আমার স্পেশ্যাল রেসিপি : বিনা তেলে জলে চিকেন।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। তবে আজকের এই অসাধারণ রেসিপি জন্য প্রথমেই আমাদের @rme দাদাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। কারণ দাদা আমাদেরকে এত সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি দিয়েছে। আসলে যখন দাদার পোস্টটা দেখেছিলাম, তখন ভেবেছিলাম হয়তোবা দাদা রেসিপি তৈরি করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম আসলে দাদা আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
আসলে আমি তেল ছাড়া রান্না করার কথা শুনেছি কিন্তু তেল এবং জল দুটো ছাড়া কখনো রান্নার কথা শুনিনি। তাছাড়া আমি এইভাবে তেল ছাড়া কখনোই রান্না করিনি। সে ক্ষেত্রে এই রেসিপিটা কি রকম হবে তার আইডিয়া আমার নেই। কিন্তু যখন দাদার পোস্ট থেকে রেসিপিটার পুরো বিবরণ পড়ি, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম এই রেসিপিটা তৈরি করা কিন্তু খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু রেসিপিটা পড়ার পরেই ঠিক করে নিয়েছিলাম যে আমি অবশ্যই তৈরি করব। আসলে নতুন ধরনের কাজগুলো করতে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। রেসিপিটা তৈরি করার আগে থেকেই আমার মনে হচ্ছিল যে রেসিপিটা কিন্তু দুর্দান্ত হবে।
যদিও রেসিপিটা ঝামেলার মনে হয়েছিল আগে থেকেই, কিন্তু তৈরি করতে গিয়ে আমাকে আরও বেশি ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। আসলে আমি সবগুলো উপকরণ রেডি করে নিয়েছিলাম রান্না করার জন্য। আসলে আমাদের ঘরে একটা তারের জালি ছিল, কিন্তু উপকরণগুলো পোড়ানোর জন্য তারের জালিটা আমি কোন ভাবেই খুজে পাচ্ছিলাম না। আমি প্রায় অনেকক্ষণ সময় ধরে খুজতেছিলাম। পরবর্তীতে খুঁজে না পেয়ে, আমি একটা স্টিলের প্লেটের মধ্যে বড় বড় ফুটো করে নিয়েছি। আসলে তৎক্ষণাৎ এটা আমার একটা আইডিয়া ছিল। এতে করে কিছু মনে করবেন না দাদা।
তাছাড়া দাদা যেহেতু ব্লেন্ডার ব্যবহার না করে শিল পাটায় পিষতে বলেছেন, তাই জন্য আরও বেশি সময় লেগে গেল। আর একটা কথা বলে দেই, দাদা কিন্তু এই রেসিপিতে কারিপাতা এবং লেমন গ্রাস ব্যবহার করতে বলেছিল, কিন্তু আমি এগুলো বাজারে খুঁজে পাইনি, তাই ব্যবহার করিনি। তবে এত পরিশ্রম করার পর যখন রেসিপিটা পুরো তৈরি করলাম , তখন একটু কনফিউশনে ছিলাম কিরকম হবে খেতে। তবে আমি জানতাম রেসিপিটা অসম্ভব ভালো হবে। সেটাই সত্যি হলো তেল এবং জল ছাড়া রেসিপি টা যে এত ভালো হবে সত্যি কল্পনা করতে পারিনি। আমি সাধারণ যে রান্না গুলো করি তা কিন্তু এর ধারে কাছে আসে না। এক্ষেত্রে আমি বলব এই রেসিপির পুরো ক্রেডিট আমাদের প্রিয় @rme দাদার। কারণ দাদার পদ্ধতি অনুসরণ করে পুরো রেসিপিটা তৈরি করেছি। তাছাড়া রেসিপিটা তৈরি করার পর, আমি সবকিছু ছাদে নিয়ে গিয়ে ফটোগ্রাফি করেছি। আসলে ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি সময় লেগেছিল, আর রেসিপি দেখে সবার জিভে জল আসছিল। আর একটা কথা না বললেই নয়, @narocky71 ছাদে বসেই ওই প্লেটের মধ্যে খাওয়া শুরু করে দিয়েছে। এবার বুঝেন, কতটা মজা হয়েছে। আর রেসিপিটা এতটা ঝামেলাকর না হতো তাহলে আমি মাঝেমধ্যেই তৈরি করতাম। তবে সব মিলিয়ে বেশ ভালো লেগেছে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মুরগির মাংস | ১ কেজি |
আলু | ৪ টা |
টক দই | ৫০ গ্রাম |
পেঁয়াজ | ৪ টা |
রোসন | ২ টা |
কাঁচামরিচ | ৭/৮ টা |
শুকনা মরিচ | ৭/৮ টা |
ধনিয়া পাতা কুচি | ২ টেবিল চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
জিরে গুঁড়ো | ২ টেবিল চামচ |
গোটা জিরে | ১ টেবিল চামচ |
তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, গোলমরিচ | সবগুলো কয়েকটা করে |
লবন | পরিমাণমতো |
আদা | ১ টা |
টমেটো | ৪ টা |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি মুরগির মাংস গুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে মাংসের মধ্যে টক দই, জিরে গুঁড়ো, হলুদের গুড়া এবং লবণ দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩ :
এই সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মেখে নেব। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখবো ৪০ মিনিটের জন্য।
ধাপ - ৪ :
এরপরে আমি বড় বড় আলু গুলোকে খোসা টুকরো করে কেটে নিলাম। এরপর টমেটোগুলো কেটে নিলাম। তারপর পেয়াজগুলো বড় বড় টুকরো করে কেটে নিলাম। এর পরের রসুনগুলো খোসা ছাড়িয়ে নিলাম। তারপর আদা সহ টুকরো করে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপরে দারচিনি, এলাচ, গোলমরিচ এবং লবঙ্গ গুলোকে শিল পাটায় একটু বেটে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপরে আমি একটা স্টিলের প্লেট ফুটো করে নিয়েছি, প্লেটটাকে চুলায় বসিয়ে দিলাম। এরপরে এর উপরে পেঁয়াজের টুকরোগুলো দিয়ে পুড়িয়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপর আমি আদা, রসুন কাঁচা মরিচ ,শুকনো মরিচ এই সবগুলো চুলায় দিয়ে পুড়িয়ে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপরে আমি পুরানো কাঁচা মরিচ এবং শুকনো মরিচ শিল পাটায় বেটে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
এরপরে আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। এরপরে এরমধ্যে ম্যারিনেট করা মুরগির মাংস দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ১০ :
এর উপরে গোটা জিরে ছড়িয়ে দিলাম। তারপর হলুদের গুঁড়ো এবং লবণ দিয়ে দিলাম। এরপরে পাঁচ মিনিটের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।
ধাপ - ১১ :
পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখব কিছুটা জল বেরিয়ে গেছে।
ধাপ - ১২ :
এরপরে এর মধ্যে টুকরো করা আলু, পোড়ানো পেঁয়াজ, রসুন, আদা, এবং বেটে নেওয়া কাঁচা মরিচ এবং শুকনো মরিচ তার সাথে তেজপাতা দিয়ে দিলাম। এই সবগুলো উপকরণ দিয়ে নেড় ছেড়ে আবারো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।
ধাপ - ১৩ :
এরপরে আবারো কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে একটু নেড়েচেড়ে দিলাম। এভাবে কয়েকবার ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে দিলাম।
ধাপ - ১৪ :
এরপর এর মধ্যে হালকা বেটে নেওয়া দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, গোলমরিচ দিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ পর মাংসটা হয়ে আসলে এর মধ্যে জিরে গুঁড়ো ছড়িয়ে দিলাম। তারপর ধনিয়া কুচি ছড়িয়ে দিলাম। এরপর একটু নেড়েচেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে নেব।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আপু তো একেবারে জমিয়ে দিয়েছেন দাদার সেই তেল জল ছাড়া মুরগির মাংস রেসিপি টি। মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। ইচ্ছে করছে আপনার এখান থেকে নিয়ে একটু ট্রাই করে দেখি। আপনাকে ধন্যবাদ দাদার দেওয়া সেই রেসিপিটি ট্রাই করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। তার কারণেই তো আপনাদের ভাইয়া ছাদের উপরে বসে খেয়ে নিয়েছিল।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
প্রথমে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই আপু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আমার নিজের কাছে মনে হচ্ছে অন্য যেকোনো প্রতিযোগিতা থেকে এই প্রতিযোগিতায় একেবারে ভিন্ন। ভিন্ন এই কারণে যে কখনো তেল এবং পানি ছাড়া মাংস রান্না করে নাই। এই প্রথম তেল এবং পানি ছাড়া মাংস রান্ন। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এই কনটেস্ট টা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে রেসিপিটি তৈরি করেছেন আপনার রেসিপিটি কিন্তু চমৎকার হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর করে প্রত্যেকটা ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এই রেসিপি পরিবেশনাটাও অনেক সুন্দর হয়েছে। সব মিলে দারুন হয়েছে আপু ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে এটা কিন্তু সত্যি অন্য যে কোন প্রতিযোগিতা থেকে এই প্রতিযোগিতা সবথেকে ভিন্ন ছিল। যদিও এটা প্রতিযোগিতা না এটা দাদা একটা চ্যানেলটি দিয়েছিল সেরা রাধুনীদের জন্য। তবে আমি সম্পূর্ণটা সুন্দরভাবে করার চেষ্টা করেছি।
ওয়াও! এককথায় দুর্দান্ত একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। দাদার পোস্টটি পড়ে আমিও ভেবেছিলাম বিনা তেলে জলে একটি রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করবো। পরবর্তীতে ব্যস্ততার জন্য সেটা হয়ে উঠেনি। তবে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পেরেছি বেশ ঝামেলার একটি রেসিপি। রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। সেজন্যই রকি ভাই ছাদে বসে খাওয়া শুরু করে দিয়েছিল। যাইহোক এমন ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
যদিও এখন ব্যস্ততার কারণে এটা তৈরি করতে পারেননি, আশা করছি পরবর্তীতে তৈরি করে দেখবেন। আসলে এটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল তৈরি করার পরে। হ্যাঁ উনি তো ছাদে বসেই খাওয়া শুরু করে দিয়েছিলেন। আসলে এটা অনেক বেশি ইয়াম্মি হয়েছিল। ঝামেলার হলেও তৈরি করার পর যখন দেখলাম এত বেশি সুস্বাদু হয়েছিল তখন ভালো লেগেছিল।
আসলে নিজের হাতে রান্না করার পর,কেউ যদি তৃপ্তি সহকারে খায়, তাহলে নিজের মনের মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। এই রেসিপিটা বেশ স্বাস্থ্যকর,তাই পরবর্তীতে অবশ্যই ট্রাই করে দেখবো। সুন্দর ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই দাদার রেসিপিটা একেবারে ইউনিক ছিল। আমিও ভেবেছিলাম অংশগ্রহণ করবো কিন্তু অসুস্থতার জন্য পারলাম না। যাইহোক তেল এবং পানি ছাড়া মাংস খুব চমৎকার সিদ্ধ হয়েছে দেখা যাচ্ছে । প্লেট কেটে আলু পিয়াজ পোড়ানোর আইডিয়াটা ভালো লেগেছে আমার কাছে। তাছাড়া দাদা যেভাবে বলেছেন আপনি সেভাবেই রান্না করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনি অসুস্থতার জন্য এটি তৈরি করতে পারেননি তবে ভেবেছিলেন তৈরি করবেন। আশা করছি অসুস্থতা কেটে গেলে পরবর্তীতে এটা তৈরি করে দেখবেন। আপনার কাছেও আশা করছি খুব ভালো লাগবে।
আসলে দাদা এবার দারুণ একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। যেটা আগে কখনো খাওয়া হয়নি এই ধরনের রেসিপি তৈরি করে। তেল এবং জল বাদে রেসিপি তৈরি সত্যি এটা কঠিন কাজ। যেটা আপনি খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল তার প্রমাণ রকি ভাই।
আসলে ঠিক বলেছেন এই রেসিপিটা অনেক বেশি সুস্থ হয়েছিল, আর তার প্রমাণ হচ্ছে আপনাদের ভাইয়া।
আপু দাদার দেয়া চ্যালেঞ্জটা তাহলে গ্রহণ করেই ফেললেন। দাদার রেসিপি অনুসরণ করে খুব দক্ষতার সাথে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। দাদার দেয়া চ্যালেঞ্জটা সত্যিই খুব কঠিন ছিল। কিন্তু আপনি খুব দক্ষতার সাথে কঠিন চ্যালেঞ্জটাকে মোকাবেলা করে, বিনা তেলে জলে চিকেন রান্না করেই ফেললেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজারই হবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, দাদার দেয়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বিনা তেলে জলে চিকেন রান্না প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।
আসলে চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করার চেষ্টা করেছি। এটা অনেক কঠিন হলেও সুন্দরভাবে করার চেষ্টা করলাম। আসলে এটা অনেক মজাদার হয়েছিল এবং খেতেও খুব ভালো লেগেছিল।
আপু প্রথমে আপনাকে আমার পক্ষ থেকে অসংখ্য অভিনন্দন জানাচ্ছি এত পরিশ্রম করে একটি রেসিপি তৈরি করে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনার রেসিপিটি সবগুলো থাক আমি খুব মনোযোগ সহকারে দেখেছি বেশ সময় লেগেছে আপনার রেসিপিটি তৈরি করতে। তবে তেল ও পানি ছাড়া যে এভাবে রান্না করা যায় সেটি আমি আগে কখনোই জানতাম না। আমার তো এখনই খেতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া যেহেতু ছাদে বসে খাওয়া শুরু করেছে নিশ্চয়ই অনেক মজা হয়েছে।
হ্যাঁ উনি ছাদে বসে খাওয়া শুরু করে দিয়েছিলেন। আর খুবই মজা করে খাওয়া হয়েছিল এটা। আপনার এত সুন্দর মন্তব্য দেখে ভালো লাগলো।
বাহ আপু আপনার রেসিপিটা বেশ ভালো লাগলো । দাদার দেখানো পদ্ধতি অবলম্বন করে দারুন ভাবে তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালই হয়েছে ।খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন ।ধাপ গুলো দেখে খুব সহজেই রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি বোঝা যাচ্ছে ।ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার কাছে আমার রেসিপিটা তৈরি দেখে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আসলেই অনেক ভালোই হয়েছিল কিন্তু এই রেসিপিটা।