ছেলের প্রজেক্ট তৈরি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ইদানিং বাচ্চাদের স্কুলে বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট করতে হয়। কেন যে এই প্রজেক্টগুলো দেয় বুঝতে পারি না। এত ছোট ছোট বাচ্চারা এগুলো কি করতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মায়েরা প্রজেক্টগুলো তৈরি করে দেয়। টিচাররাও সব জানে তারপরেও এ ধরনের প্রজেক্ট গুলো দিয়ে রাখে। আজকে আপনাদের সঙ্গে আমার ছেলের একটি প্রজেক্ট শেয়ার করবো। তা হলো ফটোসিন্থেসিস। গাছ সূর্য থেকে কিভাবে আলো নিয়ে খাবার তৈরি করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত এখানে দেখানোর চেষ্টা করেছি। যদিও বেশিরভাগটাই আমি করেছি। ছেলে পাশে বসে হেল্প করেছে আর লেখাগুলো লিখেছে। ওকে দিলে এভাবে কেটে লাগাতে পারত না। তাই আমাকেই করতে হয়েছে। অনেক সময় লেগেছে এটি তৈরি করতে। যাই হোক আশা করি প্রজেক্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
রঙিন কাগজ
পেন্সিল
কলম
রাবার
কাঁচি
আঠা
প্রথমে সাদা একটি কাগজ নিয়েছি। তার উপরের দিকে আকাশী কালারের এবং নিচের দিকে ব্রাউন কালারের কাগজ লাগিয়েছি।
তারপর কাগজের বাড়তি অংশ কেটে ফেলেছি। একটি সাদা কাগজে গাছের গোড়ার মতো এঁকেছি।
তারপর কাঁচি দিয়ে গোড়াটি কেটে আগের কাগজের উপরে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি।
সবুজ আরেকটি কাগজ নিয়ে গাছের উপরের অংশের মতো এঁকেছি। তারপরে কাঁচি দিয়ে কেটেছি।
এই সবুজ অংশ সাদা অংশের উপরে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি। তারপর একটি সবুজ কাগজ নিয়ে ভাঁজ করে পাতার মতো এঁকেছি।
তারপর কাঁচি দিয়ে কেটে ছোট ছোট করে ভাঁজ করেছি।
হলুদ আরেকটি কাগজ দিয়ে সূর্যের মতো এঁকেছি। তারপর কেটে মাঝখানে কমলা কালারের কাগজ লাগিয়ে দিয়েছি।
সাদা কতগুলো কাগজ দিয়ে মেঘের মতো করে এঁকে কেটে নিয়েছি। তারপর বড় কাগজটির ডান পাশের উপরের দিকে লাগিয়ে দিয়েছি।
সূর্য এবং পাতাগুলো গাছের সঙ্গে লাগিয়ে দিয়েছি।
এখন গোলাপী কালার একটি কাগজ নিয়ে ফুলের মত কেটে নিয়েছি। তারপর একটি কাগজের উপর আরেকটি লাগিয়ে মাঝের অংশে হলুদ লাগিয়ে দিয়েছি।
প্রজেক্টের নিচের দিকে কালো এবং সাদা অংশ লাগিয়েছি। তার নিচে পানির মতো করে কেটে লাগিয়েছি।
সবশেষে আমার ছেলে প্রতিটি অংশের নাম লিখেছে। আরো কিছু কিছু অংশ বাদ ছিল সেগুলো লাগিয়েছে।
এই ছিল আমাদের প্রজেক্ট। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপনি খুবই দক্ষতার সাথে অসাধারণ এই প্রজেক্টটি তৈরি করেছেন। ধাপে ধাপে শেয়ার করার কারণে দেখতে ভালো লাগলো, অনেক সুন্দর হয়েছে।দেখে খুবি ভালো লেগেছে আমার।
সুন্দরভাবে প্রজেক্টটি করার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার ছেলের স্কুলের জন্য খুব সুন্দর একটি প্রজেক্ট তৈরী করলেন আপু। আপনার এই প্রজেক্টটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে প্রজেক্টটির মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন গাছ সূর্য থেকে কিভাবে আলো নিয়ে খাবার তৈরি করে। আপনার প্রজেক্টটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
প্রজেক্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আজকাল স্কুলগুলোতে এই এক কাজ দেখা যাচ্ছে প্রজেক্ট তৈরি ছোট শিশুদের দিয়ে।যে কাজ স্কুলে টিচারের সাহায্যে গ্রুপ ওয়ার্ক এর মাধ্যমে করানো দরকার। তা হোম ওয়ার্ক দিয়ে দিচ্ছে।যা মারাই বানিয়ে দিচ্ছে।বুঝতে পারি না এর মাধ্যমে বাচ্চারা কি শিখছে।তবে আপনি বাচ্চাকে সাথে নিয়ে করেছেন জেনে ভালো লাগলো।কিছুটা আগ্রহ হয়তো তৈরি হয়েছে।বেশ ভালো লাগলো ব্লগটি পড়ে।
আমারও একই কথা আপু স্কুলে বসে সবাই মিলে একসঙ্গে করলে তাও কথা ছিল। বাসায় দিয়ে দেওয়ার জন্য আরো বেশি বিরক্ত লাগে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
প্রজেক্ট এর টপিকটা খুবই সুন্দর। ফটোসিন্থেসিস অর্থাৎ গাছ সূর্যের আলোর সাহায্যে কিভাবে খাদ্য তৈরি করে। এই জিনিসগুলো মুখে বলে বোঝানোর চেয়েও এরকম প্রজেক্ট এর মাধ্যমে বোঝাতে পারলে তারা আরো ভালো করে বুঝতে পারবে। খুব সুন্দরভাবে জিনিসটা তৈরি করেছেন আপু। প্রজেক্ট টা দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রজেক্টের টপিক সুন্দর থাকলেও বাচ্চারা নিজেরা খুব একটা করে না। আসলে এগুলো বাচ্চাদের করাও সম্ভব নয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক বলছেন আপু ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে গুলো দেওয়ার কোন মানে হয় না। টিচাররা তো জানেন বাচ্চারা তৈরি করতে পারবে না মায়েরা তৈরি করে দিবে। বড় বাচ্চাদের দিলে তো একটা কথা আছে। যেহেতু মায়েরা করে দিচ্ছে তাহলে না দেওয়া উচিত। এখন কিন্তু বাচ্চাদের সিলেবাসে অনেক পরিবর্তন এসেছে যেগুলো একদম অযৌক্তিক। সুন্দর একটি প্রজেক্ট তৈরি করে নিলেন আপনি বাচ্চার জন্য খুব সুন্দর হয়েছে।
টিচাররা খুব ভালো করেই জানে যে বাচ্চারা এগুলো করেনা। পড়ালেখার মান খুবই খারাপ করে ফেলেছে এগুলো করে। এখন যদি কিছুটা পরিবর্তন হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ছোট ছোট বাচ্চাদের এই সব প্রোজেক্ট দেয়ার কোন মানেই দেখি না! যদি সকলে মিলে স্কুলে টিচারের সাহায্যে এই ১ টি প্রোজেক্ট তৈরি করতো, তবেও এর চেয়ে বেশি কাজে দিতো বলে আমি মনে করি। এভাবে অযৌক্তিক প্রোজেক্ট দিয়ে শুধু শুধু মায়েদের ও নতুন করে পড়াশুনা করাচ্ছে, বিজ্ঞান মেলার ফীল নেয়াচ্ছে 😂। যাই হোক, প্রোজেক্ট টি বেশ গোছানো হয়েছে আপু। আপনি রংগুলোও বেশ মিলিয়ে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আপু স্কুলের টিচারের সাহায্যে করলে বাচ্চারা অনেক কিছু শিখতে পারত। বাসায়তো খুব একটা কিছু শিখতে পারেনা।
আপু আজ আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। আপনার ছেলের স্কুলের জন্য অনেক সুন্দর একটি প্রোজেক্ট তৈরি করলেন। প্রজেক্টটি দেখতে অসাধারণ হয়েছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য দেখতে আরো অনেক ভালো লাগছে প্রোজেক্টটি।ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধাপে ধাপে প্রজেক্টটি শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।
এত ছোট ক্লাসে এই প্রজেক্ট দিয়েছে দেখে সত্যিই ভীষণ অবাক হলাম ।যাইহোক রঙিন কাগজ দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানাতে পারদর্শী আপনি। এটা তো আপনার কাছে খুবই সহজ হয়েছে। বেশ ভালই লাগছে দেখতে প্রজেক্টটি। আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এখনকার প্রতিটি ক্লাসে এরকম প্রজেক্ট থাকে। সামনে যদি কিছুটা চেঞ্জ হয়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।