রেসিপি : আটা এবং আলু দিয়ে তৈরি মজাদার নাস্তা রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আটা এবং আলু দিয়ে তৈরি মজাদার নাস্তা রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
বিকেলবেলা চায়ের সাথে ভিন্ন ধরনের নাস্তা খেতে সব সময় ভালো লাগে। আমি মাঝেমধ্যে বিকেল বেলায় ভিন্ন ধরনের নাস্তা তৈরি করার চেষ্টা করি। তবে কয়েকদিন ধরে ব্যস্ততার কারণে কিছুই তৈরি করা হচ্ছে না। আজকে ভাবলাম সবার জন্য কিছু একটা তৈরি করব। আমাদের ঘরের সবাই আলু খেতে পছন্দ করে। এইজন্য ভাবলাম আলু দিয়ে কিছু একটা তৈরি করি। পরে এই নাস্তা টা তৈরি করলাম। এটা যে খেতে এতটা মজা হবে তা জানা ছিল না। তৈরি করার পর সবাই ভীষণ পছন্দ করেছে খেতে। বিশেষ করে আমার মেয়ে ও খেতে পছন্দ করেছে। তাই ভাবলাম রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আলু সেদ্ধ | হাফ কেজি |
আটা | ৩ কাপ |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
কাঁচামরিচ কুচি | ২ টেবিল চামচ |
ধনিয়া পাতা কুচি | ২ টেবিল চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি বাটিতে আটা নিয়ে নিলাম। এরপর এর মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ এবং কিছুটা তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে একটু একটু করে মেখে একটা ডো তৈরি করে নিলাম। এরপরে এটা একটা সাইটে ঢেকে রেখে দিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপরে আমি সিদ্ধ করা আলু গুলোকে হাত দিয়ে একটু ম্যাশ করে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপরে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিলাম। এরপরে এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। এরপরে এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিলাম। এরপরে একটু নেড়েচেড়ে ভেজে নিব।
ধাপ - ৫ :
এরপরে এর মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ রসুন বাটা এবং হলুদ মরিচের গুড়া দিয়ে দিলাম।এরপর একটু নেড়েচেড়ে ভালোভাবে ভেজে নিব।
ধাপ - ৬ :
এরপরে এর মধ্যে ম্যাশ করা আলু দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপরে আলু গুলোকে পেঁয়াজের সাথে একটু একটু করে নেড়েচেড়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এভাবে কিছুক্ষণ আলু গুলোকে নেড়ে ছেড়ে ভেজে নিব।
ধাপ - ৯ :
এরপরের মধ্যে পরিমাণ মতো ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ১০ :
এরপর নেটে ছেড়ে ধনিয়া পাতা ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম। এরপর হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১১ :
এরপর আগে থেকে মেখে রাখা আটার ডো থেকে কিছুটা নিয়ে একটা রুটি বেলে নিলাম। এভাবে আমি দুইটা রুটি বেলে নিলাম।
ধাপ - ১২ :
এরপরে একটার মধ্যে তৈরি করে নেওয়া আলুর পুর দিয়ে দিলাম। পুরো রুটির মধ্যে ছড়িয়ে দিলাম।
ধাপ - ১৩ :
এরপরে এর ওপরে আরো একটা রুটি দিয়ে দিলাম। এরপর চারপাশ থেকে একটু চেপে দিলাম।এভাবে করে আমি কয়েকটা তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ১৪ :
এরপরে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিলাম। এর মধ্যে কিছুটা পরিমাণে তেল দিয়ে দিলাম। এরপর এর মধ্যে তৈরি করে রাখা একটা দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ১৫ :
এরপর উল্টাপাল্টা দুই পাশ ভালোভাবে ভেজে নিব। ভাজা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নেব। এভাবে আমি সবগুলো ভেজে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এরপর এটাকে চার টুকরো করে কেটে পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/TASonya5/status/1618463889968222208?t=Wc3IWTQAWylmMNx-d0yyGQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আটা ও আলু দিয়ে খুবই মজাদার নাস্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে, রেসিপি পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে।
আলু দিয়ে খুব চমৎকারভাবে পরোটা বানিয়ে আপনারা সবাই মিলে খেয়েছেন। তবে খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি, যে এটি আয়োজন হয়েছে। না হলে চলে আসতাম ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
মোটরসাইকেল থাকলে আপনাদের জন্য পাঠাইতাম। পরবর্তীতে কখনো বানালে অবশ্যই আপনাদেরকে নিয়ে একসাথে খাব। মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
বাহ!দারুণ আপু বলতে গেলে রেসিপিটা অনেক ইউনিক হয়েছে।বিকেল বেলার নাস্তায় অনেক মজার করে খাওয়া যাবে এই নাস্তাটি।আপনি আলু সিদ্ধ করে বেশ মজার একটি ভর্তা তৈরি করেছেন এরপর রুটি বেলে এর ভিতরে আলু ভর্তা গুলো দিয়ে বেশ সুন্দর একটি তেলে ভেজে নাস্তা তৈরি করেছেন খেতে অনেক মজার হবে আপু।আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।।
মাঝে মাঝে সন্ধ্যায় পরিবারের সবাই একসাথে হয়ে নতুন নতুন কিছু রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করি। সবাই অনেক খুশি হয়
আটাও আলু দিয়ে খুবই মজাদার একটি নাস্তা রেসিপি তৈরি করেছেন আপু দেখে তো অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছে। আসলে এ ধরনের রেসিপিগুলো সকালে নাস্তা জন্য খুবই ভালো। আপনি আলু সিদ্ধ করে এরপর রুটি বেলে ভিতরে আলুভর্তাগুলো দিয়ে সুন্দর করে ভেজে নাস্তা তৈরি করেছেন। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলেই এটি খুবই লোভনীয়। সবাই অনেকগুলো খাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি খুব কম বানিয়েছিলাম। মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
আপু আলু পরোটা খেতে বেশ মজা হয়। গরম গরম আলু পরোটা খেতে ভীষন ভাল লাগে।আপনি ধাপে ধাপে রেসিপিটি তুলে ধরেছেন, খুব লোভনীয় হয়েছে আপনার রেসিপি। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ভাইয়া দারুন পছন্দ করে এটা। বানানোর সময় চুরি করে একটা রেখে দিয়েছিল। সবার খাওয়া শেষে একা একা খাচ্ছিল। মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
আপনি সব সময় খুবই সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করে থাকেন যেগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। সবাই মিলে মনে হয় বেশ মজা করেই খেয়েছেন। এরকম সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি রেসিপি গুলো দেখলে আরো বেশি লোভ লেগে যায়। রেসিপির কালার কম্বিনেশনও এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ। খুবই ইউনিক ছিল আপনার আজকের এই রেসিপিটি। সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে।
খুবই দারুণ মজা হয়েছিল ঐদিন। আমার ভীষণ ভালো লাগে এ ধরনের রেসিপি গুলো খেতে। তুমি বাড়িতে আসলে একদিন বানাবো। সবাই মিলে একসাথে খাব। অসংখ্য ধন্যবাদ