জেনারেল রাইটিং:- অনেক সাধনার পরে অর্জন করলাম।

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

20231110_125522_0000.jpg
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে যখন পোস্ট লিখতে বসেছি , ভাবলাম আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। সত্যি বলতে আমার বাংলা ব্লগ মানে আমরা একটা পরিবার। এখানে আমরা আমাদের আনন্দ দুঃখ সব কিছুই ভাগ করে নিতে পছন্দ করি। তাই জন্য ভাবলাম যেহেতু আমার জীবনে অনেক বড় একটা আনন্দের খবর এসেছে, তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।

সত্যি বলতে আমরা সবাই কিন্তু, সেই ছোটবেলা থেকে, বলতে গেলে ৪, ৫,৬ বছর থেকে আমাদের জীবনের পড়ালেখার অধ্যায় শুরু করি। এতগুলো সংখ্যা লিখলাম কারণ, আমরা একেকজন একেক বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়ে থাকি পড়ালেখা করার জন্য। আর এই পড়ালেখাটা আমাদের জীবনের অনেক বড় একটা অধ্যায়। বলতে গেলে সেই ছোট থেকে লাইফে বড় হওয়া পর্যন্ত বহু বছর আমরা এর পেছনে ব্যয় করে থাকি। আর শুধুমাত্র যে আমাদের বয়স পড়ালেখার পেছনে খরচ করে তাও কিন্তু নয়, আমাদের মা-বাবা ছোট থেকেই আমাদের পড়ালেখার পেছনে তাদের কষ্টের ইনকাম ব্যয় করে থাকে।

আসলে আমাদের জীবনটা এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে এখন টাকা পয়সা ছাড়া আসলে কিছুই সম্ভব না।আর শুধুমাত্র যে অল্প পরিমাণে টাকার প্রয়োজন তাও নয়। ভালো পরিমাণে এমাউন্ট খরচ করতে হয় আমাদের পড়ালেখার পেছনে। আমার এমন অনেক হাজারো মা-বাবা রয়েছে যাদের সামর্থ্য না থাকা শর্তেও, খেয়ে না খেয়ে তাদের সন্তানদের পড়ালেখা করায়। আমরা আমাদের জীবনে স্টাবলিশ হওয়া পর্যন্ত পড়ালেখার ক্যারিয়ার টাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর আমি মনে করি মেয়েদের পক্ষে পড়ালেখাটাকে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন।

কারণ আমাদের জীবনে হয়তোবা দেখা যায় পড়ালেখা শেষ হওয়ার আগেই বিয়ে করে নিতে হয়। আর তারপরে কেউ হয়তো পড়ালেখা করতে পারে আবার কেউ সেখানেই শেষ। এরকম হাজারো বিষয় রয়েছে পড়ালেখা শেষ করার পেছনে। এসব কথাগুলো আসলে বলে শেষ করা যাবে না। যে কথাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম তা হলো অনেক সাধনার পরে আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করলাম। গত 6 নভেম্বর আমাদের অনার্সের ফাইনাল ইয়ারের রেজাল্ট দিয়েছে। আমি পাশ করে গেছি। রেজাল্ট একেবারে উত্তম ও নয়, আবার একেবারে খারাপও নয়।
মোটামুটি মধ্যম পর্যায়ে আছি।

আর এটা ও আমার জন্য অনেক। আমি যে গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করতে পেরেছি এটাতেই আমি অনেক বেশি খুশি। আমার জীবনে ১৬ বছর দিয়েছি পড়ালেখা জীবনে। পড়ালেখার শুরু থেকেই আমার পাশে ছিল আমার মা বাবা । তারা আমার জন্য অনেক কিছুই করেছে। তারা না থাকলে হয়তোবা আজকে এ পর্যন্ত আসা সম্ভব হতো না। তারপর তার সাথে আমার একমাত্র ভাই এবং দুই বোন ও আমার পাশে ছিল। তারাও আমার জন্য অনেক কিছুই করেছে। অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে আমার বিয়ে হয়। তারপর থেকে আমি আসি আর একটা পরিবারে। এই পরিবারে আসার পরে হয়তোবা অনেক বেশি টাকা পয়সা ছিল না।

কিন্তু আমি মনে করি এরকম পরিবার পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। তারা সবসময় আমার পাশে ছিলেন এবং আছে। আমার পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তারা অনেক বেশি সাহায্য করেছে। বিশেষ করে আমার জীবন সঙ্গী সে সব সময় আমাকে সবকিছুতে সাপোর্ট করেছে। আর আমার শাশুড়ির অবদান অনেক বেশি। তিনি সবসময় আমাকে সবকিছুতে সাপোর্ট করেছেন। আসলে আমার হাজব্যান্ড যেহেতু আমার খালাতো ভাই , তার মা আমার আন্টি। সত্যি বলতে আমি শাশুড়ি শব্দটা কখনোই ইউজ করিনি। এটা আমার কাছে অনেকটা পর মনে হয়।

আমরা আমাদের আগের পরিচয়ে আগের মতই আছি। আর আমার পড়ালেখা করার পেছনে তারা আমাকে খুবই সাহায্য করেছে। এই সবগুলো মানুষের জন্য আজকে আমি এরকম একটা পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি। আসলে এখন যদি গ্রাজুয়েশন বলি, মনে হয় যেন এটা কিছুই না। কারণ হাজারো গ্রাজুয়েশন করা মানুষ পথে পথে ঘুরছে। তবে আমি মনে করি একটা মানুষের জীবনে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে, তার জীবনের পুরোটাই ব্যয় করতে হয়। হয়তোবা আমরা যারা করেছি তারা এই বিষয়টা বুঝতে পারব। আসলে আমি সব সময় চেষ্টা করেছি পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজ করার।

সব কাজকর্ম করে যে আমি পড়ালেখাটা করতে পেরেছি এটাই আমার কাছে অনেক। এটা আমার জীবনে অনেক আনন্দের সংবাদ। আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো। আমার অবশ্যই মাস্টার্স কমপ্লিট করার ইচ্ছে আছে। এমনকি আমার হাজব্যান্ড বলেছে আমি অবশ্যই ভর্তি হব। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন, আমার পড়ালেখাটা একেবারে সম্পূর্ণ করতে পারি। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করব।

আমার পরিচয়

1635518106012.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  
 10 months ago 

আপনি গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছেন জেনে ভালো লাগলো। সত্যি পড়ালেখার পেছনে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। আর সাথে টাকা পয়সা তবে এত কষ্ট করে যারা গ্রাজুয়েশন মাস্টার কমপ্লিট করে চাকরির পিছনে ছুটে চলেছে প্রতিনিয়ত তাদের জন্য বিষয়টা বেশ দুঃখজনক। যাইহোক দোয়া করি আপনি যেন আরো অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারেন ধন্যবাদ।

 10 months ago 

আসলেই অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। দোয়া করবেন সবসময়।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 10 months ago 

কি ব্যাপার মিষ্টি কই? নাকি ঝাল হবে? এররকম খবর কি আর খালি চোখে মুখে পড়তে ভালো লাগে? আপনি বলেন তো? আমার লেখা পড়ে বারে বারে মনে হচিছল যে অনেক ভাগ্যবতী আপনি। বেশ ভালো একটি পরিবার পেয়েছেন। এমন করে শ্বশুড়ী আর জামাই এর প্রশংসা করার সৌভাগ্য খুব কম মেয়ের কপালেই হয়। তবে আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভ কামনা।

 10 months ago 

আমি তো বুঝতে পারছি না, আপনার এত গুলো প্রশ্নের থেকে কোনটা রেখে কোনটার উওর দিবো। আমি তো মনে করি আমি অনেক বেশি ভাগ্যবতি।

 10 months ago 

তাহলে অবশেষে আপনি গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে ফেলেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। কনগ্রাচুলেশন। আসলে অনেক বাবা-মা আছে যারা নিজেদের সুখ দুঃখ ভুলে গিয়ে সন্তানদের লেখাপড়ায় অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মেয়েদের ক্ষেত্রে লেখাপড়া করাটা সত্যিই অনেক বেশি কষ্টকর তারপরেও আপনার মত এমন অনেক মেয়ে আছে যারা কিনা লেখাপড়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বিয়ের পরেও লেখাপড়া করছে আর বিবাহিত জীবনের পর সেই মানুষগুলো যদি মনের মত হয় তাহলে তো আপনার কথাই নেই। আমি মনে করি জীবনসঙ্গী হিসেবে সুন্দর মানুষের থেকে সুন্দর মনের মানুষের প্রয়োজন অনেক বেশি যেটা আপনি পেয়েছেন। যাইহোক শুভকামনা রইল আপনার জন্য। যেহেতু গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করে ফেলেছেন অবশ্যই মিষ্টি খাওয়াতে হবে।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

অবশ্যই খাওয়াবো ভাইয়া। অপেক্ষায় থাকেন।

 10 months ago 

আপনার প্রথম কথাটি ভালো লাগলো আমার বাংলা ব্লগ মানে একটি পরিবার। এখানে সুখ দুঃখ সব কিছুই ভাগ করে নিতে পছন্দ করি আমরা এবং আমাদের ভালোলাগা খারাপ লাগা সবকিছুই শেয়ার করি। হুম বাবা মা ছোট থেকে আমাদের পড়ালেখার পেছনে অনেক কষ্টের ইনকাম ব্যয় করে থাকে কিন্তু আমরা তার যথার্থ মূল্যায়ন করতে পারি না। অনেক বাবা মা আছে নিজে না খেয়ে না পড়ে সন্তানকে পড়ালেখার জন্য অনেক টাকা খরচ করে কিন্তু সেই সন্তান ক্যারিয়ারটা এস্টাবলিশ করতে ব্যর্থ হয়। বাবা-মার কষ্টের টাকা পানি মাটি করে। অনেক কিছু করে নেশা করে এগুলো খুবই হতাশজনক। আপনাকে অভিনন্দন জানাই অনার্স ফাইনাল ইয়ারের রেজাল্ট দিয়েছে এবং আপনি পাস করেছেন। আপনি সব দিকে খুব সুন্দর ভাবে পরিচালনা করেছেন এর জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন। আসলে আপনি একজন পরিশ্রমী মানুষ। জ্বী আপু গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করতে পেরেছেন। এটাই আলহামদুলিল্লাহ আমরা তো অনেক খুশি। আপনার দুঃখের সময়ে আপনার ভাই বোন ও স্বামী পাশে ছিল। সত্যিই অনেক ভালো লাগতেছে এবং এরকম পরিবার পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার আমি বিশ্বাস করি। এটা ভালো লাগছে যে সকল কার্যকর্ম করে আপনি পড়ালেখাটা চালিয়ে যেতে পেরেছেন এবং সুন্দর একটি রেজাল্ট করেছেন অনেক অনেক অভিনন্দন। আপনাদের জন্য অবশ্যই দোয়া রইল এবং আপনি যেন মাস্টার্স কমপ্লিট করতে পারেন।

 10 months ago 

এভাবে পাশে থাকবেন এবং দোয়া করবেন। এত সুন্দর করে আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 10 months ago 

একদম ঠিক বলেছেন আপু প্রতিটি বাবা-মাই তার সন্তানদের পড়ালেখার পেছনে তাদের কষ্টের অর্থ ব্যয় করে। তাছাড়া দীর্ঘ সময় পড়ালেখা করে যখন গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করা যায় সেই আনন্দের মুহূর্ত বলে বোঝানো যায় না। আপনি অনার্স কমপ্লিট করেছেন জেনে ভালো লাগলো। এত চাপের মাঝেও যে মোটামুটি রেজাল্ট করেছেন তাই তো অনেক। শুভকামনা আপনার জন্য।

 10 months ago 

ঠিক বলেছেন তারা তাদের কষ্টের অর্থ সন্তানের লেখাপড়ার পেছনে ব্যয় করে থাকে।

 10 months ago 

পরিশ্রম মানুষের সাফল্যের চাবিকাঠি। আপনি যে কাজের জন্য পরিশ্রম করবেন সময় দিবেন সেই কাজে আপনি অবশ্যই সফল হবেন। লেখাপড়া মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার এই সাফল্য দেখে বেশ ভালো লাগলো। এত কর্মব্যস্ততা এত সংসারের কাজকর্মই তো আপনি পড়াশোনা শেষ করলেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। অনার্স শেষ এবার মাস্টার্স শেষ করবেন আপু আপনার জন্য দোয়া ভালোবাসা রইলো।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

আপনাদের দোয়ায় অবশ্যই মাস্টার্স ভালোভাবে কমপ্লিট করতে পারবো।

 10 months ago 

তাহলে আপনি এখন গ্রাজুয়েট আপু। আপনাকে অভিনন্দন। বেশ বড় একটা মাইলফলক অর্জন করেছেন। আশাকরি আপনার মাস্টার্স করার ইচ্ছাটাও পূরণ হবে। লেখাপড়া মানুষের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। আমাদের লেখাপড়ার পেছনে আমাদের যেমন পরিশ্রম আছে তেমনি আমাদের বাবা মায়ের আছে কন্ট্রিবিউশন আছে তাদের কষ্ট। দারুণ ছিল আপনার পোস্ট টা আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

এভাবে সবার সাপোর্ট পেলে এবং সবাই পাশে থাকলে মাস্টার্স ভালোভাবে কমপ্লিট করতে পারবো। আপনি এত সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 54787.37
ETH 2302.94
USDT 1.00
SBD 2.35