নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ২৬ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ২৬ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
প্রথমেই দেখা যায় প্রিন্স তার বন্ধুদের সাথে জোনাকি কে নিয়ে কথা বলছিল। আর সে জোনাকির প্রেমে পড়েছে। আমার তখন তার বন্ধুদেরকে বলে যেন জোনাকি কে কোন জায়গায় দেখলে তাকে ফোন দেওয়া হয়। তারপর তারা এসব কিছু বলে চলে যায়। এরপর দেখা যায় গ্রামের ভাবীটা চেয়ারম্যানের বাড়িতে এসেছে বিচার নিয়ে। কারণ তার ঘর থেকে ফকিররা ভাত খেয়েছেঋ এরপর ফুলি আসে তার সাথে ভাবি বেশ কিছুক্ষণ তর্ক করে। তারপর চেয়ারম্যান ঘর থেকে বের হয়ে আসে। এরপর ভাবি চেয়ারম্যানকে সবকিছু খুলে বলে। সে বলে যদি আবার ফকির আসে তাহলে সে মারবে। এটা বলে তিনি চলে যান। এরপর দেখা যায় চান্দুকে নিয়ে রতন এবং সুতা যাচ্ছিল আর তখনই তারা ওই নতুন ছেলেটাকে দেখে। আর তার কাছে ভিক্ষা চায়। তিনজনকেই সে টাকা দেয়। আর এখান থেকে চলে যায়। এরপর রতন যায় ডাক্তার আপাকে ডাকার জন্য।
আর সুতা চান্দুকে নিয়ে বাড়িতে যায়। তারপরে রবি মর্জিনাদের বাড়িতে আসে। আর চান্দুকে মেরেছিল কথাটা বলে। মর্জিনা তো অনেক রেগে যায়। তারপর সেখানে সুন্দরী খালা আসে। আর মর্জিনাকে বিভিন্ন কথা বলে। এরপর রবি মর্জিনাকে বিয়ে করবে বলে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর সেখানে কাদের ফকির আসে আর সুন্দরী খালার সাথে কথা বলতে থাকে। এরপর সুন্দরী খালা রবিকে নিয়ে লাঞ্চ করবে বলে চলে যায়। এরপর দেখা যায় মানিক ফকির টি-শার্ট এবং প্যান্ট পড়ে চম্মনের সাথে দেখা করার জন্য এসেছে। আর চম্মন কে বলে তারা পালিয়ে যাবে। কিন্তু চম্মন রাজি হয় না, আর সে চলে যায়। এরপর দেখা যায় গ্রামের নতুন ছেলেটা ওই ভাবিটার বাড়িতে এসেছে। ওই ছেলেটা হচ্ছে ওই ভাবিটার আপন ছোট ভাই। এরপর তারা কিছুক্ষণ কথা বলে। আর ঘরে চলে যায়। তারপর দেখা যায় চান্দু ফকির মনের দুঃখে গান গাইতেছে।
এরপর দেখা যায় সায়েমের বউ তার কাছে মুড়ি নিয়ে এসেছে। যখন সে চান্দুকে মুড়ি দিচ্ছিল, তখনই সায়েম দৌড়ে এসে তার কাছ থেকে মুড়ি নিয়ে নেয়। এরপর চান্দু সায়েম কে বারণ করে যেন ভাবিকে না আমারে। এরপর সায়েম বলে আমি তোর ভাবিকে মারব না তুই যেহেতু বলেছিস। এই কথাটা বলে যখনই সে তার বউকে মারতে যাচ্ছিল, ভুলবশত চান্দু কে মেরে দেয়। এরপর চন্দু সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে যায়। আর তখনই মানিক আসে, আর দেখতে থাকে চান্দুর কিছু হয়েছে কিনা। তারপর মানিক কান্না করতে থাকে। আর সবাইকে ডাকতে থাকে এবং বলতে থাকে সায়েম মানিককে মেরে ফেলেছে। আর সায়েম বলতে থাকে আমি চান্দুকে মারিনি। এরপর তারা পুলিশকে খবর দেওয়ার কথা বলতে থাকে। এই কথা বলার পরে ই সায়েম সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর দেখা যায় চান্দু উঠে যায়। আসলে এখানে তাদের তিনজনের প্ল্যান ছিল যে।
এটা তারা সায়েমকে শাস্তি দেওয়ার জন্য করেছে। এরপর দেখা যায় সায়েম একটা দোকানে এসে বসে নিজে নিজে কথা বলতে থাকে। তখনই সেখান দিয়ে পুলিশ যাচ্ছিল। এটা দেখে পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ সায়েমকে দৌড়াতে দেখে তারাও তার পিছু করে। এরপর সকাল বেলায় দেখা যায় পুলিশগুলো মেম্বারের বাড়িতে এসেছে। আর প্রিন্সকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। কারণ ফকিররা প্রিন্সের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। এবার প্রিন্স কে তারা ধরে নিয়ে যায় থানায়। প্রিন্সের মা তো অনেক টেনশন করতে থাকে। আর প্রিন্সের বাবাকে বলে যেন প্রিন্সকে তাড়াতাড়ি নিয়ে আসে। এরপর দেখা যায় নতুন ফকির গুলা দোকানের সামনে দিয়ে ভিক্ষা করতে করতে যাচ্ছিল। আর দোকানদার বলে আমি তোমাদেরকে ভিক্ষা দিতে পারবো না। কিন্তু তারা ভিক্ষা চায়নি। এরপর তারা দুইজনে দোকানদারকে বাহিরে ডাকে কথা বলার জন্য। এরপর তারা নতুন ব্যবসার কথা বলে তাকে। এরপর তারা দুজন তাকে ফিসফিস করে কিছু কথা বলে যেগুলো শোনা যায়নি।
তারা বেআইনি কোন কিছুর কথা বলছিল মনে হয়। আর তারা জিনিস এখানে দিয়ে যাবে বলে তারা দুইজন সেখান থেকে চলে যায়। এরপর দেখা যায় দিনের বেলায় সায়েম তার শ্বশুরবাড়িতে এসেছে। আর চান্দুকে ডাকতে থাকে। এরপর সব ঘটনা তাদেরকে খুলে বলে। আর তার শশুর তো মেয়েকে মারার কথা শুনে তো তার শশুর অনেক বেশি রেগে গিয়েছিল। এরপর তারা বেশ কিছুক্ষণ তর্ক করে। তারপর চম্মন তার বাবাকে নিয়ে ঘরে চলে যায়। এরপর সায়েম সেখান থেকে চলে যায় বিভিন্ন কথা বলে। তারপরে দেখা যায় মানিক রাতের বেলায় নদীর পাড়ে বসে রয়েছে, অনেক মন খারাপ করে। আর তখনই তার কাছে রতন ফকির আসে। তারপরে তার পাশে গিয়ে বসে। আর জিজ্ঞেস করতে থাকে এখানে কেন বসে রয়েছে, এভাবে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। আসলে মানিক যে যেখানে বসে রয়েছে সেখানে ছোটবেলায় সে ভেসে এসেছিল। আর তাকে রতন পেয়েছিল। এরপর রতন তাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে তোর কিছু মনে পড়ছে না কিভাবে ভেসে এসেছিলি। তখন মানিক বলে ঝাপসা ঝাপসা কিছু কথা মনে আসে। এর পরেই পর্ব টা শেষ হয়ে যায়। পরবর্তী পর্বে কি হবে এখন এটাই দেখতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি চেষ্টা করবো পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
ব্যক্তিগত মতামত
এই পর্বে সায়েমের সাথে তার বউ, চান্দু এবং মানিক একটা খেলা খেলেছে। যেটা তারা প্ল্যান করে করেছিল। কিন্তু আমি তো ভেবেছিলাম হয়তো সত্যি সত্যি চান্দুর কোন কিছু হয়ে গিয়েছিল। আসলে সায়েম তার বউকে মারার সময় ভুলবশত চান্দুকে মারে। আর তখন চন্দু নিচে পড়ে যায়। আর মানিক তো বলে চান্দু নাকি মারা গিয়েছে। যেটা শুনে সায়েম অনেক বেশি ভয় পেয়ে গিয়েছিল। আর পুলিশের কথা বলায় সায়েম পালিয়ে যায়। আসলে তারা চেয়েছে সায়েম কে বড় একটা শাস্তি দিতে। যেটাতে তারা সফল হবে কিনা এটাই দেখতে হবে। আর নতুন যে ছেলেটা এসেছে সে মূলত ওই ভাবিটার ছোট ভাই। এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আরো একটা তথ্য জানতে পেরেছি। সেটা হচ্ছে মানিক এই গ্রামের ছেলে না। সে ছোটবেলায় নদী দিয়ে ভেসে এসেছিল, আর তাকে রতন পেয়েছিল। আর নিজের সাথে নিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী পর্বগুলোতে দেখা যাক মানিক নিজের আসল বাবা-মায়ের কাছে যেতে পারে কিনা। আর সবকিছু জানতে পারে কিনা।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1794401868871008493?t=fDy7JBqG9WM4iDEDTfYo5w&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে একটা জিনিস আমার কাছে বাংলাদেশের সব নাটক অনেক বেশি ভালো লাগে। কিন্তু ইন্ডিয়ান এই ধারাবাহিক নাটক গুলো মোটেও পছন্দ হয় না আমার। আসলে যারা ইন্ডিয়ান এই ধারাবাহিক নাটক গুলো দেখে তাদেরও আমার পছন্দ হয় না। আসলে আমি বাংলাদেশী নাটকের একজন ফ্যান। আর নাটকটি পড়ে বুঝতে পারলাম যে এই নাটকের ভিতরে অনেক ইন্টারেস্টিং আরো কাহিনী রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন বাংলাদেশের নাটকগুলো একটু বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম নতুন নাটক মনে হচ্চে আমি আজ আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে নামটা জানতে পারলাম ধারাবাহিক নাটক যেহেতু প্রথম থেকে না দেখলে বুঝতে পারবো না।অনেক সুন্দর রিভিউ করেছেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
আসলে আমি প্রতিটা পর্বই আপনাদের মাঝে একটু একটু করে শেয়ার করছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ সুন্দর নাটক রিভিউ করছেন আপনি। ফকির গ্রাম নাটকের আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। নাটকের আজকের পর্বের কাহিনী বেশ দারুণ। আপনার নাটক রিভিউ খুব দুর্দান্ত হয়েছে। চমৎকার ভাবে নাটকের পর্ব উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর নাটক রিভিউ করার জন্য।
ঠিক বলেছেন নাটকটা বেশ দারুন ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।