বেচেঁ যাওয়া ভাত দিয়ে ঝটপট তৈরি করুন সুস্বাদু " ডিম চিংড়ির ফ্রাইড রাইস"
বন্ধুরা
আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নতুন আর একটি পোস্ট শুরু করছি।আজ আমি বেঁচে যাওয়া ভাত দিয়ে তৈরি করে খুবই সিম্পল ফ্রাইড রাইস।আমাকে প্রায়ই এই খাবারটি তৈরি করতে হয়। আমার বাবু ভাত খুব একটা পছন্দ করে। খেতেই চায় না। ও সবসময় ফ্রাইড রাইস, নুডুলস, বিরিয়ানি এই সব খাবার খেতে চায়। কিন্তু প্রতিদিন এ গুলো খাওয়া ঠিক না তাই আমি মাঝে মাঝে ওকে ডিম, চিংড়ি, ও কিছু সবজি দিয়ে ভাত ভেজে দেই।আর ও মজা করে খেয়ে নেয়। তবে এটা সবসময় করতে পারি না।মাঝে মাঝে ধরে ফেলে। তখন তার কাকা খাবার অর্ডার করে দেয়। টিনটিন বাবু ওর কাকার চোখের মণি। যা আবদার করবে সঙ্গে সঙ্গে তাই এনে দেবে। ওর কাকা ওকে কখনো বকা পর্যন্ত দেয় না। যাই হোক তবে আজ এটি একটু বেশি তৈরি করেছি সবাই খাওয়ার জন্য। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। এটি তৈরি করতে খুব বেশি সময় লাগে না। খুব দ্রুত এটি তৈরি করা যায় এবং খেতেও অনেক মজা লাগে। মাঝে মধ্যে সখ করে ও সন্ধ্যায় আমার প্রিয় মানুষটি রান্না করতে বলে। কারণ ওর কাছে এই খাবারটি খুবই পছন্দের। চলুন মূল রেসিপিতে ফিরে যাই।
উপকরণঃ
১.সাদা ভাত - পরিমান মতো
২. ডিম -২ টি
৩.চিংড়ি -১০০ গ্রাম
৪.গাজর - পরিমান মতো
৫. বরবটি - পরিমান মতো
৬. পাতাকফি - পরিমান মতো
৭. পেঁয়াজ কুচি - ১ কাপ
৮. কাচা মরিচ কুচি - স্বাদ অনুযায়ী
৯. লবণ - স্বাদ অনুযায়ী
১০. হলুদ - হাপ্ চামচ
১১. সাদা তেল - ১ কাপ
সাদা ভাত
পেঁয়াজ কুচি, কাচা মরিচ কুচি, লবণ ও হলুদ
গাজর, বরবটি পাতা কফি
চিংড়ি মাছ
তেল
ডিম
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে সবজি গুলো ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। এরপর পরিস্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।চিংড়ি মাছ গুলো কেটে ধুয়ে নিতে হবে।
২. এবার ডিম দুটি ভেঙ্গে ঝুড়ি ঝুড়ি করে ভেজে নিতে হবে। ডিম ভাজা নামিয়ে নিয়ে একই সাথে চিংড়ি মাছ গুলো ভেজে নিতে হবে।
৩. এবার চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে কেটে রাখা সবজি গুলো দিয়ে দিতে হবে।সবজির ভিতর একে একে পরিমান মতো লবণ ও হলুদ দিয়ে কিছুক্ষণ মিডিয়াম আঁচে রেখে রান্না করে নিতে হবে। সবজি গুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৪. এরপর চুলার উপর একটা ফ্রাই প্যান বসিয়ে দিলাম। ফ্রাই প্যান গরম হয়ে গেলে পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে।তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচি ও কাচা মরিচ
কুচি গুলো দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে সেদ্ধ করা সবজি গুলো দিয়ে প্রায় ৫ মিনিটের মতো ভেজে নিতে হবে।
৫. সবজি গুলো ভাজা হয়ে গেলে ভাত দিয়ে দিতে হবে। ভাত দিয়ে কিছুক্ষন ভেজে নিয়ে ডিমের ঝুড়ি ভাজি ও চিংড়ি মাছ ভাজি দিয়ে ৫- ৭ মিনিটের মতো ধরে ভেজে নিতে হবে। এই পর্যায়ে লবণ টেস্ট করে দেখতে হবে। লবণ কম থাকলে আর একটু লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চেড়ে নিতে হবে। এবার একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু ডিম চিংড়ির ফ্রাইড রাইস। এই খাবারটি আপনারা সকালের ব্রেকফাস্টের সময় ও খেতে পারেন। এমনকি বাচ্চাদেরও বানিয়ে দিতে পারেন।
আজ এই পর্যন্তই। আগামীদিন আবার দেখা হবে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
বাচ্চারা সবসময় মুখরোচক খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে। আসলে ভাত খেতেই চায় না তারা। তাইতো বুদ্ধি করে তাদেরকে ভাতের বদলে এসব খাবার খাওয়ালে অনেক ভালো হয়। তবে আমাদের টিনটিন কিন্তু অনেক চালাক। তাইতো মাঝে মাঝে আপনার বুদ্ধি ধরে ফেলে। আর অন্যদিকে তার প্রিয় কাকা তো আছেই। তোর কাকার কাছেই সব আবদার মিটিয়ে নেয়। চিংড়ির সাথে ফ্রাইড রাইসের দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি বৌদি।
কি রেসিপি দেখালেন বৌদি। এরকম ভাবে তৈরি করলে তো যে কেউ পছন্দ করবে। আসলে সব সময় বাহিরের খাবার খাওয়া উচিত নয়, এজন্য টিনটিনকে এভাবে তৈরি করে দেন বেশ ভালই হয়। যদিও মাঝে মধ্যে ধরে ফেলে, ছোট দাদা টিনটিনের সব আবদার মেটায় এটা শুনে খুবই ভালো লাগলো। ভাবছি আপনার মত করে একদিন তৈরি করব। আমার দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।
আমাদের টিনটিন বাবু যে ছোট দাদার খুব পছন্দের সেটা তো জানি। আর এটাইতো হওয়ার কথা।
বৌদি তোমার এই রেসিপি আমি নিজেও মাঝেমধ্যে বাড়িতে করে খাই। অন্যান্য খাবারের আইটেমের তুলনায় এই খাবারটা আমার খুব পছন্দের। তবে তুমি যতগুলো চিংড়ি মাছ দিয়েছো ততগুলো চিংড়ি মাছ দিয়ে আমি কখনো করি না।
টিনটিন তো আমাদের সবারই আদরের।আসলে কিছু কিছু কাকারা অসম্ভব ভাবে ভালোবাসে তাদের ভাইয়ের ছেলেমেয়েকে।যাই হোক অনেক সময় রাতে বেঁচে যায় ভাত,সেই ভাত দিয়ে সকালে আমি নিজেও এমন সবজি দিয়ে ফ্রাইড রাইসের মত করে রান্না করি।খেতে ভালোই লাগে।আসলে সব বাচ্চারাই মনে হয় ভাত খেতে চায় না,আমার ছেলেও এমন।বৌদি চিংড়ি দেওয়াতে মনে হয় স্বাদ আরো বেড়ে গিয়েছে। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
ওয়াও এভাবে হাতে প্রস্তুত করা ফ্রাইড রাইস দেখে তো আমার এখনই খেতে ইচ্ছে করছে বৌদি। বেঁচে যাওয়া ভাত দিয়ে এভাবে ফ্রাইড রাইস তৈরি করা জানলে আমিও সকালবেলা বানিয়ে খেতাম ।কারণ আমার কাছেও এ ধরনের খাবার গুলো খুবই ভালো লাগে। টিনটিন বাবুর জন্য বেশ চমৎকার রেসিপি করেছেন। এ খাবার খুবই পুষ্টিগুণ হবে আমার মনে হয় কারণ কয়েক ধরনের সবজি মেশানো হয়েছে ।এছাড়া চিংড়ি মাছ দিয়ে বানালে তো খেতে বেশি ভালো লাগে।
ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো😅 আম্মু প্রায়দিনই স্কুলে যাওয়ার আগে আমায় আগের রাতর বেচে যাওয়া ভাত এভাবে বানিয়ে দিতো।সাথে হয় ডিম ভেজে দিতো নাহয় কোনো তরকারি থাকতো।
বৌদি আপনার এই আইডিয়াটা ভালো লেগেছে।কারণ,চিংড়ি মাছ এমনিতেই আমার অনেক পছন্দের। এবার বাসায় গেলে আম্মুকে বলবো এভাবে বানানোর জন্য😊।
ভালো থাকবেন 💚
সত্যি বৌদি টিনটিন বাবুতো আমাদের সবারই আদরের বাবু।বেশির ভাগ কাকারাই ভায়ের ছেলেমেয়েকে চোখের মনি করে।এমন ভাবে সুস্বাদু ডিম চিংড়ির ফ্রাইড রাইস বানলে টিনটিন কেনো যে কেউ খেতে অনেক পছন্দ করবে।এগুলো আমার বাচ্চাদের অনেক পছন্দ। আমি মাঝে মাঝে এভাবে তৈরি করি কিন্তু চিংড়ি দেওয়া হয় না৷ আপনি চিংড়ি দেওয়াতে মনে হচ্ছে স্বাদ অনেক বেড়ে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি বেশ সুন্দর করে চিংড়ি এবং ডিম দিয়ে ফ্রাইড রাইস তৈরি করেছেন।মাঝে মধ্যে এভাবে খাবারের মধ্যে ভিন্নতা আনলে খেতে অনেক ভালো লাগে।আপনি আপনার প্রিয় মানুষের জন্য খুব মজার একটি খাবার তৈরি করেছেন জেনে খুব ভালো লেগেছে।সব চাচারাই এমন তাদের ভাতিজাদের খুব বেশি ভালবাসে ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
খুবই মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন বৌদি। আসলে আমি মনে করি মাঝে মাঝে বাচ্চাদের খাবারের ভিন্নতা নিয়ে আসা দরকার সব সময়ই নুডলস বিরিয়ানি এ ধরনের খাবার খাওয়ালে হয়তো একটা সময় অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই খাবারে ভিন্নতা নিয়ে আসা দরকার। ছেড়ে দিয়ে মজাদার ফ্রাইড রাইস রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদও ছিল। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটাকে ফ্রাইড রাইস বললেও আমাদের বাঙ্গালীদের কাছে এটা আমাদের প্রিয় ভাতভাজা।এই খাবার যে খেয়েছে সেই এর মর্ম বুঝবে।বাসী ভাত এভাবে ভেজে খেতে যে কি সুস্বাদু লাগে এটা কেউ বুঝবে না।হয়তো অনেকে লেফট ওভার বলে নাকশিটকোতে পারে।কিন্তু না জানিয়ে খাওয়ালে সে এটাকে ফ্রাইড রাইস ভেবেই খাবে। দারুন একটা রেসিপি শেয়ার করলেন।আমার মা তো এতে আবার আলু ও দেয়।
লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন বৌদি। আমার মনে হয় টিনটিন বাবু এই খাবারটি অনেক মজা করে খেয়েছে। আপনার তৈরি এই রেসিপিটি দেখে আমারই খেতে অনেক ইচ্ছা করছে। আপনার মাধ্যমে নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে বৌদি সুস্বাদু এই রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আসলে সব সময় বাচ্চার এক রকম খাবার খেতে চায় না। বিভিন্ন রকম খাবার খেতে তারা পছন্দ করে। বেঁচে যাওয়া ভাত দিয়ে চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। খুব কম সময়ে বিভিন্ন রকম সবজি দিয়ে চমৎকার একটি ফ্রাইড রাইস তৈরি করেছেন। এ ধরনের খাবারগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে তবে সাথে চিংড়ি মাছ থাকলে তো কথায় নেই। চিংড়ি মাছ যেভাবে রান্না করা হোক না কেন খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। চিংড়ি মাছ দিয়ে এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দিদি ভাই আপনি খুব মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখে খুব ভাল লাগলো। বেঁচে যাওয়া ভাত এভাবে সবজি,ডিম,চিংড়ি দিয়ে রান্না করলে বেশ মজা লাগে।গরম গরম খেতে অসাধারণ লাগে। 🥰🥰👌 রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি।অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
আগে যখন মেসে ছিলাম তখন প্রায় এই কাজটা করতাম।কারণ প্রতিদিন অনেকগুলো করে ভাত বেচে যেত।আর এরকম করে ভাত ভেজে খেতেও দারুন স্বাদ।তবে নিয়মিত খাওয়াটাও ঠিক না।
আজকাল বাচ্চারা খাবার নিয়ে বেশ বায়না করে। আর বাইরের খাবারের স্বাদ একবার যদি পেয়ে যায় ,তাহলে তাদের ঘরের খাবার আর পছন্দ হয় না। আমিও মাখে মাঝে বেচে যাওয়া ভাত এভারে ফ্রাইড রাইস বানিয়ে ফেলি। আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন মা প্রায়ই এটা বানিয়ে দিতেন টিফিনের জন্য। আর আপনার তৈরি করা ফ্রাইড রাইস একটি ফুল মিল হয়ে গেছে যা খেলে খাদ্য উপাদান সবই পাওয়া যাবে। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বৌদি টিনটিন বাবু সবসময় এসব খাবার খায় ৷ যা টিনটিন বাবু জন্য এখ এখন প্রোটিন ভিটামিন জাতীয় খাওয়া প্রয়োজন ৷
যা হোক বেচেঁ যাওয়া ভাত দিয়ে ঝটপট তৈরি করুন সুস্বাদু ডিম চিংড়ির ফ্রাইড রাইস দারুন ছিল ৷
আসলে আমাদের এ দিকেও বেচে চাওয়া ভাত পিয়াজ মরিচ তেল লবন দিয়ে ভেজে খায় ৷ তবে আপনার মতো এতকিছু দিয়ে কখনো খাওয়া হয় নি ৷ দেখে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ বৌদি ৷
দিদি আপনার তৈরি ফ্রাইড রাইস খুবই সুন্দর হয়েছে। ফ্রাইড রাইস আমার কাছে খুবই প্রিয় একটি খাবার। আপনি অনেক উপকরণ দিয়ে ফ্রাইড রাইস তৈরি করেছেন জানি খুবই সুস্বাদু হবে খাইতে। বলতে গেলে আপনার ফ্রাইড রাইস রেসিপিটি একদমই ইউনিক ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
একদম বাচ্চাদের এই ফ্রাইড রাইস টি অনেক পছন্দের।আমাদের বাসায় ও এরকম প্রায় ডিম দিয়ে বেঁচে যাওয়া ভাত ভেজে খাওয়া হয়।তবে এভাবে চিংড়ি সবজি ডিম একসাথে দিয়ে খাওয়া হয়নি কখনো।রেসিপি দেখেই মনে হচ্ছে বৌদি খেতে ভালো হয়েছিল।এজন্যই বাবু মজা করে খেয়ে নেয়।ধন্যবাদ আপনাকে বৌদি সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।