"সব চেয়ে কম উপকরণে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকেন স্যান্ডউইচ"
বন্ধুরা
আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ যে খাবারটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সেটি ছোট থেকে বড় সকলে কম বেশি পছন্দ করেন। টিনটিন বাবু তো খুবই পছন্দ করেন সেই সাথে তার বাবাও। টিনটিন বাবু তো তার পছন্দের জায়গা স্টার মলে ঘুরতে গিয়ে প্রায়ই তাকে খেতে দিতে হবে। এমনকি মাঝে মধ্যে বাড়িতে অর্ডার করে খাবে। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন উপরের থার্ম দেখে আমি কোন খাবারের কথা বলছি। হ্যা আমি চিকেন স্যান্ডউইচ এর কথাই বলছি। এই খাবারটি আমরা বাচ্চাদের টিফিনে ও দিয়ে থাকি। তবে আমি বাবুকে টিফিনে কখনো স্যান্ডউইচ দেই না। আসলে ও এখনো ছোট তো তাই সব খাবার একা একা তুলে খেতে পারে না। স্যান্ডউইচ জনপ্রিয় একটি খাবার। এবং অনেক মজার একটি খাবার। দুই ফালি রুটির মধ্য মাংস বা সবজি দেওয়া খাবারের নাম স্যান্ডউইচ।এই খাবারটি যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয়তা পেলেও এর উৎপত্তি এই দেশে নয়। পশ্চিমাদের মতো পরিচিত করিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের জন. মন্টাগু আর চতুর্থ আর. লভ. স্যান্ডউইচ।জন. মন্টাগু ছিলেন একজন জুয়া খেলোয়াড়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তিনি জুয়া খেলে সময় কাটিয়ে দিতে পারেন।একটানা জুয়া খেলার মধ্যে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তাই তার বাবুর্চিকে এমন একটি খাবার তৈরি করতে বলেন ।যা খেলে খীদে ও পাবে না আবার জুয়ার আসরে বসে খাওয়া যায়। এমনকি খেতেও খুব বেশি সময় লাগবে না।আবার কাটা চামচ বা ছুরি না লাগিয়ে খাওয়া যাবে। এদিকে তেল ঝাল যেনো কোথাও না লাগে। এরপর থেকে জন. মন্টাগুর রান্নাঘর থেকে পশ্চিমাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা
লাভ করে।তবে স্যান্ডউইচ তুরস্কের খাবার। আর সেই খাবার সারাবিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।আমি প্রায়ই মাঝেমধ্যে বাড়ীতে স্যান্ডউইচ তৈরি করি। ঘরে কিছু চিকেন ছিলো আজ তাই দিয়ে তৈরি করছি। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আমরা মূল পর্বে ফিরে যাই।
উপকরণ:
১.পাউরুটি - পরিমান মতো
২. চিকেন - ২০০ গ্রাম
৩. আদা ও রসুন বাটা - ১ চামচ
৪.শশা - ২ টি
৫. টমেটো - ১ টি
৬. লেটুস পাতা - পরিমান মতো
৭. মেয়োনিজ - ৪ চামচ
৮. লবণ - ১ চামচ
৯. গোল মরিচের গুঁড়া - ২ চামচ
পাউরুটি
আদা ও রসুন বাটা
চিকেন
মেয়োনিজ, লবণ ও গোল মরিচের গুঁড়া
শশা, টমেটো ও লেটুস পাতা
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। করাইতে মাংস গুলো দিয়ে দিতে হবে। সেই সাথে মাংসের ভিতর ১ চামচ আদা রসুন বাটা দিয়ে দিতে হবে।আর পরিমান জল দিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে মাংস সেদ্ধ করে নিতে হবে।
মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে একটা পাত্রে রেখে দিতে হবে।
২. সেদ্ধ মাংস ঠান্ডা হয়ে গেলে হাড় থেকে মাংস গুলো ছাড়িয়ে নিতে হবে। আর হাত দিয়ে মাংস গুলো ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে নিতে হবে।
৩.এবার শশা ও টমেটো কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। আর লেটুস পাতা ছাড়িয়ে নিতে হবে।
৪.এরপর টুকরো করা মাংসের ভিতর পরিমান মতো শশা ও টমেটো কুচি দিয়ে দিতে হবে। একই সাথে মেয়োনিজ, লবণ ও গোল মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিতে হবে। এবার সবকিছু একটা চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
৫. এবার পাউরুটির চার পাশ ছুরি দিয়ে কেটে নিতে হবে। এরপর একটি পাউরুটির উপড় মেয়োনিজ মিশানো মাংস দিয়ে দিতে হবে।মাংসের উপর একটি লেটুস পাতা দেওয়ার পর আর একটি রুটি দিয়ে হালকা চেপে দিতে হবে।
৬. এরপর কোনোকোনি একটা ছুরি কেটে নিতে হবে।
এবার তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু মজাদার স্যান্ডউইচ। পরিবেশনের সময় স্যান্ডউইচ হালকা গরম করে নিতে হবে। টমেটো সস দিয়ে স্যান্ডউইচ পরিবেশন করতে হবে।
যাক আমার মত দাদা আর টিনটিন বাবুরও স্যান্ডইস প্রিয়। তবে দিদি আজকে আপনার এত সুন্দর পোস্টটি না পড়লে স্যান্ডউইচ এর ইতিহাস হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা রয়ে যেত। আপনি খুব সুন্দর করে স্যান্ডউইচ তৈরি করার রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আর স্যান্ডউইচ বানানোর প্রতিটি ধাপ আপনি আমাদের মাঝে অনেক সহজ ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে যে কেউ সহজেই স্যান্ডউইচ ঘরে বসে বানাতে পারবে। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
স্যান্ডউইচ আমারও খুব প্রিয় খাবার। তবে তার ইতিহাস জানা ছিল না। ইতিহাসটা জানতে পেরে বেশ মজাই লাগলো। আর বৌদি এভাবে স্যান্ডউইচ বানালে সত্যিই খুব বেশি মজা হয়।
দিদি খুব ভাল লাগলো আপনার বানানো স্যান্ডউইচ।আর বেশি ভাল লাগলো এর ইতিহাস জেনে।আসলে এই খাবারটি ছোটদের জন্য পারফেক্ট একটি খাবার। হোক সেটা নাস্তায় নয়ত স্কুলের টিফিনে। আপনি সামান্য কিছু উপকরন দিয়ে মজার স্যান্ডউইচ রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে।ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
চিকেন স্যান্ডউইচ কোথায় উৎপত্তি হয়েছে আর কোথাকার জনপ্রিয় খাবার কিছুই জানা ছিল না।আজ আপনার পোস্ট পড়ে কিভাবে এর উৎপত্তি হয়েছে জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। বৌদি আপনার রেসিপি মানেই ইউনিক। সব চেয়ে কম উপকরণে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকেন স্যান্ডউইচ তৈরির পদ্ধতি খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। টিনটিন বাবুর খুব পছন্দ জেনে ভালো লাগলো। এমন সুস্বাদু স্যান্ডউইচ খেতে কার না ভালো লাগে। আমার তো দেখেই জিভে জল চলে আসল। আপনার উপস্থাপনা দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ বৌদি এমন মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
চিকেন স্যান্ডউইচ কোথায় উৎপত্তি এবং কোথাকার জনপ্রিয় খাবার আমাদের জানা ছিল না। আজ আপনার পোস্টে জানতে পেরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। চিকেন স্যান্ডউইচ আসলে কমবেশি সবারই পছন্দের। আমাদের টিনটিন বাবুর পছন্দের জেনে খুবই ভালো লাগলো। খুব মজাদার চিকেন স্যান্ডউইচ তৈরি করেছেন। দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। সুস্বাদু ও লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্টের মাধ্যমে স্যান্ডউইচ এর ব্যাপারে অনেক কিছুই জানতে পারলাম বৌদি। স্যান্ডউইচ আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। বিকেলের নাস্তায় স্যান্ডউইচ খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে বৌদি। মনে হচ্ছে খেতেও দারুণ হয়েছে। সকাল সকাল এতো মজাদার একটি রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো বৌদি। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বৌদি আপনি যে চিকেন স্যান্ডউইচ তৈরি করেছেন আপনি টাইটেলে লিখেছেন খুবই সহজ পদ্ধতিতে কিন্তু আমার কাছে মনে আছে এত কঠিন এতগুলো ধাপ পার করার পরে এই চিকেন স্যান্ডউইচ আপনি তৈরি করেছেন। খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও এত পরিশ্রম করে রান্না করে খাওয়া বেশ কঠিন কাজ। আপনার তৈরি পদ্ধতিটা আমার কাছে খুবই দারুণ লেগেছে। আর দেখে তো বোঝাই যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগবে। আপনার প্রশংসা করতে হয় আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে আপনি এই স্যান্ডউইস রান্নার তৈরিতে আমাদেরকে দেখেছেন। আপনি প্রায় ২৬ টা ধাপ অতিক্রম করার পরে আপনি এটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুবই সুস্বাদু চিকেন স্যান্ডউইচ তৈরি করেছেন। আপনার এই রেসিপি তৈরিতে টমেটোর ব্যবহারটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার রেসিপি তৈরি প্রক্রিয়াগুলো অতি চমৎকারভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে, পাউরুটির উপর মেয়োনিজ মিশানো মাংস দেওয়ার বিষয়টি আমার কাছে সবচাইতে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য বৌদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দিদি অনেক লোভনীয় একটি খাবার শেয়ার করেছেন যে খাবার টি আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার। যখন আমি বের হই খাবারের দোকানে যাই তখন স্যান্ডউইচ টা আমার খুব বেশি আকর্ষণ করে। এভাবে ঘরে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনি কিভাবে তৈরি করেছেন তার প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে খুব সহজভাবে তৈরি করা যাবে ঘরে ধন্যবাদ।