"শ্রী নিবাস অঙ্গন মায়াপুর ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ ঘন মুহূর্ত"( পর্ব - ১ )
বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।আপনারা জানেন বেশ কিছুদিন আগে সপরিবারে মায়াপুর ঘুরতে গিয়েছিলাম। এই নিয়ে আমি দুইবার গিয়েছি মায়াপুর। তবে প্রথমবার মায়াপুর গিয়ে কোথাও ঘুরে দেখতে পারিনি। আসলে দুইদিন না থাকলে তেমন কিছুই দেখা যায় না। কারন আমাদের বাড়ির থেকে মায়াপুর যেতে ৩ - ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। আর ১২ টার পর মন্দির বন্ধ হয়ে যায়। মন্দির খুলবে ৪ টার পর। তাই ভালোভাবে ঘুরে দেখতে হলে তোমাকে কমপক্ষে দুইদিন থাকতে হবে। আর আমার মা বাবা চাইছিলো মায়াপুর যেতে। আর আমি ভাবছিলাম বাবুর স্কুল ছুটি আছে তাহলে কোথাও ঘুরতে গেলে কেমন হয়। আসলে বাবুর স্কুল খুললে কোথাও যাওয়া হবে না। আর আমি ও চাই শুধু শুধু স্কুল বন্ধ হোক। কারণ আমিও বিনা কারনে স্কুল ছুটি করিনি। পড়াশোনায় ফাঁকি দেওয়া একদম পছন্দ করি না। অবশেষে দিন ঠিক হলো জুন মাসের ১৭ তারিখ। আমরা ওই দিন ভোর ৬ টায় রওয়ানা দিবো।
তবে যতই ভাবি ভোরে রওনা দেবো। সেই কি ভাবে যে দেরি হয়ে যায় বুঝতেই পারিনা। যেখানে যাই না কেন টাইম মত বের হতে পারিনা। তাই রেডি হয়ে বাড়ি থেকে বের হতে হতে ৭.৩০ টা বেজে গিয়েছিলো। আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো পথে কোথাও দাঁড়াবো না। সোজা মায়াপুর গিয়ে হোটেলে গিয়ে কিছু খেয়ে নেব। যাওয়ার পথে টিনটিন বাবু গাড়ীতে উঠার পর থেকেই ঘুম পড়ছে আর হোটেলের সামনে গিয়ে গাড়ি থামলে তখন ঘুম ভাঙ্গছে। অবশেষে মন্দিরের কাছে আমরা একটি হোটেলে উঠেছিলাম। এরপর কিছুক্ষন হোটেলে রেস্ট নিয়ে আমরা খেতে গেলাম।
তবে আমাদের ইচ্ছা ছিলো মন্দিরে মহাপ্রসাদ খাওয়ার। তাই আগে আমার দেবোর টিকিট কেটে আনলো। আর এদিকে টিনটিন বাবু খেলনার দোকান দেখে তার দাদুকে খেলনা কিনতে গেলো।এরপর কিছুক্ষন পর আমরা প্রসাদ নিতে গেলাম। যদিও আমার অভ্যাস রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার। কিন্তু এখানে নিচে বসে প্রসাদ নিতে হয়। তাই বাবু খুবই বিরক্ত করছিলো। আর ভিতরে ছিলো প্রচন্ড গরম। বাবু হলো এসির ভিতর মানুষ। ও এসি ছাড়া এক মিনিট ও থাকতে পারে না। যাইহোক খুব দ্রুত প্রসাদ নিয়ে বেরিয়ে আসছি। এরপর মন্দিরের চারপাশ একটু ঘুরে দেখতে লাগলাম। বাইরে প্রচন্ড গরম। থাকার কারণে খুব বেশিক্ষন না থেকে হোটেলে ফিরে এলাম। ভাবলাম হোটেলে কিছু সময় রেস্ট নিয়ে বিকালের দিকে আবার বের হবো। তাই হোটেলে ফিরে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে নিলাম। এরপর আমরা বিকাল পাঁচটার দিকে আবার রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
মন্দিরের চারপাশ একটু ঘুরে সবাই মিলে মূল মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করলাম। বাইরে জুতা,মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা রেখে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। তাই ভিতরের কোন কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলাম না।বেশ কিছুক্ষন ভিতরে সময় কাটিয়ে সন্ধ্যায় বাইরে এসে আলুর চপ ও মোমো, সিঙ্গারা খেয়ে সন্ধ্যা আরতি দেখে কিছুসময় ঘোরাঘুরি করে রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে হোটেলে ফিরে এলাম। সবকিছু মিলিয়ে দিনটি বেশ ভালোই কেটেছিলো। আর বেশ মজা হয়েছিলো।
আজ এই পর্যন্তই। আগামীদিন পরের পর্ব নিয়ে আবার আসবো। আমরা দ্বিতীয় দিন অনেক জায়গা ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেগুলো ধীরে ধীরে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি, আজকের মুহূর্ত টি আপনাদের ভালো লাগবে।
পরিবারের সবাইকে নিয়েই দেখছি শ্রী নিবাস অঙ্গন মায়াপুর ঘুরতে গেলেন। আর সেইখানে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দঘন সময় আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। তবে মন্দিরের ভিতরটা নিষেধ থাকায় তার কোন ফটোগ্রাফি করতে পারলেন না। এছাড়া বাহিরের বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমোদের সাথে শেয়ার করলেন। সব মিলিয়ে বেশ ভালো আনন্দঘন সময় আপনারা পার করেছেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যেদিন কোথাও যাওয়ার থাকে আর সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে হয় সেদিন আরো বেশি দেরি হয়ে যায় বৌদি। যাইহোক আপনারা সবাই মিলে এত সুন্দর ভাবে সেই জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। জায়গাটি কিন্তু ভীষণ সুন্দর। আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম বৌদি।
আসলে এসি রুমের মধ্যে থাকার অভ্যাস হওয়ার কারণেই হয়তো টিনটিন বাবু ওখানে একটু গরমে বিরক্ত অনুভব করছিলো। আর মন্দিরের চারপাশে পরিবেশটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। খুবই মনোরম পরিবেশ বিরাজমান।শ্রী নিবাস অঙ্গন মায়াপুর ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ ঘন মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।