তুর্কী সিরিজ রিভিউ : " জান্নাত " ( পর্ব ১১)
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি তুর্কী সিরিজ জান্নাত এর এগারো পর্ব নিয়ে আসলাম। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম মিলিসা দুবাইয়ের প্রজেক্ট এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
সিরিজটির সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
সিরিজটির নাম | " জান্নাত " |
---|---|
পর্ব | ১১ |
পরিচালনা | সাদুল্লাহ জেলেন |
বাংলা ডাবিং পরিচালনা | দীপক সুমন |
লাইন প্রডিউসার | মাহাবুব মারুফ |
নির্বাহী প্রযোজক | মুসফিকুর রহমান মন্জু। |
অভিনয়ে | আলমিলা আদা ( জান্নাত), বার্ক আমান (সেলিম), জেহরা ইলমা (মেলিসা), এসরা রোনাবার (আরজু), গুলার ওকতআন (বিলকিস), চিচেক আজার (শারমিন), হাকিম করমুকচু (মাহির), শেরচান গুলায়রিয়ুজ (মেহেদী), ইউসুফ আকগুন (ফারহান), এব্রু দেস্তান (শবনম), আলি ইপিন (রেজা), সুয়েদা চিল (রুনা)। |
স্টুডিও ডিরেক্টর | শুভ্রা, শম্পা, মারুফ, সঞ্জয়, এলিন। |
ভিডিও এডিটর | রাকিব হাসান এনি |
টাইটেল ও প্রমো | অনুপ কুমার বিশ্বাস। |
প্রধান উপদেষ্টা | নওয়াজাদ আলি খান |
মূল ভাষা | তুর্কী |
মূল কাহিনী
এ পর্বের শুরুতেই দেখতে পেয়েছি মেলিসার মা ওকে প্রজেক্ট এর ব্যাপারে উৎসাহিত করছিল, আর বলছিল সে অবশ্যই পারবে। এই নিয়ে মিলিসার আর মা দুজনেই কথা বলছে। পরবর্তীতে দুবাইয়ের লোকেরা আসলে মিটিং শুরু করে। মিটিং এর শুরুতেই মেলিসা প্রজেক্টর শুরুটা কিভাবে করা হবে তার প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। পরবর্তীতে তার কথা অনুযায়ী দুবাইয়ের প্রজেক্ট এর লোকেরা তাকে একটা প্রশ্ন করল। কিন্তু তখন দেখা যায় যে মিলিসা তার প্রতি উত্তরে কোন কিছুই বলতে পারছে না। সবাইতো মিলি স্যার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কিন্তু সে কোনভাবেই কি করবে তার উত্তর দিতে পারছিল না। তখন হঠাৎই দেখা যায় মিটিং রুমে জান্নাত প্রবেশ করলো।
কখন দেরিতে আসার জন্য সবাইকে সরি বলল। পরবর্তীতে সেলিম মিলিসাকে বসতে বলল এমনকি জান্নাতে প্রেজেন্টেশন দিতে বলল। তখন মেলিসা রেগে বসে পড়ল। তখন দুবাইয়ের লোকগুলোর প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পুরো প্রেজেন্টেশন খুব ভালোভাবে শেষ করলো জান্নাত। এমনকি এই প্রজেক্ট রান করতে চলেছে। সবাই ভীষণ খুশি হয়ে গিয়েছে। মিটিং এর শেষ পর্যায়ে মিলিসা রেগে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। এরপর প্রেজেন্টেশন শেষে জান্নাত সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। জানাতে পেছনে সেলিম জান্নাতে ডেকে কথা বলতে শুরু করল। তখন জান্নাত বলল আমি যেই কাজটা শুরু করেছিলাম সেটা শেষ করে দিয়ে গেলাম।
আসলে জান্নাত এই কাজটা শেষ করে আর অফিসে আসতে চাইছিল না। তখনই মিলি স্যার দাদা রেজা সাহেব জান্নাতকে কেন চলে যাচ্ছে জিজ্ঞেস করল। আর বলল সে কিছুতেই এই কোম্পানি থেকে জান্নাত কে হারাতে চায় না। পরবর্তীতে জান্নাত বলল আমি অন্য একটা জায়গায় চাকরি পেয়েছি। কিন্তু রেজা সাহেব স্ট্রেট জান্নাতকে বলে দিয়েছে যদি সেটা টাকার ব্যাপার হয় তাহলে আমি কিছুতেই তোমাকে হারাতে চাই না। তখন রেজা সাহেব জান্নাত কে বলে দিল সাথে কালকে সকালে তাকে অফিসে দেখতে পারে। তখন জান্নাত রাজি হয়ে গেল আসার জন্য। পরবর্তীতে সেলিমকে জান্নাতকে পৌঁছে দিতে বললে।
মেলিসার মা বলল আমি জান্নাতকে পৌঁছে দিয়ে আসছি। অন্যদিকে রেগে একটা অশ্লীল পার্টিতে চলে গেল। সেখানে গিয়ে অনেক বেশি ড্রিঙ্কস করতে দেখা গেছে। এমনকি চোখের সামনে শুধু সেলিম আর নিজেকে দেখতে পাচ্ছিল। অন্যদিকে দেখা গেল সেলিম আর ফারহান রাতের পার্টি নিয়ে কথা বলছে। তখনই ফারহান বলতেছিল জান্নাতকে বলা উচিত ছিল আমাদের। যেহেতু জান্নাতের জন্য সব কিছু হয়েছে। পরবর্তীতে সেলিম বলল এত রাতে জান্নাত আসতে পারবে না। তখন এই বিষয়টা নিয়ে ফারহান বলতে লাগলো কোথায় আর রাত হয়েছে। তখন সেদিন ফারহানকে বোঝাতে লাগলো আসলে জান্নাতের পরিবার আমাদের পরিবারের মতো নয়।
আর এই বিষয়টা নিয়ে একটুখানি কথা কাটাকাটি হলো সেলিম আর ফারহানের মধ্যে। তখনই মিলিসা সেলিম কে ফোন করে, আর সেলিম বুঝতে পারে সে ড্রিঙ্কস করেছে এমনকি পার্টিতে রয়েছে। এইজন্য সেলিম তাড়াতাড়ি ফারহামকে বলে বেরিয়ে যায় মিলিসাকে আনার জন্য। অন্যদিকে মিলিসার মা জান্নাত কে দিয়ে আসার সময় রাস্তায় নেমে গেল। তখন জান্নাত কেন আবারো ফিরে এসেছে এটা নিয়ে তাকে কথা শোনাতে লাগলো। এমন কি বলতে লাগলো যে কেন সে ওদের জীবনে ফিরে এসেছে। জান্নাতে কিছুতেই চোখের সামনে দেখতে চায় না সে।
এমনকি অনেক বেশি অপমান করেছেন জান্নাতকে। পরবর্তীতে জান্নাত ও তাকে বলল, সে আগে মিলিশাকে হিংসে করত এত সুন্দর একজন মা আছে বলে। আর এখন সে আফসোস করছে মিলি স্যার এত খারাপের জন্য মা আছে বলে। এইসব বিষয়গুলো বলে তখনই সেখান থেকে বেরিয়ে আসলো। পরবর্তীতে মেলিসার মা সেখানে বসে কাঁদতে শুরু করল। অন্যদিকে সেলিম গিয়ে দেখে মিলিসা অনেক বেশি ড্রিংকস করে বসে আছে। তখনই তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে।
ব্যক্তিগত মতামত
এ পর্বে মূলত দেখা গেছে মিলিসা প্রেজেন্টেশনের দায়িত্ব নিলেও সে কিছুই পালন করতে পারেনি। এমনকি দুবাইয়ের লোকদের সামনে শুধুমাত্র উত্তর না দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু সেই তৎক্ষণাৎ জান্নাত এসে উপস্থিত হল, আর তখনই দুবাইয়ের লোকদের প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নিজের প্রেজেন্টেশন খুব ভালোভাবেই শেষ করেছে। এমনকি এই প্রজেক্ট এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। আর এই প্রজেক্ট রান করার জন্য সবাই তো জান্নাতের উপরে ভীষণ খুশি। আর তখন জান্নাত চলে যেতে চাইলেও রেজা সাহেব জান্নাত কে কাল থেকে অফিসে দেখতে চায় এভাবে বলল। আসলে জান্নাতের রেজা সাহেবের মুখের উপরে আর কিছুই বলতে পারল না। অন্যদিকে এই বিষয়টা নিয়ে মিলিসা রেগে ড্রিংকস করা শুরু করল। কিন্তু এই পুরো বিষয়ের জন্য মিলিসার মা জান্নাতকে বাড়িতে দিয়ে আসার কথা বলে অনেক বেশি অপমান করে। পরবর্তীতে দেখা যাবে আসলে জান্নাত কি আবারও এত অপমান সহ্য করে ফিরে আসবে।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
সিরিজটির ট্রেইলার ভিডিও লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/TASonya5/status/1686420253549752320?s=20
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তুর্কি সিরিজ জান্নাত পর্ব -১১ বেশ ভালোই লেগেছে আপু।আপনার রিভিউ পড়ে সিরিজটি দেখার আগ্রহ পোষণ করছি।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
১১ তম পর্বটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করব।