"মায়ের হাতে তৈরি করা চাল কুমড়ো বড়ি "

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

বন্ধুরা
আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি অন্য রকম কিছু শেয়ার করবো। আজ আমি চাল কুমড়ো বড়ি তৈরি করা শেয়ার করবো। তবে এটি আমার মায়ের হাতে তৈরি। এই কুমড়ো ফুল কম বেশি অনেকেই চেনে। বাজারে এই কুমড়ো বড়ি কিনতে পাওয়া যায়।এই বড়ি তরকারিতে দিলে স্বাদ বহুগুণ বেড়ে যায়। আমাদের বাড়িতে প্রায় সকলেই এই কুমড়ো বড়ি খেতে খুব পছন্দ করে।তবে এটি আমি তৈরি করতে পারি না। এটি তৈরি করতে বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আর আমার এত ধৈর্য নেই। তাই মা আমার কাছে আসলে কুমড়ো বড়ি তৈরি করে দিয়ে যায়। আর আমার মা সব কাজে দক্ষ। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

IMG_20220130_221202.jpg

উপকরণ:
১. বিউলির ডাল - ২ কিলো
২. চাল কুমড়ো - ৫০০গ্রাম
৩. লবণ - ১ চামচ
৪. জল - পরিমান মতো

IMG_20220110_181726.jpg
বিউলির ডাল

IMG_20220110_100006.jpg
চাল কুমড়ো
প্রস্তুত প্রণালী:
১.প্রথমে ডাল জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার নিতে হবে। এরপর জল দিয়ে ডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে প্রায় ১০- ১৫ ঘণ্টা।

IMG_20220110_084603.jpg
২. এবার চাল কুমড়ো ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে কুড়িয়ে নিতে হবে। এরপর কুড়ানো চাল কুমড়ো থেকে যে জল বেরিয়ে আসবে সে জল হাত দিয়ে চেপে ফেলে দিতে হবে।

IMG_20220110_095558.jpg

IMG_20220110_104152.jpg

IMG_20220110_174152.jpg

IMG_20220110_181459.jpg
৩. এবার ব্লেন্ডারে ডাল ও অল্প করে চাল কুমড়ো নিয়ে একসাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এভাবে সব ডাল ব্লেন্ড করতে হবে। এরপর ওই ডাল হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে।

IMG_20220111_082901.jpg
৪. এবার ছাদের উপর রৌদ্রে ভিতর একটা পরিস্কার কাপড় মেলে দিতে হবে। এরপর মাখানো ডাল থেকে অল্প অল্প ছোট ছোট বড়ি কেটে দিতে হবে। এভাবে সব ডাল দিয়ে বড়ি করে নিতে হবে। এবার বড়ি গুলো সপ্তাহ খানেক ধরে রৌদ্রে শুকিয়ে নিতে হবে।

IMG_20220111_083005.jpg

IMG_20220111_083324.jpg

IMG_20220111_091836.jpg

IMG_20220111_144338.jpg

৫. রৌদ্রে শুকিয়ে গেলে বড়ি গুলো রান্না করে খাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যাবে।

IMG_20220130_221202.jpg

এবার তৈরি হয়ে গেল কুমড়ো বড়ি। এটি তরকারিতে দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়। এই বড়ি খেতে অনেক মজার। চাইলে এটি আপনারাও বাড়ীতে তৈরি করে নিতে পারেন। তবে। আমার মতো অলস হলে কেনা বড়ি খেতে হবে । হা হা হা

Sort:  

আমি এবং আমার পরিবারের সকলেই চাল কুমড়ার বড়ি ভীষণ পছন্দ করে। আমার মাও বাড়িতে তৈরি করেন। আমি অনেক বার দেখেছি বানাতে। ঠিক এমন ভেবেই মা কাজ গুলো করেন। তবে এই কাজগুলোর জন্য সত্যিই অনেক সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন। আর আপনি অলস এটা আমি তো মানতেই পারলাম না গো দিদিভাই 😅।

 2 years ago 

অও,দারুণ হয়েছে বৌদি চাল কুমড়ো বড়িগুলি।আপনার মা খুবই সুন্দরভাবে তৈরি করেছেন যেটি একদম দোকানের মতো দেখতে লাগছে।চাল কুমড়ো বড়ি খেতে অনেক স্বাদের, ভালো লাগলো বড়ি তৈরি দেখে।বেশ অনেক বড়ি তৈরি করেছেন আপনার মা।এটা অনেক পরিশ্রমের ও সময়সাপেক্ষ কাজ।

 2 years ago 

এই কুমড়ো বড়ির রেসিপি দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। এখন অব্দি চেখে দেখা হয়নি। তবে আমি ইউটিউব এ এর ভিডিও দেখেছি। আমার কাছে বানানোর ধাপ গুলো অনেক ভালো লাগে। ঠাকুমা খুব সুন্দর করে কুমড়ো বড়ি গুলো বানিয়েছেন। তবে আমি ডাল এর নাম টা চিনলাম না।

 2 years ago 

চালকুমড়ার বরি বানানো বেশ কষ্টকর মনে হচ্ছে। বিউলির ডাল টা চিনলাম না এই প্রথম দেখছি। সবথেকে কঠিন কাজ হল ছোট ছোট করে কাপড়ের উপর দেয়া। এটিকে আবার শুকিয়ে মচমচে করতে হয়। ভালো কাজ করেছেন আপনার মা কে দিয়ে অনেক গুলো বানিয়ে নিয়েছেন। অনেক দিন খেতে পারবেন।

 2 years ago 

আগে খাইতাম না,ইদানিং ভালো লাগা শুরু হয়েছে।
দাদি নিজে হাতে তৈরি করতো কিন্তু তিনি আর বেচে নেই😔।সেজন্য বাড়িতে আর বানানো হয়না,বাজার থেকেই কেনা হয়।
খুব সুন্দর করে পদ্ধতি তুলে ধরেছেন বৌদি।শুভ কামনা জানাই

 2 years ago 

কুমড়া বড়ি তৈরির উপস্থাপন থেকে খুবই ভালো লাগলো। এভাবে তৈরি করা হয় এর আগে আমি কখনও দেখিনি। তবে এই বুড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে তরকারি এবং ডালের সাথে খাওয়া যায়। আপনার মায়ের হাতে তৈরি করার উপস্থাপন আমার অনেক ভালো লেগেছে।

 2 years ago 
খুবই অসাধারণ হয়েছে বৌদি আপনার মায়ের হাতের চাল কুমড়োর বড়ি রেসিপিটি।আসলে রেসিপির প্রস্তুত প্রনালীর ধাপ দেখেই বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি একটু জটিল এবং সময়সাপেক্ষের।তারপর ও আপনার মা আপনার জন্য অনেক কষ্ট করে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। আসলে মা তো সন্তানের ভালো কিছুর জন্য সদা সর্বদা প্রস্তুত।অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি প্রথমে আপনার মা'কে যিনি এত কষ্ট করে আপনার জন্য এত চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন এবং আপনার মাধ্যমে আমরা এই চমৎকার রেসিপিটি দেখতে পেরেছি। তাই আপনাকেও অন্তরের অন্তস্তল থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
 2 years ago 

চাল কুমড়ো দিয়ে বড়ি বানানোর প্রক্রিয়া আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছে। এত লম্বা সময় নিয়ে ডাল ভিজিয়ে রাখা, কুমড়ো কুড়িয়ে নেওয়া, ডাল কুমড়ো একসাথে ব্লেন্ড করে নেওয়া এগুলো ইউনিক বেপার। তারপর ছাদে কাপড় মেলে তার উপর বড়ি বানিয়ে রোদে দেওয়া এগুলো বাস্তবে দেখতে নিশ্চয়ই খুব সুন্দর লাগে। আমি কখনো বড়ি খাইনি। আপনার পোস্টে দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভাল লাগবে। ধন্যবাদ দিদি।

 2 years ago 

শুধু তরকারি কেন আমি তো এমনিতেই ভেজে, কাচা মরিচ দিয়ে ভর্তা বানাই।যদিও ভাঙতে কষ্ট হয়।এরপর এই ভর্তা গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক মজা।আপনাদের বড়িগুলো অনেক ভাল হয়েছে।আশা করি পর্যাপ্ত শুকিয়েছেন নতুবা গন্ধ হয়ে যাবে।

 2 years ago (edited)

ওয়াও কি সুন্দর হয়েছে চালকুমড়ার বড়ি গুলা , যদিও কোনদিন টেস্ট করা হয় নি কিন্তু আপনার মার বানানো চাল্কুমড়ার বড়ি গুলো সত্যি টেস্ট এর আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিল ,আপনার মা সত্যি প্রশ্নংসার দাবিদার যে ধোর্যে সাথে এই রেসিপি বানিয়েছে , আর আপনাকে ধন্যবাদ আপু চাল্কুমরার বড়ির খাবার টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59404.52
ETH 2610.92
USDT 1.00
SBD 2.41