স্কুল থেকে চা খেতে যাওয়া

in আমার বাংলা ব্লগ8 days ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ছোট ছেলেকে স্কুলে নিয়ে গিয়ে দুই ঘন্টা বসে থাকা বেশ কষ্টকর বিষয়। তার উপরে যে পরিমাণ গরম পড়েছে অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যায়। রোদে মুখ পুরে দুই কালার হয়ে গিয়েছে। মুখের যে অংশ ঢাকা থাকে সেগুলো এক কালার আর যে অংশ খোলা থাকে সেগুলো এক কালার। তারপরও কিছু করার নেই। এই সময়টা বসে থাকতেই হয়। গরমের মধ্যে বসে থাকার কারণে সময় যেন কাটতে চায় না। তাই আমরা কয়েকজন গার্ডিয়ান মিলে আশেপাশে সময় কাটানোর চেষ্টা করি। জলসিড়ির ওদিকটায় নতুন নতুন অনেক বাড়িঘর উঠছে। সেজন্য কিছু রেস্টুরেন্ট হচ্ছে, আবার সাথে সুপার শপও। যদিও এগুলো এখন সেরকম চলে বলে মনে হয় না। কিন্তু ভবিষ্যতে জাঁকজমকপূর্ণ হবে এই এলাকাটি দেখে বোঝা যায়। সেরকমই একদিন সময় কাটানোর জন্য পাশের একটি রেস্টুরেন্টের কফি খেতে গিয়েছিলাম।


IMG_0175.jpeg


IMG_0172.jpeg


স্কুল থেকে অটোতে করে যেতে এক একজনের দশটা করে নেয়। হেটেও যাওয়া যায় ভিতর দিয়ে। খুব একটা সময় লাগে না। যেহেতু গরম তাই আমরা অটোতে করে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখলাম যে ছোট্ট একটি রেস্টুরেন্ট খুব সুন্দর সাজানো গোছানো। বিশেষ করে সামনে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ লাগানো। সবগুলো গাছে এত কালারফুল ফুল ফুটে আছে খুব ভালো লাগছে দেখতে।


IMG_0173.jpeg


IMG_0174.jpeg


আমরা গিয়েই দোতলায় উঠে গিয়েছিলাম। দোতলায় বসতে বেশি ভালো লাগে। সেখানে বসে চারপাশের পরিবেশ খুব সুন্দর উপভোগ করা যায়। তাছাড়া ভিতরে এরকম সুন্দর একুরিয়াম রয়েছে। যেখানে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও তারা আর্টিফিশিয়াল গাছ লাগিয়ে রেখেছিল। এখানে অরজিনাল গাছ লাগালে খুব চমৎকার লাগবে দেখতে।


IMG_0176.jpeg


IMG_0177.jpeg


আমরা খুব আয়োজন করে চা খাওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে দেখি যে চা কফি নেই। তাই ওখানে কিছুক্ষণ বসে থেকে পরে চলে এসেছি। পাশের একটি সুপারশপে গিয়েছিলাম। সুপার শপগুলোতে এসি থাকে। তাই ওখানে বেশ কিছু জিনিস কেনাকাটা করলাম। শুধু শুধু এসির বাতাস খেতে গেলে লোকজন কি বলবে। এই ভেবে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিয়েছিলাম। তারপর সেখান থেকে আবার স্কুল ছুটির আগেই স্কুলে পৌঁছে গিয়েছিলাম।


IMG_0178.jpeg


এই হলো আমার কষ্টের মাঝেও কিছুটা আনন্দের সময়। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone 15 pro max
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 8 days ago 

আহা, কষ্ট করে রেস্টুরেন্টে গেলেন কিন্তু চা কফি কিছুই পেলেন না দুঃখের বিষয়। তবে সুপারশপে গিয়ে এসির বাতাস খাওয়ার বুদ্ধিটা দারুণ ছিল হাহাহা।তবে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কিনেছেন হিসেবে এসির বাতাস খাওয়ার ব্যাপারটা খারাপও হয়নি।

 3 days ago 

প্রচন্ড রকম গরম ছিল এজন্য একটু ঠান্ডা হতে গিয়েছিলাম। শুধু ঘুরিনি কেনাকাটাও করেছিলাম পরে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 7 days ago 

আরে আপু চা খেতে গিয়ে চা নেই এই জিনিসটা জানতে পারলে একটু কষ্টই লাগে। তবে আপনারা সেখান থেকে এসে সুপারশপে গিয়ে এসির বাতাসও খেলেন আবার কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসও কেনাকাটা করলেন। সব মিলিয়ে কষ্টের মধ্যেও যে একটু আনন্দের সময় অতিবাহিত করেছেন জেনে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।

 3 days ago 

ফ্রি এসির বাতাস খেলে কেমন দেখা যায় না এজন্য কেনাকাটা করেছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 7 days ago 

বাচ্চাকাচ্চা স্কুলে ভর্তি করলে তখন অনেক কাজ বেড়ে যায় । ওদেরকে নিয়ে স্কুলে যেতে হয় এবং অনেকটা সময়ই কাজকাম ফেলে রেখে বসে থাকতে হয় তখন নিজের কাছে একটু বিরক্তি লাগে । আমার তো কিছুই করার নেই বসেই থাকতে হয় । আপনারা তো তারপরও মাঝে মাঝে দেখি এদিক ওদিক ঘুরতে যান । ভালোই তো রেস্টুরেন্টটা অনেক সুন্দর করে সাজানো গোছানো ভালো লাগলো দেখে ।

 3 days ago 

ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চাকাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে বসে থাকতে গেলে অনেক সময় নষ্ট হয়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 7 days ago 

বাচ্চার জন্য স্কুলে এতক্ষণ পর্যন্ত বসে থাকা সত্যি অনেক বেশি কষ্টকর। যদিও চা খেতে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন, কিন্তু চা টাই তো পেলেন না। এটা জানতে পেরে অনেক খারাপ লেগেছে। বিষয়টা সত্যি অনেক দুঃখজনক ছিল। বিনা পয়সায় এভাবে এসির বাতাস খাওয়ার বুদ্ধিটা দারুন ছিল আপু। মাঝে মধ্যে এরকম বুদ্ধিগুলো কাজে লাগানো অনেক ভালো। আবার দেখছি প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কিনেছেন। এটা কিন্তু ভালোই হয়েছে। জিনিসপত্র কিনতে কিনতে এসির বাতাস খেয়ে নিলেন। অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপনি।

 3 days ago 

বিনা পয়সার বাতাস খাইনি। অনেক জিনিসপত্র কিনেছিলাম যাতে দোকানদাররা কিছু মনে না করে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

 5 days ago 

সবাই মিলে এত আয়োজন করে চা খেতে গেলেন শেষমেষ চা কফি কিছুই পেলেন না ব্যাপারটা সত্যি ভীষণ দুঃখজনক ।আর এই গরমের মধ্যে এসি মার্কেটে গেলে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে। এসির বাতাস খেতে যেয়ে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনেছেন ব্যাপারটা ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 days ago 

আশেপাশে খুব একটা এসি দোকান নেই। একটা দোকানই ছিল। তাই একটু ঘুরে দেখলাম আর কি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64373.04
ETH 2775.53
USDT 1.00
SBD 2.66