"পেন্সিল স্কেচ দিয়ে আঁকা চাঁদনী রাতের দৃশ্য"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নতুন একটি পোস্ট শুরু করছি। আজ অনেক দিন পর আবার আঁকানোর চেষ্টা করেছি। বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছি কিছু আঁকি কিন্তু টিনটিন বাবুর জন্য হয়ে উঠে না। অনেক দিন না আঁকার জন্য পেন্সিল, রবার, রং পেন্সিল ও তুলি কিছুই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ভেবেছিলাম জল রং দিয়ে পেইন্টিং করবো কিন্তু খুঁজে না পাওয়ার জন্য সেটা আর হলো না। তাই কোন পথ না পেয়ে বাবুর ব্যাগ থেকে পেন্সিল দিয়ে আঁকতে হলো। টিনটিন বাবু প্রচন্ড দুষ্টু হয়েছে। তাই ও থাকলে আমাকে কোন কাজ করতে দেয় না। তাই গতকাল বিকালে কিছু সময়ের জন্য ওর মামার সাথে ঘুরতে গিয়েছিলো সেই সুযোগে কিছু আঁকানোর চেষ্টা করেছি। জানিনা আপনাদের কেমন লাগবে। অনেক দিন পর এঁকেছি তো তাই হয়তো খুব একটা ভালো হয়নি। তারপরও ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১.পেন্সিল
২. রবার
৩ স্কেল
৪. সাদা কাগজ
প্রস্তুত কারক:
১. প্রথমে কাগজের ওপর মাঝ বরাবর ছোট একটা দাগ কেটে নিতে হবে। সেই দাগের দুই প্রান্ত থেকে কাগজের নিচ পর্যন্ত দাগ কেটে নিতে হবে। ছোট একটা ব্রিজের মতো এঁকে নিলাম।
২. এরপর উপরে একটি চাঁদ এঁকে দিলাম। তার এক পাশে একটি গাছের ডাল এঁকে দিলাম। ডালে কিছু পাতা এঁকে দিলাম।
৩. খাতার নিচে কিছু ছোট ঘাস এঁকে দিলাম।আর কিছু বড় বড় ঘাস এঁকে দিলাম। এটা সৌন্দর্যের জন্য আঁকলাম।
৪. এবার পূর্ন ছবির উপর পেন্সিল স্কেচ করে দিলাম। এবং ব্রিজের উপর একটি পাখি এঁকে দিলাম।
এবার তৈরি হয়ে গেল চাঁদনী রাতের দৃশ্য।
খুব সুন্দর এঁকেছেন বৌদি। বেশ অনেকদিন পর আপনার হাতের অংকন দেখলাম, বেশ ভালো লাগছে।
বৌদি অনেকদিন পর আপনার একটা আর্ট দেখতে পেলাম। আপনি খুব সুন্দর করে একটি পেন্সিল স্কেচ করেছেন। ঠিক বলেছেন বাচ্চারা বেশ দুষ্টামি করে, যার জন্য আর্ট করা যায় না। আমি নিজেও আমার ছোট্ট মেয়েটার জন্য কোন কিছু করতে পারিনা।ওর বাবা ওকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে তখনই আমি আর্ট অথবা পেইন্টিং করতে বসি। যেমন টিনটিন বাবু একটু বাইরে যাওয়াতেই আপনি খুব সুন্দর একটি আর্ট আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন।।
প্রথমেই বলি বৌদি খুবই সুন্দর একটি আর্ট তৈরি করেছেন আপনি। আর সব থেকে বড় কথা ব্যস্ততা থাকলে এই গুলো তৈরি করা সম্ভব হয় না। কারণ এই আর্ট গুলো তৈরি করতে সময় এবং ধৈর্য উভয় লাগে। আর তারপরেও যদি বাড়িতে ছোট বাচ্চারা থাকে তাহলে তো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আপনি টিনটিন বাবুর জন্য এই আর্ট তৈরি করতে পারছিলেন না। টিনটিন বাবু যেই মামার সাথে বাহিরে গেছে আর আপনি অমনি ওই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন এবং সুন্দর একটি আর্ট তৈরি করেছেন। আপনার আর্ট দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি আর্ট শেয়ার করার জন্য।
বেশ কিছুদিন পরে আপনার পেন্সিল স্কেচের চিত্র দেখতে পেলাম।।
পেন্সিল স্কেচ এর মাধ্যমে চাঁদনী রাতের অসাধারণ একটি দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে।।
সত্যিই এমন চাঁদনী রাতে ছাদে অথবা টপ বারান্দায় বসে কফি খেতে খুবই মজা লাগে।।
আসলেই বৌদি অনেকদিন পর আপনার আর্ট দেখলাম। নিয়মিত আর্ট না করলে জিনিসপত্রের কোন ঠিক ঠিকানা থাকে না। তাছাড়া ছোট বাচ্চারা থাকলে তো এসব জিনিসপত্র আরো খুঁজে পাওয়া যায় না। যাই হোক টিনটিন বাবুর পেন্সিল রাবার দিয়ে খুব সুন্দর একটি চাঁদনী রাতের পেন্সিল স্কেল করেছেন। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে আর্টটি।
প্রায় অনেকদিন পরে আপনার কাছ থেকে একটি আর্ট দেখতে পেলাম বৌদি। আসলে ছোটদের জন্য এই ধরনের কাজ করা খুবই কঠিন। তবে এর আগে আপনার জল রঙের আর্ট গুলো ভীষণ ভালো লাগতো। আসলে অনেক দিন যদি কোন কাজ না করা হয় তাহলে সেই জিনিসপত্র গুলো খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে টিনটিন বাবু তার মামার সাথে ঘুরতে যাওয়াতে আঁকার একটা সুযোগ পেয়ে গেলেন। পেন্সিল দিয়ে হলেও খুব সুন্দর একটা আর্ট শেয়ার করলেন। ভীষণ ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেকদিন পর আপনার আর্ট দেখে ভালো লাগলো বৌদি। হয়তো ব্যস্ততার কারণে আর্ট করে শেয়ার করতে পারেন না। তবে আপনার আর্ট গুলোর সৌন্দর্য কিন্তু সত্যিই আলাদা। আর টিনটিন যেহেতু বড় হচ্ছে তাই এখন দুষ্টুমিটা একটু বেশি করবে। বাচ্চারা ছোটবেলায় দুষ্টুমি করলে তাদের ছোটবেলা গুলো পরিপূর্ণতা পায়। টিনটিন মামার সাথে বাহিরে গিয়েছিল সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আপনি এই সুন্দর আর্ট করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি বৌদি।👌👌👌👌👌
ঘরের ছোট বাচ্চারা থাকলে আর্ট করতে অনেক কষ্ট হয়। এটা নিয়ে যায় ওইটা নিয়ে যায়,কাগজ ছিঁড়ে ফেলে। আরো কতকিছু। যাইহোক গোলটু বাসায় ছিলোনা সেই সুযোগে আর্ট সম্পুর্ন করেছেন। বেশ সুন্দর আর্ট এটি আপু। পেন্সিল আর্টগিলো করতে আমারো ভিষণ ভালো লাগে।
বৌদি আপনার ড্রইং এর তুলনা হয় না পেন্সিল দিয়ে চাঁদনী রাতের দৃশ্য এঁকেছেন যেটা দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে।আর ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে তুলে ধরাতে আরও বেশি চমৎকার লাগছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল বৌদি।