"গোটা আমড়ার টক ঝাল মিষ্টি আচার"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। বেশ কিছুদিন হলো আমি তেমন কোনো রান্নার রেসিপি শেয়ার করতে পারছি না। আমার দিনগুলো প্রচন্ড ব্যাস্ততার মাঝে কেটে যায়। আর যখন একটু সময় পাই তখন প্রচন্ড ঘুম পায়। আর নয়তো আমার প্রিয় বোনের সঙ্গে কথা বলি।আসলে সারাদিনের ভিতর ওর সাথে কথা বললে ও খুব কষ্ট পায় আর নয়তো অভিমান করে। আমি ও আগেও বলেছি আমরা অল্প কয়েকদিনে একে অপর অনেকটা আপন হয়ে গেছি। তো যাই হোক এই সব কারণেই কোন রেসিপি শেয়ার করতে পারছি না। আমি কিছুদিন আগে গোটা আমড়ার আচার তৈরি করেছিলাম। ভাবলাম এটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। এই আচার তৈরি করা খুবই সহজ। এবং খেতে ও খুব মজা। আর আচার কম বেশি সবাই খুব পছন্দ করি। আমরা অনেকে বাইরের থেকে আচার কিনে খাই। বাইরের খাবার স্বাস্থ্যকর নয়। তাই একটু কষ্ট করে বাড়ীতে তৈরি করে খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত। আর আচার বহু দিন পর্যন্ত খাওয়া যায়। তাহলে চলুন আমরা মূল পর্বে যাই।
উপকরণ:
১. আমড়া - ৫০০ গ্রাম
২. তেঁতুলের ক্বাথ - ১ কাপ
৩. সাদা ভিনিগার - ১ চামচ
৪. চিনি - ১ কাপ
৫. পাঁচ ফোড়ন -১ চামচ
৬. গোটা শুকনো মরিচ - ২ টি
৭. মৌরি -১ চামচ
৮. জিরা - ১ চামচ
৯. ধনে - হাপ্ চামচ
১০.. লবণ - ২ চামচ
১১.হলুদ -১ চামচ
১২.শুকনো মরিচ গুঁড়া -১ চামচ
১৩. কালো সরিষা -১ চামচ
১৪. সরিষার তেল -১ কাপ
আমড়া
সরিষার তেল
প্রস্তুত প্রণালী:
১.প্রথমে আমড়া গুলোর খোসা ফেলে দিতে হবে। তারপর ৩০ মিনিটের মতো জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
২.জল থেকে আমড়া গুলো তুলে নিয়ে একটা শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে।
৩. এবার আমড়া গুলো একটা চুড়ি দিয়ে অল্প অল্প করে কেটে নিতে হবে। আমড়া গুলো কাটা হয়ে গেলে সামান্য লবণ, হলুদ ও শুকনো মরিচ গুঁড়া ভালো করে মেখে নিতে হবে।
৪.এবার চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে।কড়াই গরম হয়ে গেলে ৬ টি গোটা শুকনো মরিচ, পরিমান মতো জিরা, ধনে, মৌরী, ও পাঁচ ফোড়ন দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চেড়ে ভেজে নিতে হবে। মসলা থেকে ঘ্রাণ বের হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৫. ওই একই কড়াইতে তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে অল্প একটু পাঁচ ফোড়ন দিয়ে আমড়া গুলো দিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষন নেড়ে চেড়ে ভেজে নিয়ে তেঁতুলের ক্বাথ দিয়ে দিতে হবে।
৬. এরপর ফুটতে শুরু করলে এক কাপ চিনি দিয়ে দিতে হবে। একে একে পরিমান মতো লবণ, হলুদ ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে দিতে হবে।এখানে। চিনি আপনারা আপনাদের পছন্দ মত দিতে পারেন। যারা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন তারা একটু বেশি দিবেন। আমি একটু কম দিয়েছি। কারণ আমাদের সবাই মিষ্টি কম খায়। এবার একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
৭. এবার ভাজা মসলা একটা ব্লেন্ডারে করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
৮. এবার ঢাকনা তুলে নিতে হবে। জল একটু কমে গেলে গুঁড়া মসলা ছিটিয়ে দিতে হবে।এবং এক চামচ ভিনিগার দিয়ে দিতে হবে। আবার খুন্তি দিয়ে নেড়ে চেড়ে দিতে হবে। আমড়া গুলো শুকিয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু টক মিষ্টি ঝাল আমড়ার আচার।
গোটা আমড়ার টক ঝাল মিষ্টি আচার রেসিপিটি খুবই চমৎকার হয়েছে। বৌদি আমিও কিন্তু আমড়ার আচার খেতে খুবই ভালোবাসি। আমাদের গাছে প্রচুর পরিমাণে আমড়া ধরে। এগুলো দিয়ে প্রতিবছরই আমি আছার তৈরি করি। এদের দারুন লাগে আপনার রেসিপিটি দেখে একেবারে জিবে চল চলে এসেছে।
গোটা আমড়ার আচার কখনও খাওয়া হয়নি বৌদি। দারুন লাগছে পোস্ট টা দেখে। খেতে কেমন হতে পারে বুঝতে পারছিনা। কিন্তু ভীষণ টেস্টি হবে সিওর। ভালো থেকো।
বৌদি নমস্কার
আমি কখনো আমড়ার আচার খাই নি ৷তবে প্রায় বেশ কয়েকবার শুধু আমড়া বিট লবন দিয়ে বাজারে খেয়েছি ৷অনেক ভালো লাগে বৌদি৷
আর আজকে আপনি আমড়া তে অনেক কিছু উপদান দিয়ে ঝাল ঝাল টক রেসিপি তৈরি করেছেন ৷সত্যিই দেখার মতো ছিল ৷ধন্যবাদ বৌদি এতো আমড়ার রেসেপি শেয়ার করার জন্য
আপনার আমড়ার আচার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আচার তৈরির প্রক্রিয়াগুলো সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে দিদি এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলে যে কোন আচার খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি আজকে গোটা আমরা টক-ঝাল-মিষ্টি আচার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বৌদি। আপনার এগুলো সব সময় ইউনিক আজকের রেসিপি দেখে এখনই খেতে ইচ্ছে করছে । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ দিদি আপনার হাতে তৈরি করা আমরার মজাদার আচার দেখে জিভে জল চলে আসলো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করার পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল
আমড়ার আচার দেখে জিভে জল চলে আসলো বৌদি। দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে বৌদি। বৌদি আপনার রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে । আমড়ার আচার বাসায় তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে । বাসায় একদিন তৈরি করে দেখব । বৌদি আপনার রেসিপিটি দেখে শিখে নিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি। সুস্বাদু আমড়ার আচার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য । শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমড়ার আচার কখনো খাওয়া হয়নি। ঠিক বলেছেন বৌদি আমরা অনেক সময় বাহিরে থেকে আচার কিনে খাই তবে সেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত না। আমরা যদি এভাবে ঘরে তৈরি করে খাই তাহলে খেতে যেমন মজা হবে তেমনি স্বাস্থ্যসম্মতও হবে।আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে আচার তৈরির পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনি যে কত দিক সামাল দিয়ে পোস্ট করেন এটা জানি । আপনার জায়গায় আমি হলে তো একদম এনার্জি পেতাম না। সত্যি বলতে এগোতেই পারতাম না। একদম ফিউজ হয়ে যেতাম। এদিক থেকে আপনার তুলনা নেই । আর দিদিভাই এই আমড়ার আচার টা মিস করে গেলাম 🥰। খতরনাক হয়েছে দেখতে 👌। এখানে বসেই যেন মুখে স্বাদ নিচ্ছি 😊
সাধারণত আমরা কেটে আচার তৈরি করা হয়। কিন্তু গোটা আমড়ার আচার তৈরি করা কখনো দেখিনি। বেশ দারুণ লাগছে এবং দেখে বেশ লোভ হচ্ছে। দারুণ তৈরি করেছেন আমড়ার আচারটা বৌদি। চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।