"সপরিবারে গ্রামের প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে যাওয়া"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থতার জন্য আপনাদের সাথে কোন কিছুই শেয়ার করতে পারিনি। আপনারা সবাই জানেন আমি একটু সুস্থ হওয়ার পরপরই আবার সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলো। তবে ঈশ্বরের কৃপায় এখন মোটামুটি সবাই অনেকটা সুস্থ আছে। তবে আপনাদের দুই দাদা এখনো একটু অসুস্থ । তবে খুব তাড়াতাড়ি তারা সুস্থ হয়ে যাবে। আমাদের এখানে রথযাত্রা উপলক্ষ্যে অনেক বড় মেলা বসছে কিন্তু অসুস্থতার জন্য এবার আর মেলায় যেতে পারলাম না। গতবার বেশ কয়েকবার রথের মেলায় গিয়েছিলাম আর প্রচুর গাছ কিনেছিলাম। এবারও চেয়েছিলাম কিন্তু ভাগ্য আমাদের সহায় ছিলো না। তাই এবার আর যাওয়া হলো না। তবে কিছুদিন আগে সবাই মিলে গ্রামের দিকে একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম।আর আপনারা তো জানেন গ্রাম আমার খুব ভালো লাগে। গ্রামের প্রকৃতি আমাকে খুব টানে। তাই সুযোগ পেলে গ্রামের দিকে ঘুরতে যাই। আর এখন বর্ষার সময় রাস্তায় জল জমে যায়। তারপরও গ্রামের দিকে ঘুরতে যেতে কার না ভালো লাগে। আমার মা ও গ্রামের ভিতর দিয়ে হাঁটতে পছন্দ করে। আসলে মা তো গ্রামে থাকে তাই আমার কাছে আসলে বেশিদিন থাকতে চায় না। আসলে গ্রামের মানুষ তো তাই শহরে এসে থাকতে একটু কষ্ট হয়।
তাই মাকে নিয়ে গ্রামের ভিতর যাওয়া। গ্রামের ভিতর যাওয়ার আগে গাড়ি থেকে নেমে কিছু আলুর চপ , সিঙ্গারা ও গরম গরম জিলাপি কিনে নিলাম। আমি গরম গরম জিলাপি খেতে খুবই পছন্দ করি। আর গ্রামের ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গরম গরম জিলাপি খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আজকে সেই গ্রামের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে।তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
গ্রামের ভিতর রাস্তার মাঝখানে প্রচুর বৃষ্টির জল জমেছে। তারপরও কিন্তু গাড়ি চলা বন্ধ হয়নি। জলের ভিতর দিয়ে গাড়ি চলছে। আর গ্রামের সবুজ প্রকৃতি।
তারিখ:১০ ই জুন ২০২৩
স্থান: বেরাবেরিয়া, পশ্চিমবাংলা কলকাতা।
গ্রামের ভিতর যেতে রাস্তার পাশে জিলাপি ভাজছে। আমরা সেখান থেকে কিছু গরম গরম জিলাপি কিনে নিলাম। আমার মত আপনারা কারা কারা গরম জিলাপি খেতে পছন্দ করেন জানবেন কিন্তু।
তারিখ: ১০ ই জুন ২০২৩
স্থান: বেরাবেরিয়া , পশ্চিমবাংলা কলকাতা।
গ্রামের ভিতর মাঠে তাজা পুঁই শাক হয়েছে। আমরা মাঠ থেকে প্রায় ৫ কিলোর মতো পুঁই শাক কিনে নিলাম।
তারিখ: ১০ ই জুন ২০২৩
স্থান: বেরাবেরিয়া, পশ্চিমবাংলা কলকাতা।
গ্রামের সবুজ প্রকৃতি।
তারিখ:১০ ই জুন ২০২৩
স্থান: বেরাবেরিয়া, পশ্চিমবাংলা কলকাতা।
ক্যামেরা পরিচিতি : redmi 8 pro
ক্যামেরা লেন্থ: ৫.৫ মিলি মিটার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম সত্যি কথা বলতে কি বৌদি আমরা বাঙালি মনে প্রানে গ্রাম্য পরিবেশকে ভালোবাসি। আমার মনে হয় বাঙালির সাথে গ্রাম্য পরিবেশ একান্ত নিবিড় ভাবে জড়িত তাই মায়ার টানে নাড়ির টানে গ্রামীণ পরিবেশে ছুটে চলি। অনেক ভালো লেগেছে আপনার এই সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখে।
দিদি আপনাদের পরিবারের সবার সুস্থতা কামনা করছি। বর্ষাকালে গ্রামে এবং শহরে সব জায়গায় রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ থাকে। বিশেষ করে গ্রামের মাটির রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ থাকে। বৃষ্টির পানি কাদা সব মিলিয়ে একটি নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তারপরও গ্রামের সবুজ প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে ভালোই লাগে। যেমনটা আপনারা সবাই পরিবারের সাথে উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ দিদি।
জ্বী বৌদি, এটা জানি আপনি অসুস্থ্য হওয়ার পর পরিবারের অনেকেই অসুস্থ্য হয়েছেন। আসলে প্রকৃতি ও পরিবেশের পরিবর্তনের কারনে হুট করে চারপাশে বেশ অসুখ বিসুখ বেড়ে গিয়েছে। আশা করছি দুই দাদাও দ্রুত সুস্থ্য হয়ে যাবেন।
হ্যা, এটা জানি আপনি গ্রাম এবং প্রকৃতি খুব বেশী ভালো বাসেন। আসলে পরিবেশের সুন্দর ও নির্মল সজীবতা উপভোগ করার সুযোগ আছে একমাত্র গ্রামীন পরিবেশের মাঝে। দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন আর আর জিলাপীর দৃশ্যগুলোতো লোভ লাগিয়ে দিয়েছে হি হি হি।
Me encanta esta publicación y hay un paquete de recompensas solo por una imagen de dos líneas que es increíble
এই সময় টা তে সবাই দেখি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ কেন যে এমন শুরু হলো দিদিভাই! আমি মা বাবা সবাই এক সাথে অসুস্থ হয়েছিলাম। কি এক বাজে অবস্থা! রান্না করার যেন কেউ নেই। মা এখনো পুরো সেরে উঠে নি। যাই হোক, এই গরম জিলিপির ওপর আমারও বেশ লোভ কাজ করে ছোট বেলা থেকেই। বৃষ্টির দিনে এমন সব মুখরোচক খাবার খেতে দারুন লাগে এক কথায়।
দিদি প্রথমে আপনাদের সবার সুস্থতা কামনা করছি। অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকলে আসলে সবারই একটু চেঞ্জের দরকার। যদিও এখন গ্রামের অবস্থা তেমন ভালো না চারিদিকে বৃষ্টি কাদা তারপরও প্রাকৃতিক পরিবেশে গ্রামে নিজেকে জড়াতে পারলে অনেক ভালো লাগে। আপনার গ্রাম ও প্রাকৃতিক পরিবেশ অনেক ভালো লাগে
আমরা জানি। তবে এরকম পরিবেশে থাকলে মনটাও ভালো হয়ে যায়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো দিদি।
আমি প্রথমেই আমাদের প্রিয় দাদার সার্বিক সুস্থতা কামনা করছি। আসলে এ ধরনের প্রকৃতির মধ্যে সপরিবারে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। এরকম সুন্দর পরিবেশে মুক্ত আকাশের নিচে সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখার অনুভূতিই অন্যরকম। এ ধরনের পরিবেশে থাকলে মনটা অনেকটাই হালকা হয়ে যায় এবং মনটা সজীবতায় পরিপূর্ণ হয়ে। পরিবার মিলে প্রকৃতির মধ্যে কাটানো মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।