও কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। এখন তো সেই একেবারে যায় যায় করছে। যেহেতু খুব বেশি পিঠা তৈরি করা হয়নি, এইজন্য ভাবলাম পলি পিঠে তৈরি করা যাক। নারিকেলের পুর ভরা পিঠাগুলো খেতে কিন্তু ভীষণ মজাদার। কয়েকদিন আগেই পিঠাগুলো তৈরি করলাম। পরবর্তীতে কিন্তু খেতেও ভীষণ মজা লেগেছে। আমাদের পরিবারের সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেই খেয়েছে। তাই ভাবলাম রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চালের গুড়া | ২ কাপ |
আটা | ৩ কাপ |
চিনি | ১ কাপ |
তেজপাতা | ২/৩ টা |
দারুচিনি | ১ টুকরো |
এলাচ | ৩ টা |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে দিলাম। এরপর আমি এর মধ্যে পানি গরম করে নিলাম। ফুটন্ত পানির মধ্যে চালের গুড়া দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে আমি ভালোভাবে নেড়েচেড়ে চালের গুঁড়া পানির সাথে মিশিয়ে নিলাম। এরপরে হাত দিয়ে মেখে একটা ডো তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপরে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিলাম। এরপর এর মধ্যে নারিকেল গুলো দিয়ে দিলাম। এর উপরে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপরে এরমধ্যে পরিমাণমতো চিনি এবং লবণ দিয়ে দিলাম। এরপর একটু নেটে ছেড়ে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এভাবে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নারিকেলের পুর তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপরে কিছুটা পরিমাণে আটার ডো নিয়ে, এরপরে একটা রুটির মত বেলে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এর পরে রুটিটাকে মাঝখানের অংশে কেটে নিলাম। এরপরে একটা অংশে নারিকেলের পুর দিয়ে দিলাম।এরপরে এটাকে ভাজ করে একটা ডিজাইন করে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
একই রকম ভাবে প্রায় অনেকগুলো পিঠা তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
এরপরে চুলায় একটা ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিলাম। এরপরে এর মধ্যে ডুবো তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে কয়েকটা পিঠা দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ১০ :
এরপরে উল্টেপাল্টে ভালোভাবে ভেজে নিব। এভাবে পুরো পিঠাগুলো ভেঁজে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
নারিকেল পুলি পিঠা ভীষণ স্বাদের পিঠা, এ বছর আমরা মাত্র একবার খেয়েছি। আপনার পিঠা তৈরির কৌশল এবং উপস্থাপনা দারুন ছিল এককথায়। আর উপস্থাপনার দিকটা বরাবরই সুন্দর আপনার।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার পিঠা রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আমিও একবার তৈরি করলাম মাত্র। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/TASonya5/status/1625171799347691521?t=Y8_HZp6oe77CyqIcYUPJvA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার তৈরি করার নারিকেলের পুলিপিঠা রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আমার পুলি পিঠা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। এই ফুল পিঠাগুলো আসলেই খুব মজা ছিল খাওয়ার সময়। বিশেষ করে ভিতরের পুরটা খুবই মজা হয়েছিল। এত সুন্দর পুলি পিঠা তৈরি করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই নারিকেলের পুর দাওয়াতে বেশি ভালো লাগে খেতে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
যে কোনো ধরনের পিঠা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে নারিকেল পুলি পিঠা তৈরি করেছেন। পিঠা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতাছে। আসলে নারিকেলের স্বাদে পুলি পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। নারিকেল পুলি পিঠা তৈরি প্রক্রিয়া পর্যায়ক্রমে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলেই নারিকেলের পুলি পিঠা খেতে বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতকাল আসলে মজার মজার পিঠা পুলি খেতে অনেক ভালো লাগে।এখন তো শীত প্রায়ই শেষ তবে আপনি বেশ মজার করে নারকেল পুলি তৈরি করেছেন দেখে তো খাওয়ার লোভ লেগে গেছে।এ ধরনের নারকেলের সাথে পুলি পিঠা খেতে দারুন হয়।অনেক সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ শেয়ার করেছেন প্রত্যেকটি ধাপ সুন্দর হয়েছে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পুলি পিঠা খেতে অনেক দারুন লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নারিকেলের পুলি পিঠা খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
জিভে জল আসলে তৈরি করে ফেলেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এবার শীতকালে পুলি পিঠার রেসিপি খাওয়া হয়নি ।নারকেল দিয়ে খুব সুন্দর করে এই পিঠা তৈরি করা হয় যেটা খেতে আমার কাছে দারুন লাগে। হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন শীতকালীন সময়ে এটা খেতে দারুন মজা আপনি খুব সুন্দর করে তৈরি করেছেন ভালো লাগলো।
সত্যি শীতকালে এই পিঠা খেতে বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নারিকেলের মজাদার পুলি পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে পিঠা আমার খুবই প্রিয়। বিশেষ করে পুলি পিঠা।আর আপনার পিঠা রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
রেসিপি টা দেখে আপনার ভালো লেগেছে এটা শুনে খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নারিকেল পুলি পিঠা রেসিপি৷ শীত চলে গেলো কিন্তু নারকেল পুলি খাওয়া হয় নি ৷ আসলে শীতের যত হরেক রকম পিঠা তাতে আসলে কোনটা রেখে কোনটা খাবো ৷
যাক আপনার নারিকেল পুলি পিঠা রেসিপি টি দেখে ভালো লাগলো ৷ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন ৷
কি বলেন নারিকেলের পুলি খাওয়া হয়নি এবারে। আমাদের বাড়িতে চলে আসতেন।