বাঙালি রেসিপি " চিংড়ি মাছ দিয়ে শিমের বিচি রান্না"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আমি গতকাল শিমের বিচি রান্না করেছিলাম আজ সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। শিমের বিচি জনপ্রিয় একটি খাবার। শিমের বিচি একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি খাবার। এখন বাজারে শিমের বিচি পাওয়া যাচ্ছে। শিমের বিচি আমি খুবই পছন্দ করি। তাই একদিন বাজারে গিয়ে দেখি শিমের বিচি তো কিছু নিয়ে যাওয়া যাক চিংড়ি মাছ দিয়ে খাওয়া যাবে। যদিও শিমের বিচি সব রকম মাছের সাথে দিয়ে খাওয়া যায়। কিন্তু আমি চিংড়ি মাছ ছাড়া অন্য কোনো মাছ খুব একটা পছন্দ করি না। তাই আমি চিংড়ি মাছটা বেশি খাই। আর আপনারা তো জানেন চিংড়ি মাছ ও শিমের বিচি কতটা স্বাদের ।
সিমের প্রথম উৎপাদন হয় হাজার বছর আগে পেরুতে। পরে সেটা প্রধান খাদ্য হিসেবে পরিণত হয় দক্ষিণ আমেরিকাতে। এরপর ধীরে ধীরে এশিয়া মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ুুুু পুষ্টিগুনে ভরপুর শিমে রয়েছে প্রোটিন ,ফাইবার ,ভিটামিন ও মিনারেল। শিমের বিচি শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। যারা মাছ-মাংস কান্না তাদের জন্য শিমের বিচি শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের সাইদা মেটাতে সাহায্য করে। শিমের বিচি তে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। তবে এতে আশা প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ফাইবার ভিটামিন সি ও মিনারেল যা শরীরের জন্য উপকারী। শিমের বিচি তে থাকা খনিজ চুল পড়া রোধে সহায়তা করে। শিমের বিচি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া শিম কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী নারী ও শিশুর অপুষ্টি দূর করতে শিমের বিচি বেশি উপকারী। শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শিমের ফুল রক্ত আমাশয় দূর করতে সাহায্য করে। শিমের দানায় ভিটামিন বি-৬ বেশি পরিমাণে থাকায় স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখতে ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। আর এই শিমের বিচি ও রান্না করতে খুবই সময় হবে। এবং খুব স্বাদের খাবার। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১.শিমের বিচি - পরিমান মতো
২.চিংড়ি মাছ - পরিমান মতো
৩.পেঁয়াজ কুচি - ১ কাপ
৪.রসুন বাটা - ২ চামচ
৫. কাঁচা মরিচ - ৬ টি
৭. লবণ - স্বাদ অনুযায়ী
৮. হলুদ - ২ চামচ
৯. জিরাগুঁড়ো ,-১ চামচ
১০. গরম মসলা - হাপ চামচ
১১. অলিভ ওয়েল - ৪ চামচ
১২. গোটা জিরা - হাপ্ চামচ
১৩.টমেটো কুচি - মাঝারি সাইজের একটি।
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে শিমের বিচি গুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর সামান্য সেদ্ধ করে নিতে হবে। এতে করে বিচির গন্ধ চলে যাবে।
২. এরপর চুলার উপর কড়াই দিয়ে সামান্য তেল দিয়ে জিরা ভেজে নিয়ে চিংড়ি মাছ ভেজে নিতে হবে। চিংড়ি মাছ গুলো ভাজা হয়ে গেলে ওই একই তেলের ভিতরে পেঁয়াজ কুচি ছেড়ে দিতে হবে।
৩. এবার পেঁয়াজ কুচির ভেতরে টমেটো কুচি ও রসুন বাটা দিয়ে দিতে হবে। এবার একে একে পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চেড়ে সামান্য জল দিয়ে মসলা ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।
৪. মসলা কষানো হলে সেদ্ধ করা শিমের বিচি দিয়ে আবারো কিছুসময় কষিয়ে হিয়ে জল দিয়ে দিতে হবে। জল ফুটতে শুরু করলে কাঁচা মরিচ চিরে দিতে হবে। এবার কিছু সময় ধরে জ্বাল দিতে হবে।
৫. এবার ঝোল একটু কমে এলে গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে আবারো মিনিট পাঁচেক জ্বাল দিয়ে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু শিমের বিচি রান্না। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে। আশা করি, আমার। এই রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে।
সিমের বিচির রেসিপি আমার খুবই ফেভারিট কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে আর খেতে অনেক মজাদার।।
তবে চিংড়ি দিয়ে কখনো এভাবে রেসিপি প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি দেখে খুব লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজাদার হয়েছিল
দিদি আপনার মত আমারও অন্যান্য মাছের থেকে চিংড়ি মাছ খুবই ফেভারিট খুবই প্রিয়। চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোনোভাবে রেসিপি করলে খেতে দারুন মজা লাগে । আজকে আপনি খুব সুন্দর করে শিমের বিচি দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি করেছেন অনেক মজাদার খাবার। তাছাড়া এই সিমের উৎপত্তি পেরুতে সেটাই প্রথম জানলাম আগে জানার চেষ্টাও করিনি। অনেক ভালো ধারণা দিয়েছেন সত্যিই এটা আমাদের জানা উচিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বৌদি আপনি খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমি অনেক ছোটবেলায় একবার মায়ের হাতের রেসিপি শিমের বিচি দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না খেয়েছিলাম খুবই সুস্বাদু লাগে। আমরা বেশির ভাগ সময় ডাল রান্না করে খাই। শিম বিচি দিয়ে ডাল রান্না খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনার এই রেসিপি অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ বৌদি মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন বৌদি শিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। চিংড়ি মাছ দিয়ে শিমের বিচি রান্নার দারুন একটা পদ্ধতি আসবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই রেসিপিটা আমার খুবই প্রিয় একটা রেসিপি।
শিমের বিচি আমার খুব পছন্দ। শিমের বিচি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর উপকারিতাও অনেক। চিংড়ি মাছ দিয়ে শিমের বিচি রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপের বর্ণনা খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছেন। ধাপে ধাপে এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
আশা করি বৌদি ভালো আছেন? আমার সিমের বেশি খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকারভাবে মাছ দিয়ে শিমের বিচি রান্না রান্না করেছেন। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে বৌদি খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। টমেটো দেওয়াতে স্বাদ আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেল। এত চমৎকার সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন বৌদি।
দিদি ভাল আছেন আশাকরি। আপনি দারুন মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আর এই শিমের বিচির উপকারিতাও আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। পড়ে খুব ভাল লাগলো। আপনার মতো আমিও শিমের বিচি চিংড়ি মাছ নয়ত শুঁটকি দিয়ে খেতে খুব পছন্দ করি। আপনার রেসিপিটি খুব মজার হয়েছে। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি।অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।
চিংড়ি মাছ দিয়ে শিমের বিচি রান্না দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবি মজাদার রেসিপি শেয়ার করলেন।এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি।
রেসিপির থেকে বেশি ভালো লাগলো শিম সম্পর্কে দেয়া তথ্যগুলো জেনে।কারণ,আমি চিংড়ি মাছের অন্ধভক্ত হলেও শিমের বিচি তেমন খেতে পারিনা।
তবে রেসিপিটা ভালো ছিল। শুভ কামনা জানাই।