চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরি পর্ব-২
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে চিড়াখানায় ঘোরাঘুরির দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করবো। প্রথমে আমরা বানর এবং সারসক্রেন দেখেছিলাম। তারপরে ঘুরতে ঘুরতে আরও বেশকিছু প্রাণী দেখতে পেয়েছিলাম। আজকে আরো কিছু প্রাণীর ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। চিড়িয়াখানা যত বড় একদিনে ঘুরাঘুরির সবগুলো পর্ব শেয়ার করা সম্ভব না। এজন্য পর্যায়ক্রমে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। চিড়িয়াখানায় গেলে সবথেকে বেশি কষ্ট লাগে হাটাহাটি করতে। এত বড় জায়গা সম্পূর্ণটা ঘুরে দেখতে গেলে খুব কষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া আমার ছোট ছেলে এখনো ঘোরাঘুরি করার মত বড় হয়নি। ওর কথা চিন্তা করছিলাম বারবার। কখন যে কোলে উঠতে চায় সেই ভয়ে ছিলাম।
সারসক্রেনের পাশেই দেখতে পেলাম এই হারগিলা পাখি। এই পাখির গলার কাছে বড় একটি অংশ ঝুলে থাকে। এক মহিলা বললো এটি নাকি এই পাখির গিলা। এই পাখির গিলা গলায় থাকে জন্য একে হারগিলা পাখি বলা হয়। যদিও আমার এ বিষয়ে কিছু জানা নেই। পাশে নাম লেখা দেখে এই প্রাণীটিকে চিনতে পেরেছি। আগে কখনো আমার দেখাও হয়নি এই প্রাণী।
হারগিলা পাখি দেখার পর আবারো হাটা শুরু করলাম। এই পাশটায় অনেক দূর হেঁটে আসার পর পশুপাখি গুলো শুরু হয়েছে। এজন্য যতবারই গিয়েছিলাম বাম পাশ থেকে ঘুরে এপাশে আসতে আসতে আর এই পাশ গুলো দেখা হয়নি। তার আগে ক্লান্ত হয়ে যেতাম। এজন্য এবার এপাশ থেকে আগে দেখা শুরু করেছি। কিছু দূর যাওয়ার পর বিশাল একটি খোলা জায়গা দেখতে পেলাম। সেখানে অনেকগুলো হরিণ দাঁড়িয়ে ছিল একই জায়গায়। সুন্দর লাগছিল দেখতে।
হরিণগুলো অনেক বেশি দূরে ছিল জন্য ভালোভাবে দেখাও যাচ্ছিল না। কিছুক্ষণ পর দেখলাম যে হরিণগুলোকে খাবার দিচ্ছে।খাবার দেখে সবগুলো হরিণ একই জায়গায় এসে জমা হলো।
এতোটুকু হাঁটতে হাঁটতে ছোট ছেলে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া রাস্তার পাশে বিভিন্ন হকাররা আইসক্রিম বিক্রি করছিল। সেগুলো দেখে খাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছে ছোট ছেলে । যদিও বিভিন্ন জায়গায় লিখা রয়েছে হকারদের কাছ থেকে কোন কিছু না খাওয়ার জন্য। তারপরও লোকজন খাচ্ছে। আর এরকম হকারদের কাছ থেকে কোন কিছু তো আমার হাসবেন্ড ভুলেও কিনে দেবে না। এর জন্য ছোট ছেলে একটু বিরক্ত শুরু করে দিয়েছিলো। তাই হাজবেন্ড ছোট ছেলেকে নিয়ে লেকের পাড়ে বসে একটু রেস্ট নিয়ে নিচ্ছিলো।
আমি আর বড় ছেলে সামনের দিকে হেটে গেলাম যে হরিণগুলোকে কাছ থেকে দেখা যায় কি না। আমরা একটি জায়গায় দাড়ানোর পর দেখলাম যে একটি হরিণ হেঁটে হেটে আমাদের দিকে আসছে। একদম আমাদের কাছে চলে আসলো খাবার খাওয়ার জন্য। এত কাছ থেকে হরিণ দেখে খুব ভালো লাগছিলো। সঙ্গে সঙ্গে ছোট ছেলেকে ডাকলাম।সে এসে এত কাছ থেকে হরিণকে দেখে সবকিছু ভুলে গিয়ে খুব মজা পাচ্ছিলো।
একটি মহিলা কিছু বাদাম হরিণকে দিচ্ছিলো। আর হরিণও সেই বাদাম খুব মজা করে খাচ্ছিল। যদিও প্রতিটি খাঁচার সামনে লেখা ছিল প্রাণীদের কে যেন বাইরের কোন খাবার না দেয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা। সবাই যার যার মত খাবার দিচ্ছিল প্রাণীদেরকে।
হাঁটতে হাঁটতে যেমন ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম এ পর্যন্ত এসে তাই এখানে আজ শেষ করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্বে হাজির হবো নতুন কিছু প্রাণী নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
চিড়িয়াখানায় কখনও যাওয়া হয়ে উঠেনি। এখন যদি আপনা শেয়ার করা প্রকৃতি আর ফটোগ্রাফি দেখে দুধের স্বাদ ঘোলে মেলে। আশা করি এমন ভাবে সমস্ত চিড়িয়াখানার ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। বেশ সুন্দর ছিল আজকের ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ এমন সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
কি বলেন আপু চিড়িয়াখানায় যাওয়া হয়নি? তাহলে তো অবশ্যই আপনার একবার যাওয়া উচিত। ভালো লাগবে আশা করি ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আগের পর্বটা মিস করেছি এক সময় পরে নিবো।আজকের পর্বটা দারুন ছিলো।আসলে চিরিয়াখানার জায়গা তো কন না তাই একদিনে সব বলে শেষ হবে না।আপু আপনি আপনার এই মুহুর্ত টা নিয়মিত শেয়ার করুন আমরাও ধারনা নিতে পারবো।ধন্যবাদ আপনাকে।
সময় করে আগের পর্বটা দেখে নিতে পারেন ভাইয়া। ভালো লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ ভালো লাগলো আপনার চিড়িয়াখানা ভ্রমণ দেখে। আসলে মাঝেমধ্যে এমন চিড়িয়াখানা অথবা পার্কে ঘোরাঘুরি করতে খুবই ভালো লাগে এবং এই সমস্ত পশুপাখি দেখলে আরো ভালো লাগে। হরিণের ফটোগুলো বেশ দারুন ছিল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মাঝে মাঝে পার্কে এবং চিড়িয়াখানায় গেলে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপনার গঠনমুলক মন্তব্যের জন্য।
চিড়িয়াখানায় এখন পর্যন্ত যাওয়া হয়নি যেখানে অনেক ধরনের প্রাণী রয়েছে। আসলে হেঁটে হেঁটে ঘুরাঘুরি করা চিড়িয়াখানাতে খুবই কষ্টসাধ্য। অনেক জায়গা জুড়ে সেখানে বিভিন্ন প্রাণী বন্দি করে রাখা আছে ।ছোট্ট বাচ্চারা হাঁটতে হাঁটতে এমনিতে ক্লান্ত হয়ে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। যাইহোক, এই পর্বে হরিণ এবং হারগিলা দুটো প্রাণী দেখে খুবই ভালো লাগলো।
সময় পেলে একসময় চিড়িয়াখানা থেকে ঘুরে আসবেন। অনেক ধরনের পশুপাখি দেখা যায়। ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গেলে আমার প্রথম আকর্ষণ থাকে হরিণের প্রতি। আমি নিজেও চিড়িয়াখানায় হরিণকে ধরার চেষ্টা করি খাবারের লোভ দেখিয়ে। চিড়িয়াখানায় ঘোড়ার দ্বিতীয় পূর্বে বেশ কিছু পশু পাখির ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। দেখে ভালই লাগলো। আসলেই এরকম হকারদের কাছ থেকে খাবার কিনে খাওয়া উচিত নয় কেননা পরে যে কোন বিপত্তি হতে পারে। চিড়িয়াখানায় ঘোরার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে সুন্দর কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু। অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য।
আসলে এসব পশুপাখিকে বাইরের কোন খাবার দেওয়া ঠিক না। এরা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার চিড়িয়াখানার প্রথম পর্বটা হয়তোবা মিস করে গেছি। কিন্তু আজকের পর্বটা দেখে ভালো লাগলো। কিছুদিন আগে আমরাও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম। আসলেই চিড়িয়াখানাটা দেখছি অনেক বড়। হাঁটতে হাঁটতে অবশ্যই ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার কথা। আপনার ছোট ছেলেটা অনেক বিরক্ত করে ফেলছিল। আসলে ছোটরা এরকমই করে। হারগিলা পাখিটি দেখতে আমার কাছে ভীষণ সুন্দর লেগেছে। আবার হরিণগুলো কিন্তু খুবই সুন্দর। আবার দেখছি একটি মহিলা হরিণকে বাদাম খাওয়াচ্ছে।
কিছুদিন আগে আপনারাও চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
যদিও আপনার চিড়িয়াখানার পোস্টের আগের পর্ব আমার পড়া হয়নি। তবু আপনার আজকের পর্বটি পড়ে ও ফটোগ্রাফি দেখে বেশ মুগ্ধ হলাম। অনেক সুন্দর করে আপনি এবারের পর্ব আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে পশুপাখি গুলোর ফটোগ্রাফি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমার পশু পাখির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে চিড়িয়াখানার মধ্যে ঘুরতে গেলে চেনা অচেনা সকল পশু পাখির সাথে দেখা হয় এবং সকল পশু পাখির সাথে পরিচিত হতে পারা যায়। আপনি আজকে চিড়িয়াখানার বেশ কয়েকটি পশু পাখির ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার মাধ্যমে আজকে বেশ কয়েকটি নাম না জানা পশু ও পাখির সাথে পরিচিত হতে পারলাম।
ঠিক বলেছেন চিড়িয়াখানা চেনা অচেনা অনেক পশুপাখি দেখা যায়। ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।