আত্মার মুক্তি। ( পর্ব ১)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে ইতিমধ্যে লেখালেখি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে যখন সবার লেখাগুলো পড়ি তখন অনেক ভালো লাগে। এখন কিন্তু আমার বাংলা ব্লগে সবাই খুব সুন্দর সুন্দর বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে। বিশেষ করে অনেকে অনেক সুন্দর গল্প এবং কাহিনী লিখে থাকে। যে লেখাগুলো পড়ে আমি নিজেই অনেক বেশি উৎসাহিত হয়েছে। সেখান থেকে উৎসাহিত হওয়ার কারণে আমি এখন নিজেই লিখতে শুরু করেছি। এজন্য আজকে আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করব। আশা করি গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রিন্স আর ডায়না দুইজন স্বামী, স্ত্রী। বিবাহের পরে ওরা দুজন অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলাম ঘুরতে। অনেকটা হানিমুনের মত। সেখানে দুজন প্রায় ভালই এনজয় করেছে। এরপরে আবারো দেশে ফেরার ফালা। পরবর্তীতে ওরা যখন দেশে ফিরে তখন গাড়ি করে এয়ারপোর্ট থেকে বাড়িতে ফিরছিল। এয়ারপোর্ট থেকে ওদের বাসা প্রায় অনেকটাই দূরে। এজন্য গাড়ি করে যেতে যেতে প্রায় অনেকটা রাত হয়ে গেল। রাতে যখন গাড়ি করে যাচ্ছিল, তখন পুরো রাস্তাটা ফাঁকা ছিল। সেরকম কোনো গাড়িও ছিল না রাস্তায়। পুরো রাস্তা যেন নিস্তব্ধ ছিল। তবে ওরা দুজনেই কথা বলতে বলতে যাচ্ছিল। যেহেতু ওদের নিজেদের গাড়ি ছিল এইজন্য ড্রাইভার ছিল না। প্রিন্স নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিল। পরবর্তীতে চারদিকে ঘন অন্ধকার এমনকি রাস্তার দুই পাশে শুধু জঙ্গল আর জঙ্গল।
গাড়ি চালাতে চালাতে হঠাৎ করেই গাড়ির সামনে একটা বৃদ্ধ মহিলা চলে আসলো। তখন মহিলাকে দেখে প্রিন্স সাথে সাথে গাড়ি থামিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে দেখল মহিলাটি কোনভাবেই গাড়ির সামনে থেকে সরছিল না। তখন প্রিন্স বলে আমি গিয়ে দেখে আসছি। কিন্তু ডায়না ওকে যাওয়ার জন্য বাধা দিল। কারণ অদ্ভুত একটা অনুভূতি হল। তার উপরে আবার এত রাত আর ফাঁকা রাস্তা। পরবর্তীতে প্রিন্স বলল কিছুই হবে না আমি দেখি মহিলাটির কি হয়েছে কেন রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে। পরবর্তীতে ডায়না বারণ করা সত্ত্বেও প্রিন্স গাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল দেখার জন্য।
তখন দেখে বৃদ্ধ মহিলাটি রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কান্না করছিল। তখন প্রিন্স মহিলাটিকে জিজ্ঞেস করে, কি হয়েছে আপনি কাঁদছেন কেন? পরবর্তীতে মহিলাটি যখন ওর দিকে তাকাল দেখতে পেল মহিলাটি অনেক বেশি বৃদ্ধ। তখন মহিলাটি বলল আমার কেউ নেই, আমাকে আমার ছেলেরা বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমাকে একটু আশ্রয় দিবেন। বৃদ্ধ মহিলাকে দেখে প্রিন্সের খুব মায়া হল। এইসব কথা বলতে বলতে ডায়না ও প্রিন্স এর কাছে গেল। তখন মহিলাটির কথা ডায়না শুনতে পেল। ডায়না প্রিন্সকে বলতে লাগলো অচেনা অজানা মহিলা। আমাদের এখানে দাঁড়ানো আর ঠিক হবে না। কিন্তু প্রিন্সের মহিলাটির জন্য খুবই মায়া হল। এইজন্য প্রিন্স বলল মহিলাটির কেউ নেই, ওনাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
এইজন্য আমি ভাবছি মহিলাটিকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাব। আমাদের বাড়িতে আমরা দুজন ছাড়া তো আর কেউ নেই। তখন প্রিন্সের কথা শুনে ডায়না আর কিছুই বলতে পারল না। পরবর্তীতে মহিলাটিকে বলল আসুন আমাদের সাথে গাড়িতে বসবেন। তখন মহিলাটিকে গাড়ির পেছনের সিটে বসিয়ে ওরা দুইজন সামনে বসলো। তখন যেতে যেতে আবার ও প্রিন্স মহিলাটিকে জিজ্ঞেস করল, এবার বলেন তো কেন আপনাকে বাড়ি থেকে বের করে দিল। তখন মহিলা বলল, আমার ছেলে এখন অনেক বড় হয়ে গেছে, ও বউয়ের কথা শুনে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিল। তখন প্রিন্স বলল ওদের একদমই ঠিক হয়নি আপনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া। আপনি এখন এত বৃদ্ধ হয়ে গেলেন। তখন ডায়না বলল আপনার বাড়িতে কে কে আছে। বৃদ্ধ মহিলা বলল, শুধুমাত্র এক ছেলে এবং ছেলের বউ।
পরবর্তীতে কথা বলতে বলতে ওরা বাড়িতে পৌঁছে গেল। বাড়িতে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামলো। প্রিন্স গাড়ি থেকে নেমে পেছনে গিয়ে মহিলাটিকে নামার জন্য দরজা খুলবে, তখন দেখে মহিলাটি বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। তখন প্রিন্স এবং ডায়না দুজনে অবাক হল। এত বৃদ্ধ মহিলা কিন্তু গাড়ির দরজা খুলে বের হয়েছে কিভাবে। যাইহোক তখন ওরা মহিলাটিকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করল। মহিলাকে একটা রুম দেখিয়ে দুজনে বলো আপনি এখানে থাকবেন। তাহলে আমরা আমাদের রুমে যাই এখন। পরবর্তীতে ওরা ওদের রুমে চলে গেল। সকালে ঘুম থেকে উঠে, ডায়না মহিলার রুমে গেল, মহিলাটিকে ডেকে তোলার জন্য। তখন দেখে মহিলাটি ঘরে নেই । তখন ও একটু জোরে জোরে ডাকতে শুরু করলো আপনি কোথায় গেছেন। কিন্তু কোথাও দেখতে পেল না।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/TASonya5/status/1627165221134663680?t=-0OIxUW3qWFVsbB0IDDcnQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গল্পটি পড়ে মনে হচ্ছে ভৌতিক কিছু হতে যাচ্ছে আপু। বৃদ্ধ মহিলাটি হয়তো অশরীরি কোনো আত্না হবে। না হয় গাড়ি থেকে আগেই নেমে পড়লো কি করে! প্রিন্স ও ডায়নার কোনো ক্ষতি করবে কি না সেটাই ভাবছি। ভালো লিখেছেন আপু 🌼🦋
আপনি গল্পটি পড়েছেন এতে ভীষণ ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্ব শীঘ্রই দেখবেন।
আপনার লেখা আত্মার মুক্তি গল্পটির প্রথম পর্ব পড়ে ভালো লাগলো। জঙ্গলের মাঝে একটা বৃদ্ধ মহিলা এবং সে আবার একা একা গাড়ি থেকে নেমে গেল বিষয়টা বেশ সন্দেহ জনক। মনে হচ্ছে ভৌতিক কিছু হতে যাচ্ছে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ।
গল্পটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে এটাই ভীষণ ভালো লাগলো।
গল্পটা পড়ে মনে হচ্ছে বৃদ্ধ মহিলাটি হয়তো কোন কারো আত্মা হবে।আপনার আত্মার মুক্তি পড়ে আমার কাছে ভয় লাগছিল। কারণ ডায়না যখন মহিলাকে ডাকল সারা না পেয়ে কেমন যেন ভয় কাজ করছিল। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি দেখতে পাবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু ৷ আত্মার মুক্তি গল্পের প্রথম পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ কিন্তু দেখার বিষয় পরের পর্বে প্রিন্স আর ডায়না সাথে কি হয় ? সেই বৃদ্ধ মহিলা ই বা কে ৷ তবে গল্পটা পড়ে মনে হচ্ছে ভৌতিক কোনো গল্প হবে ৷ যাই হোক ,পরের পর্বের অপেক্ষায়..
পরের পর্ব দিলে অবশ্যই পড়বেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।