রেসিপি :- ডিমের পিঠা রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ডিমের পিঠা রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
ডিমের পিঠা কিন্তু আমাদের অনেক ঐতিহ্যবাহী একটি পিঠা। আমাদের এলাকায় এই পিঠা খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে কোন অতিথি আসলে কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য এই পিঠা তৈরি করে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। এগুলো তৈরি করে প্রায় অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়। কিছুদিন আগে আমাদের মেহমান আসবে এজন্য, তাদের নাস্তা দেওয়ার জন্য আমিও এই পিঠাটা তৈরি করে নিয়েছি। কারণ এই পিঠাটা আগে থেকে তৈরি করে রাখলেই পরবর্তীতে যে কেউ আসলে তাদেরকে দেওয়া যায়। আবার আমাদের ঘরের সবাই এই পিঠাটা খেতে ভীষণ পছন্দ করে। তাই ভাবলাম রেসিপিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম | ৬ টা |
আটা | ৪ কাপ |
চিনি | ১ কাপ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি কয়েকটা ডিম ভেঙে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে আমি ডিমের মধ্যে পরিমাণ মতো চিনি এবং লবণ দিয়ে দিলাম। এরপরে একটা হ্যান্ডউইস দিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপরে ডিমের মধ্যে আটা দিয়ে দিলাম। আমি প্রথমে কিছুটা পরিমাণে আঠা দিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর হাত দিয়ে মেখে অল্প অল্প করে আটা দিয়ে একটা ডো তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর আমি কিছুটা পরিমাণে আটার ডো নিয়ে একটা রুটি তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপরে রুটির উপরে কুকি কাটার দিয়ে একটা একটা করে কেটে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
একই রকম ভাবে আমি রুটি বেলে কতগুলো পিঠা তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপরে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিলাম। এরপর এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৯ :
এরপর তেল একটু গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে কয়েকটা পিঠা দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ১০ :
পিঠাগুলো একটু উল্টেপাল্টে ভেজে নিবো। একটু লালচে কালার হলে এরপর চুলে থেকে নামিয়ে নেব। এভাবে সবগুলো পিঠা ভেজে নিব।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/TASonya5/status/1620982105651175424?t=c6TMdoy66ZVNYBulERYfiw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনার বানানো ডিমের পিঠা আমার জন্য একটি ইউনিক রেসিপি। আমি তো আগে কখনও এই পিঠার নাম গন্ধ শুনিনী। যাক আজ আপনার মাধ্য খুব সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি জানতে পারলাম। বাসায় মেহমান আসা উপলক্ষ্যে এতগুলো পিঠা বানালে তো লো প্রেসার হবেই। তবে আমাকে কয়েকটি পিঠা দিলে আর লো প্রেসার হতো না।
হাহাহা আপনার কথা শুনে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এই পিঠাগুলো আগে থেকে তৈরি করে রাখা যায় জন্য সুবিধা কারণ গেস্ট আসলে তখন অন্যান্য রান্নার সঙ্গে পিঠা তৈরি করার সময় থাকে না। খুব সহজেই পিঠাগুলো তৈরি করা গিয়েছে দেখছি। তাছাড়া বিভিন্ন শেপের কাটার কারণে দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। খেতে যে কুরকুরে হয়েছে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বেশ লোভনীয় একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। ধন্যবাদ।
অনেক কুরকুরে হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এই পিঠাগুলোকে আমরা বিস্কিট পিঠা বলি। আমার আম্মু আমাদের এই পিঠা বানিয়ে দিত।আর একসাথে অনেক গুলো বানিয়ে রেখে দিত।খুব মুচমুচে পিঠা এগুলো।খেতে বসলে মনে হয় খেতেই থাকি।আম্মু এখনও বানিয়ে পাঠায়। 🥰 দারুন রেসিপি শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন অনেকেই বিস্কুট পিঠা বলে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ মজার পিঠা এই পিঠা খেতে অনেক মজার হয় অনেক দিন রাখা যায় এবং মচমচে থাকে।এখন কিন্তু যে কোন কিছু বাজারে খুব সহজে পাওয়া যায় বাজার কাছে থাকাই।কিন্তু আগেরকার মানুষের হাট বাজারগুলো অনেক দূরে থাকতো তাই সহজে কোন কিছু পাওয়া যেত না।তসেজন্যই এই ধরনের পিঠা গুলো মেহমান আসলে দেওয়ার জন্য কিংবা নিজেরা খাবার জন্য তৈরি করা সংগ্রহ করে রাখা হতো। অনেক মজার এবং ঐতিহ্য একটি পিঠা বানিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন অনেক ভালো লেগেছে।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে দেখে খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন ডিমের পিঠাগুলো হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পিঠা। আসলে মেহমান আপ্যায়নে এই পিঠাগুলোর তুলনাই হয় না। এই পিঠাগুলো বানিয়ে রাখলে যে কোন সময় খাওয়া যায় এবং মেহমান আপ্যায়ন করা যায়। এবং পিঠাগুলো খেতে অনেক মজা হয়। আমারতো পিঠাগুলো দেখে জিভে জল এসে গেল। খুব সুন্দর করে ডিমের পিঠাগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
আসলে মাঝে মধ্যে পাওয়া যায় বানিয়ে রাখলে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের এলাকায় এই পিঠা অনেক জনপ্রিয় হলেও আমার কাছে এটা একদম ইউনিক লেগেছে। হয়তো এলাকাভিত্তিক এই পিঠা আপনাদের দিকে বেশি পরিচিত তবে আমি আজকে এই পিঠা রেসিপি আমি প্রথম দেখলাম। ডিম সংযুক্ত করায় এই পিঠার টেষ্ট অনেক বেশি সুস্বাদু হবে তাছাড়া তেলেভাজা পিঠাগুলো এমনিতেই অনেক মজাদার হয়। অনেক লোভনীয় ছিল আপু।
সত্যিই অনেক লোভনীয় পিঠা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।