নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( ৩৭ পর্ব )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৩৭ তম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, রতন দৌড়ে আসছে। আর তার সাথে তখন ডাক্তার আপার সাথে দেখা হয়। তখন সে ডাক্তার আপাকে সবকিছু খুলে বলে। আসলে গ্রামে যেহেতু পুলিশ ঢুকেছে। এখন তাই সে ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। আর ডাক্তার আপা তাকে বলে আপনার যেহেতু দোষ নেই, তাহলে আপনার দৌড়ানোর কোনো দরকার নেই। আর তারা বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। তখন সেই মুহূর্তে সুতা ফকির দৌড়ে যাচ্ছিল, আর রতন তাকে দেখে পুলিশের কথা জিজ্ঞেস করে। আর ভয় পেয়ে দুজনে একসাথেই দৌড়ানি দেয়। আর ডাক্তার আপাও নিজের রাস্তায় চলে যায়। এরপর দেখা যায়, রাতের বেলায় দোকানদার দোকান বন্ধ করছিল। আর সায়েম ফকির ওখান দিয়ে যাওয়ার সময় দোকানদার তাকে থামিয়ে বিভিন্ন রকম কথা বলতে থাকে।
আর সায়েম ফকির তো তার সাথে ঝগড়া লেগে যায়। তারপর পুলিশের বিষয়ে কথা বলে তারা। আর তখনই সায়েম দোকান থেকে একটা আছান নিয়ে খেতে শুরু করে। আর বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। তখনই তাকে দুইজন হাবিলদার দেখতে পায়, আর পেছন থেকে এসে তাকে ধরে ফেলে। আর তাকে থানায় নিয়ে যায়। রাতের বেলায় সায়েম ফকিররের বউকে দেখা যায় গাছের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আর সেখানে তখন চান্দু আসে। সায়েমের বউ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সায়েমের কথাই চিন্তা করছিল। আর চান্দু সায়েমের বউকে সায়েমকে থানায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বলে। সায়েমের বউ তাকে আনার বিষয়ে চান্দুর কাছ থেকে সাহায্য চায়। কিন্তু চান্দুকে যেহেতু সায়েম মেরেছে, এজন্য আর সে সাহায্য করতে রাজি হয় না। কিন্তু বলে আমি আপনার পাশে আছি সব সময়।
তবে সায়েম ফকিরকে আমি ছাড়িয়ে আনতে পারবো না।এরপর সে কার কাছে সাহায্য চাইবে এগুলো নিয়ে মন খারাপ করে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে। তারপরে দেখা যায় কাদের ফকির তার ঘরের সামনে বসে রয়েছে। আর ওখান দিয়ে যখন সুন্দরী খালা যাচ্ছিল, তখন তারা দুইজন কথা বলতে থাকে। এরপর তখনই সেখানে সায়েমের বউ কান্না করতে করতে আসে। আর তাদেরকে সবকিছু খুলে বলে। আর তারা সকালবেলায় সবাই একসাথে সায়েম ফকিরকে ফিরিয়ে আনবে বলে। আর তখন সুন্দরী খালা সায়েমের বউকে নিয়ে তার বাড়িতে চলে যায়। এরপর রবিকে দেখা যায় দোকান থেকে কিছু একটা কিনছিল। আর তখন কাদের ফকিরের সাথে দেখা হয়। তখন তারা কথা বলতে থাকে সুন্দরী খালার বিষয়ে। মানে রবির মায়ের বিষয়ে।
কিছুক্ষণ পর রবি সেখান থেকে চলে যায়। তারপর কাদের দোকানের বাকি টাকা দিয়ে দেয় রবির নামের গুলো। সকাল বেলায় চেয়ারম্যান এবং তার লোক যখন যাচ্ছিল, তখন একটা লোককে দেখে নেশা করে হেঁটে যাচ্ছে। তখন চেয়ারম্যান মেম্বারকে ফোন করে ডেকে নেয়। আর ওই লোকটা চেয়ারম্যানের লোকের কাছে মাদক আরো বেশি চাইলে, তাকে মাতাল বলে চেয়ারম্যান এবং তার লোক সেখান থেকে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সেখানে মেম্বার আসে। আর ওনাকে খোঁজখবর নেওয়ার বিষয়ে বলে। তারপর তারা সেখান থেকে চলে যায়। এরপর মানিক ফকিরকে দেখা যায় মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর রতন এসে তার সাথে কথা বলতে থাকে। আর মানিক তার বাবা মায়ের বিষয়ে কথা বলে।
আর তারা নাস্তা বানানোর জন্য যখন ঘরে যাচ্ছিল, তখন সায়েমের বউ আসে। আর তাদের কাছে সাহায্য চায়। এরপরে তাদেরকে সায়েমের বউ সবকিছু খুলে বলে। এরপর রতন ফকির রাজি হয় না সাহায্য করার জন্য। কারণ তাকেও সায়েম মেরেছিল। এরপর মানিক রাজি হওয়াতে সেও রাজি হয়। আর তারা সায়েম ফকিরকে ছাড়ানোর জন্য যায়। এরপরে ঝুমাকে দেখা যায় উঠান ঝাড়ু দিচ্ছিল। আর তখন সেখানে প্রিন্স আসে। আর তাকে একটা চিঠি দেয় জোনাকিকে দেওয়ার জন্য। এরপর ঝুমা রাজি হয়, আর প্রিন্স তো অনেক খুশি হয়ে যায়। তখন সেখানে তার মা আসে। আর ঝুমা তো তাকে সবকিছু বলে দেয়। আর প্রিন্স তো লজ্জা পেয়ে সেখান থেকে চলে যায়। তারপরে প্রিন্সের মায়ের সাথে ঝুমা কিছুক্ষণ কথা বলে এই বিষয়ে। এরপরে দেখা যায় সায়েম ফকিরকে ছাড়ানোর জন্য তার বউ, সায়েম এবং মানিক ফকির আসে।
সেখানে যখন পুলিশ আসে। তখন তারা সায়েমের বিষয়ে কথা বলে। আর পুলিশ রাজি হয় তাকে ছাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। কারণ পুলিশের ও মনে হয় সায়েম দোষী না। এরপর চান্দুকে দেখা যায় মর্জিনার কাছে এসে সায়েমের জেলে যাওয়ার বিষয়টা বলছে। তখন সেখানে রবি আসে। আর তারা মর্জিনার কথা বলে মারামারি শুরু করে। আর সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর ঝুমাকে দেখা যায় চেয়ারম্যানের বাড়িতে এসেছে। আর সুযোগ খুঁজতে থাকে কিভাবে জোনাকিকে চিঠিটা দিবে। এরপর সে দেখে ফুলি রতনের সাথে দেখা করার জন্য বাহিরে বের হয়ে গিয়েছে। আর তখনই ঝুমা ঘরে ঢুকে জোনাকিকে চিঠিটা দেওয়ার জন্য। তারপরে সায়েম ফকিরকে দেখা যায় জেল থেকে বেরিয়ে আসছে। আর সায়েম তো বিভিন্ন কথা বলতে থাকে মানিক এবং রতনকে। আর সায়েম তো তার বউকেও বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। আর সায়েম যখনই রতন কে মারার জন্য যাচ্ছিল, তখন রতন পুলিশের ভয় দেখায়। আর সায়েম তো সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তারপর মর্জিনাতে দেখা যায় তার বাবাকে জিজ্ঞেস করছে রবির বিষয়ে। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়। এখন দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকের প্রত্যেকটা পর্ব সত্যি অনেক সুন্দর। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এই পর্ব টাও। এই পর্বে আমরা দেখতে পাই, সায়েম ফকিরকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে। আর সায়েমের বউ এর কথায় মানিক ফকির এবং রতন ফকির থানায় গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনে। অন্যদিকে সায়ম তো থানা থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে রতন এবং মানিকের সাথে ঝগড়া করা শুরু করে দেয়। তারপর আবার আমরা দেখতে পাই, প্রিন্স ঝুমাকে একটা চিঠি দিয়েছে, যেটা জোনাকিকে দেওয়ার জন্য বলেছে। এখন ঝুমা চেয়ারম্যান বাড়িতে ঢুকেছে চিঠিটা দেওয়ার জন্য। দেখা যাক সঠিকভাবে চিঠিটা জোনাকিকে দিতে পারে কিনা। আর আসল মাদক পাচার কারীদেরকে পুলিশ শেষ পর্যন্ত ধরতে পারবে কিনা এগুলো দেখতে হবে পরবর্তী পর্বগুলোতে। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে রিভিউ গুলো শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনারা এখন অপেক্ষায় থাকবেন পরবর্তী পর্বের জন্য।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
কয়েকদিন আগে আমি এই নাটকটির ৩৫ তম পর্ব দেখেছি।আমার তো খুবই ভালো লাগে এই নাটকটি।আর আপনি সেই নাটকের ৩৭ তম পর্বের রিভিউ শেয়ার করেছেন। যা পড়ে ভালো লাগলো। আশা করছি খুব দ্রুত পরের পর্বটি শেয়ার করবেন।
https://x.com/TASonya5/status/1828641106176942569?t=jcInPaTexYBVfKQXtZEQhQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে ফকির গ্রাম নাটকের ৩৭ তম পর্ব আজকে রিভিউ করে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা নাটকটি আমার কাছে দেখতে বেশ ভালো লেগেছে। আপনি বেশ চমৎকারভাবে নাটকটি প্রত্যেকটা স্টেপ আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই নাটকটি এখনো আমার দেখা হয়নি। চেষ্টা করব সময় পেলে অতি দ্রুত নাটকটি দেখে নেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ফকির গ্রাম নাটকের ৩৭ তম পর্বের রিভিউ আপনার কাছে পড়ে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
তুমি প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর ভাবে ফকির গ্রাম নাটকের পর্বগুলোর রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছো। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ৩৭ তম পর্বের রিভিউ টা। রতন এবং মানিক সায়েম ফকিরকে থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছে, অথচ সে তো তার সাথে ঝগড়া লেগে গিয়েছে। আর ঝুমা জোনাকিকে চিঠি দিতে পারে কিনা, এটা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি পরবর্তী পর্বের রিভিউ তুমি তাড়াতাড়ি শেয়ার করবে।
আমি চেষ্টা করবো ফকির গ্রাম নাটকটার ৩৮ তম পর্বের রিভিউ তাড়াতাড়ি শেয়ার করার জন্য।
অনেকদিন ধরে আপনি এই নাটকটা আমাদের মাঝে রিভিউ করে শেয়ার করছেন। বেশ ভালো লাগে আপু আপনার এই নাটক রিভিউ। একদম অসাধারণ একটি নাটক আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করে শেয়ার করেছেন। এ সমস্ত নাটকগুলো আমার খুবই প্রিয়।
এই সমস্ত নাটক আপনার প্রিয় শুনে খুব ভালো লাগলো।
আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে ফকির গ্রাম নাটকের ৩৭ পর্বটি রিভিউ করেছেন। পর্বের নাটক গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। তবে এসব নাটক গুলোর মধ্যে অনেক কিছু বাস্তবিক মনে হয়। তবে এই পর্বে সায়েম ফকিরকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। যদিও সেই পরে ছাড়া পাই। সুন্দর করে নাটকের পর্বটি আমাদের মাঝে রিভিউ করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে নাটকগুলোর মধ্যে অনেক কিছুই একেবারে বাস্তবিক মনে হয়।