নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ১)
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের প্রথম পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
আসলে এই নাটকের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই মানিক এবং রতন দুইজন একসাথে ভিক্ষা করছে। ওরা মূলত একটা বাড়িতে এসেছে। কিন্তু ওরা অনেকক্ষণ ধরে ডাকার পরেও ঘর থেকে কেউই আসছিল না। তখন ওরা বলছিল নিশ্চয়ই বাইরে গেছে। পরবর্তীতে এসে হাজির হলো চম্মন বাহার , তখন মানিক ওকে অনেক বেশি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিল। বলছিল বাইরে কেন গেছে, এমনভাবে সবকিছু বলছিল যেন নিজের বউকে বলছিল। এগুলো শোনার পরে রতন মানিককে থামায়। পরবর্তীতে ওরা দুইজন চম্মনের কাছে খাবার চায়। তখন সে বলল কোন খাবার নেই ঘরে।
এটা বলাতে ফকির দুইজন রেগে বলতে লাগল ওদের ঘরে খাবার নেই, তাহলে আমরা এই ভিক্ষা করে তারপর ওদের জন্য খাবার কিনে দিয়ে যাব। এটা শুনে চন্দন রেখে কি বল এসব কি বলছেন, আপনাদের জন্য এক্ষুনি খাবার নিয়ে আসছি। এইসব বলে ঘরের ভেতর থেকে খাবার নিয়ে আসলো। অন্যদিকে দেখছি কাদের ফকির মেয়ে ভিক্ষা করছে। তাদের সাথে আবার চান্দু ফকির এসে যোগ দিতে চাইল। কিন্তু তাদের ফকির দেখছি চান্দুকে একদমই সহ্য করতে পারছে না। তার মানে এটা বোঝা গেল কাদেরের মেয়ে মর্জিনার সাথে চান্দু ফকির প্রেম করছে। এজন্য কাদের চান্দুকে একদমই সহ্য করতে পারছে না।
অন্যদিকে দেখছি দুই মা ছেলের রবি আর তার মা। তারা দুইজনে ভিক্ষা করতে যাবে। কিন্তু রবি কিছুতেই যেতে চাইছিল না। সে যদি ভিক্ষা করতে যায় তাহলে তাদের ঘর থেকে যা পাবে তাই খেয়ে নিবে। এরপরে দেখছি আরো দুইজন ভিক্ষুক। এখানে দেখছি সায়াম উদ্দিন এবং তার বউ তারা দুজনে একসাথে ভিক্ষা করছে। আর তারা দুজনে আবার ঝগড়াও করছে। আসলে এই নাটকের মধ্যে ভিক্ষুকের অভাব নেই। এবার আসছে চেয়ারম্যানের মেয়ে চাঁদনি আর মেম্বারের ছেলে প্রিন্স। ওরা দুজন দুই দিক থেকে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়েছে। আসলে দুইজনের বিদেশ থেকে পড়ালেখা করে এখন গ্রামে এসেছে।
দুজনে এসেই রাস্তায় ঝগড়া করা শুরু করে দিল। আসলে কেউ কাউকে চেনে না। দুজনে একটাই রিক্সায় উঠতে চেয়েছিল। কিন্তু দুইজন ঝগড়া করা দেখে রিকশাওয়ালা চলে গেল। অন্যদিকে মানিকার রতনকে খাবার দিয়েছিল কিন্তু চম্মন বলেছিল ওর বাবা দেখলে বকবে। যাতে ওর বাবা আসার আগেই চলে যায়। কিন্তু চম্মন ঘরে গেলে ওর বাবা আসে আর মানিক রতন ওর বাবাকে দেখে ভিক্ষুক ভেবে বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে শুরু করে। পরবর্তী চম্মন এসে যখন বাবা বলল তখন ওরা তো অবাক। এরপরে ওদের দুজনকে মারার জন্য তাড়া করল। আর আর মানিক রতন দুইজন এসে পড়ল অন্য আরেকটা জায়গায়।
সেখানে দেখে তাদের সুতা ফকির ভিক্ষা বাদ দিয়ে ভন্ড কবিরাজ সে সেজেছে। আর একটা ছেলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। পরবর্তীতে ওরা পুলিশের বাঁশির মতো আওয়াজ দিলে সে ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। রবি আর তার মা ভিক্ষা করতে গিয়ে রবি একজনের ঘরে ঢুকে নিজের হাতে ভাত নিয়ে নেয় খাওয়ার জন্য। পরবর্তীতে ওই ঘরের লোকটা এসে ওকে চোর বললে, সে আরও উল্টো কথা শোনাতে শুরু করে। পরবর্তীতে প্লেট হাতে নিয়ে দৌড়ে চলে যায়। অন্যদিকে ছেলের কাছে তাদের ফকিরেরা ভিক্ষা চায় আর ওরা ৫০০ টাকা নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে যখন টাকাটা কাদেরের হাতে দিবে তখনই চান্দু টান মেরে দোড় দেয়।
প্রিন্স তো ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। অন্যদিকে আবার চাঁদনীর কাছে থেকে অনেক কথা বলে ৫০০ টাকা নেয় সায়েম আর তার বৌ। এরপরে আবার চান্দু যখন সুতার কাছে গিয়ে ৫০০ টাকা দেখায় তখন সুতা চান্দুর কাছ থেকে টাকাটা নিয়ে দৌড় দেয়। চান্দু আবার পিছন পিছন দৌড়াতে থাকে। সায়েম আবার মানিক রতনকে সহ্য করতে পারে না। তোর বউকে বারণ করে ওদের সাথে কথা না বলার জন্য। দুইজন সামনাসামনি দেখা হয়েছে আর ওর বউকে অনেক কথা বলেছে। পরবর্তী চেয়ারম্যানের মেয়ে এবং মেম্বারের ছেলের কাছে আবারো পাল্টা ফকিরেরা ভিক্ষা চাইতে শুরু করল।
ওরা দুজন ফকিরদের জ্বালায় একেবারে অসহ্য হয়ে গেছে। প্রিন্স তো বলছে ওর কাছে আর টাকা নেই। অন্যদিকে মেম্বারের ছেলে আসবে বলে বাড়িতে বাজার করে নিয়ে আসবো। আর মেম্বারের বউকে বলছিল ফকিরা নাকি তার ছেলেকে অনেক জ্বালাচ্ছে। এটা শুনে সে বলল ফকিরদের জ্বালায় এই গ্রামে কেউ আসতে পারে না। এমনকি একদিন তার ভাই এসেছিল টাকা না থাকাতে ফকিররা তার কাছ থেকে জামা কাপড় খুলে রেখে দিয়েছিল। একের পর এক ফকিরের জ্বালায় অসহ্য চেয়ারম্যানের মেয়ে। একজনকে টাকা দিতে গিয়ে অন্যজন টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকটি মূলত ফকিরদের নিয়ে করা হয়েছে। এখানে মূলত গ্রামের নাম দেওয়া হয়েছে ফকির গ্রাম। এই গ্রামে একজন ফকিরদের সর্দার রয়েছে। আর অনেকগুলো ফকির বাস করে একই গ্রামে। মূলত এই গ্রামে যদি নতুন কোন লোক আসে তাহলে তার ফকিরদের কাছ থেকে কোন রক্ষা নেই। ফকিরেরা বিভিন্ন ধরনের কথা বলে টাকা নিয়েই ছাড়ে। চেয়ারম্যানের মেয়ে এবং মেম্বারের ছেলে বিদেশ থেকে লেখাপড়া করে গ্রামে এসেছে । আর গ্রামে প্রবেশ করতে না করতেই একেকবার একেক ফকির এসে হাজির হয় টাকার জন্য। এমনকি টাকা কম থাকলে বিভিন্ন কথা বলে টাকা নেয়। এই নাটকে আলাদা আলাদা অনেকগুলো ফকির রয়েছে। মনে হচ্ছে পরবর্তী পর্বগুলোতে কোন কাহিনী থাকবে। এমনিতে এই পর্ব টা দেখে আমার কাছে ভালো লেগেছে। আপনারা যদি দেখতে চান তাহলে অবশ্যই দেখতে পারেন।
ব্যক্তিগত রেটিং
১০/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1726626863249080638?s=20
বেশ চমৎকার একটি নাটক তো। অনেক নাটক দেখে কিন্তু এই নাটকটা আমরা দেখা হয়নি বেশ ভালো লাগলো আপনার রিভিউ দেখে। যে কোন মুহূর্তে চেষ্টা করব ল্যাপটপে নাটক টা দেখার জন্য। অনেক ভালো লাগলো আপনার রিভিউ পড়ে।
অবশ্যই দেখবেন সুন্দর আছে নাটকটা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নাটকটা আমার সামনে এসেছিল কিন্তু দেখা হয়নি, হাস্যকর হবে নাটকটা। এবং রিভিউ করে মনে হচ্ছে মন ভালো করার মতো এক নাটক, সময় পেলে দেখার চেষ্টা করব।
ঠিক বলেছেন আসলেই হাস্যকর একটা নাটক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
খুঁজে খুঁজে বেশ সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন তো দেখছি। আপনার আজকের নাটকের রিভিউটি দেখে কিন্তু বেশ কিছুক্ষন হাসলাম। তবে এর আগেও দেখেছি যে আপনি কিন্তু দারুন করে নাটকের রিভিউ করেন। এখন তো মনে হচ্ছে নাটকটি একবার দেখা দরকার। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
অবশ্যই সময় পেলে দেখে নিবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ফকির গ্রাম নাটকটি দারুন ভাবে রিভিউ এর মাধ্যমে। আপনার শেয়ার করা নাটকটি এখনো আমার দেখা হয়নি তবে অবসর সময় ফেলে চেষ্টা করব আপনার শেয়ার করা এই নাটকটি দেখার জন্য। আপনার কাছ থেকে নতুন নাটকের সন্ধান পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তাহলে সময় পেলে নাটকটি দেখে নিয়েন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফকির গ্রাম নামটা কিন্তু দারুন।নাটকটির প্রথম পর্ব তো ভালোই লাগলো। পরবর্তী পর্বগুলোতে মনে হয় আরো দারুন দারুন ধামাকা রয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
জী আপু পরবর্তী পর্বগুলো আপনাদেরকে শেয়ার করব। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।