বাংলাদেশের গ্রাম: "পরন্ত বিকেলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এর ফটোগ্রাফি"

in আমার বাংলা ব্লগlast year

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। বাংলাদেশ গিয়ে প্রতিদিন বিকালে আমরা ঘুরতে যেতাম। বাংলাদেশ গিয়ে সপ্তমীর দিন ভ্যান গাড়িতে প্রথম পূজা দেখতে বেরোলাম। সেই থেকে টিনটিন বাবু ভ্যান গাড়িতে উঠার জন্য সব সময় এক্সসাইটেড থাকতো। আসলে টিনটিন বাবু প্রাইভেট গাড়িতে উঠতে চায় না। বাবু চায় গাড়িতে বসে বাইরের প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখবে। তাই বাবুর জন্য একটা ভাড়া করে রেখেছিলাম বাবু যে কয়েকটা দিন গ্রামে থাকবে ততদিন বিকালে বাবুকে ভ্যান গাড়িতে করে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হবে।
হটাৎ করে দশমীর দিন আপনাদের দাদা বললো চলো আজকে পাওয়ার প্ল্যান্টে ঘুরতে যাওয়া যাক। আর সেদিন সারাদিন আকাশ ছিলো মেঘলা। কিন্তু এক ফোঁটাও বর্ষা হয়নি। বিকালে ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনে বাবু তাড়াতাড়ি নতুন জামা প্যান্ট পরে একেবারে রেডি। কারণ ঘুরতে যাওয়া মানেই ভ্যান গাড়িতে করে যাওয়া। ভ্যান গাড়িতে বসে চারপাশের পরিবেশটা দেখতে বেশ। লাগছিলো। তার উপর বাতাসের শো শো শব্দ কানে ভেসে আসছিলো। যত পাওয়ার প্ল্যান্টের কাছে যাচ্ছিলাম ততই চোখে আসছিলো সুউচ্চ প্ল্যান্টের চিমনী দিয়ে কালো ধোয়া আকাশের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। এক দিকে রাস্তার পাশ দিয়ে ছোট বড় অনেক গুলো ঘের।সেখানে গলদা চিংড়ি, বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় মাছ, বাগদা চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষ করা হয়। হটাৎ এক সময় চোখ পড়লো পশ্চিমাকাশে। সমস্ত আকাশ যেন সিঁদুর রাঙা মেঘে ঢেকে যাচ্ছে। এরকম বিকালে গোধুলীর আকাশ দেখতে খুবই ভালো লাগে।

সত্যি বলতে এরকম আকাশ আগে কখনো দেখিনি। তাই কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আবার রাস্তার চারপাশে সারি সারি কাশফুল গুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে। শরতের আকাশে সিঁদুর রাঙা মেঘের খেলা আর কাশফুলের যেন মেলা বসছে। এরকম একটা পরিবেশ এই ইট পাথরে ঢাকা শহরে হাজার খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। পশুর নদীর তীরে ১২০০ বিঘার উপর এই বিশাল বড় পাওয়ার প্ল্যান্টটি অবস্থিত। প্ল্যান্টের ভিতরের আলো গুলো দেখে মনে হচ্ছে যেন তারার মেলা বসছে।

IMG_20231017_170301.jpg

IMG_20231017_170235.jpg

IMG_20231017_170307.jpg
ইট পাকা রাস্তার চারপাশে বড় বড় মাছ চাষ করার ঘের। আবার প্রচুর পরিমাণে গেওয়া গাছে ভরপুর। পচ্ছিমাকাশে পরন্ত বিকেলের সূর্য কেমন কেমন জ্বল করছে।

IMG_20231017_170620.jpg
পরন্ত বিকেলে সূর্য গাছের ভিতর দিয়ে উঁকি দিচ্ছে।

IMG_20231017_172057.jpg

IMG_20231017_172132.jpg

IMG_20231017_172136.jpg

IMG_20231017_172243.jpg
বড় বড় মাছ চাষ করার ঘের। বিকেলে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আকাশের রং। গ্রামের একটা বিষয় আমি খুব মিস করি সেটা হলো সকালে সূর্য ওঠা ও বিকেলে সূর্য অস্ত যাওয়া।

IMG-20231101-WA0008.jpg

IMG-20231101-WA0011.jpg

IMG-20231101-WA0009.jpg
গোধূলী বিকেলে সমস্ত পশ্চিমা আকাশ সিঁদুর রাঙা মেঘে রাঙিয়ে দিয়েছে। তার সাথে পাওয়ার প্ল্যান্টের সুউচ্চ চিমনির কালো ধোঁয়া সিঁদুর রাঙা মেঘের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।

Sort:  
 last year 

বাহ্ দিদি ফটোগ্রাফিগুলো তো জাস্ট মাইন্ড ব্লইং হয়েছে। টিনটিন বাবুকে গ্রামের পরিবেশ দেখানোর জন্য ভ্যান ভাড়া করেছেন বেশ ভালো লাগলো শুনে। গ্রামীন প্রকৃতি সবসময়ই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। টিনটিন বাবু গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও উপভোগ করছে দারুন ব্যাপার। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আমাদের সবার প্রিয় আদরের টিনটিন বাবু ভ্যান গাড়ি করে গ্রামে ঘুরতে গিয়ে আপনারা খুব চমৎকার পরিবেশ দেখতে পেলেন। সেই সুবাদে আপনি খুব চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। মেঘলা আকাশ থাকলে প্রাকৃতিক পরিবেশগুলো ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি ও অসাধারণ হয়েছে দিদি। সত্যি বলতে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দিদি এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ঐদিনের মুহূর্ত সম্পর্কে, দাদা তার নিজের ব্লগে লিখেছিল বৌদি, আপনারা যে ঐদিন বেশ দারুন সময় কাটিয়েছিলেন সেখানে, সেটা মূলত আমি দাদার লেখা পড়েই বুঝতে পেরেছিলাম।

শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য বৌদি 🙏

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

আসলে বৌদি বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ। চারিদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিজেকে মুগ্ধ করে। বাংলাদেশে অনেক চমৎকার সময় কাটিয়েছেন বৌদি। আর আমারও গোধূলি বিকেল অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আমি একবার দেখি, বারবার দেখি দেখি বাংলার রূপ। সত্যি বাংলার রূপ যে এত সুন্দর আর এত অপরূপ তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। তবে বাংলার অপরূপ রূপ বৈচিত্র্য কে দেখতে হলে আমাদের কে অবশ্য গ্রামে যেতে হবে। কারন এত সুন্দর রূপ কেবল বাংলার গ্রাম গুলোতেই ফুটে উঠে। বেশ দারুন মন ছুঁয়ে যাওয়া কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ বউ দিদি আপনাকে।

 last year 

সত্যি আপনি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে গোধূলি বিকেলের দৃশ্য গুলো দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে এসে আমাদের গ্রাম বাংলার অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

টিনটিন বাবু ভ্যান গাড়িতে ঘুরতে যাওয়া জন্য ও গ্রামীন পরিবেশ দেখানোর জন্য একটি ভ্যান গাড়ি ভাড়া করেছেন তা জেনে অনেক ভালো লেগলো।আসলে ছোট মানুষ তো গ্রামীণ পরিবেশগুলো দেখে অনেক মজা পাচ্ছিল।
বাংলাদেশে থাকতে বিকালে প্রতিদিন ঘুরতে বেরিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ইউনিক ও মনমুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি ।

 last year 

টিনটিন যে ভ‍্যান গাড়িতে ঘুরতে ভালোবাসে সেটা দাদার পোস্টে পড়েছিলাম। এটা বেশ ভালো ব‍্যাপার যে টিনটিন বাইরে পরিবেশ প্রকৃতি দেখতে বেশ ভালোবাসে। দশমীর দিনে পাওয়ার প্লান্টে ঘুরতে যাওয়ার পোস্ট টা আগেই দেখেছি দাদার থেকে। আজ আপনার থেও দেখলাম। ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি বেশ চমৎকার ছিল বৌদি। বিশেষ করে শেষের দিকে ফটোগ্রাফি গুলো তো এককথায় অসাধারণ। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য বৌদি।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

পাওয়ার প্ল্যান্টের দিকে ঘুরতে যাওয়ার পোস্ট দাদা শেয়ার করেছিলেন আমাদের সাথে। যাইহোক টিনটিন বাবু একেবারে আমাদের দাদার মতো হয়েছে। দাদা যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে ভীষণ পছন্দ করে, টিনটিন বাবুও একইরকম। ভ্যানে চড়ে আপনারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চমৎকারভাবে উপভোগ করেছেন,সেটা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে বৌদি। এমন সিঁদুর রাঙা আকাশ আমিও কখনো দেখিনি। যাইহোক এতো মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 67340.80
ETH 2419.68
USDT 1.00
SBD 2.35