"টিনটিন বাবুর জন্মদিন পালন"
বন্ধুরা
আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আজ আমাদের টিনটিন বাবুর পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। পাঁচ বছর আগে এই দিনে আমার কোল আলো করে এসেছিলো। এই দিনটি আমার কাছে খুবই স্পেশাল একটি দিন। ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আজকের দিনে আমি ওকে পেয়েছি।প্রথম যখন ডাক্তার আমার কাছে নিয়ে এসেছিলো সেদিন ওর কচি মুখটি দেখে আমার সকল কষ্ট দূর হয়ে গিয়েছিলো। ওকে দেখে আনন্দে আমার চোখে জল চলে এসেছিলো। ইচ্ছা করছিলো বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করি। সেই মুহূর্তে বুঝতে পেরেছি মা কি জিনিষ।
বাবু এখনো অনেক ছোট তাই জন্মদিনের তারিখ ওর মনে থাকে না। কিন্তু জন্মদিন বলতে সে পাগল। তার প্রতিমাসে একবার করে কেক কাটতে হয়। আবার কেক কাটার সময় তার বেলুন দিয়ে না সাজালে তার জন্মদিন বলে মনে হয় না।তাই আমার কেক কিনলে বেলুন কিনে ঘর সাজাতে হয়। বাবু এই পর্যন্ত যা চেয়েছে আপনাদের দাদা তাই দিয়েছে। কোনদিন না বলেনি। আমি একটু
সবকিছুতে বাধা দেই। তবে ওর জন্মদিনটা একটু বড় করে করার চেষ্টা করি। কারণ বাবু তার জন্মদিনে একটু বেশি করে আনন্দ করতে পারে। আর যখন ও বড় হবে তখন ওর মত করে পালন করতে পারে।
ওর জন্মদিনটা নিয়ে আমার থেকে ওর বাবা এক্সসাইটেড থাকে। তাই ওর বাবা সবসময় বাবুকে বিভিন্নভাবে তাকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করে। আর এবার বাবুর জন্মদিনে ওর মামা আর জেটু, দিদি ও বড়মা ছাড়া আর সবাই ছিলো।তাই এবার জন্মদিনে অনেক আনন্দ পেয়েছে। ওর মামা জন্মদিনের সময় থাকতে পারে না। এবার আসতে চেয়েও শেষ পর্যন্ত আসতে পারে নি। ২৬ তারিখে ওর মামা বেশ কয়েকবার ফোন করেছে। একটু তার ভাগ্নের সাথে কথা বলার জন্য তাকে দেখার জন্য। বাবুও ভীষণ মিস করছিলো তার মামাকে। দিনে অনেকবার মামা আসবে না। মামা কান্না করবে।তবে আমার ও খুব খারাপ লাগছিলো যে সবাই আসতে পারলো কিন্তু আমার ভাইটা আসতে পারলো না। একটা ভাই তো তাই একটু বেশি আদরের। তবে বাবুর জন্মদিনে ওকে আনন্দ দেওয়ার জন্য ম্যাজিকের ব্যাবস্থা করা হয়েছিলো। আর ম্যাজিক দেখতে কে না ভালোবাসে।কমবেশি সকলে ম্যাজিক দেখতে পছন্দ করে।
প্রায় অনেক সময় ধরে লোকটি ম্যাজিক দেখিয়ে ছিলো।আর সবাই অনেক আনন্দ নিয়ে ম্যাজিক দেখছিলো। টিনটিন বাবু ও
ভীষণ মজা পেয়েছিলো ম্যাজিক দেখে। এরপর খাওয়া দাওয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হলো।আপনারা সবাই টিনটিন বাবুকে আশীর্বাদ করবেন। সে যেন মানুষের মত মানুষ হতে পারে। আর জীবনে অনেক বড় হতে পারে।
বৌদি প্রথমে আপনার সন্তানের জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি। একটা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মায়ের যে কতটা কষ্ট শুধু সেই মা জানে। সন্তান হলো মায়ের কাছে নাড়ি ছেড়া ধন। ভার্চুয়াল ভাবে কোন জন্মদিনে এতটা আনন্দ করা যায় এই প্ল্যাটফর্মে না আসলে বুঝতে পারতাম না। সবকিছু দেখে বোঝাই যাচ্ছে এবারে জন্মদিনটা খুব জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালন করেছেন। বৌদি আপনার সন্তানের জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো সে যেন বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে।
দিদি টিনটিন সোনার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।খুব চমৎকার ভাবে জন্মদিন পালন করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার একমাত্র ভাই আসতে পারেনি জেনে খুব খারাপ লাগলো।আপনি খুব সুন্দর ভাবে অনুভূতি গুলো শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।অনেক দোয়া রইলো টিনটিন সোনার জন্য।
দেখতে দেখতে আমাদের সবার আদরের টিনটিন বাবু বড় হয়ে যাচ্ছে। দোয়া করি টিনটিন বাবু সুস্থভাবে বড় হোক আমাদের দাদার আদর্শে এবং আপনাদের সবার মুখ উজ্জ্বল করুক। মোটামুটি সবাই জন্মদিনে এসেছিল বিধায় টিনটিন বাবুকে বেশ উচ্ছ্বসিত লাগছে। তাছাড়া ম্যাজিক শো অবশ্যই বাড়তি বিনোদন দিয়েছে সবাইকে। ম্যাজিক শো এর আইডিয়াটা ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
টিনটিন বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো যেন সে বড় হয়ে মানুষের মতো হতে পারে। সত্যিই যে মা হয়েছেন সেই বুঝে মায়ের মর্ম। প্রতিটা মায়ের ক্ষেত্রে সন্তান জন্ম নেওয়ার সেই দিন ভুলার মতো নয়। এবার গতবারের তুলনায় টিনটিন বাবু মনে হচ্ছে বেশি মজা পেয়েছে। ম্যাজিকের ব্যবস্থা করাতে টিনটিন বাবুর জন্মদিন আরও বেশি জমজমাট হয়ে ওঠেছে। ঠিক বলেছেন বৌদি ম্যাজিক দেখতে কে না ভালোবাসে। টিনটিন বাবুসহ পরিবারের সবার জন্য শুভকামনা রইল।
দেখতে দেখতে আমাদের টিনটিন বাবু বেশ বড় হয়ে গেছে। সুন্দর এই শুভদিনে খুব সুন্দর আয়োজন করা হয়েছে। বেশ ভালো লাগলো আপনারা কিভাবে বাবুর জন্মদিন উদযাপন করেছেন তার অনুভূতিটা এই পোষ্টের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে। এদিকে আমরাও হ্যাংআউটের চেষ্টা করেছিলাম বাবুর শুভকামনা জানানোর জন্য। দোয়া করি যেন এভাবে বাবু আমাদের মাঝে বেড়ে ওঠে এবং এই কমিউনিটির একজন পরিচালকের সুযোগ গ্রহণ করে।
দেখতে দেখতে আমাদের টিনটিন বাবুর পাচঁ বছর পূরণ হয়ে গেল। জন্মদিনের মতো আজীবন যেন খুশি থাকতে পারে এবং মানুষের মতো মানুষ হতে পারে সেই দোয়াই করি দিদি। ভাগ্নের জন্মদিনে মামা আসতো পারলো না, আসলে হয়তো আরও ভালো লাগতো। যাক, ম্যাজিক শো দেখানোতে টিনটিন বাবু অনেক খুশি হয়েছে দেখে বুঝা যাচ্ছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি ছোটরা নিজেদের জন্মদিনের তারিখ ভুলে গেলেও আনন্দ ভোলে না।আর হ্যা দাদা একটু আপনার থেকে বেশি এক্সাইটেড থাকেন বোঝায় যায়।
জাদুকরের সাথে তো সে খুব সুন্দর আনন্দ করছে। টিন টিন বাবায়ের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
ম্যাজিক দেখে যে টিনটিন বাবু অনেক মজা পেয়েছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে বৌদি। আর টিনটিন বাবুক জন্মদিনের শুভেচ্ছা। টিনটিনের জন্মদিন টা বেশ বড় এবং জাকজমক ভাবে পালন করেছেন। এবং প্রতিমাসে টিনটিনের কেক কাটার বিষয়টি আমার কাছে বেশ দারুণ লেগেছে। এবং সন্তান কিছু চাইলে বাবা মায়ের সামর্থ্য থাকলে কখনো সেটার জন্য নিষেধ করে না। এখানে দাদাও এইটাই করে বৌদি।
প্রথমে মা ছেলে দুই জনের জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো। আস্তে আস্তে টিনটিম বাবু বড় হয়ে যাচ্ছে দেখতেছি। একদম ঠিক বলছেন আপু আসলে বাচ্চাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য এই ব্যবস্থা গুলো করা। তবে হয়তো বড় হলে এত বড় ছোট করে করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু ছোটদের আনন্দ দেওয়ার জন্য প্রধান উদ্দেশ্য। দাদার একমাত্র ছেলে বলে কথা দাদা সব আবদার পূরণ করে থাকেন। আসলে সব বাবারাই এমন সন্তানদের চাহিদা পূরণে সব সময় প্রচেষ্টা করে থাকেন। অনেক সুন্দর একটি আয়োজন ছিল দিদি। আমাদের সাথে বিস্তারিত শেয়ার করার জন্য বেশ ভালই লাগলো।