চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরি পর্ব -৬
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। সবার ঈদ কেমন কাটলো? আমার ঈদ তো খুব খারাপ কেটেছে। মাংস আনতে আনতে বিকাল হয়ে গিয়েছিল। রান্না করে খেতে খেতে ৭ টা। যাই হোক এই পোস্টটি আগে থেকে রেডি করা ছিলো তাই কপি করে দিতে পারলাম। না হলে পোস্ট রেডি করার মত অবস্থা ছিলো না।
আজকে আপনাদের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরির আরেকটি পর্ব শেয়ার করবো। চিড়িয়াখানা এত বড় যে ফটোগ্রাফি করে শেষ করা যায় না। এজন্য বেশ কয়েকটি পর্বে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। গত দিন ঘুরতে ঘুরতে বাচ্চারা খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলো। যদিও কিছু বলছিলো না তারপর আমরা একটি জায়গায় বসে কিছু খাবার খেয়ে নিলাম। খাবারগুলো বাসা থেকে নিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ চিড়িয়াখানার ভেতরে খাবার খুব একটা ভালো হয় না। আর হকারদের কাছে থেকেতো খাবার খাওয়াই যাবে না। এখানে কিছুক্ষণ পরপর সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে হকারদের কাছ থেকে যেন কিছু না খাওয়া হয়। তারপর লোকজন খেয়েই যাচ্ছে।
জিরাফ, জেব্রা এবং আরো অন্যান্য কিছু প্রাণী দেখার পর আমরা বেশ কিছু ঘোড়া দেখতে পেলাম। এখানে বিভিন্ন দেশের ঘোড়া রয়েছে। যেমন উপরের ঘোড়াগুলো এরাবিয়ান ঘোড়া। দেশীয় বেশ কিছু ঘোড়া ছিলো। কিন্তু দেশীয় ঘোড়ার থেকে বিদেশি ঘোড়া গুলো সাইজে অনেক লম্বা এবং সুন্দর ছিলো। নিচের সাদা ঘোড়াটি অসম্ভব সুন্দর লাগছিল দেখতে। এই ঘোড়াটিকে আরো বেশি যদি যত্ন করা যেত তাহলে খুব চমৎকার হতো দেখতে।
ঘোড়াটি কাছে এসে লোকজনের কাছ থেকে পাতা খাচ্ছিলো। এদের যে খাবার দেয় তা হয়তো পর্যাপ্ত হয় না। এজন্য এরা মানুষ যা দেয় তাই খাওয়া শুরু করে দেয়।
ঢোকার পর থেকে আমার ছোট ছেলে হাতি দেখার জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছিলো। আমরা ডান পাশ দিয়ে আসার কারণে হাতিটি একদম শেষে এসে পেয়েছিলাম। এখানে বেশ কতগুলো এশিয়ান হাতি ছিল।
হাতি দেখে আসার পর পেয়ে গেলাম গন্ডার। গন্ডারটি একদম গেটের কাছে এসে দাঁড়িয়েছিলো জন্য ভালোমতো ছবি তোলা যায়নি। আর লোকজনও একদম ভিড় করে দেখছিল গন্ডারটিকে।
আরো কিছু দূর আসার পর বেশ কয়েকটি শকুন দেখতে পেলাম খাঁচার ভিতর। তাছাড়া আরও অসংখ্য পাখির খাঁচা পড়েছিল সামনে। সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসলাম উটপাখির খাঁচার সামনে। উটপাখিগুলো গলা এত লম্বা যে খাঁচার উপর দিয়ে মাথা বের করে দেখছিলো।
আজ এ পর্যন্তই। ঘুরতে ঘুরতে যেমন টায়ার্ড হয়ে গিয়েছিলাম, পশু পাখির ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতে করতে ও টায়ার্ড হয়ে যাচ্ছি। যাই হোক আর বেশি পশু পাখি ছিল না। আমরা প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছিলাম। যাইহোক সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কোন প্রাণীর ফটোগ্রাফি নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই ঈদের দিন সকলেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে।আপনারা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।কারন গরমে বাইরের খাবার না খাওয়াই ভালো।তাছাড়া প্রাণীগুলো আসলেই পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পায় না, আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো।শকুন বিলুপ্ত হয়ে গেছে তো এখন, ধন্যবাদ আপু।
এবারে একা একা ঈদ করার কারণে ব্যস্ততা একটু বেশি ছিল। যাই হোক ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
তাহলেতো আপনারা কোরবানির মাংস রাতে খেলেন! যাইহোক আমরা মানুষরা এমনই কোন কথা শুনতে চাই না। হকারদের থেকে খাবার খাওয়া নিষেধ করা সত্ত্বেই সবাই তাই করছে। এটা ঠিক চিড়িয়াখানা এরিয়া বেশ বড় হওয়ায় হাটঁতে হাটঁতে টায়ার্ড লাগে। এক দিনে সম্পুণ চিড়িয়াখানা দেখে শেষ করা যায় না। তাই সকালে গেলে কিছুটা আরাম করে পশুপাখিগুলো দেখা যায়। বেশ ভালই আনন্দ করেছে আপনার ছেলেরা। ভালো কিছু মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জি আপু কোরবানির মাংস আস্তে আস্তে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। তাই রাতে খেতে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।