১০০ তম হ্যাংআউট উপলক্ষে আমার অনুভূতি।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকের পোস্ট আমার নিজের কাছেই অনেক বেশি স্পেশাল। সকালে উঠেই ভাবছি কিছু নিয়ে লিখব। তখন ভাবলাম কালকের দিনটা আমাদের কাছে কিন্তু অনেক বেশি স্পেশাল ছিল। আর স্পেশাল দিনটাকে নিয়ে নিজের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। দেখতে দেখতে কিভাবে যে ১০০ টা সপ্তাহ কেটে গেল। এমনিতে সাধারণভাবে ভাবতে গেলে কিন্তু একশ সপ্তাহ কম ব্যাপার নয়।
কিন্তু আমরা মজা আর আনন্দে থাকতে থাকতে কিভাবে ওই সময়টা পার হয়ে গেল সেটা বুঝতেই পারিনি। যদিও প্রথম কয়েক সপ্তাহ মনে হয় ছিলাম না। কিন্তু বেশি সপ্তাহ আবার যায়নি। আমার এখনো মনে আছে যখন প্রথম আমার বাংলা ব্লগে আসি। তখন হ্যাংআউট হয় এই কথাটা শুরু থেকেই জানতাম না। একদিন যখন বৃহস্পতিবারে ডিসকোর্ডে আসি তখন দেখি কিছু একটা চলছে। আর যখন হ্যাংআউটের প্রবেশ করি তখন ভিন্ন একটা অনুভূতি হয়েছিল। আর বিশেষ করে ওই সময়টা দেখি কুইজ পর্ব চলছিল। সবাইকে বিভিন্ন রকমের কুইজ প্রশ্ন করা আর যারা উত্তর দিতে পারবে তাদেরকে প্রাইজ দেওয়া এই বিষয়টা দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো।
এইরকমটা আসলে স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আসার পর কোথাও দেখিনি। পরবর্তীতে দেখলাম আবার একটা এন্টারটেইনমেন্ট পর্ব হয়েছে সেখানে সবাই যে যার মত কবিতা গান এই সবকিছু নিয়ে এসেছে। ওই পর্বটা আমার কাছে আরও ভীষণ ভালো লাগলো। তখনই জানতে পারলাম প্রতি বৃহস্পতিবারে, আমার বাংলা ব্লগের সকল ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর এবং সদস্যদের কে নিয়ে হ্যাংআউটের আয়োজন করা হয়। ওই দিনটা যেন খুবই আনন্দে কেটেছে। তারপর থেকেই প্রতিটা বৃহস্পতিবার এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। আসলে বৃহস্পতিবার একটা গেলে পরের দিনগুলো কিভাবে যেন কেটে যায় আর আবারও আরেকটা বৃহস্পতিবারের জন্য অপেক্ষা করি।
এপর্যন্ত কোন হ্যাংআউট মিস করেছি বলে মনে হয় না। শুরুর দিনগুলোর কথা কালকে খুবই মনে পড়ছিল। আর এই হ্যাংআউটের জন্য আমি সর্বপ্রথম একজনকেই ধন্যবাদ দিব যিনি সঞ্চালনার মাধ্যমে এই হ্যাংআউট এগিয়ে নিয়ে আসছেন। তিনি হচ্ছেন আমাদের প্রিয় শুভ ভাইয়া @shuvo35। শুরু থেকেই দেখে আসছি উনি খুবই সাবলীলভাবে হ্যাংআউট পরিচালনা করেন। এমনকি এখন পর্যন্ত কখনো ভাইয়াকে একদিনের জন্য হ্যাংআউট মিস করতে দেখিনি। এমনকি এটাও শুনেছি উনি খুবই অসুস্থ ছিলেন কিন্তু তারপরেও হ্যাংআউট থেকে বিরত নেয়নি। আসলে এই রকম ভাবে এই অনুষ্ঠানটাকে এগিয়ে নেওয়াটা খুবই কঠিন কাজ।
কিন্তু আসলে একটা ভালোবাসা আছে বলেই হয়তো এই সবকিছু খুবই স্বাভাবিক। আমি যখন প্রথম আমার বাংলা ব্লগে আসি কয়েক দিনের মধ্যে দেখছিলাম সবাই ইলিশ মাছের রেসিপি করছিল। আসলে তখন আমাদের আমার বাংলা ব্লগে ইলিশ প্রতিযোগিতা চলছে। যেহেতু নতুন এসেছি এইজন্য বিষয়টা খেয়াল করিনি। তাই জন্য প্রথম প্রতিযোগিতায় জয়েন করতে পারিনি। কিন্তু যখন বুঝতে পেরেছি প্রতিমাসে দুইটা করে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় তখন থেকে সবগুলো প্রতিযোগিতায় জয়েন করার চেষ্টা করি। বিশেষ করে আমার মনে আছে একটা গানের প্রতিযোগিতা দেয়া হয়েছিল তখন মনে হয় জয়েন করিনি। কিন্তু এখন পর্যন্ত যতগুলো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে সবগুলোতে জয়েন করার চেষ্টা করে আসছি।
শুরু থেকে আসলে প্রতিযোগিতায় উইনার হতে পারতাম না। কিন্তু আসলে এই বিষয়টা নিয়ে কখনো আফসোস ছিল না। কারণ হচ্ছে প্রতিযোগিতা টা এমন একটা জিনিস যেখানে সবাই নিজের সেরাটাকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। আর আমাদের প্রিয় বিচারকেরা ওই সেরা গুলোর থেকে সেরা গুলোকে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি মনে করি আমাদের থেকে বিচারকদের কাজটা খুবই কঠিন। সে ক্ষেত্রে সবার কিন্তু উইনার হওয়ার কথা নয়। কিন্তু পরবর্তীতে কয়েকটা প্রতিযোগিতায় উনার হতে না পারলেও প্রথম ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় উইনার হয়েছি তাও আবার প্রথম স্থান। যখন হ্যাংআউটের মাধ্যমে ওই দিনটা এনাউন্সমেন্ট শুনি, বিভিন্ন রকমের আনন্দের অনুভূতি হয়েছিল। মনে হয়েছিল অসাধারণ অনুভূতি।
এখন পর্যন্ত হ্যাংআউটের যখন প্রতিযোগিতার এনাউন্সমেন্ট করা হয় সবার অনুভূতি শুনি ভীষণ ভালো লাগে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে প্রতিটা হ্যাংআউটে আমাদের প্রিয় এডমিন এবং মডারেটর তার সাথে আমাদের ফাউন্ডারের মূল্যবান কিছু কথা আমরা শুনতে পাই। যেগুলো প্রতি সপ্তাহে আমাদের কাজ করার অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ যোগায়। আমি মনে করি হ্যাংআউটের মাধ্যমে যদি ওনাদের কথা না শুনতাম তাহলে হয়তো বা এতটা উৎসাহ হতো না। আর যদি আমাদের কিছু ভুল থাকলে সেটা ধরিয়ে দেয় তাহলে তো আরো ভালো। পরবর্তীতে আমরা শুধরে নিয়ে আরো ভালো কাজ করতে পারি।
প্রতিটা হ্যাংআউটে এইসব বিষয়গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর যখন দেখতে দেখতে এতগুলো হ্যাংআউট কেটে গেল তখন খুবই আশ্চর্য লেগেছে। কালকের দিনটা সকাল থেকেই ভাবছিলাম হ্যাংআউটের স্পেশাল কিছু নিশ্চয়ই হবে। বিকেলের দিকে যখন সবার অ্যানাউন্সমেন্ট পাচ্ছিলাম বিশেষ করে দাদারা এনাউন্সমেন্ট পেয়েছি তখন আরো বেশি আনন্দ হচ্ছিল। সত্যি কালকের পুরো হ্যাংআউটে উপস্থিত ছিলাম আর অনেক ভালোভাবে উপভোগ করেছি। আর সবশেষে একটাই কথা বলব আমাদের প্রিয় @rme দাদা যদি আমাদেরকে নিজের মাতৃভাষায় অনুভূতি প্রকাশ করার সুযোগ করে না দিত তাহলে হয়তো বা এত কিছু হতো না। আর সেই সূত্রে এত সুন্দর একটা অনুষ্ঠান প্রতি সপ্তাহে আমরা এনজয় করতে পারি। আমি মনে করি আমার লাইফে এটা অনেক বড় একটা পাওয়া। যেটা কিনা নিজেকে সকল ধরনের অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আসলে মনে হয় বলতে বলতে শেষ হবে না এত বেশি অনুভূতি। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
একশতটা সপ্তাহ কিন্তু খুব কম বিষয় নয়। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপি।শুধুমাত্র আমরা আন্তরিকতা এবং ভালোবাসার কারণেই এই যে একশতটা সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে তা টেরও পায়নি। এভাবেই আগামী পথ চলা যেন আরও সুদৃঢ় হয়, আরো ভালো লাগা হয়, আরো ভালবাসাময় হয় আমাদের এই বাংলা ব্লগ। আমাদের এই হ্যাংআউট। ধন্যবাদ আপু সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য♥♥
সত্যি ভালোবাসার এত অনুভূতির কারণেই এতগুলো সপ্তাহ পার হয়েছে তা টের পায়নি।
দেখতে দেখতে কিভাবে যে ১০০ তম হ্যাংআউট শেষ হয়ে গেল তা বুঝতে পারলাম না। সারা সপ্তাহ হ্যাংআউটের জন্য অপেক্ষা করি কখন বৃহস্পতিবারের হ্যাংআউট শুরু হবে। হ্যাংআউটে জয়েন্ট হতে পারলে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে সবাই মিলে অনেক আনন্দ উপভোগ করে। এডমিন মডারেটরদের কথা গুলো, কুইজ, সুপার অ্যাক্টিভ লিস্ট এবং বিনোদন পর্ব সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করি। আপনি ১০০ তম হ্যাংআউটের আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
সত্যি সবকিছু মিলিয়ে হ্যাংআউট অনেক বেশি আনন্দঘন মুহূর্ত।
https://twitter.com/TASonya5/status/1659428473675616256?t=v_3z05TlY2cOp4NzBXSfDQ&s=19
ঠিক বলেছেন আপু সারা সপ্তাহ অপেক্ষা করি কবে বৃহস্পতিবার আসবে আর আমাদের প্রিয় হ্যাংআউট শুরু হবে। কারণ এই দিনে আমরা অনেক মূল্যবান কথা শুনতে পারি এবং অনেক আনন্দ উপভোগ করি।আপনি একশতম হ্যাংআউট নিয়ে খুবই সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন বেশ ভালো লাগলো আপু।
আসলে আমরা অনেক বেশি আনন্দ অনুভব করতে পারি। অনেক ধন্যবাদ আপু
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমার বাংলা ব্লগের অন্যতম প্রধান একটি অংশ হচ্ছে বৃহস্পতিবারের হ্যাং আউট। সারা সপ্তাহ ব্লগিং করার পর এই একটি প্রোগ্রামের অপেক্ষায় অনেকেই থাকেন। এই হ্যাং আউট এ মজার মজার কয়েকটি অংশ আছে যেমন কুইজ, সুপার একটিভ লিস্ট, বিনোদন। দেখতে দেখতে ১০০ তম হ্যাং আউট হয়ে গেল, ভাবতেই খুব ভালো লাগছে। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
আসলেই ঠিক বলেছেন আমার বাংলা ব্লগের অন্যতম অংশ হচ্ছে হ্যাংআউট।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এক সপ্তাহ অপেক্ষা করার পর আমাদের কাছে হ্যাংআউটের দিনটা আসে। আসলে পুরো সপ্তাহ ধরে ভাবি কখন আসবে বৃহস্পতিবার আর কখন শুনতে পাব আমাদের হ্যাংআউট। হ্যাং আউট এর মাধ্যমে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারি। নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারি। অনেক মূল্যবান কথা শুনতে পারি এই হ্যাংআউটের মাধ্যমে এবং অনেক বিনোদনও নিতে পারি। সবশেষে বলবো আসলে 100 তম হ্যাংআউটে খুবই ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছি এবং খুবই সুন্দর উপভোগ করেছিলাম। তুমি নিজের অনুভূতিটা খুবই সুন্দর ভাবে প্রকাশ করেছো সবার মাঝে দেখে ভালো লাগলো।
আসলেই কালকের দিনটা অনেক বেশি এনজয় করেছি।
ঠিক বলেছেন আপু দেখতে দেখতে কিভাবে ১০০ তম হ্যাংআউট হয়ে গেল। ৯৯ হ্যাংআউট শোনার পর এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন ১০০ তম হ্যাংআউট অনুষ্ঠিত হবে। আসলে হ্যাংআউট হয়ে যখন জয়েন করে খুব ভালো লাগে মনে হয় সবাই একসাথে বসে কথা বলতেছি। এবং একজনের কথা একজন অনেক খেয়াল করে শুনতেছি। আমাদের সম্মানিত এডমিন এবং মডারেটর এবং অন্যান্য সবাই খুব সুন্দর করে এখানে কথা বলে। এবং অনেক সুন্দর সুন্দর কুইজ ও করে থাকে। সত্যি আপু ১০০ তম হ্যাংআউট বাসা প্রকাশ করার মতো নয়। কালকের হ্যাংআউট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি শুনেছিলাম।
হ্যাংআউটের মাধ্যমে সবার কথাগুলো শুনে অনেক বেশি উৎসাহ পায়।
দেখতে দেখতে কিভাবে যে ১০০ তম হ্যাংআউট হয়ে গেল। এক এক করে আমরা ১০০ হ্যাংআউট শুনে ফেললাম। তবে একসময় হ্যাংআউট এর ভাষা প্রকাশ করার মতো নয়। আমাদের দাদা এবং এডমিট মনিটর সবাই খুব সুন্দর করে ১০০ তম হ্যাংআউট সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন। হ্যাংআউট এর মাধ্যমে আমরা সবাই একজনের কথা একজন শুনতে পাই। মনে হয় সবাই একই ফ্যামিলির মানুষ।
সত্যি সবাই একসাথে বিয়ের উপভোগ করতে পারি।