রেসিপি :- তেলাপিয়া মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব তেলাপিয়া মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
আসলে যে কোন মাছ দোপেঁয়াজা করে রান্না করলে আমার কাছে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তাই জন্য বেশিরভাগ সময় এভাবে করে রান্না করা হয়। আর তাছাড়া তেলাপিয়া মাছ খেতেও আমার কাছে ভালই লাগে। আর আমাদের পরিবারের সবাই এভাবে রান্না করলেই খেতে বেশি পছন্দ করে। রেসিপিটা কিছুদিন আগেই তৈরি করেছিলাম। রান্না করার পর দেখলাম খেতেও ভীষণ ভালোই লেগেছে। তাই জন্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করব রেসিপিটা আপনাদের ভালই লাগবে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মাছ | ১০ পিচ |
টমেটো কুচি | ১ কাপ |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
কাঁচামরিচ কুচি | ২ টেবিল চামচ |
ধনিয়া পাতা কুচি | ২ টেবিল চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মসলা গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি মাছগুলোকে ধুয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিলাম। এরপর এর মধ্যে লবণ এবং হলুদের গুড়া দিয়ে মেখে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। এর মধ্যে পরিমাণ মত তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে মাছের টুকরোগুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপরে উল্টেপাল্টে মাছগুলোকে ভালোভাবে ভেজে নিব। ভাজা হয়ে গেলে এরপর চুলা থেকে নামিয়ে নেবো।
ধাপ - ৪ :
এরপর আমি চুলায় আবারো একটি কড়ায় বসিয়ে দিলাম। এরপর এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি এবং টমেটো কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর এরমধ্যে সবগুলো মসলা দিয়ে দিলাম। এরপর মসলাগুলোকে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভালো ভাবে কষিয়ে নেব।
ধাপ - ৬ :
এরপর এর মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। এভাবে কিছুক্ষণ রান্না করতে থাকবো।
ধাপ - ৭ :
এরপর এর মধ্যে মাছগুলো দিয়ে দিব। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করব।
ধাপ - ৮ :
এরপরে কিছুটা রান্না হয়ে গেলে এর মধ্যে ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে দিলাম। রান্না করা হয়ে গেলে চুলে থেকে নামিয়ে নেব।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আপু আপনি চমৎকার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। তেলাপিয়া মাছ আমার অনেক পছন্দের। আপনারো তেলাপিয়া মাছ অনেক পছন্দের শুনে খুবই ভালো লাগলো। আপনার রেসিপির পরিবেশন দেখে বুঝা যাচ্ছে রান্না টি সুস্বাদু হয়েছে। আপনি চমৎকার ভাবে রান্নার ধাপ গুলো তুলে ধরছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে তেলাপিয়া মাছ সবারই পছন্দের। আপনারও পছন্দের এটা জেনে ভালো লাগলো।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
তেলাপিয়া মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি দেখেই সুস্বাদু মনে হচ্ছে তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন অসাধারণ হয়েছে। ধাপে ধাপে শেয়ার দেখে আরও বেশি ভালো লেগেছে।
আসলে এটা এমনিতেই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
ঠিক বলেছেন আপু যে কোন মাছের দোপেঁয়াজা খেতে খুব ভালো লাগে। তেলাপিয়া মাছ আমার কাছে ফ্রাই খেতে বেশি মজা লাগে। আপনি যেভাবে ফ্রাই করে রেখেছেন তাতেই তো খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে। তাছাড়া আপনার রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে কতটা সুস্বাদু হয়েছিল।
আমার কাছেও তেলাপিয়া মাছ ফ্রাই করে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার খেতে ইচ্ছে করলে অবশ্যই তৈরি করে খেয়ে নিবেন।
হুম আপু যে কোন মাছ দোপেয়াজা করে রান্না করলে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে আর তেলাপিয়া মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে ভাঁজা মাছটি খেতে ভালো লাগে। আপনি অনেক দারুন ভাবে রেসিপিটি তৈরি করতে কি কি উপকরণ লাগে ও বর্ণনা খুব দক্ষতার সহিত আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। রান্নাটির কালার কম্বিনেশনটি অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
আমার কাছে ও তেলাপিয়া মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে। আমার রেসিপি টা দেখে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই এভাবে যে কোন মাছ রান্না করলে খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে। তেলাপিয়া মাছ খেতেও আমার কাছে বেশ সুস্বাদু লাগে। আর এভাবে রান্না করার কারণে আশা করা যায় আরো বেশি সুস্বাদু লাগবে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তেলাপিয়া মাছ যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে অনেক ভালো লাগে। আর যদি হয় দোপেয়াজা তাহলে তো কোন কথা নেই।
তেলাপিয়া মাছের সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার রেসিপিটা কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগবে না কেন আপনার নিজের হাতের রান্নার রেসিপি। কিন্তু পূর্বে অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন। অবশ্যই অবশ্যই ভালো হবেই তো।
আমার নিজের হাতের রান্না রেসিপি হওয়ার কারণে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তেলাপিয়া মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে আপু। এমনিতেই তেলাপিয়া মাছ খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আমার কাছে সব থেকে তেলাপিয়া মাছ ভাজি খেতে বেশি ভালো লাগে। সব থেকে বেশি ভালো লাগবে ধনিয়া পাতা কুচি দেওয়ার কারণে।
আসলে খেতে এত বেশি সুস্বাদু হয়েছিল যে বলার মত না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা ঠিক যে যেকোনো মাছের দোপেঁয়াজাই ভালো লাগে। আর তেলাপিয়া হলে তো কথাই নাই। আমারো পছন্দের মাছ হচ্ছে তেলাপিয়া। কাটা তুলনামূলক অনেক কম হওয়াতে পছন্দের লিস্ট এর প্রথমেই এটি। আপনার রেসিপি দেখে তো লোভ লেগে গেলো আপু। খুবই সুস্বাদু হয়েছে মনে হচ্ছে।
আসলে এই মাছে কাঁটা তুলনামূলক অনেক কম থাকে।