ভ্রমণ :- নোয়াখালী বাংলাবাজার ব্রিজ দেখতে যাওয়ার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

20240517_162937.jpg

আসলে মাঝে মাঝে হঠাৎ করে অনেক জায়গায় চলে যাই। কিছু কিছু কাজের পরিকল্পনাও থাকে না। যেমন ঘুরাঘুরি করতে যাবো, কিন্তু কোন পরিকল্পনা ছাড়া। হঠাৎ করে দুপুরের পরে আমাকে বললো , চলো কোথাও থেকে ঘুরে আসি। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করলাম কিছুক্ষণ রেস্ট করবে এই সময় আমাকে এসে কথা বলতেছে। তখন কি করা যায় বলুন তো? কিন্তু ঘুরাঘুরি করার কথা শুনলে ঘরে আর মন বসে না।

20240517_170704.jpg

এজন্য এক কথায় আমিও রাজি হয়ে গেলাম। প্রথমত ভেবেছিলাম মেয়েটাকে নিয়ে যাবো। পরে ভাবলাম অনেকদূর তাই মেয়েকে বাসায় রেখে যাবো। মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে বের হয়ে গেলাম, বাংলাবাজার নতুন ব্রিজটি দেখার জন্য। আজ দীর্ঘদিন ধরে যাবে বলতেছিল। ব্রিজের আশেপাশের জায়গাগুলো পর্যটক এরিয়া হয়ে গেছে। যার কারণে সবাই এখানে আসে ব্রিজটি দেখার জন্য। ব্রিজের উপর থেকে চারিপাশের দৃশ্যগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে।

20240517_172534.jpg

কিন্তু এর আগে আমি দুই একবার গিয়েছিলাম তখন ব্রিজের নিচে সময় কাটিয়েছিলাম। সেখান থেকে ছোট নদীটি দেখতে ভীষণ ভালো লাগতো। এবং সূর্যাস্ত যাওয়ার মুহূর্তটা কাটাতাম সেখানে। আসলে মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে অনেক সময় লেগে গিয়েছিল। আঁকাবাঁকা রাস্তা আর অনেক ভাঙ্গা রাস্তা ছিল। যার কারণে যেতে সময় লেগে গিয়েছিল। যদি মেয়েটাকে নিয়ে আসতাম তাহলে আরো বেশি কষ্ট হতো। অবশেষে ব্রিজটিতে এসে পৌছালাম। খুবই সুন্দর লেগেছিল। ব্রিজের উপর এত বেশি মানুষ ছিল না। কারন আমরা দুপুরের সময় গিয়েছিলাম।

20240517_171245.jpg

বিকেলের সময় প্রচুর মানুষ ঘোরার জন্য আসে। প্রতিবারের মতোই আমরা ব্রিজটির নিচে চলে গেলাম। এখান থেকে আশেপাশের জায়গা গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। দেখলাম একটি ছেলে সাইকেল নিয়ে দূর থেকে এসে নদীতে ঝাঁপ দিতেছে। এ বিষয়টা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। বাকিরা তার সাথে অনেক মজা করতেছিল। দেখতে অনেক ভয় লাগে যখন দূর থেকে সাইকেল নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু কোন বিপদ ছাড়া এ আবার নিয়ে উপরে উঠে যায়। খুবই বিনোদন পেয়েছিলাম এটি দেখে।

20240517_162625.jpg

আসলে ব্রিজের নিচে অনেক বড় একটি নদী রয়েছে। বর্তমানে নদীটি শুকিয়ে গিয়েছে। শুধু একপাশে নদী রয়েছে। ব্রিজের তিনভাগের দুই ভাগ নদী শুকিয়ে গিয়েছে। সেখানে সবুজ ঘাস হওয়ার কারণে দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। সেখানে ঘাসের মধ্যে বসে বসে আড্ডা দিতে অনেক বেশি ভালো লাগে। যার কারণে আমরা দুজন অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম ঘাসের উপর বসে বসে। দুজনে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম সেখানে। প্রাকৃতিক দৃশ্যের এবং ব্রিজের ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এছাড়া আমরা দুজন চারপাশের জায়গাটা ঘুরে দেখেছিলাম।

20240517_162617.jpg

এ ধরনের মুহূর্তগুলো আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। যার কারণে প্রায় সময় বিভিন্ন পর্যটক এরিয়া গুলো ঘুরার চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের এখানে এত বেশি জায়গা না থাকার কারণে , কয়েকটি জায়গার রয়েছে সেগুলোতে বারবার যাই। খুব সহজে আবার যাওয়া হয় না। কিছু কিছু জায়গায় অনেক দেরিতে দেওয়া হয়। কিন্তু নদীগুলো দেখতে খুবই তাড়াতাড়ি ছুটে যাই। বারবার যাওয়ার কারণে অনেকগুলো পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয় না। কিন্তু সময় কাটানোর জন্য নদীর পাড়ে আমি এবং আমার হাজব্যান্ড প্রায় সময় যেয়ে থাকি। আশা করি আজকের এই মুহূর্তটা আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।

20240517_160444.jpg

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 months ago 

এই জায়গাটা আমার অনেক বেশি পছন্দের। ঐদিন কিন্তু অনেক ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। এই ব্রিজের উপর থেকে আশেপাশের দৃশ্যগুলো দেখতে সত্যি খুব ভালো লাগে। আর ব্রিজের নিচে গিয়ে তো অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করা যায়। ওই ছেলেটা দূর থেকে এসে সাইকেল নিয়ে পানিতে ঝাঁপ দেওয়ার বিষয়টা আমার নিজের কাছে অনেক বেশি দারুন লেগেছিল। আসলে আমি নিজেও অনেক বিনোদন পেয়েছিলাম এটা দেখে। তুমি আজকে অনেক সুন্দর করে মুহূর্তটা সবার মাঝে শেয়ার করে নিলে দেখে খুব ভালো লাগলো।

 4 months ago 

এটা তুমি ঠিক বলেছ ব্রিজের উপর থেকে আশেপাশের দৃশ্য গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে।

 4 months ago 

বেশিরভাগ সময় আমরা সংসারে ব্যস্ত থাকি বাচ্চাদেরকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি। এছাড়াও আমরা প্ল্যাটফর্মে কাজ করি সেখানে ব্যস্ত থাকি। তবে মাঝে মাঝে বোরিং লাগে এত ব্যস্ততা। তাই আমিও বেরিয়ে পড়ি ঘোরাঘুরি করার জন্য। আপনি তো নোয়াখালীর বাংলাবাজারের ব্রিজ দেখতে গেলেন। সত্যি যা দেখলাম অনেক ভালো লাগলো দেখতে। পোস্ট শেয়ার করলেন আমাদের সাথে ভালো লাগলো।

 4 months ago 

আসলে ব্যস্ততার মাঝে ঘুরাঘুরি করলে মন মাইন্ড সবকিছুই অনেক ভালো থাকে।

 4 months ago 

কিছুদিন আগে আমরাও বাংলাবাজারের ব্রিজের কাছে গিয়েছিলাম মুসাফুর যাওয়ার সময়। খুবই ভালো লাগে এখানে। মূলত পরিবেশটাই অনেক বেশি মনোমুগ্ধকর। নদীর পাশের জায়গাটি অনেক শান্ত আর সেখানে বসে থাকলে মনটা ভালো হয়ে যায়। নাশিয়াকে না নিয়ে গিয়ে আপনারা বেশ ভালোই আনন্দ করতে পেরেছেন মনে হচ্ছে। কারণ আমরা যদি নিভৃত কে নিয়ে যাই তাকে কোলে থেকে নামানো যায় না। আর অনেক সময় তাকে নিয়ে জার্নি করাটাও কষ্টকর হয়ে যায়। যদিও আমরা গিয়েছিলাম নিভৃত সহ। যাই হোক আপনাদের এই আনন্দঘন মুহূর্তটা পড়তে পেরে ভালো লাগলো।

 4 months ago 

আসলে অনেক বেশি দূর জায়গাটা তাই নাশিয়াকে আর নিয়ে যায়নি। মুছাপুর যখন গিয়েছিলাম তখন নাসিয়াকে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখানে নেওয়া হয়নি।

 4 months ago 

আপনারা প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেন। আপনাদের ভ্রমণ মুহূর্তগুলো দেখতে ভালোই লাগে। এরকম শান্ত এবং নিরিবিলি পরিবেশের সময় কাটানোর মজাটাই আলাদা। আর এই ধরনের জায়গাগুলোতে একটু ঠান্ডা ওয়েদার পাওয়া যায়। প্রকৃতির স্নিগ্ধ বাতাস পাওয়া যায়। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ‌ মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 4 months ago 

হ্যাঁ আপু প্রায় সময় চেষ্টা করি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করার জন্য। কারণ ঘুরাঘুরি করতে অনেক ভালোই লাগে।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 68487.80
ETH 2454.84
USDT 1.00
SBD 2.61