"মায়ের হাতের তৈরি আম কাসুন্দি"
বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আজ আমি পুরোনো দিনের খাবার নিয়ে আবার চলে এলাম। এখন বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাকা আম ও সেই সাথে কাচা আম পাওয়া যায়। কাচা আম দিয়ে আম কাসুন্দির রেসিপি শেয়ার করবো। আসলে বেশ কয়েকদিন ধরে আপনাদের দাদা বলছিলো আম কাসুন্দি তৈরি করতে। কিন্তু আমি সরিষার কাসুন্দি বা আম কাসুন্দি কিছুই তৈরি করতে পারিনা। অনেক বার চেষ্টা করেও পারিনি। আসলে কাসুন্দি পুরনো দিনের খাবার তাই হয়তো চেষ্টা করে ও তৈরি করতে পারিনি। তাই মা তৈরি করেছিল। আসলে তার আদরের জামাই কিছু খেতে চাইলে মা যেভাবে হোক তৈরি করে খাওয়ায়। যদিও আমি কাসুন্দি খুব একটা খাই না। কিন্তু একটু খানি খেয়ে দেখি অনেক স্বাদ হয়েছে। তবে আপনাদের দাদা দুইবারই ভাতের সঙ্গে খায়। তাই ভাবলাম সাথে শেয়ার করা যাক।আশা করি, আপনাদের ও ভালো লাগবে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল পর্বে ফিরে যাই।
উপকরণ:
১. কালো সরিষা গুঁড়া - ২০০ গ্রাম
২. জিরা গুঁড়া - ১ চামচ
৩. গরম মসলা - ১ চামচ
৪. শুকনো মরিচ গুঁড়া - ২ চামচ
৫. সরিষার তেল - ১ কাপ
৬. কাচা আম - ১ কিলো
৭. লবণ - ১ চামচ
প্রস্তুত প্রণালী:
১.প্রথমে আম গুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর হ্যান্ড গ্রেটার দিয়ে ভালো করে গ্রেট করে নিতে হবে।
২. এরপর গ্রেট করা আম ভালো করে চেপে জল ফেলে দিতে হবে।
৩. এবার চেপে নেওয়া আমের ভিতর একে একে সরিষার গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, গরম মসলা , শুকনো মরিচ গুঁড়া ও সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে একসাথে মেখে নিতে হবে।
৪. আম মাখানো হয়ে গেলে একটা কাচের বয়ামে রেখে দিতে হবে।এবার বয়ামের মুখ ভালো করে লাগিয়ে দিতে হবে। তবে আর বিষয় হলো এই কাসুন্দির মুখ তিন দিনের আগে এই কৌটার মুখ খোলা যাবে না। তাহলে এই কাসুন্দি নষ্ঠ হয়ে যেতে পারে।
এবার তৈরি হয়ে গেল আম কাসুন্দি। তবে এই কাসুন্দি মাঝে মাঝে রৌদ্রে দিতে হয়। তাহলে কাসুন্দি দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। আর এই কাসুন্দি আপনারা ভাতের সঙ্গে ও খেতে পারেন।
এই রেসিপিটি দেখেই জিভে জল চলে আসলো বৌদি। মুড়ির সাথে কাসুন্দি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। প্রতিবছর আমাদের বাড়িতেও কাসুন্দি হয়ে থাকে তবে এই বছর আমাদের বাড়িতে কাসুন্দি করা হয়নি কিন্তু এই খাবারটি সত্যিই আমার খুব প্রিয়। এখন যদি কাঁচা আম পাওয়া যায় তাহলে মাকে এই রেসিপি অবশ্যই করতে বলবো। এই রেসিপিটি এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ বৌদি।
আদরের জামাই বলে কথা। আদরের জামাই খেতে চাইলে মা তৈরি করে খাওয়াবে না সে কি হয় বৌদি? বেশ সুন্দর করে রেসিপিটি তৈরি করা হয়েছে বুঝাই যাচ্ছে। আমি কখনো আমের কাসুন্দি খাইনি। তবে আপনার রেসিপিটি বানানো দেখে বেশ খেতেই মন চাচ্ছে।
বৌদি মায়ের হাতের যেকোনো জিনিস খেতে অনেক ভালো লাগে। কারণ মা যে জিনিস তৈরি করে তার মধ্যে ভালোবাসা থাকে। আপনি মায়ের হাতে তৈরি আম কাসুন্দি তৈরি করেছেন। যদিও আমের কাসুন্দি কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার তৈরিতে দেখে এটার বানানো শিখে গেলাম। পরবর্তীতে এভাবে বানিয়ে খেতে পারবো। ধন্যবাদ বৌদিএত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
বৌদি মায়ের হাতের তৈরি বেশ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে।
আদরের জামাই খেতে চেয়েছে আর মা সেটি তৈরী করে দিয়েছে। মা বলে কথা, মাএমনই হয় সন্তান কিছু চাইলে মা সেটা না দিয়ে পারেই না।
অনেক ধন্যবাদ বৌদি সুন্দরও ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আসলেই বৌদি, জামাইয়ের পছন্দের খাবারটি সকল শাশুড়ি তার আদরের জামাইকে তৈরি করে খাওয়াতে পছন্দ করে।আম কাসুন্দি তৈরি করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে আম কাসুন্দি তৈরীর বর্ণনা গুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। খুবই মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মায়ের হাতের যে কোন খাবারই খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে আমার কাছে। বৌদি আপনার মায়ের হাতের আম কাসুন্দি সত্যিই চমৎকার হয়েছে । এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি । তবে শিখে রাখলাম অবশ্যই একদিন করে দেখব ।দাদা তো বেশ মজা করে খেয়েছে বুঝতে পারছি । ধন্যবাদ বৌদি।
বৌদি আপনার মায়ের হাতের কাসুন্দি বানানো দেখে জিভে জল চলে এলো। কাসুন্দি দিয়ে আম বড়াই, পেয়ারা, এসব মেখে খেতে দারুন লাগে।আপনি খুব একটা পছন্দ না করলেও দাদা কিন্তু দিনে দুবার খায় এই কাসুন্দি। মায়ের জন্য অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।♥♥
কাঁচা আম এভাবে রেসিপি করে খাওয়া হয় এটা আমার কখনো জানা ছিল না।আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে তা তৈরি করে দেখিয়েছেন। ঘরে বসে কাঁচা আম দিয়ে সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করাছেন তা দেখে বেশ ভালো লাগলো।
Estimada amiga encantado de ver esa receta. Te cuento que aquí en mi país también estamos en temporada de mangos y usamos Los mangos verdes para hacer jalea. Pero es impresionante ver otras utilidades que tiene esta fruta maravillosa del cual podemos disfrutar tanto en tu país como en el mío. Gracias por mostrarnos esa buena preparación. Te deseo bendiciones y éxitos.