ঈদের আগের রাতের ঘুরাঘুরি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। সব সময় তো ঈদ ঢাকার বাইরে করা হয়। খুব কম বারই ঢাকাতে ঈদ করা হয়েছে। ঈদের সময় ঢাকা একদম ফাঁকা ফাঁকা হয়ে যায়। রাস্তা ঘাটেও গাড়ি-ঘোড়া খুবই কমে যায়। তাই ঈদের আগের দিন সন্ধ্যার সময় ঘুরতে বের হয়েছিলাম। ঈদের আগের দিন তেমন একটা কাজ থাকে না। তাই ভাবলাম যে ঈদের দিন তো মাংসের ঝামেলা থাকবে, ঘোরাঘুরি তেমন একটা হবে না। তাই ঈদের আগের দিনই ঘুরে আসি। ঢাকায় আসলে ঘুরার তেমন একটা জায়গা নেই। ঘুরতে গেলে কোন একটা রেস্টুরেন্টে যেতে হয় অথবা কোন রিসোর্টে। যেহেতু আমরা পূর্বাচলের এদিকে থাকি আমাদের একটা সুবিধা আছে। ওই দিকটায় ঘুরতে যাওয়া যায়। ওদিকটা বেশ ফাঁকা জায়গা, নদী রয়েছে। যার কারনে খুব সুন্দর সময় কাটানো যায় ওই দিকটায়।
৩০০ ফিট এর পাশে একটা জায়গায় এরকম লেকের মতো রয়েছে। এটি কি লেক নাকি নদী তা আমার জানা নেই। এই জায়গাটি ছেলেদের স্কুলের গিয়ে দেখেছিলাম। স্কুল থেকে একবার অটোতে করে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। তখন এই রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলাম। এই জায়গাটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। তখনই ভেবেছিলাম যে পরে একসময় এখানে ঘুরতে আসবো। সেজন্য সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ফেলেছিলাম। যদিও আসার পথে পশুর হাট বসেছিল। হাসবেন্ড আসতে খুব একটা রাজী ছিল না। তারপরও জোর করে নিয়ে এসেছিলাম। এখানে আসার পর আমাকে ধন্যবাদ দিচ্ছে এত সুন্দর জায়গায় নিয়ে আসার জন্য।
নদীর পাড় দিয়ে খুব সুন্দর জায়গাও করে রেখেছে বসার জন্য। দোকানের লোকজন টেবিল এবং সাথে চেয়ার দিয়ে রেখেছে। পাশে আরো ছোট ছোট বেশ কিছু খাবারের দোকান ছিল।ঈদের জন্য সেগুলো বন্ধ ছিল। তাই আমরা চা খেয়ে সেখান থেকে চলে এসেছিলাম। বাইরে এসেছি খাওয়া দাওয়া না করে কি আর বাসায় যাওয়া যাবে। বাচ্চারা কি তা মানবে। সেজন্য চলে গিয়েছিলাম নীলা বাজারে খাবার খেতে। সব সময় যেই দোকানগুলোতে খাবার খাই দেখলাম যে তার বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ ঈদের জন্য। তাই আবারও নীলা বাজারের শুরুর দিকে চলে আসলাম। এখানে একটি বড় দোকান আছে। এই দোকানের খাবার খুব ভালো। এখানে আমরা বেশ কয়েকবার খেয়েছি। ওখানে দেখলাম যে বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন করেছে ঈদ উপলক্ষে।
নিচের খাবার গুলো ওদের রেগুলার খাবার। তার বাইরে দেখলাম যে চিকেন চাপ, চিকেন কাবাব, চিকেন গ্রিল আরো বিভিন্ন ধরনের খাবার রেখেছে। আমরা গিয়ে হাঁসের মাংস, চিকেন চাপ আর রুমালি রুটি অর্ডার দিয়েছিলাম। ঘোরাঘুরি করে প্রচন্ড রকম ক্ষুধা পেয়ে গিয়েছিল। তাই আর খাবার আসার পর ছবি তোলার কথা মনে ছিল না।
নীলা বাজারের খাবারের প্রধান আকর্ষণ হল হাঁসের মাংস। এখানে এসে হাঁসের মাংস না খেলে কি চলে। তাই আমরা হাঁসের মাংস আর চাপ দিয়ে এই রুমালি রুটিগুলো খেয়েছিলাম। খুবই মজা লেগেছিল খেতে। তারপরে বাচ্চারা আইসক্রিম খেলো। খাওয়ার পর মনে হল যে আরো কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করি। এত তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে কি করবো। ৩০০ ফিট রাস্তা দিয়ে রাতের বেলায় ঘুরতে খুব ভালো লাগে। তাই আমরা ৩০০ ফিট দিয়ে শেষ মাথায় চলে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ঘুরে আবার বাসায় চলে এসেছিলাম। বেশ ভালোই মজা হয়েছিল।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone 15 pro max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঈদের আগের রাতে খুব সুন্দর ঘোরাঘুরি করেছেন দেখছি। আসলে আনন্দঘন মুহূর্তটা ঠিক এমনই হয়ে থাকে। নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরির রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া কার না ভালো লাগে। অনেক অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে।
নদীর পাড়ে সময় কাটাতে আসলেই খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
প্রতিবছরই ঈদের আগের দিন রাতে আমি এবং আমার বন্ধু লিখন ঘুরতে বের হয়। বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আগের দিন রাতে মানুষের অনূভুতি দেখি গ্রামগুলোর অবস্থা দেখি ভালো লাগে। ঐটা লেকই হবে। নদী ঠিক মনে হচ্ছে না। দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপু। বেশ ভালো লাগল দেখে।
ঈদের আগের দিন রাতে খুব একটা ঘোরাঘুরি করা হয় না। এই বারই বের হয়েছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
বাহ ঈদের আগের রাতে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া করেছেন। আসলে ঈদের আগের রাতে রান্নাবান্না না করলে তেমন একটা ঝামেলা থাকে না। যার কারণে আপনি বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন, আর খাওয়া-দাওয়া করেছেন । নীলা বাজারের ঐদিকে হাঁসের মাংস খুবই পপুলার। ওখানে গেলে সবাই হাঁসের মাংস খায় ।আপনারাও হাঁসের মাংস, রুমালি রুটি খেলেন দেখে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝেমধ্যে যখন হাঁসের মাংস খেতে ইচ্ছা করে তখন ওই দিকে গিয়ে খেয়ে আসি। ভালোই লাগে খেতে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।