(জেনারেল রাইটিং) অতিরিক্ত ওজন সকল সমস্যা কারণ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করবো। আমরা সকলেই চাই একটি হেলদি লাইফ লিড করতে। কিন্তু বর্তমানে এই ফাস্টফুডের যুগে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই কষ্টকর একটি বিষয়। কারণ প্রতিনিয়ত বাইরে গেলে এসব ফাস্টফুড চোখের সামনে দেখলে না খেয়েও পারা যায় না। আর এইসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আমরা যদি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাই তাহলে আমাদের ওজন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যখনই আমাদের শরীরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায় তখনই বিভিন্ন ধরনের অসুখ বাসা বাঁধে। আমরা বুঝতেও পারি না যে এই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা কেন হচ্ছে। এই সব সমস্যার মূলে অতিরিক্ত ওজন। একবার ওজন বেড়ে গেলে সেই ওজনকে নিয়ন্ত্রণে আনা খুব কষ্টকর মনে হয়। কিন্তু আমরা একটু কষ্ট করলেই এই অতিরিক্ত ওজনকে ঝেড়ে ফেলতে পারি। শুধু প্রয়োজন মনের জোর। যখনই শরীর থেকে এই অতিরিক্ত ওজন চলে যাবে তখনই আপনি অনেকটা হেলদি অনুভব করবেন। তাছাড়া শরীরে একটা বাড়তি এনার্জি পাবেন। প্রতিটি বয়স এবং উচ্চতার একটি নির্দিষ্ট ওজন থাকে। সেই নির্দিষ্ট ওজনের বাইরে গেলেই আমরা এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হই।
আমিও বেশ কিছু দিন ধরে এরকম সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছিলাম। আমার যেটুকু ওজন থাকা দরকার তার থেকে কিছুটা ওজন বেড়ে গিয়েছে। তারপর থেকে আমার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা অনুভব করছিলাম। যেমন মাঝেমধ্যে শরীর দুর্বল লাগে, অল্পতে অস্থির হয়ে যায় এবং কোন কিছুতেই এনার্জি পাইনা। তারপর আমার মনে হল যে আমার ওজন কিছুটা কমানো দরকার। আমিও কোমর বেঁধে নেমে পড়লাম এই ওজন নিয়ন্ত্রণের যুদ্ধে। আমি অনেক বেশি কঠিন ডায়েট প্লানে যায়নি। কারণ কঠিন ডায়েট প্লান মেইন্টেনেন্স করা বেশি কষ্টকর। আমি লো কার্ব ডায়েট প্ল্যানে গিয়েছি। এতে আপনি শুধু আপনার খাবার থেকে কার্ব জাতীয় খাবার কমিয়ে ফেলবেন। দুপুরে এক কাপ ভাত আর সন্ধ্যায় এক কাপ ভাত। সাথে প্রচুর শাকসবজি রাখতে হবে। তাছাড়া সব থেকে জরুরী যে জিনিসটি সেটি হল আপনার খাবারের একটি নির্দিষ্ট টাইম করতে হবে। বিশেষ করে যেটি বেশি জরুরী সেটি হল রাতের খাবার। রাতের খাবার সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে খেয়ে ফেলতে হবে। আর রাতে পানি ছাড়া কিছু খাওয়া যাবে না। তাছাড়া সব থেকে বড় যে কাজটি আপনাকে করতে হবে তা হলো যাবতীয় বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এবং চিনি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে। আপনি যদি এভাবে কিছুদিন মেইনটেইন করতে পারেন আর সাথে যদি হাটা বা এক্সারসাইজ থাকে তাহলে খুব দ্রুতই আপনার ওজন কমে যাবে। আমি এক মাসে দুই কেজি ওজন কমিয়েছি। এখনো আমার জার্নি বাকি রয়েছে। আরও চার/পাঁচ কেজি ওজন কমানোর ইচ্ছা আছে। যেহেতু এক মাসে আমার ২ কেজি ওজন কমেছে সেহেতু আমি অনেকটা উৎসাহ পেয়েছি এই ডায়েট চালিয়ে যাওয়ার। আশা করি আপনারাও আপনাদের শরীরের বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলে সুস্থ থাকবেন। সুস্থ থাকাটাই সবচেয়ে বেশি জরুরী।
সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন। পরবর্তী দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপনার কি ওজন বেশি আছে আদেও 😳😳🙄🙄! আরো চার পাঁচ কেজি ওজন কমালে আপনাকে খুঁজে পাওয়া যাবে তো আপু? তবে বাইরের এই সব আজে বাজে জিনিস না খাওয়াটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমি এখন বাইরের খাবার খাওয়া একদম কমিয়ে দিয়েছি । আর আমার গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম টা এ জন্য তিন চার মাস হলো অনেক ভালো আছে। খাবার টা কন্ট্রোল করে খাওয়াই সুস্থ থাকার প্রধান ওষুধ। তবে আমি শুধু ভাবছি এরপর আপনাকে দেখলে চিনতে পারব কিনা 🤔।
জি ভাইয়া আমার ওজন যা থাকার দরকার তার থেকে চার পাঁচ কেজি বেশি আছে। এজন্য চেষ্টা করছি এই বাড়তি ওজন টুকু কমিয়ে ফেলার। ওজন কমে গেলে তখন সুন্দর লাগবে দেখতে। তখন সহজেই চিনতে পারবেন।
আসলে আপু আমরা বাঙালি খাবার প্রিয় ভোজন। আমরা সব সময় খেতে বেশি পছন্দ করি। আর এর কারণে আমাদের শরীর বেড়ে যায়। আর শরীরে যদি একবার মেত বেড়ে যায় তাহলে প্রমাণ অনেক কষ্টকর। তবে আমরা প্রথম দিক থেকে যদি আমরা কন্ট্রোলে খাবারগুলো খাই তাহলে আমাদের এই কষ্টটা করা লাগে না। যাক আপনি এক মাসে দুই কেজি ওজন কমিয়েছেন এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। সবার উচিত বাড়তি ওজনটা ঝেড়ে ফেলে সুস্থ দেহ নিয়ে জীবন যাপন করা।
এই ভোজন প্রিয়তাইতো বাংলাদেশের শেষ করে দিল। খেতে খেতে বিভিন্ন ধরনের অসুখ বাঁধিয়ে ফেলি শরীরে। আমাদের সকলেরই উচিত বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলে সুস্থ জীবন লিড করা। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
শারীরিক ওজন অনেক সময় বিপদ হয়ে পড়ে। এক মাসে যেমন আপনি ২ কেজি ওজন কমিয়েছেন। যেটি আপনার শরীরের জন্য অনেক ভালই হয়েছে। তবে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অতিরিক্ত অলস শুধু খায় আর ঘুমাই। এবং খাওয়ার মধ্যে কোন নিয়ম নেই। আপনি ঠিক বলেছেন দুপুর নয়তো রাত্রে খাবারগুলো কন্ট্রোল করে তাহলে অনেক ভালো হয়। আপনি খুব সুন্দর একটি টপিক নিয়ে পোস্ট করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু যারা শুধু খায় আর ঘুমায় তাদের জন্য ওজন বেশি বেড়ে যায়। পরিশ্রম যারা করে তাদের ওজন তেমন একটা বাড়ে না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেক সময় অনেক ধরনের সমস্যা দেখা যায়। বেশিরভাগ সময় মানুষ খাওয়া দাওয়া কন্ট্রোল করেনা। এবং পরিশ্রম করে না। যদি ব্যায়াম এবং খাওয়া দাওয়া কন্ট্রোল করে অনেক সময় ওজন নিয়ন্ত্রণ চলে আসে। আপনি নিজেও এক মাসের ২ কেজি ওজন কমিয়েছেন। আমি নিজেও বিদেশ থেকে আসার আগে ব্যায়াম এবং খাওয়া দাওয়া কন্ট্রোল করে ৫ কেজি ওজন কমিয়েছি। যদিও বেশিরভাগ মানুষ খাওয়া-দাওয়া বিলাসিতা করে থাকে এই কারণে ওজন বেড়ে যায় এবং শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
যাদের খাবার দেখে কন্ট্রোল নেই তাদের ওজন খুব দ্রুত বেড়ে যায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে ওজন খুব দ্রুত কমে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।