লাইফ স্টাইল :- পরিবারের সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আসলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যেতে কিংবা খেতে যেতে ভীষণ ভালোই লাগে। সব সময় সময় করে হয়ে ওঠে না এইসব কিছু। তবে কিছুদিন আগে ঈদ উপলক্ষে বেশ ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম মনপুরা বিনোদন পার্ক এবং কাবাব হাউজে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। আসলে ওই জায়গাটা মূলত পার্ক এবং খাওয়া-দাওয়ার জায়গা দুটোই রয়েছে। আমরা গিয়েছিলাম ফ্যামিলির সবাই মিলে। আমরা মূলত ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে।
আবার আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করার। তো আমরা গিয়েছিলাম বিকেলের দিকে, বিকেলের সময়টা মূলত পার্কে ঘোরাঘুরি করতেই কাটিয়ে দিয়েছিলাম। কিছুটা সময় কাটানোর পর যখন সন্ধ্যা হয়ে আসলো, তখন আমরা পার্ক থেকে বের হয়ে চলে আসি খাওয়া-দাওয়ার জায়গায়। এটা মূলত চিকেন কাবাবের জন্য বিখ্যাত। এই কাবাব হাউজে অনেকবার খাওয়া দাওয়া করা হয়েছে। এজন্য আমরা সবাই প্রথমেই এসে বসলাম একটা টেবিলে। যেহেতু আমরা লোকজন ছিলাম বেশি তার জন্য আমরা বড় একটা টেবিলে বসে ছিলাম।
আমরা বসার সাথে সাথেই একজন ওয়েটার আসলো অর্ডার নিতে। তো ওয়েটারের কাছে আমরা সবার জন্য চিকেন কাবাব এবং পরোটা অর্ডার করলাম। এখানকার কাবাব মূলত বেশ মজা হয় খেতে। অর্ডার করার পর আমরা সবাই মিলে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলছিলাম। আসলে অর্ডার নেওয়ার পর খাবার আসতে একটু দেরি লাগে। কারণ এখানকার খাবার তৈরি করার জায়গাটা একটু দূরে। তাছাড়া এত জনের খাবার আনতে একটু সময় তো লাগবেই। আমরা কিছুক্ষণ বসার পরে আবার চলে এসেছে। এরপর আমাদের সবাইকে খাবার সার্ফ করে দিয়েছিল।
এরপর আমরা সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করা শুরু করে দিলাম। নাশিয়া খুব ছোট তাই জন্য ও একেবারে টেবিলের উপরে উঠে বসলো। আসলে চেয়ারে বসে সে খেতে পারবে না। টেবিলে বসাতে ওর জন্য সুবিধা হয়েছে। তবে আমার কাছে এবারের কাবাব গুলো একটু বেশি শক্ত মনে হয়েছে। আসলে বেশি শক্ত হলে আবার খেতে অসুবিধা হয়। তবে কিছু করার ছিল না এটাই অনেক কষ্ট করে খেতে হয়েছিল। এমনিতে খুব একটা খারাপ লাগেনি খেতে। তাছাড়া এই রকম কাবাব দিয়ে পরোটা খেতে ভীষণ ভালোই লাগে।
খাবার খেতে সবার বেশ সময় লেগে গেল। যাইহোক সবার যখন খাওয়া দাওয়া শেষ হলো, তখন আমরা ওয়েটারকে বলি বিল নিয়ে আসতে। এরপর ওয়েটার বিল আনতে একটু সময় লেগেছিল। আমরা সবাই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ বসে কথা বলছিলাম। এরপরে ওয়েটার যখন মিল নিয়ে আসলো তাকে বিল দিয়ে দিলাম। তার সাথে ওকে টিপসও দিয়ে দিল। যেহেতু আমরা এসেছি অনেক সময় হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম এখন আর দেরি না করে চলে যেতে হবে। আমরা সবাই মিলে আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পরবর্তীতে আবার আসবো নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন ।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
পরিবারের সাথে বাইরে খাওয়া-দাওয়ার খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু যা দেখে অনেক ভালো লাগলো আসলে পরিবারকে একটু সময় দিলে বা পরিবারের সবাই সাথে কোথাও গেলে অনেক ভালো লাগে। আসলে আমিও যখন বাইরে খেতে যাই তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকেন কাবাব খেয়ে থাকি এটা আমার অনেক পছন্দের খাবার। আসলে এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো যে নাশিয়া খুব ছোট মানুষ বলে ওকে টেবিলের উপরে বসাইছেন এমন একটা পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আসলেই ও ছোট তাই টেবিলের উপরে বসিয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিবারকে নিয়ে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়া এবং সবাই মিলে একসাথে খাওয়ার খাবার মজাটাই আলাদা। পরিবারের সাথে যথেষ্ট সময় কাটালে একে অন্যের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং সম্পর্ক ভালো থাকে।
ঠিক বলেছেন পরিবারের সবাই একসাথে সময় কাটালে অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পরিবারের সাথে যেমন সময় কাটাতে ভালো লাগে। তেমনি বাইরে গিয়ে খেতেও ভীষণ আনন্দ লাগে। পরিবার কে সাথে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করার সুন্দর মহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাদের সবাই কে এক সাথে দেখতে পেয়ে খুশি হলাম। আপনাদের সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।
ঠিক বলেছেন বাইরে খেতে কিন্তু ভীষণ আনন্দ লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পরিবারের সবাই একত্রে থাকলে যেমন ভালো লাগে।তেমনি বাইরে কোথাও ঘুরতে গেলে অথবা খেতে গেলে আনন্দটা অনেক বেশি কাজ করে। পরিবারের সাথে সময় কাটালে পরিবারের সাথে একটি সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।একসঙ্গে সবাইকে দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।
সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই পরিবারের সাথে সময় কাটালে অনেক সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পরিবারের সকল সদস্য একত্র হয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে কিংবা খাওয়া দাওয়া করতে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা ঈদ উপলক্ষে বাসার সবাই একসাথে ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালোই আনন্দ উপভোগ করেছেন এবং তার পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া করেছেন, এটা দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।চিকেন কাবাব আমার অনেক বেশি প্রিয়, আপনারা চিকেন কাবাব এবং পরোটা খেয়েছেন। এটা বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
পরিবারের সবাই মিলে একত্রে কোথাও ঘুরতে গেলে খুবই ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে পরিবারকে নিয়ে এরকম রেস্টুরেন্ট কিংবা হোটেলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তটা উপভোগ করা উচিত। যেমনটা আপনি প্রায়ই আপনার পরিবারের সাথে গিয়ে এরকম খাওয়া দাওয়া করেন। সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেন ভালো লাগলো সবাইকে একসঙ্গে দেখতে পেয়ে । এরকম সুন্দর মুহূর্ত আবার ফিরে আসুক এটাই প্রত্যাশা করি । আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করি ভাইয়া পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটু সময় কাটাতে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/TASonya5/status/1790562539862098088?t=7B3lNmksP8Xcn1mYh86d1g&s=19
পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো খুবই সুন্দর হয়ে ওঠে। জীবনকে এক মোহমায় যেন রঙিন করে তোলে। আপনি আপনার পরিবারের সাথে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনারা যেখানে গিয়েছিলেন সেটি পার্ক এবং খাওয়া-দাওয়ার জায়গা দুটোই। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত আপনারা পার্কে সময় কাটিয়েছেন এবং সন্ধার পরে খাওয়া দাওয়া করেছেন। এভাবেই আপনাদের পরিবারের বন্ধন অটুট থাকুক সারা জীবন। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
ঠিক বলেছেন জায়গা দুটোই একই জায়গায় এইজন্য বেশি সুবিধা হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই পরিবারের সবাইকে নিয়ে কোথাও গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাইতো আমি সবসময় চেষ্টা করি তোমাদের সবাইকে নিয়েই বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য। ঐদিন কিন্তু পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করার সময় অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। নাশিয়াও অনেক বেশি ইনজয় করেছিল। আমার কাছে তো বিষয়টা ভাবতেই অনেক বেশি ভালো লাগতেছে। তুমি অনেক সুন্দর করে সবার মাঝে এই মুহূর্তটা তুলে ধরেছো। সবার মাঝে তুলে ধরলে দেখে খুব ভালো লাগলো আমার কাছে।
আসলেই নাশিয়া অনেক বেশি এনজয় করেছিল সেদিন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।