পাঞ্জাবের জনপ্রিয় রেসিপি "রাজমা মসালা"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আবার আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করতে চলে আসছি।আজ আমি উত্তর ভারতের একটি রেসিপি শেয়ার করবো। আর তা হলো রাজমা মসালা।তবে এর আগে কখনো রান্না করা হয়নি আর খাওয়া হয়নি। তাই ভাবছিলাম একদিন রাজমা রান্না করবো।রাজমা পাঞ্জাবের একটি জনপ্রিয় খাবার। রাজমা কমবেশি আমরা সকলে চিনি। রাজমা উপকারী একটি খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। রাজমা এক ধরনের শিম বীজ। আর পরিপক্ক শিম বীজে প্রচুর আমিষ ফাইবার ও স্নেহ জাতীয় উপাদান রয়েছে। রাজমায় রয়েছে প্রায় ২৪ গ্রাম প্রোটিন। ভাতের সঙ্গে রাজমা সম্পূর্ণ প্রোটিন খাবার হিসেবে জনপ্রিয়। রাজনা খাবার হজমে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। রাজমা ডায়াবেটিসের জন্য আদর্শ খাদ্য। এই রাজমা রক্ত তৈরি করে এমন আয়রন ফসফরাস রয়েছে। যার দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে এবং এর মধ্য থাকা ভিটামিন এ স্নায়ুতন্ত্র কে রক্ষা করে। রাজমা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এতে উচ্চ মানের প্রোটিন ও ফাইবার থাকে। এই খাবার প্রতিদিন খেলে খাওয়ার প্রবণতা অনেক কমে। ফলে যাওয়ার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিরোধী স্টার্চ।যা ওজন কমাতে খুব সাহায্য করে। এই খাবারে উপকার রয়েছে তেমনি খেতে ও অনেক সুস্বাদু। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল রেসিপিতে ফিরে যাই।
উপকরণ:
১.রাজমা -৩০০ গ্রাম
২. পেঁয়াজ কুচি -১ কাপ
৩. টমেটো কুচি - বড় সাইজের একটি
৪. আদা ও রসুন বাটা -১ চামচ
৫. সাদা তেল - পরিমান মতো
৬. লবণ - ২ চামচ
৭. হলুদ -১ চামচ
৮.জিরা গুঁড়া - ১ চামচ
৯. শুকনো মরিচ গুঁড়া - পরিমান মতো
১০. গরম মসলা - ১ চামচ
১১. শাহী জিরা -১ চামচ
রাজমা
পেঁয়াজ কুচি
টমেটো কুচি
আদা ও রসুন বাটা
অলিভ ওয়েল
প্রস্তুত প্রণালী:
১.প্রথমে রাজমা ভালো করে ধুয়ে প্রেসার কুকারে দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
২. এরপর চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে।কড়াই গরম হয়ে গেলে পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে শাহী জিরা দিয়ে একটু ভেজে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে এর একটু নেড়ে চেড়ে টমেটো কুচি ও আদা ও রসুন বাটা দিয়ে মিনিট খানেক ভেজে নিতে হবে।
৩. পেঁয়াজ কুচি ও টমেটো কুচি ভাজা হয়ে গেলে পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। এর মাঝে সামান্য একটু জল দিয়ে আবারো মসলা ভালো করে কষিয়ে নিয়ে সেদ্ধ রাজমা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চেড়ে ভেজে নিয়ে পরিমান মতো জল দিয়ে দিতে হবে।
৪. এবার একটানা জ্বাল দিতে হবে। ঝোল কমে আসলে এক চামচ গরম মসলা দিয়ে দিতে হবে। এবার ৫ মিনিট পর ধনে পাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। তবে আমি ধনে পাতা দেয়নি। আমি ধনে ও তেজপাতার খুবই অপছন্দ করি তাই।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু রাজমা মসালা।এটি রুটি বা গরম ভাতের সঙ্গে ও পরিবেশন করতে পারেন।
ভারতের অসংখ্য প্রদেশ আর সেই প্রদেশ গুলোর রয়েছে আলাদা আলাদা খাদ্য। পাঞ্জাবের রাজমা মসালা রেসিপি টা প্রথমবার দেখলাম। বিশেষ করে রাজমা জিনিসটা তো প্রথমবার দেখলাম। রেসিপি টা বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
রাজমা নামটি শুনেছিলাম অনেকবার। তবে এর যে এতো গুনাগুন আমাদের শরীরের জন্য এটা একটুও জানতাম না। আমাদের দেশে সম্ভবত এমন রাজমা পাওয়া যায়না। তাহলে রেসিপিটি ট্রাই করতে পারতাম। যাক আপাদত দেখেই খুশি থাকি। কখনো পেলে বানানো যাবে। যেহেতু উপকারী অনেক ট্রাই তো করতেই হবে একবার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রাজমা নামটা আমি এর আগে শুনেছি বলে মনে হয় না বৌদি। কিন্তু এটার যে এত বেশি গুনাগুন আর উপকারিতা তা জেনেও অবাক হলাম। তবে এটা আপনি যে আজকে প্রথম তৈরি করেছেন এটা মনে হচ্ছে না। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু একটা খাবার। এর গুনাগুণ যেহেতু এত বেশি নিশ্চয়ই শরীরের পক্ষে ভীষণ ভালো। সবাই নিশ্চয়ই অনেক পছন্দ করেছে আপনার রান্নাটা। অনেক ধন্যবাদ বৌদি এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু এই বিচিকে আপনারা রাজমা বলেন তবে আমরা অন্য নামে চিনি।আমরা এই শিমের বিচিকে কোষা ফেলে দিয়ে বিভিন্ন মাছের সাথে রেসিপি করে খেয়ে থাকি।আপনি ঠিক বলেছেন এই খাবার প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন এবং আমিষ সমৃদ্ধ একটি খাবার।শুনে ভালো লাগলো রাজমা ভারতের পাঞ্জাব শহরের একটি জনপ্রিয় খাবার।আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন বৌদি। রেসিপি দেখে আমার খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আসলে আমরা একে শিমের বিচি বলে থাকি। এই রেসিপির পরিবেশন দেখে শিখে নিলাম, পরবর্তীতে তৈরি করবে ইনশাল্লাহ।
রাজমা নামটি আমি শুনেছি।কিন্তু কিভাবে রান্না করা হয়, তা জানা ছিল না।আজ দিদি আপনার রেসিপি করা দেখে শিখে নিলাম। খুব মজা যে হয়েছে তা রান্নার প্রসেস দেখেই বুঝতে পারছি। রেসিপিটি আপনি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করলেন, দেখে শিখে নিতে পারলাম।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি।অনেক শুভকামনা রইল দিদি আপনার জন্য।
রামজা নামটি আমার কাছে একেবারেই নতুন। যদিও এ খাবারটি ইন্ডিয়ার পাঞ্জাবে এলাকায় খুবই জনপ্রিয় খাবার তা আজ আপনার থেকে জানতে পারলাম। তবে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এই সিমের বীজকে আমরা হ্যালন বলি। হ্যালন এর ডাল খুব মজাদার, গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় খাবার। আপনার রেসিপিটি দেখে অসাধারণ লাগছে। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
রাজমা মসালা রেসিপি আজকে প্রথম দেখলাম। এমন কি রাজমা সম্পর্কে কোনদিন ধারণা ছিল না। তবে বুঝতে পারলাম রাজমা এক প্রকারের শিমের বিচির মত। পাঞ্জাবীদের খাবারের ধরন একেবারেই আলাদা। আমরা বাঙালিরা যেমন ভিন্ন ধরনের খাবার খাই তেমনি তারাও তাদের খাবারের মাঝে ভিন্নতা আনার চেষ্টা করে। এই রেসিপি কিন্তু আমার দারুন লেগেছে। মনে হচ্ছে খেতে ভালই হয়েছিল। ধন্যবাদ বৌদি দারুন একটি ভিন্ন ধরনের রান্নার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
রাজমা নামটা আমি এর আগে শুনেছি বলে মনে হয় না। আজকে প্রথম আপনার রেসিপির মাধ্যমে এই খাবারের নামটি জানলাম। একদম নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন বৌদি। তার পাশাপাশি এর গুনাগুন সম্পর্কেও জানতে পারলাম। বেশ ভালো লাগলো রেসিপিটি। খেতেও নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ বৌদি চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।