রেসিপি :- বিগ্রেড মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বিগ্রেড মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।

বিগ্রেড মাছের রেসিপি খেয়েছি অনেক দিন হয়েছে । কিছুদিন আগে আমাদের বাড়িতে বিগ্রেড মাছ নিয়ে এসেছিল। দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আসলে এই মাসটা খেতে কিন্তু ভীষণ ভালোই লাগে ‌‌ । আর আমি কিন্তু এই ধরনের মাছ গুলো দোপেঁয়াজা করতেই বেশি পছন্দকরি। তাই জন্য এই রেসিপিটাও সেই ভাবেই করেছি। আসলে রান্না করার পর রেসিপিটা খেতে কিন্তু খুবই মজাদার হয়েছিল। আসলে এই মাছের ঝোল খেতে সব থেকে বেশি মজাদার হয়েছিল। আমরা পরিবারের সবাই মিলে খুবই মজা করে খেয়েছিলাম। আশা করি রেসিপিটা আপনাদের ভালো লাগবে।

তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।

1701334708969.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণ :

উপকরণপরিমাণ
মাছ১০ টুকরো
টমেটো কুচি১ কাপ
পেঁয়াজ কুচি১ কাপ
রোসন বাটা১ টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ কুচি২ টেবিল চামচ
ধনিয়া পাতা কুচি২ টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া২ টেবিল চামচ
মরিচের গুঁড়া২ টেবিল চামচ
মসলা গুড়া১ টেবিল চামচ
লবনপরিমাণমতো
তেলপরিমাণমতো

CollageMaker_2023113014546646.jpg

রান্নার বিবরণ :

ধাপ - ১ :

প্রথমে আমি মাছের টুকরো গুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। এরপরের মধ্যে হলুদ গুলো এবং পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে মেখে নিলাম।

CollageMaker_20231130145425486.jpg

ধাপ - ২ :

এরপর আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। এরপরে এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে মাছের টুকরো গুলো দিয়ে দিলাম।

CollageMaker_20231130145438806.jpg

ধাপ - ৩ :

এরপরে মাছের টুকরো গুলোকে উল্টাপাল্টা ভালোভাবে ভেজে নিব। ভাজা হয়ে গেলে মাছগুলো নামিয়ে নিব।

CollageMaker_20231130145459634.jpg

ধাপ - ৪ :

এরপরে আবারো চুলায় একটি কড়াই দিয়ে দিলাম। পরের মধ্যে তেল দিয়ে দিলাম। এরপরে একটু একটু করে পেঁয়াজকুচি, কাঁচামরিচ কুচি , টমেটো কুচি, রসুন বাটা দিয়ে দিলাম।

CollageMaker_20231130145523802.jpg

ধাপ - ৫ :

এরপরে সবগুলো মসলা দিয়ে দিলাম। এরপরে নেটে ছেড়ে কিছুক্ষণ ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম।

CollageMaker_20231130145539325.jpg

ধাপ - ৬ :

কিছুক্ষণ কষানো হলে এর মধ্যে কিছুটা পরিমাণে পানি দিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ কষিয়ে নেব।

CollageMaker_20231130145554503.jpg

ধাপ - ৭ :

এরপরে এরমধ্যে ভাজা মাছগুলো দিয়ে দিলাম।

CollageMaker_20231130145615442.jpg

ধাপ - ৮ :

এভাবে আমি কিছুক্ষণ রান্না করতে থাকবো। অনেকটা ঝোল শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করব।

CollageMaker_20231130145634885.jpg

ধাপ - ৯ :

এরপরে এর মধ্যে ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে দিলাম। অনেকটা শুকিয়ে আসলে এরপর চুলা থেকে নামিয়ে নেব।

CollageMaker_2023113014572390.jpg

শেষ ধাপ :

এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।

1701334708969.jpg

1701334708999.jpg

1701334708985.jpg

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসRedmi note 9
ফটোগ্রাফার@tasonya
লোকেশনফেনী

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  
 last year 

ব্রিগেড মাছ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। এই ধরনের মাছগুলো এইভাবে রান্না করলে অনেক সুস্বাদু হয়। প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন।প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন এবং আপনার রেসিপিটি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আপনার কাছেও এই মাছ খেতে ভীষণ ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো। সঠিক মাত্রায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যেন যে কেউ চাইলে তৈরি করতে পারে।

 last year 

এই ব্রিগেড মাছ আমি অনেকদিন আগে খেয়েছিলাম। ভালোই লাগে এই মাছগুলো খেতে। তাছাড়া আপনি যেভাবে ভেজে মাছগুলো রান্না করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল। যেকোন মাছ ভেজে রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। কালারও লোভনীয় লাগছে দেখতে।

 last year 

আসলেই আপু এই মাছগুলো খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে।

 last year 

বিগ্রেড মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন অসাধারণ হয়েছে। এতো সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

খেতে ইচ্ছে করার কথা, এরকম মজাদার রেসিপি দেখলে।

 last year 

আসলে সিলভার মাছ আমার তেমন একটা পছন্দ নয়। তবে ব্রিগেট মাছটা কিন্তু আমার খুবই পছন্দ। এই মাছ খুব বড় এবং মোটাসোটা হয়ে থাকে। বিশেষ করে মাথাটা অনেক বড় হয়ে থাকে। যাই হোক সেই মাছের সুন্দর রেসিপি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। খুবই ভালো লাগলো সুন্দর এই রেসিপি। অতি লোভনীয় ছিল।

 last year 

ঠিক বলেছেন এই মাছের মাথাটা সত্যি অনেক বেশি বড় হয়ে থাকে। আসলেই অনেক বেশি লোভনীয় ছিল রেসিপিটা।

 last year 

আপু আসলে সব সময় রান্না করি কিন্তু দোঁপেয়াজা করা হয় না সহজে।আসলে দোঁপেয়াজা করতে একটু ঝামেলার কাজ। আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। অনেকদিন হলো কোন মাছেট দোঁপেয়াজা করিনি তবে এখন একদিন করব। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আমি তো মনে করি, রান্না করার থেকে দোপেঁয়াজা করলে সব থেকে বেশি সুস্বাদু হয়।

 last year 

বিগ্রেড মাছের দোপেঁয়াজা দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না আপু। অনেক দিন হলো বিগ্রেড মাছ খাওয়া হয়নি। পেঁয়াজ বেশি করে দিয়ে এভাবে দোপেঁয়াজা তৈরি করলে খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আপনার নতুন রেসিপি দেখে ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আসলেই এটা খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে।

 last year 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বিগ্রেড মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি। আপনার তৈরি মাছের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আসলে কিছুক্ষণ আগেই এই মাসের রেসিপি খেয়ে আসলাম বেশ দারুন ছিল রেসিপি। আমাদের পুকুর থেকে ব্রিগেড বড় বড় মাছ পাওয়া যায় আপু। ধন্যবাদ এত পরিচিত একটি মাছের রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

হ্যাঁ ভাইয়া খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাদের পুকুরে পাওয়া গেলে তো ভালোই হয়। আমাদের জন্য ও মাঝে মাঝে পাঠিয়ে দিবেন।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 98934.25
ETH 3347.90
USDT 1.00
SBD 3.08