দার্জিলিং এর চা বাগান ও বাতাসী লুকের প্রাকৃতিক দৃশ্যের কিছু ফটোগ্রাফি
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমরা এই দুইদিন হলো দার্জিলিং থেকে বাড়ি ফিরেছি। সত্যি বলতে আমার আসতেই ইচ্ছা করছিলো না। তারপরও পাহাড়ের সমস্ত টান উপেক্ষা করে আসতেই হবে। কারণ এখানেই তো আমাদের জীবন। আবার সেই পুরোনো দিনগুলিতে ফিরতে হবে। আসলে আসার শরীরটা ভীষণ খারাপ থাকার কারণে আপনাদের সাথে কোন কিছু শেয়ার করতে পারিনি। আজ একটু ভালো লাগছিলো তাই আবার চলে
এলাম নতুন জায়গার ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে। আপনারা জানেন আমরা এই এক সপ্তাহ প্রচুর ঘুরেছি আনন্দ করেছি আবার অনেক কেনাকাটি ও করেছি। সত্যি বলতে আমি কোথাও ঘুরতে গেলে সেখান থেকে সবার জন্য কিছু না কিছু আনা হয়। বলতে পারেন এটা অভ্যাস। কারণ আমি আনন্দটা সবার সাথে ভাগ করে নিতে পছন্দ করি। একা একা আনন্দ করতে ভালো লাগে না।
আমরা টাইগার হিল থেকে বেরিয়ে বাতাসী লুক গোয়েছিয়েছিলাম। বাতাসী লুকের পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিলো। চারিদিকে ফুল আর তাল গাছের সারি আবার তার মাঝে মাঝে ঝাউ গাছ ছিলো। সত্যি পরিবেশটা বেশ সুন্দর লাগছিলো। তার ফাঁকে ফাঁকে চা গাছ ছিলো। ওখানে গিয়ে ছেলে মেয়ে সবাই ট্র্যাডিশনাল পোশাক পরে ছবি করছিলো। তাহলে আমি কেনো বাদ যাই। আমি ও পোশাক টি পড়ে নিলাম। আমার প্রিয় মানুষটিকে বললাম।কিন্তু সে কোন ভাবেই রাজি হলো। শুধু সে আমাকে সাজিয়ে আনন্দ পায়। তার নাকি ওসব পোশাক পড়তে ভালো লাগে না। একটু মন খারাপ হলো। কিন্তু কি করা তার যখন ভালো লাগে না। তাই মনের কষ্ট মনেই চাপা রেখে দিলাম। যাই হোক বাতাসী লুকে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে আমরা বেরিয়ে পড়লাম চা বাগানের উদ্দেশ্যে।চা বাগানে পৌঁছায় ভিতরে ঢুকতেই বিশাল আকারের চা বাগান দেখে মনটা ভরে গেলো। আমরা দুজনে চা বাগানের ভেতর দিয়ে সরু পথ বেয়ে অনেক নিচে নেমে গেলাম। আমার একটু কষ্ট হচ্ছিলো কারন আমি খুব হাঁটতে পারি না। তারপর চা। বাগানের ভেতর কিছুটা সময় কাটিতে আমরা বেরিয়ে আসলাম। ভিশন কষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। একটু চা খেয়ে এবং সবার জন্য চা কিনে নিয়ে আবার গাড়িতে উঠলাম। এবার আমাদের প্রোগ্রাম ছিলো " রক গার্ডেন"। সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
ট্র্যাডিশনাল পোশাক পরে ফুল বাগানের ভেতরে। বাতাদী লুকের প্রাকৃতিক পরিবেশ।
চা বাগানের চারিদিকের পরিবেশ। আর প্রচুর মানুষের সমারোহ।
পাহাড়ি অঞ্চলে কলমী ফুল।
অনেক পুরনো বাড়ির ভাঙ্গা অংশ চা বাগানের ভেতরে।
দিদি আপনার সাথে আমিও সহমত পোষণ করছি। আপনার মত আমিও কোথাও ঘুরতে বা বেড়াতে গেলে। সেখান থেকে সবার জন্য কিছু না কিছু উপহার হিসেবে কিনে নিয়ে আসি।আর আনন্দটা সবার সাথে ভাগ করে নিতে চাই। আমিও দার্জিলিংয়ের এই চা বাগানে বেড়াতে গিয়েছিলাম। এবং আপনার মতই এই উনিফর্মিটি পড়েছিলাম।বিনোদনের ছলে আমরা সেখানে অনেক মজা করেছি। আজ আপনার ছবিটা দেখে মনে পড়ে গেল।
দিদি ট্রেডিশনাল পোশাকে আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে আপনি অনেক দারুন কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেখানের পরিবেশ সম্পর্কে জানিয়েছেন দারুন ছিল পুরো টা।
বাহ বৌদি আপনাকে তো দেখতে দারুণ কিউট লাগছে।আর,ট্রেডিশনাল লুকে যে আপনাকে এতোটা মানাবে তা তো জাস্ট ভাবতেই পারিনি।কবে যে যাবো এতো সুন্দর প্লেস এ!
দিদি এক সাপ্তাহ ভ্রমন করে জার্নি করে এসেছেন তাই শরীর ক্লান্ত লাগছে। আশা করি খুব তারাতারি সুস্থ হয়ে আমাদের সাথে সুন্দর সুন্দর ছবি গুলো সেয়ার করবেন। ট্র্যাডিশনাল পোশাক পরে ফুল বাগানের ভেতরে আর তাল গাছের নিচে আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে। দার্জিলিং খুব সুন্দর জায়গা। যত দেখছি ততই যাওয়া আগ্রহ বাড়ছে। ধন্যবাদ দিদি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আশা করছি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন এবং ভ্রমণের সুন্দর সুন্দর অনুভূতির পোষ্ট পড়তে পারবো। হ্যা, দৃশ্যগুলো সত্যি অসম্ভব সুন্দর লাগছিলো, যেন শিল্পীর তুলিতে আকা কোন দৃশ্য। তবে স্থানীয় পোষাকে আপনাকে কিন্তু বেশ বানিয়েছে বৌদি, বেশ সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ
বাতাসী লুকের পরিবেশটা অত্যন্ত সুন্দর লাগছে বৌদি যা তোমার ফটোগ্রাফিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেই জায়গার খুব সুন্দর বর্ণনাও করেছ তুমি যা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ট্র্যাডিশনাল পোশাক পরে তোমাকে বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে। যদিও দাদা এই ট্রেডিশনাল পোশাক পরতে রাজি হয়নি তাই তোমার একটু মন খারাপ হয়েছিল । দাদা আর তুমি একসাথে এই ট্রেডিশনাল পোশাক পরে ছবি দিলে খুব ভালো হত।
পাহাড়ি মেয়েটিকে দেখতে কিন্তু ভীষণ সুন্দর লাগছে বৌদি 😅😅। প্রথমে দেখে তো ভেবেছিলাম পাহাড়ি কোন মেয়ে। আর ভাবছিলাম পাহাড়ি মেয়ে তো দারুন দেখতে। এর পর দেখি এটা আর কেউ নয় আমাদের বৌদি। আসলে কোথাও ঘুরতে গেলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। কিন্তু যখন বাসায় ফেরা হয় তখন মন খারাপ হয়ে যায়। অনেক ঘুরাঘুরি করেছেন তাই শরীর একটু খারাপ লাগছে। যাইহোক বৌদি দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
চা বাগানের পাহাড়ি নতুন কন্যাটাকে দেখে কেন জানি আশ্চর্য হয়ে গেলাম। বলতে হবে দাদার পছন্দ আছে। তবে বৌদি আপনাকে অসাধারণ লাগছে। সেই সাথে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি যেন এক একটা দারুন থিমস। আমাদেরকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলোর সাথে আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
বেশ ভালো লাগছে বৌদি আপনাদেরকে পাহাড়ি লুকে। পাহাড়ি অঞ্চলের জংলি কলমি ফুল, ঝাউ গাছ আর পাহাড়ি প্রকৃতির এসব প্রাকৃতিক পরিবেশ ছেড়ে কারি বা ফিরে আসতে মনে চায়। ফটোগ্রাফি গুলো ছিল দুর্দান্ত। ধন্যবাদ বৌদি আপনাকে।